আমার হুমায়ুন আহমেদের মতো অসুখবিসুখে চিৎকার করে লোক জড় করতে ভাল্লাগে। বাসায় মা কে কাজ করতে দেইনা, একটু পর পর ডাক দিয়ে রান্নাঘর থেকে নিয়ে আসি।অসুখ সহ্য করতে পারিনা। ছোটবেলায় হতও না। ক্লাসে কতবার গর্ব করে বলেছি আমি সিজারিয়ান বাচ্চা কিন্তু আমার অসুখ হয়না(শোনা কথা _সিজারিয়ান বাচ্চাদের অসুখ বেশি হয়)… এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ক্লাস এইটের আগে কোনদিন কলেজের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি।
বিস্তারিত»চলুন একটি ঝরে যাওয়ার গল্প বদলে দেই
সেই মেয়েটির গল্প বলি। রাশনা। বাবা মা ডাকে রাশু বলে,আমরা কখনো রাশনা কখনো ওর নামটা একটু পরিবর্তন করে বাসনা। আমাদের কথা শুনেই ওর হাসির বেগ বেড়ে যায়। বন্ধুত্বের দাবী নিয়ে বন্ধুকে অনেক কিছুই বলতে পারি বলা যায়। অনেক সন্ধ্যাবেলা জানালা দিয়ে রাশনা আকাশ দেখতো। ক্যাডেট কলেজের চারদেয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে সীমাহীন মুক্ত আকাশ। কখনো সখনো ওর খুব কাছে চলে যেতাম। পেছন থেকে চোখ চেপে বলতাম,রাশনা একটু তুই হাসনা।
বিস্তারিত»হ্যালো, স্লামলিকুম! দৈনিক উন্মাদ থেকে বলছিলাম।
Prank – শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলোনা সে সময়। কিন্তু এর পিছনে সময় না দেওয়াটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তূু আমি ছিলাম নেহাতেই চুনোপুটি। এ লাইনে পি এইচ ডি করা বড় বড় ওস্তাদ লোকজনের অভাব ছিলোনা। এরকম একজন ছিলো মোতাকাব্বের ওরফে মোবারক।
উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে সেদিন। পরিক্ষায় সেই রকম ডাইল মারছি। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরিক্ষার নম্বরের পার্থক্য হোলো ১৭২ নম্বর। সূতরাং ১ ঘন্টার মধ্যে বাপের প্যাদানির ভয়ে এক বস্ত্রে বাসা ছাড়লাম।
বিস্তারিত»আজব ক্যাডেট লাইফ এর গজব কাহিনী – ১
ক্যাডেটদের জীবনের (এবং কলেজে ক্যাডেটদের নিখাদ বিনোদনের)এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আমাদের স্যার-ম্যাডামরা । এই দুইয়ের মধ্যে চলে এক চোর-পুলিশ কিংবা ইঁদুর-বিড়াল খেলা । ক্যাডেট যত সিনিয়র হয় খেলাগুলোও জমে ওঠে তত বেশি । ক্যাডেট জীবনের তেমন কিছু স্মৃতিই আজ লেখার বিষয়(স্যার-ম্যাডামরা ক্ষমা করে দেবেন প্লিজ)…
একজন মেস ও.আই.সি, কিছু চাষাভুষা ক্যাডেট ও ব্যা-ব্যা ডাক :
ঘটনা-১ : ক্যাডেটরা সাধারণত খুব ভোজন-রসিক প্রকৃতির হয় ।
ছায়া
অক্টোবরের পাতা ঝরা রাত। পশ্চিম থেকে অ্যাড্রিয়াটিকের গা ছুঁয়ে আসা বাতাস হিম করে রেখেছে চারপাশ। খুব সজাগ হয়ে কান পাতলে বাতাসের ডাক শোনা যায়। বিমর্ষ এক হাহাকার জাগিয়ে সে বাতাস দিনারিক পর্বতমালার গা ঘেঁষে হারিয়ে যায়। নিস্তব্ধ চারপাশ। গাছের পাতাটি পড়লেও শোনা যায় এমন। মানুষ পৃথিবীতে আসার অনেক অনেক আগে, যখন মহীসঞ্চারণে প্যানেজিয়া ভেঙে সাত সাতটি আলাদা মহাদেশ হচ্ছিল, তখন কি পৃথিবী এমন ছিল? এমন শান্ত,
বিস্তারিত»টম ক্রুজ
অতি সাম্প্রতিক সময়ে এই পরিচিত নামটি আমাদের কানে কিংবা নজরে এসেছে আলোচিত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অনন্ত জলিল এর সুবাদে। আরো একটু পেছনে গেলে পাওয়া যাবে ‘মিশন ইম্পসিবল ৪’ এর দুর্দান্ত অ্যাকশন। সোজা কথায় বললে আমাদের আশেপাশেরই বহু রমণী- তরুণী- বালিকার অতি আপনজন এই টম ক্রুজ।
কিন্তু আমি হলিউডের কারো কথা আজ বলছিনা। অনন্ত জলিল কে নিয়েও কিছু বলছিনা।
বিস্তারিত»সর্বাধুনিক কবিতা
ক্র্যাশ খাইলো কানা বাবুল,
ক্র্যাশ খাইলো আটা আবুল
ক্র্যাশ খাওন কি মজার ?
জবাব খুইজাই, পাইকছে দাড়ি
বাইরছে ভুড়ি, আমার চাচা-
কিচমত গনি খাজার।
আমগো পাড়ার রহিম মিয়া
পাঙ্খা মামার ব্যানার নিয়া,
খুলছে চায়ের দোকান একখান-
বছর খানেক আগে,
সেই দোকানে, রোইজ বিকালে
চক্কর একখান মারতে গ্যালে
চা না খাইলে চাচার আমার
কিমুন জানি লাগে !!
হঠাৎ ঝলক (ভৌতিক গল্প)
রবিন ছেলেটাকে আমার একটুও পছন্দ হয় না। দেখলেই গায়ের মধ্যে জ্বলে ওঠে। রাগে, হিংসাই আমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। আর তখন পৃথিবীর সমস্ত গালিগুলি আমি তাকে একটার পর একটা বিড়বিড় করে দিতে থাকি। মনে হয়, যেন লাফ দিয়ে ওর গলাটা টিপে ধরি। অবশ্য ছেলেটির মধ্যে বেশ কয়েকটি ভালো গুন আছে। যেমন- ভদ্রতা, নম্রতা, সুরুচিবোধ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার বেস্টফ্রেন্ড অর্ণবকে সে বস করে ফেলেছে। প্রত্যেক স্যারের মুখে তার প্রশংসা।
বিস্তারিত»রাধাকথন-৫
নিষাদ-ঋষভ-গান্ধার
ছুঁয়ে
তীব্র মধ্যমের
জর্জর কম্পিত আলাপে
কেটে গেছে কাল
তোর প্রতীক্ষায়
রাতভর
ইমন কল্যাণ বাজিয়েছিল
ধুলোমলিন, পরিত্যক্ত সেতার
বারংবার
ঝালায় ঝালায়
রক্তাক্ত আঙুল
নেচে বেড়িয়েছে
ল্যাপটপে
জানলার গরাদে
ফুটিয়েছে
ব্যর্থ ত্রিতাল
এলিনা হায় পার্থসখা
না হয় সেতার হত রাধিকা,
তুই
যুবক বিলায়েৎ খাঁ!
নিতান্ত ফ্রয়েডীয়

তারপরও জেনো,এই বোকা বাঁশীওয়ালাই
জিতে নিতে চায় সকল মুগ্ধতা,ঘামের মাদক ঘ্রাণ
নরোম মুখের স্বাদ,ছন্দোবদ্ধ নিঃশ্বাস,প্রেম ও
বোতাম ভাঙার দায়-তোমার সর্বস্ব বিদ্যুৎ!
কাকে ভালোবাসতে,কাকে বাসো,তোমার অতীত বৃত্তান্ত
তা নিতান্ত নগন্য;আজকাল প্রায়ই ডুবেও থাকি তোমাকে
জিভ-চুমু খাওয়া,তোমাতে ডুবে যাওয়া ইত্যাদি সব
নষ্ট স্বপ্নদৃশ্যে-আর মনে মনে বলি,”আমাকে পুড়িয়ে করো ছাই!”
বইমেলা ২০১৩
আপডেট
যারা যারা লেখা পাঠিয়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আবার অনেকে লেখা দিবেন বলেছেন, শেষ করতে পারেন নি বলে কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন। আশা করি একটা মানসম্মত সাহিত্যপত্রিকা সবাইকে আমরা উপহার দিতে পারব (আমি শুধু বইমেলায় একটা প্রকাশনা বের করা থেকে নিয়মিতভাবে, সম্ভব হলে ত্রৈমাসিক, নিদেনপক্ষে ষান্মাষিক বের করার পক্ষপাতী)। নূপুর ভাই আর কুমিল্লার রফিক-উম-মুনীর ভাই অনেক সাহায্য করছেন, বিশেষ একটা ধন্যবাদ উনাদের প্রাপ্য।
বিস্তারিত»আমার বাবা-বেলা – ২
[পাঁচ] আমার ছোটটির বয়স তখন তিন কি চার। বাবার সাথে সবকিছুতে তার উত্সাহ। সবচাইতে কৌতুহলপূর্ণ জায়গা রান্নাঘর। একদিন সকালবেলা এবং উইকএন্ড। ওদের ডিমের প্রতি খুব একটা আসক্তি নাই। তাই আসক্তি জাগাবার জন্য আহ্বান করলাম, ”কে আমার সাথে ডিম ভাজা করবে?” বড়টির কোন উত্তর পাওয়া গেলো না। ছোটটি গুটি গুটি পায়ে ঢুকলো। আমি তখন একটি ডিম ওমলেট করবো বলে ভেঙে বাটিতে রাখছি। সে গভীরভাবে ডিম ভাঙার পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করলো।
বিস্তারিত»আমার সুকুমার পরিচয়
রামগরুড়ের ছানা, হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে-
হাসব না-না,না-না…..
ছোটবেলায় মায়ের মুখে শুনতাম, আর হয়ত না বুঝেই খিলখিল করে হেসে উঠতাম। জানতাম ও না যে মা আমাকে কোন বিশাল এক সমুদ্র পাড়ের নুড়ি পাথরের স্বাদ দিচ্ছেন, গন্ধ দিচ্ছেন, ছোঁয়া দিচ্ছেন । নিজেকেই মনে হত একটা রামগরুড়ের ছানা 🙂 । আপনাকে চিনতে পারিনি তখন, ক্ষমা করবেন ।
কি বিচিত্র সুন্দর সৃষ্টির পসরা যে আপনি সাজিয়ে রেখে গেছেন তা বুঝতে একটু দেরীই হয়েছে বোধহয়।
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে – ২
হাউস বেয়ারা শুক্কুর আলি……………… গোমতী হাউসের । যে থাকলে হাউস সম্পূর্ণ স্বাধীন ঘোষনা করা যায়, আমাদের বিজয়ের তেরাংগা পতপত করে ওড়ে আকাশে বাতাসে।সিগারেট এনে দিতে হালকা পাতলা আপত্তির অধিকারী।বাদবাকি ব্যাপার বিন্দাস…।হাউস লাইব্রেরী লুট করা যায়, তাকে গার্ড হিসেবে বসিয়ে করিডোরে ক্রিকেট খেলা যায়, যার দরুন জুনিয়র ক্যাডেটকে জ্বালাতে হয়না, লেটেস্ট রিলিসড গানের সিডিগুলো পাওয়া যায় গরম গরম। আন্তঃহাউস আম-আটি হাত বদলে তার ভূমিকা অনন্য (আমরা সিডি প্লেয়ার কে বলতাম আম ,
বিস্তারিত»ঘটনাপঞ্জি ১
১
তখন আমরা ক্লাস সেভেনে পড়ি। তখন নাইট প্রেপের পরে কাউন্টিং বলে একটা জিনিস হত। রাতে প্রেপ থেকে এসে ২ মিনিটের মধ্যে ড্রেস চেঞ্জ করে হাউস অফিসের সামনে এসে এক লাইনে দাঁড়াতে হবে, তারপরে কাউন্টিং। যদিও নিয়মটা সবার জন্যেই প্রযোজ্য ছিল, কিন্তু কাউন্টিং আসলে হত সেভেন, এইট আর নাইনের। ক্লাস টেনের হত, তবে ইমিডিয়েট সিনিয়র জেপি হলে তারা আর আসত না। মানে আমরাও আর যাই নি।
বিস্তারিত»