অনন্যার চোখ

…ক্রমশ কীটচলনের ফলে আমার মাথার ভিতরে নাগাসাকি ঝরে পড়তে থাকে বলে আমি চোখ মেলে নির্লিপ্ত মনিটরে ফোটন খুঁজি, পিক্সেল ভেঙে ভেঙে দুইশছাপ্পান্ন রং ঢুকে পড়ে ইন্দ্রিয়পথে; সেখানে তাদের ইগলু-ঘরের পাশে রোম রোম পেতে ধূসর জর্নাল পৃষ্ঠা উন্মোচনের গাঢ়বিষাদের আয়নার ওপাশে অনন্যার চোখে ঝিলিক বুলায়। রুঝ মুছে গেলো কিনা বুঝে ওঠার জন্যে অনন্যা একবার তাকিয়েছিল পারদলেপা তলে, সেজন্যেই ফ্রেমের মাঝখানে তার গোলাপি ঠোঁট তিরতিরিয়ে গোপন কথাগুলো বলে ফেলে অকপটে।

বিস্তারিত»

রূপবিলাস- ৩,৪

এখানে(১,২)

৩.
এই মানুষটার মাথায় শিং, লেজও আছে একটা। মুখে ভুবনভোলানো হাসি। কিন্তু সে জানে লোকটা তার জন্যই অপেক্ষা করছে বছর ধরে, যুগ যুগ ধরে। হাসির মোহে আর পরবে না সে, উল্টা ঘুরে দৌড় দেয়। কিন্তু একি পায়ের নিচে মাটি কোথায়?!! সব ষড়যন্ত্র ঐ বুড়ো বদমাসটার। নিচে তাকায় না সে, যদি হাল ছেড়ে দেয় শরীরটা। হাল ছাড়া যাবে না, হারা যাবে না।

বিস্তারিত»

আমার পরাণ যাহা চায়

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আস্‌সালামু আলাইকুম ও ঈদ মোবারক। আমি সিসিবির নতুন একজন সদস্য। এটি আমার প্রথম লিখা। আপনাদের কেমন লাগবে বুঝতে পারছিনা। অনেক সংকোচ, লজ্জা আর দ্বিধা নিয়েই লিখছি বলতে পারেন। খারাপ হলে ব্লগ এ্যাডজুট্যান্ট মুছে ফেলতে পারেন।

শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সায়েদের প্রতি, যার মাধ্যমে এই নতুন জগতে আমার অনুপ্রবেশ। গত ২৩ শে নভেম্বর আমি যেদিন মনরোভিয়া থেকে ফিরব তার আগের দিন সায়েদ আমাকে বলল “তুই কি সিসিবি র মেম্বার?” আমি বললাম,

বিস্তারিত»

সিমির জন্য…

* আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ঈদের সকালেই এরকম একটি পোস্ট দেবার জন্য। আজকে সকালে ঊঠেই মেইলটা পেলাম, দেরী না করে আমি সেটা সবার জন্য হুবুহু তুলে দিচ্ছি। পোস্টটার লেখিকা সাফিনা নামে আমার এক ফ্রেন্ড, আমার ফ্রেন্ড ছাড়াও এই ব্লগে তার একটা বিশেষ পরিচয় আছে, মাইর খাওয়ার অসুবিধার্থে বললাম না।
আমরা কি কিছু করতে পারি? সিমির জন্য?

বিস্তারিত»

গল্পঃ দ্বিধা

সন্ধ্যা নেমে এসেছে বলেই মনে হয় এই হলুদ আলোয় ডিভাইডারে বসে রোমেলা দু’হাত মুঠো করে বেশ চিন্তায় মগ্ন হয়ে থাকে। একমুঠোয় সবুজ পাতা ঘিরে থাকা কতগুলো দোলনচাপা। বাদামি ময়লা ফ্রক-পরা রোমেলা তার হতবিহ্বল ভাব কাটাতে রুক্ষ্ণ তেলহীন চুল সরায় মুখের উপর থেকে। একটু আগে একটা গাড়ি-মহিলার কাছে সে পাঁচটা ফুল বিক্রি করেছে। তারপর থেকে ডিভাইডারেই বসে আছে থম্‌ মেরে। কী করবে বুঝতে পারছে না। সামনে দিয়ে হুশহাশ করে গাড়িগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে বা সিগন্যালে পড়ে বুড়োটেগুলোর মতো বসে থাকছে রোমেলাকে না ছুঁয়েই।

বিস্তারিত»

অবশেষে…ঈদে ঢাকার বাইরে

নাহ, ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া আর মনে হয় যুদ্ধ জয় করা সমান কথা। আমাদের দেশের এই সিস্টেম গুলা যে কবে ঠিক হবে। অপ্রতুল যানবাহন, লাখ লাখ মানুষের ভীড়, অসহনীয় যানযট ইত্যাদি ইত্যাদি।

ছাত্র জীবনে তাও ঈদের ২/৩ দিন আগে যেতাম। তাই এতো ভীড় পেতাম না। কিন্তু লাস্ট তিন বছর ধরে চাকুরিতে জয়েন করার পর থেকে ঈদের ছুটি তিন দিন। তাই প্রতি বারই যেতে হয় ইদের আগের দিন।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট না হইয়াও…!!!

[বিশেষ কারনে লেখাটি একা না পড়ে ১৮ জনের বেশি (18+!!) পড়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হল, কেউ লেখা পড়ে অফেন্ডেড হলে নিজ দায়িত্বে হবেন…কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না...]

কিছু কিছু নন-ক্যাডেট মানুষ আছে যাদের দেখে নিজের অজান্তেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বের হয়…আহা! এই মানুষটা যদি ক্যাডেট কলেজের আলো-বাতাস-খাবার পেত- তা হলে না জানি কি আইটেম হত…!! পংটামি যে ক্যাডেটদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়,

বিস্তারিত»

বন্ধু তোর লাইগা রে …

কলেজ থেকে ছুটিতে আসলে আমাদের প্রধান কাজ ছিল সব বন্ধুরা (ক্যাডেট পার্টি) একসাথে আমার বাসার সামনে বা আহমেদের বাসার সামনে দুই দলে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলা। সকাল থেকে শুরু হতো একেবারে দুপুর গড়িয়ে বিকাল না হলে থামাথামির কোন নামগন্ধ ছিলো না।

ক্রিকেট আমার খুব প্রিয় খেলা। খেলতে এবং দেখতে। কিন্তু সমস্যা হলো খেলার সময় আমি আবার একেবারে আনাড়ী। ফলে দুই দল ভাগ করার সময় আমাকে সবাই বিপক্ষ দলের দিকে ঠেলে দিতো।

বিস্তারিত»

ফটো ব্লগ : লাইবেরিয়া

ফটো ব্লগ : মনরোভিয়া
ফটো ব্লগ : মনরোভিয়ার পথে

১. ক্যাম্পের চারধারে তারকাটার বেষ্টনীতে অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠেছে নীল অপরাজিতা।

বিস্তারিত»

লাইবেরিয়ার গান্তা ক্যাম্পে সোমবারে ঈদ…………সবার মনে মনে আনন্দ

আমার এই লেখাটি আমার ঈদ উদযাপন এবং ঈদের ভাবনা গুলো নিয়ে লেখা । সামরিক জীবেন চাকুরী তে প্রায় সবাইকে ই (ভাগ্যবান কয়েক জন ছাড়া ) রোজার ঈদ বা কোরবাণীর ঈদ দুটির যে কোন একটিকে পরিবার পরিজন ছাড়া উদযাপন করতে হয়। নিয়ম মোতাবেক রোজার ঈদে ছুটি গেলে কোরবাণীর ঈদে ছুটি যাওয়া যাবে না অথবা Vice Versa . বর্তমানে লাইবেরিয়া তে মিশনে অবস্থান করার ধরুন পরপর দুটি ঈদ ই আমাকে আমার পরিবার ছাড়া উদযাপন করতে হচ্ছে।

বিস্তারিত»

ছোটদি (২)

[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। যেমন পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবের আর কপিলা কোথায় গেল কিংবা সাতকাহনে দীপাবলি কি একাই কাটিয়ে দিল বাকি জীবন। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য।

বিস্তারিত»

ছাড়া গরু অথবা বউ দূরে থাকার অসুবিধাসমূহ

ভালোই চলতেছিল সময়। প্রেম করি,খাই-দাই, ঘুমাই। কিন্তু বাধ সাধলো বাপ মা, তাদের এক কথা বিয়ে করা লাগবে। তাদের যতোই বুঝাই, আরো দুই বছর যাক, তা না তারা বলে তোর ছোট ভাইয়ের আগে তোর বিয়ে করাই লাগবে। কি আর করা, একদিন রাজী হয়ে গেলাম। বিয়ের আগে বেশ কিছু ঝামেলা বাধলো,ফলাফল আগে প্ল্যান ছিল আমি কানাডায় যাবো একবারে নতুন করে আমাদের সংসার শুরু করব, কিন্তু এখন অবস্থার ফেরে ঠিক হলো সে তিন সপ্তাহের জন্য ইংল্যান্ড আসবে হানিমুন করতে তারপর ফেরত চলে যাবে।

বিস্তারিত»

আচার ০০৮ : পরবাসীর রোজনামচা

কিংকু মেইল দিয়েছিল কয়েকদিন আগে একটা। তার পরিচিত এক ইন্ডিয়ান মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার আছেন যিনি কিনা আমার ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছেন। তার পরিচিত কেউ সেইন্ট জন’স – এ নাই, তাই আমি যেন তার সাথে দেখা করে এখানকার কমিউনিটির লোকজনের সাথে আলাপ করিয়ে দেই। একজনের উপকারে আসা যাবে ভেবে আমিই তাকে ইমেইল দিলাম। ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে দেখা করলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাফেতে বসে কফির চুমুকে চুমুকে অনেক কথা হলো।

বিস্তারিত»

খাদ্য, ক্ষুধা এবং তৃপ্তি বিষয়ক গল্প-১

মাদুরের উপর আড়াআড়ি করে পলিথিন বিছানো। তার উপরে শাদা শাদা ভাত। ধোয়া উঠছে। বড় হাড়িতে ভাত হবার পর বাঁশের জালিতে ফেলে পানি দিয়ে ধুয়ে এই পলিথিনে রাখা হয়। মাড় গালার ঝামেলা থাকে না তখন। গরম ভাত পানির সাথে মিশে আরো পরিচ্ছন্ন হয়। ব্যস্ত হাতে এই মুহূর্তে সেই পরিচ্ছন্ন ভাত তুলে তুলে ক্যারিয়ার বন্দি করছে মজুর মা।

তার সহযোগী আলতা। গত বছর থেকে সে কাজে লেগেছে।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধ আমার অজ্ঞানতা

অনেকদিন ধরে লেখা পরেই যাচ্ছি, কিছু লেখা আর হচ্ছেনা । আলসেমি কাজের চাপ বলতে গেলে কেন যেন হয়ে উঠছিলনা । আজকে মাস্ফুর পোস্টটা পরে কিছু লিখতে ইচ্ছ করছে । মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ , বংগবন্ধু , জিয়া ,আওয়ামী লীগ, বি এন পি, রাজাকার, এরশাদ সবকিছু নিয়ে কম বানিজ্য হ্য়নি । মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার এবং আরো অনেকেরই সম্যক ধারনা নেই ।

বিস্তারিত»