আচ্ছা আপনার কি একটু সময় হবে আমাকে দেবার? আমার কাছে একটা গল্প আছে আপনাকে বলার জন্য। গল্পটা আমি একটু খুলে বলতে চাই, “মন খুলে বলা” যাকে বলে। আর এই কাজটা তো এক তরফা জমে না, বুঝতেই পারছেন, তাই আপনাকেও “একটু মন খুলে” শুনতে হবে। তা না হলে তো আমি বলে ঠিক তৃপ্তি পাব না। আর একটা ছোট্ট শর্ত আছে আমার, গল্প শুনে আপনার মন একটু “ক্যামন ক্যামন” করলে আমাকে কিন্তু কিছু বলতে পারবেন না।
বিস্তারিত»বিজ্ঞানী চাচার কীর্তি
বাবা চিৎকার করে উঠলেন, টিভি চলছে না কেন? কে কোথায় আছিস?
কোনো সমস্যা হলেই বাবা বাড়ির সবাইকে ডেকে সমবেত করে ফেলেন। সবাই এসে তার সমস্যাটা শুনে যেতেই হবে। কিছু করুক না করুক তাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু শুনতে হবে। এবং সবাইকে না শোনানো পর্যন্ত তিনি থামবেন না।
বিস্তারিত»প্রাপ্তবয়ষ্ক
রস্ময় স্যারকে একক হিসেবে না ধরলে আমাদের শিশুতোষ সাহিত্য পাঠের সূচনা ক্লাস এইটে। টাংগাঈলের বিখ্যাত ভাই, ছুটি শেষে একবার নিয়ে আসলেন দীপালী এবং জলসা নামে দুটি অমর পত্রিকা। সেই থেকে শুরু। আগে শুধু ভাল ছাত্ররাই লাইটস অফের বাঁশীর পর বাথরুমে বসে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এই দুইটি পত্রিকা হাউসে আসার পর আমরা সবাই ভালো ছাত্র হয়ে গেলাম, রাতের বেলা বাথরুম খোলা পাওয়া যায় না এমন পরিস্থিতি।
বিস্তারিত»আমার বন্ধুয়া বিহনে-৩
আমার বন্ধুয়া বিহনে-২
ক্লাস সেভেনে কলেজে জয়েন করার কিছুদিন পর আমরা প্রথম যে আন্ত-হাউজ প্রতিযোগিতা পেয়েছিলাম সেটা ছিলো ফুটবল। এবং সেখানে আমাদের ব্যাচের রুম্মান জুনিয়র গ্রুপের সেরা ফুটবলার। জুনিয়র গ্রুপ মানে সেভেন থেকে নাইন। সেখানে সেরা প্লেয়ার সব সময় ক্লাস নাইন থেকে হয় সেটা বাকি কলেজ জীবনের পুরোটা সময় দেখে এসেছি। কিন্তু সেই প্রথম (এবং সম্ভবত শেষ) ক্লাস সেভেনে নতুন গিয়েই কেউ সেরা ফুটবলার হয়ে গেলো।
ছন্নছাড়া স্মৃতি
১. স্যার আমাদের ইসলাম শিক্ষা পড়াতেন। নাদুস নুদুস চেহারায় শিশুসুলভ হাসি লেগে থাকত, ক্যাডেট কলেজে অনেকটা বেমানান। এ বিষয়ের পরীক্ষা প্রস্তুতি হত সবচেয়ে আলাদা, বিভিন্ন রঙের কলম-পেন্সিলের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। পরীক্ষার খাতায় লেখার চেয়ে মিনার, মসজিদ, চাঁদ-তাঁরা আঁকাতেই আগ্রহী ছিলাম সবাই। শিল্পী মনটাকে উজার করে দিতাম পরীক্ষার খাতায়, দেখার মত জিনিস হত একেকজনের খাতা। সব সহ্য করতেন স্যার।
বিস্তারিত»আমার বাংলা শেখা আর আমাদের হিজড়ারা
(এই লেখাটা আমার প্রথম বাংলা কিবোর্ডে লেখার অভিজ্ঞতা। কারও কাছ থেকে সামহয়ার সম্পর্কে শুনে ব্লগ লেখার একটা খায়েশ হয়েছিল। তবে সামহয়ারের তামশা খুব একটা বুঝে উঠতে পারার আগেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্রথম যেকোন কিছুর ব্যাপারে সবসময়ই সবার একটা বিশেষ দুর্বলতা থাকে। অনেকটা প্রথম প্রেমের মত হয়ত। তাই লেখাটা মানে নিম্ন হলেও হারিয়ে ফেলতে চাইনি। বৈদ্যুতিক অন্তর্জালের কোন এক কোনায় নাহয় পড়ে থাকুক। আমি মাঝে মাঝে চোখ বুলাব,
বিস্তারিত»পুরোনো কিন্তু সোনালি স্মৃতি
আগের কথাঃ লেখাটা ছিলো এই ব্লগে আমার প্রথম লেখা। তখন বাংলা টাইপ প্রায় পারতাম না। তাই লেখাটা বাংলিশ এ দিয়েছিলাম। সম্ভবত জিহাদ কষ্ট করে বাংলায় টাইপ করে দিয়েছিলো। আর যেহেতু লেখালেখি থেকে অনেকদিন দূরে ছিলাম তাই বেশি লিখতে পারি নাই। হঠাত লেখাটা চোখে পড়লো। মনে হলো অনেক কিছু লেখার ছিলো আরো। তাই কিছু অংশ সংযোজন করে আবার দিলাম।যারা পড়েন নাই, তাদের জন্য বিশেষ করে।
লেখার প্রেক্ষাপটঃ হঠাৎ খুঁজে পেলাম আমার পুরোনো একটা লেখা।এটা লিখেছিলাম কলেজ থেকে বের হবার দুই দিন আগের রাতের বেলা।হঠাত বের হবার আগে ভাব চলে আসছিলো।
আমি কি মিস করি?
আমি আসলে লেখক না, তাই মনের ভাব ঠিকমত প্রকাশও করতে পারিনা, লেখকরা বলে কিছু লিখতে গেলে, আগে নিজের ভেতরে একটা ভাব আসা দরকার, তারপর লেখাটা বেরিয়ে আসে….আমি যখন সি.সি.বিতে ঘোরাঘুরি করি, একা একা থাকি তখন খুব ভাব আসে…আর তখননি একটা Text Document নিয়ে বসে পড়ি, লিখার চেষ্টা করি..কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি ” রাশেদ ভাইয়ের গানের মত ” আমি পারিনা, পারিনা, কিছুই পারিনা…” আর মনে মনে নিজেকে গালি দেই ”
বিস্তারিত»বিবাহনামা
[ বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট কেবলমাত্র বিবাহিতদের জন্যে। যুবক ও অবিবাহিত ভাইয়েরা শত হস্ত দূরে থাকুন। তবে… কথা আছে, পুরাতন প্রেমিকেরা এই লেখা পড়িতে পারেন। আপনাদের জন্যে জরুরী অবস্থা আপাতত শিথিল:-) ]
২০০৭ এর জানুয়ারির কোন এক রাত। সদ্য দেশ থেকে ফিরেছি, বিবাহ করে মোটামুটি যুদ্ধ জয়ী সেনাপতির মতন নূরানী হাসি সারাক্ষণ আমার চোখে মুখে। কারো সাথে দেখা হলেই খানিক কথাবার্তার পর পেটের মধ্যে ভুটভাট শুরু হয়ে যায়,
বিস্তারিত»প্রাপ্তবয়ষ্ক – ৪
১। এইচ এস সি পরীক্ষার আগে অথবা পরীক্ষার সময়। ক্লাস গেমস সব এক্সকিউজড। সকাল বেলা বাকি সব পোলাপাইন ব্রেকফাস্টের পরে ক্লাসে যায় আর আমরা হাউজে চলে আসি। মিল্ক ব্রেকের আগ পর্যন্ত পড়া ভালই হয়, কিন্তু তারপর মনে একটা ভাব চলে আসে যেন ম্যালা পড়ে ফেলেছি। কতিপয় অতি আঁতেল পোলাপাইন পারলে টয়লেটে বসেও পড়ে (আমি না কিন্তু), কিন্তু বাকি গুলা সুরু করে বদামি নয়ত রুমে রুমে ক্রিকেট খেলা।
বিস্তারিত»ডিম ভাইস তে আছে
মাঝে মাঝে লেখার ইচ্ছা জাগে কিন্ত কি লিখব তা ভেবে পাই না। তাছাড়া ব্লগে এ লেখার মত নিজেকে এত বড় লেখক ও মনে হয় না । কলেজে পড়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হত দেখি লিখতে পারি কিনা কিন্ত পরে লেখা আর হত না, একটা ভয় কাজ করত ,মনে হত আমার লেখা পড়ে আবার না সবার মাঝে হাসাহাসির রোল পড়ে যায় । তবে এখন নিজেকে অনেক ফ্রি মনে হয় আর তাছাড়া লেখার কাজ়ে কলমের ব্যবহার না থাকায় মনে হয় কলম টা ধরে আসছে না ।
বিস্তারিত»ইচ্ছেমত উড়াব আমার ইচ্ছেঘুড়ি…!!!
(তাইফুর ভাই যথার্থই বলেছেন, “এই ব্লগের একটা লেখা নতুন আরো কয়েকটা লেখার উপজীব্য বলেই বোধহয় ব্লগটি মন্ত্রমূগ্ধতায় পুর্ণ।” ফয়েজ ভাইএর ‘ঘাই’ গল্পটা পড়ার পর এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে বারবার আমারও তাই মনে হচ্ছিল…ফয়েজ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!)
এক।
পুরনো বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারা আমার বহুদিনের অভ্যাস। এটা অনেকটা গুপ্তধন খোঁজার নেশার মতন…হাবিজাবি নানান বই ঘাটাঘাটি করে মাঝে মাঝে দেশি বা বিদেশী দুর্লভ বই পেলে যে আনন্দ হয় তার সাথে বুঝি একমাত্র গুপ্তধন পাবার আনন্দের তুলনাই চলে…তাছাড়া পুরনো বইয়ের একটা অন্যরকম গন্ধ আছে…পাতা উল্টাবার সময় গন্ধটা যখন নাকে বাড়ি দেয়…কেমন জানি একটা অনুভুতি হয়…!!!
বিস্তারিত»সিয়াটলের শীত – ৩
গত সপ্তাহে সিসিবিতে ঢোকার সুযোগ হয়েছে খুব কমই। নানা ব্যাস্ততার মাঝেও চোখ বোলানোর চেষ্টা করেছি কি কি হচ্ছে সিসিবিতে। একটা জিনিস মানতেই হবে, সিসিবিতে প্রানচাঞ্চল্য আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বেড়েছে নতুন সদস্যের সংখা (সংখ্যা বানানটা ভুলে গেছি। কোনটা ঠিক বুঝতে পারছি না। মাফ চাই, বাংলা চর্চার অভাবের ফল। একই সাথে ধন্যবাদ সিসিবিকে, চর্চার সুযোগটা করে দেবার জন্য)। আমি যখন সদস্য হই তখন খুব সম্ভবত আড়াইশর মত সদস্য ছিল,
বিস্তারিত»মাসল টি ব্রেক
স্কুল কলেজে টিফিন টাইম বলে দশটা থেকে এগারোটার দিকে যেই সময়টা পাওয়া যায় ক্যাডেট কলেজে তার নাম “মিল্ক ব্রেক”। এসময় দুধসহ সামান্য নাস্তা পরিবেশন করা হয়। আর বিকেলের নাস্তা পানীয়ের নাম “টি ব্রেক”। নামেই এর পরিচয় – বিকেলে দুধের পরিবর্তে চা পরিবেশিত হয়।
সন্ধ্যার আগে টি ব্রেকের এই সময়টা খুব সংকীর্ণ। গেমস, গেমসের পর দ্রুত গোসল এবং মাগরীবের নামাজে হাজিরা দেবার ফাঁকে সময়টা যেন হুশ করে উড়ে যায়।
বিস্তারিত»ঘাই
শেখেরটেক হাট থেকে আকাবাকা হয়ে পুব দিকে যে রাস্তাটা চলে গ্যাছে, পদ্দাপদ্দি নদীর ধার ঘেষে, ওটা ধরে মাইল চারেক সামনে গেলে যে গ্রামটা চোখে পড়ে তার নাম তালুকদার বাড়ি। গ্রামটা চিনা খুব সহজ, কারন ইংরেজ আমলে শাহ তালুকদার জমিদার ছিলেন, সেই আমলের বিরাট আলিশান প্রাসাদের মত বাড়ি অত্র এলাকা তো বটেই, জেলাতে আছে কিনা এই নিয়ে দারুন সন্দিহান এলাকার মানুষ। আর একটা সহজ চিনার উপায় আছে তালুকদার বাড়ি।
বিস্তারিত»