ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,
“Eating Haram Getting Fat”
ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল
{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }
তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি।
বিস্তারিত»দুঃস্বপ্ন
সবইতো সরলরেখা ছিল
অথচ প্রতিনিয়ত কত কি ভাবি ;
চারদিকে অসভ্যতার মাত্রা বেড়েই চলেছে
মাঝে মাঝে নিজেকেও অসভ্য বোধ হয়
কখনো কখনো মনে হয় আমি বোধ হয় মানুষ নই।
মানুষ হলে
শকুনের যৌনাঙ্গ খুবলে খাওয়ার গল্প
কিভাবে এতো নিরুত্তাপ হয়ে শুনি ?
মসজিদ মন্দির আর গির্জায় একাকার সমাজ
তারপরেও প্রশ্ন জাগে
প্রভাতে কেন দেখি শিরোনাম
হিংস্র পিশাচ মানুষ যম
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দরতম ।
আমার পঞ্চসত্ত্বা
আমার পাঁচটি ইন্দ্রিয় বহুদিন ধরেই অক্ষম
আমার দৃষ্টি,আমার শ্রবণ,আমার স্পর্শ,
আমার স্বাদ,আমার ঘ্রাণেরা সহস্র শতাব্দী ধরে বিমর্ষ।
যেদিন আমায় প্রথম কবিতা শুনিয়েছিলে
সেদিন থেকেই আমি বধির। তারপর কত তানসেনের গান,
রবিশঙ্করের সেতার,টিনের চালে বৃষ্টি,চুড়ির টুং টাং।কেউই
কাঁপাতে পারেনি আমার বধির কানের পর্দা।
একবার তোমার কাঁধে পড়ে থাকা নাতিদীর্ঘ ভেজা চুলে
নাক ডুবিয়েছিলাম।তারপর কি যে হলো আমার ?
নির্বাসনের কবিতা
১.
তেতুল বনে উঠবে জোছনা
তিতলী তুমি থাকবে কি?
মধ্য রাতে দূরের পথে হাতটি ধরে হাঁটবে কি?
নিঃসীম রাতের নিরবতায় একটি কথা বলবে কি?
ছন্নছাড়া বিষন্নতায় মনের সাথে চলবে কি?
জোছনা থাকে মুখ লুকিয়ে চাঁদের চোখে দেখো
তিতলী তুমি অন্য আকাশ,
আমায় পাশে রেখো
২.
মানবী তোমার মুখে ঢেলে দেব বিষ
মানবী ঈশারায় দাও যদি শিস
মানবী তোমার খুনে রাঙাবো এ হাত
মানবী তোমার মনে হোক বজ্রপাত
মানবী তোমাকে চাওয়া সুবিশাল পাপ
মানবী তোমাকে তাই দেই অভিশাপ
মানবী হবেনা সুখী,কেঁদে যাবে বেলা
মানবী আমাকে যদি করো অবহেলা
মানবী তোমার মন ভেঙে যাক ঝরে
আশ্রয় খুঁজবে তখন আমার ই ঘরে.
ভালবাসি ৫৫
(গত ২০ ডিসেম্বর ছিল আমাদের পাসিং আউট প্যারেডের ছয় বছর পূর্তি।বন্ধু তোদের অনেক মিস করছি)
BMA তে জয়েন করেছিলাম ১১ জানুয়ারি,২০০৫ –দিনটা সবসময় খেয়াল থাকেনা।তবে ঘটনাগুলা ভালই মনে আছে।এয়ারপোরট রেল স্টেশন থেকে পারিবারিক বিদায়।সম্ভবত শারেক আমাদের একটা বিশাল গ্রুপের জন্য কয়েকটা বগি ম্যানেজ করেছিল।আমার ঠিক খেয়াল নাই-অনেক ভায়া হয়ে টাকা জমা দিয়েছিলাম কিনা।সেদিন শৈত্যপ্রবাহ ছিল-তার পরও জার্নিটা খারাপ লাগেনি।জীবনের প্রথম ট্রেন জার্নি বলে কথা।তাও আবার A REAL JOURNEY TO HELL………।
বিস্তারিত»স্বপ্ন বদল
একে একে প্রায় সবার নাম, স্কুল আর লক্ষ্য জানা গেল। সমাজে আদৃত কোন পেশাই বাদ পড়ল না এবং সেই সাথে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার অঙ্গীকারও সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হোল । বড় শহরের নামজাদা স্কুল থেকে মফস্বল বা গণ্ডগ্রামের অপরিচিত স্কুলের কিশোরদের স্বপ্নিল চোখের ঝিলিক দেখে ফর্ম মাস্টার আপ্লুত। এমন স্বপ্নময় পরিবেশেও আমি ঘামতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আমার পালা এগিয়ে আসছে, আতংকে আমার গলা শুকিয়ে আসছে।
বিস্তারিত»তারুণ্যের প্রচেষ্টাকে যারা স্বাগত জানাত চান, তাদেরকে স্বাগতম ( বইমেলার জন্য লেখা আহ্বান)
একটি লিটল ম্যাক’এর জন্য কিছু থিম বেইজড কবিতা, ছড়া, অনুকাব্য, ছোটগল্প (ওয়ার্ড লিমিট সর্বোচ্চ ৮০০-১২০০), রম্য, প্রবন্ধ-নিবন্ধ (সর্বোচ্চ শব্দসীমা ৮০০-১৫০০), সাহিত্য পর্যালোচনা, প্রভৃতি লেখা আহ্বান করা হচ্ছে। এসব লেখা দিয়েই সাজানো হবে প্রথম সংখ্যা। বইমেলা থেকেই যাত্রা শুরু। ১৫ জানুয়ারীর ভিতরে মেইল করে লেখা পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠাবার ঠিকানা, paglaraza@gmail.com. ব্যক্তিগত যোগাযোগ- আলীম হায়দার, ০১৭১৭-৫২২২০৬।
ইচ্ছুক এবং আগ্রহী ব্যক্তিরা লেখা দিবেন আশা করি।
বিস্তারিত»একটা বড় মাঠ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ
আমি যেই বছরে হই সেই বছরে আমাদের পরিবারের ক্যাডেট কলেজ যাত্রা শুরু বলা যায় বড় আপু ক্যাডেট কলেজে চান্স পেল।এর পর মেজ আপু written এ হল পরে ভাইভা তে বাদ পরে। এক সময় আমার পালা আসলো আমার চার পাশে যে ক্যাডেট দের চিনতাম তারা ছিল FCC এর অনেক গল্প শুনতাম তাই FCC এর দিকে একটা টান ছিল।আর বাড়ি বরিশাল তাই ভাবতাম হয়তো BCC তে পরীক্ষা দেওয়া হবে কিন্তু আব্বা ঠিক করলেন MCC একটু মনঃক্ষুণ্ণ হইসিলাম ।
বিস্তারিত»ফুটবল বিষয়ক নৈশ অভিযান !
ক্যাডেট কলেজে ঢোকার আগে ফুটবল নিয়ে এতোটা ক্রেজ ছিল না। খেলা দেখতাম, ব্যাস এতটুকুই। এর বেশি কিছু ভাবার কোনো কারন কখনো দেখি নি । যাই হোক ক্যাডেট কলেজের বাধ্যতামূলক গেমস পিরিয়ড অল্প কয়েকদিনের মাঝে আমি সহ আমার আরো কতিপয় সহপাঠীকে পুরোদস্তুর ফুটবল প্লেয়ার বানিয়ে দিলো। গেমস টাইম এ ফুটবল খেলি আর প্রেপ , ক্লাস টাইমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল নিয়ে আড্ডা মারি। খেলা দেখার সুযোগ খুবই কম।
বিস্তারিত»অনেক দিন ধরে মনে মনে একটি site খুঁজছি
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ! অনেক দিন ধরে মনে মনে একটি site খুঁজছি; অনেকটা songfacts.com এর মত। তবে, যেটা হবে শুধু বাংলা গানের উপর। যেখানে লালন, রবীন্দ্রনাথ, শচীন, পল্লিগীতি, আধুনিক সকল বাংলা গানের ছোট ছোট মজার তথ্য থেকে বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ ধর্মী তথ্য/লেখা থাকবে। এই যেমন ধরুন গত বছরের শেষের দিকে হটাৎ করেই একদিন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিল ”আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে …”
বিস্তারিত»পরিবর্তন
নতুন কিছু নয়, সেই শিশুকাল থেকেই
ইশকুলের বই দেখলেই আমার গায়ে জ্বর আসে।
সত্যি বলতে, পড়তে বসলেই নিয়মিত মাথা ব্যথার
মিথ্যা অভিযোগ করায়, ডাক্তারের পরামর্শে ক্লাস থ্রিতে
প্রথম ছয়মাস আমি বিশ্রামে ছিলাম।
অনেকটা রেস্ট এন্ড রিক্রিয়েশন লিভ, আর কি।
সেই সময় থেকেই পাঠ্য বইয়ের চেয়ে গল্পের বইতে
আমার আকর্ষণ অনেক বেশি। গল্পের বই ভেবে
‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’ আমি শেষ করেছি ক্লাস এইটেই,
কর্ণেল জামিল-আড়াল হয়ে যাওয়া এক নাম
১৯৭৫ এর আগস্টের রাত,ঘড়ির কাটা ১৫ তারিখের আগমণ জানিয়ে গেছে তাও বেশীক্ষণ হয়নি। এর মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায়টির সূচণা করতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীর দিকে মুভ করে সেনাবাহিনীর জুনিয়র কিছু অফিসারের নেতৃত্বাধীন একটি সৈন্যদল। হত্যা করে শেখ মুজিব সহ পরিবারের অন্যদের। এই ইতিহাস আমরা মোটামুটি সবাই জানি।সেই রাতে অনেক রথী মহারথীদের রহস্যময় এবং ভীতু আচরণের বাইরে একজনকে দেখা যায় বীরত্ব এবং সাহসীকতা উপরন্তু কর্তব্যনিষ্ঠার এক জ্বলন্ত উদাহরণ স্থাপণ করতে।
বিস্তারিত»মিউজিক নিউজ! নির্ভানা নাকি বিটলস!!
১২-১২-১২ তে ম্যাডিসন স্কোয়ারে স্যান্ডী আক্রান্তদের জন্য কনসার্ট আয়োজন করা হল। বিটলসের স্যার পল ম্যাককার্টনি উঠলেন স্টেজে। প্রথমে তিনি ভাবছিলেন ডেভিড গ্রোলের সাথে জেমিং হচ্ছে আর কে না কে সহ শিল্পীরা বাজাচ্ছে। স্যার পল মাইক্রোফোনে বললেন, “আমি আসলেই জানি না এরা কারা; তারা বলছে কতদিন পর একসাথে হতে পেরে কতই না ভাল লাগছে।
বিস্তারিত»আপনার সন্তানের শৈশব কেড়ে নিবেন না।
আমার ছোটবেলার সবচেয়ে আনন্দের সময় ছিল ক্লাস ফোর আর ফাইভের বছর দুইটা। সে সময় আমি শাহজাদপুরের “কিরন-বালা প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামের একটা সরকারী স্কুলে পড়তাম। বই ছিল মোট ৮টা। বোর্ডের ৬টা সাথে ইংরেজী আর বাংলার দুইটা ব্যকরণ বই। আমাকে খুব বেশী পড়তে হত না। স্কুলের হোমওয়ার্ক আমি স্কুলে বসেই সেরে ফেলতাম। বাসায় সন্ধা বেলা বই নিয়ে বসাটা ছিল বাধ্যতা মুলক। কিন্তু পড়ার চাপ ছিল কম। বছরে তিনটা পরীক্ষা।
বিস্তারিত»