অতঃপর তুষার মীমাংসা

কবিতার বিপরীত গদ্য নয়,বিজ্ঞান…
আর গদ্যের বিপরীত হল ছন্দ!

_____স্যামুয়েল টেইলার কোলারিজ

এইবার আমি সত্যি সত্যিই রঙচটা ধূসর সেই ল্যাম্পপোস্টটা হয়ে যাবো…তারপর তোমার হোস্টেলের সামনের রাস্তাটায় দাঁড়িয়ে থাকবো রাতের পরে রাত।আর প্রতিদিন সকালে মুখে সাজুগুজু মেকআপ মেখে তুমি দাঁড়াবে গলির কোনের মোড়টায়-কোন হাতেটানা রিক্সা বা ট্যাক্সির জন্য,আমি এই দেখে তারপর ঘুমাতে যাবো আমার পরিপাটি নিভাঁজ বিছানায়।আর ক্লাস শেষে তুমি ফিরবার আগেই আবার ভাঙা ল্যম্পপোস্ট হয়ে দাঁড়িয়ে যাবো তোমার আগমনী পথের-প্রতীক্ষায়।বিবর্ণ রঙউঠা তুচ্ছ ল্যাম্পপোস্টটাকে তুমি চেয়েও দেখবে না একবার সন্ধ্যায় যখন জানালার পাশে দাঁড়াবে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাবার আগে পর্দা টেনে দিতে আসার সময়।তুমি জানবেও না কেন এত দিন ধরে তোমার ঘ্রাণের পাহারায় জেগে থাকি সারা রাত।কোনদিন দেখোও নি তুমি,বোঝও নি তুমি,আমি লিখে বলে কতবার তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি ,তুমি অন্ধ রাজকণ্যার মত হেটে গেছো ঠোঁটে খড়কুটো নিয়ে।রাতের পর রাত জেগে আমি লিখেছি অর্থহীন এক্রস্টিক ,তুমি সেসব পড়েও দেখো নি একবার,অন্তত কবিতা হিসেবেই।আজকাল রাত বাড়লেই আমি তোমার ঘ্রাণ নিতে নিতে যখন প্রবল কুয়াশার মধ্যে অনুভূতি হারিয়ে ফেলি-তখন সোডিয়াম হলুদ আলোরা আমার কাছে পৌছে দেয় তোমার ছন্দোবদ্ধ নিঃশ্বাসের তারবার্তা।সম্প্রতি যে জোনাকীর সাথে পরিচয় হয়েছে সে আমাকে বোঝালো পাখি হয়ে চুপি চুপি তোমার জানালা গলে ঢুকে পড়তে তোমার অন্ধকার ঘরে…আর সাজ আয়নার সামনে তোমার অভিব্যক্তি দেখে লিখে ফেলতে শত পৃষ্ঠার নতুন কোন সিরিজ,আমি অস্বীকার করেছি।চৌর্যবৃত্তির ইচ্ছে নেই।যেটুকু দান করবে তাই আমার জন্য প্রসাদ।তাছাড়া আমি তো আর কিছু চাইনি-একবার চুমু খাবো-তারপর মিলিয়ে যাবো বাতাসে-যেন কোনদিন ছিলাম না আমি।

বিস্তারিত»

ইউ’ভ মেসড ইট আপ, ব্র…

[গত কয়েকদিন ধরেই মেজাজ খারাপ ছিল। গতকাল এ’ই নিয়ে বন্ধু রাজীবের সাথে আলাপও করেছি। আজ সকালে পত্রিকার শিরোনাম দেখে মনে হলো ব্যক্তিগত অনুভূতি আর লুকিয়ে রাখার দরকার নেই।]

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটা জাতীয় দাবী। আর এই দাবীর পক্ষে জনমত গঠনের অন্যতম শক্তি অনলাইনভিত্তিক কিছু সক্রিয় দল যারা বিনাস্বার্থে নিজেদের শক্তি-সময়-অর্থ ব্যয় করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। এদের অন্যতম হচ্ছে আইসিএসএফ, যেখানে রায়হান রশীদ ভাই একজন পুরোধা।

বিস্তারিত»

আমার বাবার গল্প

আমি যখন গ্রামের বাড়ি পৌঁছলাম তখন হাইস্কুলের মাঠে জানাযার নামাজ শুরু হচ্ছে। আমার দাদীর জানাযা।  তাড়াতাড়ি অজু করে সবার পেছনের কাতারে দাঁড়ালাম।  মাইকের সামনে বড় চাচা কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছেন। বাকি চাচারা প্রথম কাতারে পাশাপাশি দাঁড়ানো। শুধু আমার বাবা পরের কাতারের এক প্রান্তে একা দাঁড়িয়ে। আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে গেল। ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। আমার বাবা থরথর করে কাঁপছিলেন। টকটকে লাল চোখ। তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদলেন কিছুটা।

বিস্তারিত»

গল্পের নাম নেই……

সেদিন ক্যাফেতে আমিন ভাই(pcc 24) এর সাথে দেখা; বললেন, “ABCX( Association of BUETian Ex- Cadets) এর ম্যাগাজিন বেরোচ্ছে, কিছু লিখলে আমার কাছে দিও; ছাপা হওয়ার ১০০% গ্যা্রান্টি সহকারে জমা নিচ্ছি”। বললাম, “ইনশা আল্লাহ, দেখি কী করি”।

রাতে বসেছি class test এর জন্য পড়তে। হঠাৎ মনে হল কিছু লেখা দরকার।

বেশ কিছু দিন আগের একটি দৃশ্য মনে পড়লো। টিউশনিতে যাচ্ছিলাম বাসে করে।

বিস্তারিত»

আমার অ্যাথলেট জীবন


আমি কখনই নিবেদিতপ্রাণ অ্যাথলেট ছিলাম না, ছিলাম না কোন দুর্দান্ত দৌড়বিদ, লম্ফবিদ, নিক্ষেপকারীও। তাই লেখাটার নাম “আমার অ্যাথলেট জীবন” না হয়ে “আমার দর্শক জীবন” হলেই বোধহয় নামকরণের সার্থকতা প্রকাশ পেত।

অতীতের কোন এক ক্লান্ত বিকেলে প্রিফেক্ট/জে.পি.-র চাপে পড়ে একদল ক্লাস সেভেনের দিক-বিদিগ্‌জ্ঞানশুণ্য দৌড়ে (যেটাকে ইংরেজীতে HITS বলে) প্রথম সারিতে না থাকতে পারার দরুন আমি কোনদিন স্প্রিন্টার হতে পারলাম না!

বিস্তারিত»

অন্তরালে ১

১) পরদিন সকালে অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা শুরু হবে। সকালের প্যারেড শেষে কলেজের প্রত্যেকটি ক্যাডেট খুব ব্যস্ত। যারা অ্যাথলেট তারা নিজের ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। ক্লাস টুয়েলভ হাউস চ্যাম্পিয়নশিপের জটিল সমীকরণের সহজতম সমাধান ও তার বিকল্প খোঁজা নিয়ে ব্যস্ত। ইলেভেন আসন্ন জুনিয়র প্রিফেক্টশিপ আর নিজের সম্ভাবনা নিয়ে নানান বাস্তব-অবাস্তব কল্পনায় ব্যস্ত। হাউস টেন্টের আড়ালে কিংবা পোল-ভল্টের প্রকাণ্ড ফোমে শুয়ে বসে টেস্ট পেপার হাতে ‘অবজেক্টিভ সলভ’ করায় ব্যস্ত এস এস সি ক্যান্ডিডেটরা।

বিস্তারিত»

রাসচন্দ্র-রাতে

এসো, চলে এসো আজকের শিশিরচাঁদে। একা একা স্নান করো পূর্ণিমা জলে ।
কুয়াশায় ভিজে ভিজে, ভরা চাঁদে ডুবে ডুবে, নেমে এসো জোছনা তলে।

১০৪ শরীর পোঁড়ানো তাপে, আলোক বন্যায় বসে, একরাশ বিষাদ শ্বাস-
তারপর মারা যেও চন্দ্রাঘাতে।
ঢলে পড়ো, ঢলে পড়ো, এই মধু-কষ্ট-রাতে।

এসো-না থাক, সবকিছু থেমে থাক-
একা যাক-চলে যাক কিছুখণ, একা যাকনা জীবন, হোক কষ্টের নিরূপন এই জোছনাতলে।

বিস্তারিত»

প্রবাস জীবনের ভালো লাগা টুকরো অনুভূতি কিংবা সময়ের গল্প

এক

এক এক করে দিন পার হয়। ল্যাপি ছাড়া কোন ঘড়ি না ব্যবহার না করায় ঘড়ির কাটার টিকটিক শব্দে সময়ের এগিয়ে যাওয়া টের পাই না। তবে প্রতিদিনের শুরুতে আমার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা দূরের পাহাড়ের রঙ বদল কিংবা বরফ-রোদের পালাবদল সঙ্গোপনে জানান দিয়ে যায় সময়ের পরিক্রমাকে। এক দুই তিন করে মোটামুটি ভাবে ছাব্বিশটি মাস পার হয়ে গেছে। সময়ের ব্যাপ্তির বিশালত্ব কতটুকু তা বিষয়ভেদে ভিন্ন হতে পারে,

বিস্তারিত»

অন্যরকম ডায়েরী

কলেজে থাকতে ডায়েরী লেখার অভ্যাস অনেকেরই থাকে, আমারও ছিল। তবে কখনোই নিয়মিত হতে পারিনি। একবার-দুবার নয়, চার-চারবার ডায়েরী লেখা শুরু করি। প্রথমটা ক্লাস সেভেনে। দ্বিতীয়টা মনে নেই, তৃতীয়টা ক্লাস নাইন-এর শেষ থেকে এস.এস.সি. পর্যন্ত। শেষবার ক্লাস টুয়েলভে।

প্রথমটায় ছিল ক্লাস সেভেন-এর এক বাচ্চা ক্যাডেট-এর সুখ(!)-দুঃখের কথা। এমনকি কোন সিনিয়রের কাছে কি পানিশমেন্ট খেয়েছি, পরিমাণসহ লেখা! তৃতীয়টা কিছুটা পরিপক্ক। তবে তৃতীয়টায় আর গতানুগতিক থাকতে ভালো লাগলো না,

বিস্তারিত»

টুকরো টুকরো কাব্য

//

জীবনের পথে কতকিছু ঘটে, মানুষেরা বোঝে ভুল,

ছোট ফুসকুড়ি, তবু যেন তা-ই মনে হয় নাকফুল।

বিশ্বাস ভাঙে, বিশ্বাস গড়ে, ভাঙে না যে সখ্যতা,

জীবনের পথে চলতে চলতে হতে পারে মূর্খতা।

অপরাধ করে অপরাধী যদি পোড়ে শোকানল তাপে,

ক্ষমা হয়ে যায়, যদি বা একটু বিচারক চোখ কাঁপে।

//

//

জানি একদিন যেতে হবে চলে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে,

বিস্তারিত»

অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি…





ওপেনিং শট।
লিংক রোডের মাথায় স্থানীয় বাজারে তখন লোক সমাগম একেবারেই নেই বললেই চলে।
রাস্তার পাশে চা’র স্টলে কোন ক্রেতা নেই। দোকানদার বসে গোছগাছ করছে ঝাপি তুলবার জন্য।
ক্যামেরা ডানে প্যান করে মসজিদের বাইরে এসে স্থির হবে-
গ্রামের মসজিদে তখনো তারাবী নামাজ চলছিল।
কাট করে – শুভ’র গাড়ি।

বিস্তারিত»

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি যত টুকু জানি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তার মানে আপনি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন। ইসলাম ধর্মে “পরকাল” বলে একটা বিষয় আছে। যেটাতে বিশ্বাস না করলে মুসলিম হওয়া যায় না। সেখানে দুনিয়ার সকল কাজের হিসেব দিতে হয়। আমাকে যেমন হিসাব দিতে হবে যে আমার নিরাপরাধ এত গুলা ভাই-বোন মারা গেল তাদের জন্য আমি কি করলাম? আপনাকেও হিসাব দিতে হবে যে, আপনি শপথ করে এই মানুষগুলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন,

বিস্তারিত»

শীতের সকালে চায়কভ্‌স্কি

একটুকরো কালো মেঘ,
তুলতুলে হাওয়ার পাল –
বেহালা হাতে দাঁড়িয়েছে
বিষণ্ণ সকাল।

উদ্বাহু গাছ ওই
ন্যাড়া ডাল নয়,
যেন শিকড়ে বিঁধেছে
ফ্যাকাশে আকাশ!
বাদামি সব পাতারা
হাওয়ার পায়ে পায়ে
ঝরে গিয়ে সার সার
হাঁসের অবোধ ছানা হয়ে
লাল-সবুজের পরোয়া বিনেই
রাস্তা পেরোয়

কি যেন কি নেই
কি জানি কি নেই!

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

ঘটনাবলী-১

বিঃদ্রঃ নিচের প্রতিটি ঘটনার সকল চরিত্র বাস্তব এবং ঘটনা গুলো সত্য। এই ঐতিহাসিক ঘটনা গুলোর বর্ননা শুধু আমার। তাই ঘটনা গুলোর দায়িত্ব নিতে আমি অস্বীকৃতি জানাচ্ছি। শুধু বর্ননার হেরফেরের দায়িত্বটুকু আমার।

ছেলেপেলের কামকাজতো কিছু হয় না খালি অকাম কইরা বেড়ায়, কয়ডা অকামের কাহিনী কই,

১) আমার বাসায় কিছু পোলাপাইন আসছে। সবাই আমার ব্যাচের ক্যাডেট। তো আমাদের তানজিল যখন আমার বাসায় পৌছাইছে যে সময় আমার বাপ আমাদের বর্তমান কাম-কাজ ও আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে বিশদ জ্ঞান দিচ্ছিল।

বিস্তারিত»