দরজাটা খুলে বাইরে বেরুতেই ঠান্ডায় হি হি করে উঠল রনি। এখনো নভেম্বর মাস শেষ হয়নি, জাঁকানো শীত পড়ে গেছে এর মধ্যে। আজ অনলাইনে পত্রিকা পড়তে গিয়ে হালকা মেজাজ খারাপ হয়ছে, ৩৫ সেমি তুষার নিয়ে মৌসুমের প্রথম ঝড় আসলো বলে। জ্যাকেটের কলার উপরে তুলে দিয়ে তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করল ও স্টুডেন্টস’ রেসিডেন্টের দিকে। হাঁটার সময় এই এক অভ্যাস রনির, দুনিয়ার হাবিজাবি জিনিস নিয়ে আকাশ পাতাল চিন্তা করা চাই। আর কিছু না পেয়ে মনে মনে আগামীকালকের কার্যতালিকা তৈরী করা শুরু করল। এক নম্বর – মলে যেতে হবে, গরম একটা ওয়াটার প্রুফ প্যান্ট কিনে আনতে হবে। দুই নম্বর- ছাত্রদের এসাইনমেন্টগুলো দেখে শেষ করতে হবে, অনেক দিন ধরে ডেস্কের এক কোণায় পড়ে আছে ওগুলো। তিন নম্বরটা মনে করতে করতেই ট্রাফিক লাইটের সামনে এসে পড়লো, রাস্তা পাড় হতে হবে এখন। ক্যাম্পাসের ব্যস্ততম রাস্তা ওটা, একবার গাড়ি যাওয়া শুরু করলে দুই মিনিটের আগে লাল বাতি জ্বলে না। এতোক্ষণ চুপচাপ দাড়িঁয়ে থাকার চেয়ে বরং একটা সিগারেট খাওয়া যাক, ভাবলো ও। পকেট থেকে প্যাকেট বের করে বাতাস বাঁচিয়ে সিগারেটটা ধরিয়ে লম্বা একটা টান দিয়ে, নিয়ন আলোর রশ্নিগুলোর উপর ছড়িয়ে দিল স্লথ মৃত্যুর বায়বীয় দেহ। দুই ঠোঁটে সিগারেটটা চেপে ধরে সিগারেটের প্যাকেট পকেটে ভরতে যাবে, এমন সময়, কিন্নরী কন্ঠে কে যেন ডাক দিল পেছন থেকে।
“ইউ ডোন্ট হ্যাভ আ স্পেয়ার স্মোক ফর মি, ডু ইউ?”
পেছনে তাকাতেই একটু ভ্যাবাচাকা খেল রনি। পাতলা গড়নের একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্প্যান্ডাক্স প্যান্টের উপর একটা মিনি স্কার্ট পরে আছে, উপরে কালো খাটো একটা জ্যাকেট। নিয়ন বাতির আলোতে ঠিক বোঝা না গেলেও আন্দাজ করল, চুলের রং সোনালী আর চোখ নীল। আধো আলো আধো অন্ধকারেও চেহারার মিষ্টি ভাবটা বোঝা যায়। একটু ইতস্তত করল রনি, আন্ডার এজ হলে সিগারেট দিয়ে পুলিশি ঝামেলায় পড়তে চায় না ও। কিন্তু এরকম একটা সুন্দর মেয়ের মুখের উপর না বলতে হলে যতোখানি কামিনীত্যাগী সন্ন্যাস প্রয়োজন, তা রনির নেই। সুতরাং, হ্যাঁসূচক মাথা নেড়ে প্যাকেটটা বাড়িয়ে ধরল মেয়েটার দিকে। দস্তানা খুলে পকেটে ভরে প্যাকেট থেকে একটা শলা বের করে নিল মেয়েটা। চম্পাকলির মতো আঙ্গুলগুলোর মাঝে আটকে থাকা সিগারেটটাকে এ মুহূর্তে বড় সৌভাগ্যবান বলে মনে হলো রনির। নিজেই পকেট থেকে লাইটার বের করে বাতাসের দিকে পিঠ ফিরিয়ে সিগারেটটা ধরিয়ে রনির দিকে ফিরল মেয়েটা।
“বাই দ্য ওয়ে, মাই নেইম ইজ এশলি এন্ড মাচ অবলাইজড ফর দ্য স্মোক।”
ফ্রেসম্যান অথবা সফোমোর ইয়ারে ছাত্রী হবে হয়তো – মনে মনে ভাবলো রনি।
“নো প্রোবলেম। নাইস টু মিট ইউ এশলি, আই আম রনি।”
হাত বাড়াতে গিয়েও সামলে নিল রনি, বাঙালি মন মানসিকতা তেড়ে উঠলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। আর মেয়েটা হাত না বাড়ায় যদি, বেইজ্জতি হওয়ার ঝুকিঁ সে নিতে চায় না।
“নাইস টু মিট ইউ টু, রনি। ইউ স্টুডেন্ট? একচুয়ালি আই আম গোয়িং টু স্টুডেন্টস’ রেজ’ ।”
নিজের গন্থব্য জানান দিল এশলি, মনে হয় ওর সাথে হাঁটতে চায়। সুযোগ ছাড়লো না রনি।
“হোয়াট আ কোইন্সিডেন্স, আই আম গোয়িং দেয়ার টু। উই ক্যান ওয়াক টুগেদার, ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড।”
একটু ভদ্রলোকী দেখানোর চেষ্টা করল ও, ছেলেদের কাছ থেকে প্রস্তাব আসাটাই দস্তুর কিনা।
“রিয়েলি? দ্যাট উড বি গ্রেইট।”
এশলির মুখে বিস্ময়ের ঝলক দেখে ভেতরে ভেতরে সর্বনাশের শুরুর আঁচ পেল রনি। একবার সে দেখেছিল বটে সর্বনাশ, কোন এক নারীর চোখে। কিন্তু কথা রাখেনি সে, বুকে এখনো মাংসের গন্ধ নিয়ে সে একজন সাধারণ কেউ। রনির সেই প্রথম আর সেই শেষ। শেষ? হবে হয়তো, আজকেই যে শুরু হবে না কে জানে। স্রষ্টার কান্ডকীর্তি বড়ই রহস্যময়, একটু আশাবাদী হওয়ার চেষ্টা করে সে।
লাল বাতি জ্বলার সাথে সাথে জাদুমন্ত্রের মতো থেমে যায় গাড়িগুলো। পথচারী পাড়াপাড়ের বাতিটা জ্বলে যায়, বাতিটার নিচেই ডাউন কাউন্টারটা ৪৫ সেকেন্ড থেকে গোনা শুরু করে। রাস্তার দিকে ইশারা করে এশলি।
“শ্যাল উই?”
রনি মৃদু হেসে রাস্তার উপর পা বাড়ায়, পাশেই এশলি। রাস্তা পাড় হওয়ার পর নানা জিনিস নিয়ে টুকটাক কথা বলতে বলতে হাজির হয়ে যায় রেসিডেন্ট বিল্ডিং-এর সামনে। এশলির দিকে ফিরে রনি, চোখে তার নেশা লেগেছে। দু’মাসের প্রবাস জীবনেই এরকম মিস্টি একটা মেয়ে যেচে পড়ে তার সাথে কথা বলবে, ভাবতেও পারেনি ও।এই দেশের শীত নিয়ে কি যেন বলছিল এশলি, সামনে হাসি হসি মুখ করে দাড়িঁয়ে রনি। মনে মনে সবটুকু সাহস একত্র করার চেষ্টা করল ও, বিদায় নেওয়ার আগে এশলির ইমেইল অথবা সেল- দুটোর কোন একটা তার নিতেই হবে। হঠাৎ করে কথা থামিয়ে দিল এশলি। কোমরের উপর এক হাত দিয়ে সিগারেটটাতে লম্বা একটা শেষ টান দিয়ে ছুড়েঁ ফেলল ফিল্টারটা। তারপর রনির দিকে তাকিয়ে একটা মোহনীয় হাসি দিল ও।
“ইউ ওয়ান্ট বিজনেস?”
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারল না রনি, এতো মিস্টি চেহারার একটা মেয়ে!!! তাও প্রথম বিশ্বের একটা দেশে, যেখানে কাজ না থাকলে সরকার মোটা অংকের ভাতা দেয়, সেখানে! হিসাব মেলে না রনির।
“পারডন মি…”
আরেকবার নিশ্চিত করে নিতে চায় ও, ঠিকই শুনেছে কিনা। মুখের হাসিটা এতোটুকু ম্লান হয় না এশলির।
“আই আস্কড, ইফ ইউ ওয়ান্টেড বিজনেস।”
হঠাৎ করেই যেন মর্ত্যলোকের আর দশটা মেয়ের মতো হয়ে যায় এশলি, রনির বিশ্বাসের বাধঁটাতে আর একটা ফাটল ধরে। তবু সামলে নেয় নিজেকে।
“নো থাংকস।”
একটু কর্কশ শোনালো কি ওর কন্ঠ, অথবা আশা ভংগের জ্বালা? রনির নিজের উপর রাগ হয়।
“ডোন্ট ইউ লাইক মি? আই ক্যান ডু থিংস ইউ উইল নেভার ফরগেট।”
অনেকটা সামলে নিয়েছে রনি এর মধ্যে। ম্লান একটা হাসি খেলে যায় ওর ঠোটেঁ, আরেকটা ব্যক্তিগত পরাজয় মনে নেয় ও।
“আই ডু, বাট আই ক্যান্ট।”
কথা বাড়ায় না এশলি আর, তাচ্ছিল্য আর কৃপার দৃষ্টিতে তাকায় ওর দিকে। সিগারেটের জন্য আরেকবার ধন্যবাদ জানিয়ে রনিকে ফেলে এগিয়ে যায়। রনি ওর গমন পথের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর আরেকটা সিগারেট ধরায়। দিনের শেষ সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে কষ্টগুলো উড়িয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় ঠান্ডার মধ্যে কাঁপতে থাকে রনি।
তেলাপোকার পাখি হইবার শখ, তাই একটা গল্প লেইখা ফেললাম। প্রথম বারের মতো, সমালোচনা চাই। 🙂
তৌফিক... আরেকটা অসাধারণ লেখা। :boss:
অফটপিকঃ নিজেরে কি রনি নামে চালায়া দিলা নাকি??? ;)) ;))
ধন্যবাদ পলাশ ভাই।
রনি নামে নিজেরে চালাই নাই। 🙂
:dreamy: :dreamy:
:bash: :bash: ~x(
অল্প একটুর মধ্যেই সুন্দর গল্প। ভালো লাগলো।
Life is Mad.
সায়েদ ভাই, ধন্যবাদ। দোয়া রাখবেন।
অসাধারণ :salute: :salute:
গল্প শেষ, কিন্তু এর রেশ এখনো যেন শেষ হয়নি মনে হচ্ছে... অভিষেকেই তো সেঞ্চুরি মেরে দিলেন :boss: :boss: :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ রকিব। :salute:
boss... আপনি কি এখনো নিউফাউণ্ডল্যাণ্ডেই আছেন???
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হ্যাঁ ভাই, এখনো নিউফাউন্ডল্যান্ড। তুমি কি নোভা স্কোশিয়াতে? স্নো ক্যামন পড়ে?? 😀
না ভাই, আমি টরেন্টোতে, এখনো স্নো তেমন জোরালো ভাবে পরেনি... 🙂 🙂
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পুরা কানাডা সাদা এখন, নিউফাউন্ডল্যান্ড ছাড়া। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অবশ্য দুই ফুট বরফ নিয়া তুষার ঝড় আইতাছে। 🙁
১.
ভালো লেগেছে।
পুরো গল্প জুড়ে (শিরোনাম থেকে শুরু করে শেষ লাইন পর্যন্ত) একটা কেউ কথা রাখেনি রাখেনি ভাব ছিলো। :clap: :clap:
২.
রনি পোলাডা একটা বেকুব। :bash:
৩.
:shy: :shy: :shy:
৪.
অফ টপিকঃ আই ওয়ান্ট বিজনেস। 😉
কামরুল ভাই, খুব অনুপ্রাণিত হইলাম। 🙂
ও ভালো কথা, শিরোনাম থাইকা শুরু কইরা ভিতরে পর্যন্ত তো কবিতাটার ইংগিত আছে। ঠিকই ধরছেন।
"বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে, সেদিন আমার বুকেও এরকম সুগন্ধ হবে।
এখনো তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ,
এখন সে যে কোন নারী।"
স্নৃতি থাইকা লিখলাম, ভুলভাল হইতে পারে।
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে কোনো নারী।
আসলে বরুনা'র কুনো দোষ নাই। লাল কাপড় না বাইন্ধা ... বরুনার লাল ____ টা বাইন্ধা দিলেই বরুনা কথা রাখত।
খাওয়া-দাওয়া শেষ, তো মুখ মুছা শেষ।
এখন তো সে যে কোন নারী হইবই। না খায়া বুঝল ক্যাম্নে মাংস না মাছ ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
কামরুল ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতাটা উদ্ধৃত করার জন্য।
জানেন মনে হয়, সুনীল এই কবিতাটা বসার ঘরে পত্রিকার সম্পাদকরে বসায়া এক্সটেম্পরি লেইখা দিছিল। সেই সম্পাদকরে আবার সে অনেকদিন ধইরা কবিতা দিব বইলা ঘুরাইতেছিল, শেষ পর্যন্ত সম্পাদক বাসায় চইলা আসায় ঝামেলা দূর করতে এই কবিতার জন্ম হইছিল।
আমার এই কবিতার জন্মের কাহিনীটারে আরেকটা বড় কবিতা মনে হয়।
তৌফিক ভাই অসাধারন :clap: :clap: :clap:
কেন কেন কেন??? :bash: :bash: :bash:
ঝাতি জানতে চায় :-/ :-/ :-/
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
অ্যা! 😮 😮
রনি ছেলে ভালো, খালি বিজনেস করতে চায় না, মনের বিজনেস ইজ ফার্স্ট বিজনেস। 😛
ইসরে আমি যদি রনির জাইগায় থাকতাম :shy: :shy: :shy:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
*জায়গায় হবে :-B
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
😛 আহারে বাচ্চি খান স্যার এইখানে থাকলে জিগাইতো-রনি পোলাডার কি "উইপনে" সমুস্যা আছে?
:)) :)) :))
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ঐ
আরে দস্ত কষ্ট পাইস না, তর জিবনেও আমন চান্স আসবে ইনশাল্লাহ......
রনি, গল্প চমৎকার হইসে। 😉
আরো চাই।
শোয়েব ভাই, আমি রনি না। বিশ্বাস করেন, জাস্ট বিলিভ মি।
খুব সুন্দর একটা লেখা দিলা তৌফিক!
শুরু থেকে শেষ, একদম একটানে পড়ে গেলাম।
এইভাবে আরো আরো গল্প লিখা শুরু কর।
কথা দিলাম, বন্ধু বান্ধবের জীবনে ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটলেই সৃষ্টিশীলতার (!!!) ঝড়ে দুই তিনটা কিবোর্ড শহীদ হইয়া যাইবে। 🙂
নাহ, আমি আর লিখুম না কিছুই ঠিক করছি।
মরতুজা ভাই, এইটা কি কইলেন???
আমাদের মত কচিকাচাদের তাহইলে কি হইব? :(( :(( :((
আমিও কচিকাঁচা :shy:
আমিও মরতুজা ভাই এর দলে।
আমরা প্রাপ্তবয়স্করা তাইলে কই যামু?? :(( :(( :((
দুর্দান্ত তৌফিক। তোমার শব্দচয়ন চমতকার। এমনকি নামটাও ভাল দিছ...আরো লিখ।
বরুণাদের প্রভাব আমাদের লেখায় থাকবেই। কারণ আমরা এসব পড়া প্রজন্ম। ঠিক যেমন সুনীল, হূমায়ুনদের থাকে রবিগুরু কবি ঠাকুরদের প্রভাব।
তুমি আরো লিখ ...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:khekz: :khekz: :khekz:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:gulli2: :gulli2:
পাশ্চাত্যের ওরা তো বস রে রবীন্দ্রনাথ ট্যাগোর বলে, তো একবার একজন বাঙ্গালী তাড়াহুড়া করতে গিয়ে পড়েছিল এভাবে- 'রবীন্দ্রনাথ টাইগার'!!! =))
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =)) =))
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
=))
ধন্যবাদ টিটো ভাই, আপনাদের মতো তারকা ব্লগারদের এই রকম বাহবা পাইলে মনে হয়, আরো ২০টা ব্লগ নামায়া দেই। 🙂
আরো বিশটা নামাইয়া ফেল
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
তৌফিক ভাই,অসাধারণ গল্প।একেবারে জীবন থেকে নেয়া।ধুর যা একটু লিখুম লিখুম ভাবি,আফনেগো দেখলে ইনফেরিওরিটি কম্পলেক্সে ভুগা শুরু হয় 🙁
অফ টপিকঃআমার মতে আফনে এইখানে লেখকের স্বাধীনতার আশ্রয় নিছেন কয়েকটা জায়গায় 😛
১)রনি পোলাডা আসলে বিজিনেছ করছে কিন্তু শালীনতার খাতিরে আসল কাহিনী কৈতে পার্তাছেনা।
২)রনি পোলাডার সাথে ইয়া লম্বা আমার এক বছরের সিনিয়র "বিদ্রোহী" কবিতা আবৃত্তিকারী এক বড় ভাইয়ের কেমুন জানি মিল্পাইতাছি 😉 তয় যুদি তাই হয়-তাইলে তিনি বিজিনেছ করেন্নাই এইটা সত্য।উনারে আমি চিনি-ভালা পাব্লিক।
সব শেষে কামরুল ভাইইয়ের মতুন কইরা কই-কাশ উস্কা জায়গা ম্যায় হোতা 😉
কামরুল ভাই,দুস্কু কইরেন না আগামী বছরই তো ইনশা-আল্লাহ ফিলিম ইন্সটিটিউটে কত এশলি আইবো আর যাইবো 😛
রনি আমি না, নিশ্চিন্ত থাকো। 🙂
ভাবছিলাম স্বীকার করুম না, এক বন্ধুর কাহিনী একটু রং চড়ায়া বইলা দিছি। বেশি না একটু, এই সামান্য একটু রং। এর চেয়ে বেশি সৃষ্টিশীলতা যে আমার সাধ্যের বাইরে। 🙁
তৌফিক, জটিল হইছে... :clap:
অফ টপিক- এমনও তো হইতে পারে এশলি আপু ছোটখাট কোন বিজনেস স্টার্ট করতাছে...এই যেমন হ্যান্ডিক্রাফট...বুটিক টাইপ কিছু??? রনিরে ভাল লাগছে বলে ওরে পার্টনার করতে চেয়েছিল??? :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
😮 😮 😮
মানেএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএএ......... ~x(
কবীর ভাই,আর পার্তাছিনা আফনেরে নিয়া
জুনা যেম্নেই হোক এশ্লি'র লগে 'বিজনেস' করতে চায়।
'হ্যান্ডিক্রাফট' (হস্তমৈ) তো জুনা করেই, 'বুটিক'(বুটি) ও চালাইসে ...
এশ্লি'র লগে জুনা 'গার্মেন্টস' করতে চায় ... :-B
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বিতর্ক এড়ানোর জন্য এশলি আপু বলে ডাকলাম...তাইফুর ভাই, তাও ছাড়লেন না... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তাইফুর মামা বস্ :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তাইফুর ভাই, কমেন্টবাজ জুনায়েদ ভাইরে তো একদম ধরায়া দিলেন।
জুনায়েদ ভাইয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য হুমকির মুখে। ;))
ওরে... কই যামু রে...
তাইফুর ভাই :salute:
:khekz: :khekz: :khekz:
ধন্যবাদ অধমকে জটিল বলার জন্য। 🙂
তৌফিক ভাই,
আরো গল্প দেন, আরো। 😀
ভাল লাগছে ভাই। 🙂
রনি পোলাটা বড় বেশি ভালা। এশলির কি দোষ শীত এত বেশি... ;;) 😉
রনি পোলাটা আসলেই ভালো। খালি ওর বরুণাই বুঝলো না।
ভাই এই ধরনের গল্প বেশি করে প্রসব করেন আমরা আমদের সাহিত্যতৃষ্ণায় তৃষিত মনের খরাক পাই।
হাসনাইন কমেন্ট জোশ হইছে।
দোয়া রাইখো। 🙂
তৌফিক, গল্পের প্লটটা ভালো ছিল, কিছু কিছু জায়গায় ডিটেইল করতে চেয়েছ, যেমন এশলি ক্যানো বিজনেস করতে চায়, এই প্রশ্ন এসেছে, সিগারেটের সময় বয়স নিয়ে প্রশ্ন, কিন্তু আরো ডিটেইলে যেতে পারতা। কেন যে গ্যালা না?
আমার মনে হয়েছে তুমি গল্পটা লিখতে তাড়াহুড়ো করেছ, গল্প তৈরী করতে যতটুকু সময় দেয়া দরকার, দাওনি মনে হল।
ইংরেজী কথোপকথন ভালো লাগেনি। প্রথম প্রথম আমিও এই কাজ করতাম, কিন্তু সুরটা বেসুরো লাগত। তুমি বরং অনুবাদ করে বাংলায় লিখে দিতে পারতে। পাঠককে বলে দিতে কথার শুরুতে বা শেষে, কথা বার্তা ইংরেজী অথবা স্প্যানিশ এ হয়েছিল।
প্রথম গল্প হিসেবে বেশ ভাল।
একেক জন একেক ভাবে লিখে। আমি আমার কথা বললাম। তুমি কাজ করবা তোমার ইচ্ছেমত।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
"ইউ ওয়ান্ট বিজনেস" এইটার ভালো বাংলা কি হয়? কোনভাবে একটা অনুবাদ হয়তো করা যায়, কিন্তু তাতে কি এক্সেক্টলি এই টোনটা আসে? আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এইসব জায়গায় বাংলা না করে যেভাবে ছিল রেখে দেয়াটাই ভাল ... স্প্যানিশ বা ফ্রেঞ্চ হলে অবশ্য আলাদা কথা ...
এই খানে আমি সবসময়ই মধ্যপন্থী। মানে কোন একটা নির্দিষ্ট স্ট্রাকচার ফলো করি না। বাংলা করতেই হবে, এমনটা মনে করি না, আবার অতিরিক্ত ইংরেজি যেন না হয়, সেটাও মাথায় রাখার চেষ্টা করি।
www.tareqnurulhasan.com
তারেক ভাই,
আর কিছু টিপস দিবেন না?
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কিংকং এর কথাটা মেনে নিলাম। কিছু কিছু ইংরেজির আসলে ভালো বাংলা হয় না, মুল ভাব টা আসে না।
তারেকের পদ্ধতিটাই ভালো, যখন যেটা খাপ খায়।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ সমালোচনার জন্য।
আগেই কইছি, তেলাপোকার পাখি হওয়ার শখ হইছে, তাই গল্প লিখছি।
ইংরেজি ডায়লগগুলার বাংলা পাই নাই, তাই ইংরেজিতেই দিছি।
আপনার কথাগুলা মনে রাখব, যদি আবার এই দুঃসাহস দেখাইতে মন চায়। 🙂
তৌফিক, এত কথা বলেছি কারন আশা করছি তুমি এই রকম দুঃসাহস আরও দেখাবে।
তোমার মনটাই তো সব না, তাই না, মন তো আমাদেরও আছে, ওইটা দেখবা না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তৌফিক গল্পটা অসাধারণ হইছে। আমার খুব ভাল লাগছে।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ধন্যবাদ তাইফুর ভাই।
আপনের নতুন লেখা কই?
তৌফিক : ভালো লেগেছে গল্পটা। লেখা চালিয়ে যাও।
বাকি সবাইকে : আমি কোনো মন্তব্য পড়ি নাই!!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:gulli2: :gulli2: :goragori: :goragori: :goragori:
সানা ভাই, আপনি ভালো কইছেন, ব্যাপারটার আউটকাম চিন্তা করছেন তো?
আমার তো পা এখন আর মাটিতে পড়বো না, ম্যাগনেটিক ট্রেনের মতো মাটির দুই ইঞ্চি উপরে দিয়া চলবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তৌফিক, জটিল লাগছে গল্পটা :boss:
এন্ডিংটা সিম্পলি ফাটাফাটি :salute: :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাই, আপনার ভালো লাগছে দেইখা অনুপ্রাণিত হইলাম। 🙂
আপনারেও পড়ার জন্য :salute: :salute: :salute:
সুন্দর লেখা...
সিসিবির সমসাময়িক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বলি, আরও লিখেন...আরও লিখেন...
ধন্যবাদ রায়হান ভাই।
সিসিবির সমসাময়িক ধারাবাহিকতা বজায় রাখিয়া আপনাকেও :salute: :salute: :salute:
তৌফিক তোর গল্পটা পড়ে ভাল লাগলো।
আবার মনে পড়ে গেলো সেই দিনগুলির কথা……।। কোন মেয়ে যদি জিজ্ঞাসা করে,
“ক্যান আই গেট এ লাইটার প্লিজ”?
অথবা
“ডু ইউ হ্যাব সাম চেঞ্জ”?
তাহলে বুঝতে হবে সে অফার করছে। আমার নিজেরও এই ধরনের একটা অভিজ্ঞতা আছে। পরে কোন এক সময় বলবো।
আমাকে কেউ কোনো দিন জিগাইলো না 🙁
চেহারা ছবি আমার মতো হইলে জিগাইত। আমার চেহারায় হালকা গাঞ্জাখোর ভাব আছে। 😀
আমার তোমনে হয় আদনানের চেহারায় পুরা গাঞ্জাখোর ভাব আছে...
🙁 🙁 🙁
আমি তো অলরেডি টি বিজনেসম্যান 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অসাধারন একটা গল্প...... :clap:
এইরকম আরও চাই :thumbup: