[গত কয়েকদিন ধরেই মেজাজ খারাপ ছিল। গতকাল এ’ই নিয়ে বন্ধু রাজীবের সাথে আলাপও করেছি। আজ সকালে পত্রিকার শিরোনাম দেখে মনে হলো ব্যক্তিগত অনুভূতি আর লুকিয়ে রাখার দরকার নেই।]
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটা জাতীয় দাবী। আর এই দাবীর পক্ষে জনমত গঠনের অন্যতম শক্তি অনলাইনভিত্তিক কিছু সক্রিয় দল যারা বিনাস্বার্থে নিজেদের শক্তি-সময়-অর্থ ব্যয় করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। এদের অন্যতম হচ্ছে আইসিএসএফ, যেখানে রায়হান রশীদ ভাই একজন পুরোধা। আরেকজন ডঃ আহমদ জিয়াউদ্দীন, যিনি Center for Bangladesh Genocide Studies in Belgium- এর পরিচালক। গুগুল থেকে জানলাম, ডঃ জিয়াউদ্দীন ২০০৭-এ VOA-র সাথে সাক্ষাৎকারে যদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করেছেন। তারমানে তিনিও বেশ অনেকদিন ধরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
আইসিএসএফ’ যে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী দাবী করে তা’ শুধুমাত্র আবেগের উপর ভিত্তি করে নয়, প্রচুর তথ্যের উপর ভিত্তি করেই। একারণেই গণআদালত-টাইপের পলিটিক্যাল ফ্রন্টের বদলে প্রথাগত আদালতের বিচারে আস্থার কমতি ছিল না। আর সরকারও যথেষ্টই আন্তরিক এই ব্যাপারে (উদ্দেশ্য রাজনৈতিক হলেও)।
রায়হান ভাই এবং ডঃ জিয়াউদ্দীন- দুইজনই আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষিত। তারা কি জানেন না যে যে মামলার বিচারের জন্য তারা এতোদিন ধরে জনমত গঠনে নের্তৃত্ব দিয়ে আসছেন, আসামীদের ফাঁসীর দাবী করে আসছেন, সেই মামলার বিচারকের সাথে সেই মামলার রায় নিয়ে আলাপ করা, বিচারককে কোনরূপ সহায়তা করা মামলার গ্রহনযোগ্যতাকে প্রশ্নবিধ্য করবে? বিচারক ফরিয়াদীর সাথে বসে আলাপ করে মামলার রায় নিয়ে- এটা কোন ধরণের নিরপেক্ষ বিচার? আইন বিষয়ে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও যদি আপনারা এমন কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, তাহলে ক্যামনে কি?
আইসিএসএফ-এর পোষ্টের মন্তব্যের ঘরে দেখলাম নূপুর ভাই, রাজীব, রাব্বী মন্তব্য করেছেন যে, স্কাইপে থেকে তথ্য চুরি করা অনৈতিক এবং বেআইনী। কাজেই, উক্ত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর যুদ্ধাপরার বিচার একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কিন্তু সাংবাদিক+সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কোনভাবেই মামলার রায় বিষয়ে পক্ষপাতের যে অভিযোগ উত্থাপন করল, তা’কে দূর্বল করেনা।
রাব্বী বলেছে “কথোপকথোনটা শ্রেফ একটা এক্সপাটিজ লিগ্যাল কনসালটেশন ছাড়া কিছু মনে হয়নি”। – তার মানে কি কোন আইন বিশেষজ্ঞ ফরিয়াদী হয়ে মামলা করতে পারবে আবার একই সাথে সেই মামলার রায় লিখতে বিচারককে পরামর্শ দিতে পারবে? এতে মামলার রায়ের নিরপেক্ষতা থাকল কোথায়? সে আরো বলেছে “কথোপকথোন থেকে আশ্বস্ত হলাম যে আমাদের সার্বিক দূর্বল আইনি কাঠামো এবং চর্চার ভিতরেও এ্রই বিচার প্রক্রিয়াটা তুলনামূলক ভাল এবং গ্রহনযোগ্য হচ্ছে”। কথোপকথনটা আমিও পড়েছি। রায়ের বিষয়ে বিচারক রাজনৈতিক দলীয় আইনমন্ত্রীর মতামত চায়, ফরিয়াদী পক্ষের বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে- এগুলো বিচারের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আশ্বস্ত না হওয়ার জন্য যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ।
জামাতীরা যে মরিয়া হয়ে এই বিচারকে নস্যাৎ করতে চাইবে, সেটা বোঝার জন্য ত’ স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধিই যথেষ্ট- তারা যে অপরাধ করেছে, সেটা তারাই সবার থেকে বেশি জানে, আরো জানে যে সেটার শাস্তী কমপক্ষে মৃত্যদন্ড। কাজেই, তারা ত’ মরিয়া হয়েই চেষ্টা করবে এটা ভন্ডুল করতে। সেটা তথ্য আইন ভেঙ্গেই হোক, সাক্ষীদের ভয় দেখিয়েই হোক, আর কুরআন-ধর্ম বেচেই হোক। কিন্তু এইভাবে এদের হাতে ‘পক্ষপাতী’ রায়ের অভিযোগের মতো মোক্ষম আস্ত্র তুলে দেওয়াটা অন্তত আইন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অনভিপ্রেত।
এতোদিন ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা আন্দোলনের ফসল, যুদ্ধাপরাধীদেরকে নিরপেক্ষ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার সুবর্ণ সুযোগ একটা কান্ডজ্ঞানহীন পদক্ষেপের জন্য হুমকির মুখে। এখন রাজনীতির মাঠে এদেরকে মোকাবেলা করা ছাড়া আর কোন পথ আছে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ, বিচারের রায় তৈরীতে আপনাদের সম্পৃক্ততা এটাকে রাজনৈতিক রায়ের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। এখন রায় যেখানেই হোক, যে আলাদালতেই হোক, যুদ্ধাপরাধীরা একে পক্ষপাতদুষ্ট প্রমাণ করার এই সুযোগ কাজে লাগাবেই।
বিচারকের সাথে আইন বিশেষজ্ঞের কথোপকথন প্রকাশের ফলাফল প্রসঙ্গে নূপুর ভাই বলেছেন “এতে করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নৈতিক ক্ষেত্রটি কিন্তু ক্ষয়ে যায়নি, ঐতিহাসিক কারণেই যাবেনা”। পুরো একমত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নৈতিক ভিত্তি কখনোই দূর্বল হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এদের বিচার না হবে।
অতএব, পক্ষপাতদুষ্ট রায়ই হোক। বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১এর অপরাধের বিরুদ্ধে রায় অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে, সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। আর সেটা করতে হবে জনতার আদালতে।
মাহমুদ,
কথোপকথনের ঘটনাটি বিচারকের নিরপেক্ষ অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করেছে, কিন্তু আসামীদের অপরাধের মাত্রাকে বাড়ানো বা রায়প্রদানে নিয়মবহির্ভূত কোন পদক্ষেপ ট্রাইব্যুনাল নিচ্ছে বা নিতে ইচ্ছুক এমনটা আমার কানে ধরা পড়েনি। বিচারক ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। কারণ দেখিয়েছেন ব্যক্তিগত, আমার মতে পদত্যাগ যখন করলেনই আরেকটু খোলামেলা বক্তব্য দিয়েই করতে পারতেন।
যারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে তাদের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার দিন শেষ। সবাইকে সতর্কতার সংগে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।প্রত্যেকে যদি কিছুমাত্রও অংশগ্রহণ করে, তবে জামাত এবং তাদের পান্ডারা লেজ গুটাতে বাধ্য। এটা পরিষ্কার যে ষড়য্ন্ত্রের খেলা্য তারা অত্যন্ত পারঙ্গম।এই খেলা নস্যাৎ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, নিজ নিজ অবস্থান থেকে। অনেক দেরী হয়ে গেছে।
আবারো বলছি, যারা আজকে বুক ফুলিয়ে, গলা ফাটিয়ে বলছে সাঈদী নির্দোষ, গোআ নির্দোষ --- তাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে। তাদের মরিয়া ভাব থেকে এটা স্পষ্ট। আমরা কোন সরকারের ধার ধারিনা, যুদ্ধাপরাধের বিচার সময়ের দাবী -- সরকারের ভুলের কারণে যদি এই বিচার ফস্কে যায়, তবে আমরা তাকেও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবো।
নূপুর ভাই,
ট্রাইব্যুনালের নিয়মবহির্ভূত পদক্ষেপ নেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলেই আমি মনে করিনা; অন্ততঃ গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদীদের মতো চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদেরকে ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব নেই। বিচারককে পক্ষপাতদুষ্ট প্রমাণ করা গেলেও এদের অপরাধ কিছুমাত্র কমে না। তবে বিচারকের মূর্খতা আর কিছু বিশেষজ্ঞের অহেতুক জড়িয়ে পড়া যুদ্ধাপরাধের বিচার কাজটা আরেকটা দীর্ঘসূত্রিতার খপ্পরে ফেলে দিল।
বিএনপি আর আওয়ামী লীগ যতদিন জামাতকে ক্ষমতার ভাগীদার হিসেবে ব্যবহার করা বাদ না দিবে, ততোদিন পর্যন্ত এইসব চলতেই থাকবে মনে হয়।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ট্রাইবুনাল নিয়ে ঘটনাগুলো এমন অস্হিরতার সময়ে ঘটছে যে কিভাবে কি হচ্ছে সেটা বোঝাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
মাহমুদ ভাই, আইসিএসএফ-এর পোষ্টে সাংবাদিক+সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা ব্যবস্থা নেবার কথা আমি বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি ঘটনাটার ব্যাপকতা এবং ভয়াবহতা। তবে আমার কমেন্টটা তাৎক্ষনিক এবং কথোপকথনটা শুনেই করা ছিল। তাই যেটা বিশ্বাস করি সেটা প্রতিনিধিত্ব করেছে মন্তব্যে এবং ঘটনার পরম্পরায় শর্টসাইটেড মনে হতে পারে।
আমার প্রথম যে কথাটা কোট করেছেন, সেটা আমি এখনো বিশ্বাস করি। আমি আইনের ছাত্র না – সাধারণভাবে যেটা বুঝি, মূল মামলায় বাদি/ফরিয়াদি হলো রাষ্ট্রপক্ষ। আইসিএসএফ একটি লিগ্যাল এ্যাডভোকেসি গ্রুপ। আমি নিশ্চিত না এ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফরিয়াদি বিবেচিত হবে কিনা। যথাযথ প্রক্রিয়ার বাইরে এ্যাডভাইস নেওয়া অবশ্য বৈধ না। কিন্তু ট্রাইবুনালটাও কোন সাধারণ ট্রাইবুন্যাল না। বিচারক, প্রসিকিউটর কারোরই অভিজ্ঞতা নেই এমন ট্রাইবুন্যালের, আবার এদিকে রাষ্ট্র/সরকার থেকে যে জায়গাগুলোতে গ্যাপ বা ট্রাইবুনালের সক্ষমতা কম সেগুলিতে কোন সাপোর্ট সিস্টেমও রাখা হয়নি। যুদ্ধাপরাধ বিচারে সরকারের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা এবং আন্তরিকতা কতটুকু সেটা ট্রাইবুন্যালের দৈন্যতা দেখে সন্দিহান। অবশ্য ক্ষতি যা হবার হয়ে গেল।
আমার শুধু কথোপকথোন থেকে বরং মনে হয়েছে বিচারকের ট্রাইবুনাল নিয়ে আগ্রহ এবং স্বদিচ্ছা ছিল। হয়তো সেটা আইনি প্রক্রিয়ার এক্তিয়ার বর্হিভূতভাবে হয়েছে। কিন্তু এখন যে অভিযোগটি আনা হচ্ছে, দলীয় রায়, দুর্নীতি, গভীর ষড়যন্ত্র বা সাজানো ট্রাইবুনাল সেটা মনে হয়নি। সমস্যা আরো জটিল। একজন বিচারকের ভুল ট্রাইবুনালের শেষ কথা না যেখানে যুদ্ধাপরাধটা ইতিহাসস্বীকৃত এবং তথ্য-প্রমাণ নির্ভর। কি প্রেক্ষাপটে সেটা হয়েছে সেটা বিবেচনার দাবি রাখে।
মূল কথোপকথনে রায়ের স্ট্রাকচার কি হবে, কিকি থাকলে আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন হবে, তাই তো শুনেছিলাম (ইউটিউবে)। রায়ের বিষয়ে বিচারক আইনমন্ত্রীর মতামত কি চেয়েছে? কথা শুনে মনে হলো সরকারি/মন্ত্রীর যে চাপ আছে সেটা সামলাচ্ছেন কিভাবে সেটা বললেন। হয়তো এটা আইন/প্রথা বহির্ভূত হয়েছে, কিন্তু আমি আশা করেছিলাম অভিযোগ থাকলে বা নিরপেক্ষতার সংকট তৈরি হলে সেটা জুডিশিয়াল কাউন্সিলে যাক- সত্যতা যাচাই হোক আইনসিদ্ধভাবে।
যে কারণে বিচার প্রক্রিয়াটা হাজারটা সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমার “তুলনামূলক” ভাল এবং গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে সেটা আর কিছু না খুব সাধারণ অর্থে (আইনি অর্থে না) দেশের ফৌজাদারী এবং দেওয়ানি বিচারকাজ যেভাবে আদতে চলে তার সর্ম্পকে খুব সামান্য হলেও একটু ধারণা রাখি। অনেকেই বিক্রি হয়ে যায় সহজে। আমি বলছি না পুরোটাই খারাপ।
বিচারক পদত্যাগ এখনই না করে অভিযোগটা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল, সুপিরিয়র এথিকস কমিটি বা এই জাতীয় কোথাও যেতে পারতো এবং স্বচ্ছ উপায়ে বৈধতা/অবৈধতা সঠিক প্রক্রিয়ায় নিরুপন করা দরকার ছিল। সেভাবে হলে নিরপেক্ষতা/বৈধতার প্রশ্নটি দক্ষতার সাথে সামাল দেয়া যেতো। অথচ এখন জিনিসটা দৃশ্যত মিডিয়া জাজমেন্ট হচ্ছে। তাতে করে ট্রাইবুনালের যে ভরাডুবি মনে হচ্ছে সে প্রক্রিয়া ট্রাইবুনালকে শক্তিশালী করতো। এখন উল্টা যুদ্ধাপরাধ বিচারটাই যেন সাজানো নাটক এবং একটা ষড়যন্ত্র সেই ধারণা প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। চার দশক পরও এত বড় একটা জাতীয় ইস্যুতে এভাবে অপদস্ত হওয়াটা মেনে নেয়া কঠিন। তবে নিশ্চিতভাবে সবকিছুর শেষ এখানে না।
হতাশ।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী,
সরি, অনলাইনে (সামু, প্রথম আলো) অনেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোমাকেও জেনারালাইজেশনের মধ্যে ফেলেছিলাম বলে। তোমার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছিল যে তুমিও বুঝি সাংবাদিকের দায়টাই শুধু দেখলে, অথচ ঘটনাটার মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিচারকের কোর্টের বাইরে লোকজনের সাথে বিচারের রায় বিষয়ে পরামর্শ করা। আর যাদের সাথে আলোচনা করেছেন, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার+ফাঁসীর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে জনমত গঠন করে চলেছেন। স্পষ্টতঃই রায়হান ভাই জামাতের বিপক্ষের হিসেবে বেশ পরিচিত, কয়েক সপ্তাহ আগেও নেদারল্যান্ডে যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে কনফারেন্সে অংশ নিলেন, নিয়মিত ব্লগে লেখালেখি করে চলেছেন। এমতাবস্থায় কাগজে-কলমে সরকার ফরিয়াদী হলেও বাস্তবে আইসিএসএফ বা এই জাতীয় সংগঠনগুলোও যে ফরিয়াদীর দলে পড়ে, তা' জামাতীরা ছাড়াও ব্লগের আম-পাঠকরা যেমন জানে, এইসব সংগঠনের লোকজনও নানা উপলক্ষে নিজেদের সেভাবে পরিচিত করাতে পিছপা' হয়না।
বিচারক ডঃ জিয়াউদ্দীন আর রায়হান ভাই ছাড়া আর কোন পরামর্শক খুঁজে পায়নি, এটা বিশ্বাসযোগ্য করাটা কঠিন, তুমি যে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে বলছো, সেটা বিবেচনা করেই। প্রেক্ষাপটটা কেমন- সরকার চায় তারাতাড়ি একটা রায় দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন করতে, আর সচেতন জনতার একটা অংশ চায় একটা ন্যায্য বিচারের মধ্যমে জাতির কলংক মোচন। এই অবস্থায় বিচারক মামলার রায় নিয়ে পরামর্শ করছে আইন মন্ত্রী, প্রসিকিউটর, যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে জনমতের সংগঠকের সাথে। - নিরপেক্ষতা হারানোর জন্য এর থেকে বেশি আর কি করা দরকার?
হতাশাটা ঠিক এইখানেই। এই বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষী উপস্থাপন থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্র সরকারের অগোছালো অবস্থা যুদ্ধাপরাধীদেরকে সুবিধা করে দিয়েছে এই অভিযোগ তুলতে যে, রাজনোইতিক উদ্দেশ্যে যেনতেন ভাবে একটা রায় দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসী দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এখন সেই অভিযোগটা আরেকটা জোড়ালো ভিত্তি পেল আর কি...
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ তোর লেখাটা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী।
আর ঘটনা টা বেশ দুঃখজনক ও বটে।
তবে এর মাধ্যমে কিন্তু আলোও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিচারপতি নিজামুল হক তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ তথা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল কে আরেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
যদিও এই ব-দ্বীপের বিচারকরা অনেক উল্টাপাল্টা খেলা খেলেছেন।
আর জামাত চক্র কিন্তু ভুলে আগেভাগে বিষয়টা প্রকাশ করে ফেলেছে। এটা আমি বলবো শাপে বর হয়েছে। জনতার সামনে এদের আসল চেহারা বের হয়ে পড়ছে। আর এইটা খুব দরকারী।
কিন্তু আমি আসলে হতাশ বি এন পির আচরণে হতাশ। একটা শিশুও বোঝে ৯৫-৯৬ এর আওয়ামীলীগের সাথে জামাতের এক জায়গায় অবস্থান আর বি এন পি র জামাতের সাথে অবস্থান এক জিনিস নয়।
যদিও আমার এক ভারতীয় বন্ধুকে কদিন আগে বলেছি, আমরা তোমাদের মতো ধর্মনিরপেক্ষ নই, কিন্তু তোমাদের দেশের পার্লামেন্টে যেমন মৌলবাদীরা সরকার গঠন করেছে, আমাদের বাংলাদেশে তা হয়নি।
কিন্তু বি এন পির এই দ্বিধা, রাজাকারদের সাথে পথ চলা এই প্রজন্ম ভালোমতো দেখছে না। এমনকি যারা বি এন পি বা ছাত্রদল করে তারাও কখনো সখনো তাদের মনোভাব ব্যাক্ত করে ফেলছেন। বি এন পি একসময় জামাতের বি টিম হয়ে যাবে এইরকম আশঙ্কা করি এবং তা কোনমতেই ভালো হবে না।
আজ আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আওয়ামীলীগের পাশে দাঁড়িয়েছি কিন্তু তার মানে এই না জয় ও যদি তারেক, কোকোর আওয়ামী ভার্সন প্রমাণিত হয় তবে তাদের সাথে থাকবো!
আমি বেতনভুক্ত না যে আওয়ামীলীগকে আমার সাপোর্ট করতে হবেই। তোকে হয়ত বলেছি আমরা দুইভাই, আর বাবা-মা চার ভিন্ন দলকে সমর্থন করি। এবং আমাদের গণতন্ত্রে ফ্লোর ক্রসিং চলে।
আমি ভয় পাই, বাংলাদেশ দিনে দিনে মৌলবাদী হয়ে উঠছে।
আজকে জামাতের একটা ডিসেক্সন করছি, শেয়ার করি।
উপরের ভিডিওটি আমি পেয়েছি জামাত শিবিরের একটা পেজ থেকে। আমি মনের আনন্দে জামাত শিবিরের পেজ এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট জামাতিদের ওয়াল ভ্রমণ করিয়া থাকি।
আমি নিজে আল্লাহ্য় বিশ্বাস করি না (যদিও এইটা এইখানে বিবেচ্য নয়)।
কিন্তু জামাতিরা করেন এবং তারা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য জান লড়িয়ে দিচ্ছেন।
ধর্মের নামে এরা রাজনীতি করে।
ধর্মের নামে এরা শহীদ হয়।
ধর্মের নামে এরা রগ কাটে।
ধর্মের নামে এরা মানুষ মারে।
ধর্মের নামে এরা ধর্ষণ করে; হিন্দু মেয়ে এদের বিশেষ পছন্দ। (যদিও এরা জানেনা কয়েক পুরুষ আগে এরা নিজেরাই হিন্দু ছিলো। এরা এও জানেনা এভাবেই এরা নিজেদের মাকে ধর্ষণ করে চলে অবিরত)
বাংলার মানুষ সেই অর্থে ধর্মপ্রাণ নয়, একটা ধর্ম মানতে হয় তাই মানা। সারা বাংলাদেশের ১ শতাংশ মুসলমানও অর্থ সহকারে কুরআন পড়েনি। হুজুর, মৌলভীরা যা বলে এসেছে তাই আমাদের কাছে ধর্ম।
স্বপ্ন দেখা ভালো, উপভোগ করা আরো ভালো।
আমি নিজে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে ব্যাথিত হই। পুরা জাগরণে স্বপ্ন নিয়া ভাবি। কিন্তু এই সাথে এও জানি স্বপ্ন, স্বপ্নই। স্বপ্নের জগতে বাস কোন কাজের কথা নয়, মানসিক সুস্থতার প্রমাণ ও দেয়না।
মুহম্মদ নামে এক নবী ছিলেন, তার শিষ্যরা ছিলেন। মুহম্মদের মৃত্যুর পর পরপর তার চার ক্লোজ শিষ্য ক্ষমতায় বসেন। আজ মুসলমানেরা খোলাফায়ে রাশেদিন বলে। (যদিও সেই সময়ের শাসন, যুদ্ধ, রাজ্যবিস্তার নিয়ে হরেক রকম প্রশ্ন রয়েছে। তারপরো সেই সেই সময় কে আদর্শ বা স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিচ্ছি)
৬২০/২২ এ ইয়াতরিবে যেই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হইলো তার অবসান হইলো ৬৬১ সালে মুহম্মদের চাচা আবু তালিবের ছেলে ও নিজকন্যা ফাতেমার স্বামী আলীর মৃত্যুর মাধ্যমে। (কারণ এরপর মুয়াবিয়ার শাসনকালকে অধিকাংশ মুসলিনরা অন্যায্য বলে থাকেন)
তো ঘটনা কি হইলো মুটামুটি ৪০ বছর তথাকথিত ইসলামী রাষ্ট্র পৃথিবীর বুকে বিরাজমান ছিলো।
আর আজ কতসাল? ২০১২।
গতকাল রাতে একটা ইউ টিউব ভিডিও দেখলাম আর পড়লাম উইকি তে কপি লিউয়াক সম্পর্কে, পৃথিবীর অন্যতম দামী কফি http://en.wikipedia.org/wiki/Kopi_Luwak
এই কফির পডটা সংগ্রহ করা হয় বিশেষ জাতের এক বানরের বিষ্ঠা থেকে। গুগল করেন তাইলেই জানতে পারবেন ক্যানো এইটা বানরের বিষ্ঠা থেকেই হতে হবে।
ঠিক একইভাবে জামাতিচক্ররাও কোন বিশেষ প্রজাতির প্রাণির বিষ্ঠা থেকে সংগৃহীত করা ধর্ম সেবন করেন। নয়তো ছয় শতকের মদে এখনো নেশা করাটা সহজ নয়।
যাই হোক উপরের এতো কথা বলার মানে কারো কোন অনুভুতিতে আঘাত দেয়া নয় (আমি এই জিনিসটা কিছুতেই বুঝি না যে যারা ধর্মের নেশা করে, তাদের তো বুঁদ হয়ে থাকার কথা অহোরাত্রি, ক্যামনে যে তাগো ঘুম ভাঙে আর তাদের অনুভুতি দন্ডে উপর্যুপরি আঘাত লাগে এইটা বোঝা এই নিখিল বিশ্বের কারো পক্ষেই সম্ভব না )
এই নরপশুরা হিংসায় বিশ্বাস করে, হত্যায় বিশ্বাস করে।
১৯৭১ এ এরা ধর্মের নামে নিজের দেশের লোকদের হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, দেশ বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে, আমাদের দেশের সুর্যসন্তানদের হত্যা করেছে।
এমনকি যুদ্ধের পর এরা দেশের বাইরে থেকে দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা জারি রেখেছে। যারা জানতে চান তারা জামাতিদের আব্বা হুজুর গো আজমের জীবনে যা দেখলাম পড়তে পারেন।
ধর্ম বা ধর্মের আইন দিয়ে দেশ চলতে পারে না। কারণ এক ধর্ম আরেক ধর্মকে ইতর বিশেষ মনে করে। আমি নাস্তিক (অজ্ঞেয়বাদী, আমি জানি ধার্মিকেরা, বিশেষ করে তথাকথিত ধর্মপ্রাণ মুসলিমেরা আমাকে কি চোখে দ্যাখে) সেখানে একজন মুসলিম ভিন্ন ধর্মের কাউকে নরকের কীটের চাইতে ভালো কিছু মনে করে না। তবে বিধর্মী নারীদের মুসলিমেরা অত্যন্ত পছন্দ করে; অনেকে তো এদের সাথে সহবতে অশেষ পূণ্য হাছিল হয় বলে মনে করেন। অনেকটা ৭১ এর পাকি আর্মিরা যেকারণে আমাদের মা-বোনদের সাথে সহবত করে মুসলিম নেশন তৈরি করতে চেয়েছিলো।
যারা জানেন না ৭১ এ কি হয়েছিলো, তারা চাইলে গেরিলা ছবিটি দেখতে পারেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
- কিভাবে? আমরা জানলাম তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এটা যে একটা নির্জলা লুকোচুরি (মিথ্যা বয়ান বললাম না সংগত কারণেই), সেটা নিতান্ত দলবাজ ছাড়া যে কারো বোঝার কথা। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে তিনি যে একটা বিশাল সাইজের বাঁশ দিলেন, সেইটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকামী সকলে যত তারাতাড়ি উপলব্ধি করবে, ততোই মঙ্গল। তা না হলে আওয়ামী লীগের 'বি-টিম'-এর পরিচয়ের বাইরে আসা কঠিন হবে।
- তোর কি মনে হয়, জনগণ এই বিশ্বাস ধারণ করত যে, জামাত নেতাদের ফাঁসী হতে যাচ্ছে জেনেও সুবোধ বালকের মত চুপচাপ দিন গুণবে করে বিচারক রায় পড়ে শোনাবেন? এই ঘটনায় নতুন করে আর কি প্রকাশ হবে জামাতের, যা' আমরা আগে থেকেই জানি? আমি আগেও বলেছি, এমন কোন বৈধ-অবৈধ পন্থা নেই যা' জামাত অবলম্বন করতে বাদ রাখবে। বিশেষ করে, ফাঁসীর রজ্জু যখন তাদের মাথার উপর ঝুলছে। - এইটা বোঝার জন্য রকেট-সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগে না।
- দ্বিমত। একনম্বর মৌলবাদী জামাত, যাদের সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করেছে। আর দুই নম্বর মৌলবাদী আওয়ামী লীগ, যারা এখন ক্ষমতায়।
এইখানে পুরো একমত। তবে শুধুমাত্র জামাতের উত্থানের জন্য নয়, মোটের উপর সার্বিক রাজনৈতিক অবস্থার জন্যই। মৌলবাদী হওয়ার জন্য যে ধর্মের পরিচয় লাগেনা, অন্যান্য আরো পরিচয়ে থেকেও মৌলবাদের চর্চা করা যায়, সেটা বাংলা ব্লগ আর সেখানকার কমেন্ট দেখলেই বোঝার কথা।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:thumbup: :teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব, তোর ফেসবুকে দেখলাম শেয়ার দিছিস- পেজের লোগোতে দেখলাম ICSF। লিখা আছে "ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন এবং দ্রুতই আরেকজনকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী বিচারপতি নিযামুল হক চেয়ারম্যান থাকাকালে মামলাটি যে পর্যায়ে রেখে গেছেন ঠিক সেখান থেকেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। এখন মামলা স্থিগিত রাখা বা নতুন করে শুরুর দাবী তোলা কেবল মতলববাজদের পক্ষেই সম্ভব। এধরণের মতের সমর্থক যারা তারা হ্যাকিং ষড়যন্ত্রে জড়িত কি না এ অভিযোগ কেউ করলে তাতে দোষ ধরা যাবে না"-
এর উত্তরে আমি মন্তব্য যে মন্তব্য করেও আবার ডিলিট দিলাম, সেইটা এইখানে দিচ্ছি-
"প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, নিযামুল হক কেন চলে গেলেন? এই প্রশ্নটার উত্তরই বলে দিবে মামলা কোথা থেকে আবার শুরু হবে। মামলা স্থগিত/নতুন করে শুরু করার দাবীকে যুক্তি দিয়ে মোকাবেলা না করে হুমকি দেওয়া হলো মনে হচ্ছে!"
ICSF-এর মাথা কি আওলায়ে গেছে নাকি? ছাত্রলীগের পুলাপাইনের মতো হুমকি দেওয়া শুরু করল!!
সময় থাকতে না-শুধরালে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু যে হবে না, এইটা বোঝার মত বুদ্ধিওয়ালা লোকজন এখানে আছে বলে বিশ্বাস আছে বলেই প্রসঙ্গটা এখানে টেনে আনলাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পুরা লেখাটা পড়ে যেটা বুঝলাম-
আপনিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান তবে সেটা নিরপেক্ষ হতে হবে। তাই না, মাহমুদ ভাই ? 😀
গুড, ভেরি গুড !
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
- ঠিকই বলেছো কামরুল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেমন-তেমন করে হলেই হোল, সেটা নিরপেক্ষ হোল কি না তা' বিবেচ্যই নয়। আফটারল, ওরা ত' যুদ্ধাপরাধী। - তাইলে আইন-আদালত এইসব হাবিজাবি ঘাটাঘাটির দরকার কি, ধরে ধরে ঝুলাইয়া দিলেই ত' ল্যাঠ্যা চুকে গেল। অযথা সময়ক্ষেপণ।
এ'ই সামান্য বিষয়টা তোমার মতো সাধারণ পাব্লিক বুঝলো, আর যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এতোদিন ধরে জনমত গঠন করে আসা মানুষগুলো বুঝল না, আফসোস। এই নাদানরা এখনো দেশীয়/আন্তর্জাতিক অপরাধ, আইন, আদালত, ট্রাইব্যুনাল করেই যাচ্ছে, একটা গ্রহনযোগ্য (নিরপেক্ষ) বিচারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে পন্ডশ্রম করছে। 😉
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
লেখা বোল্ড করতে হবে না, আমার চোখে কোন প্রবলেম নাই!
ধন্যবাদ !
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হুম,
এইটাই আগে আকারে-ইঙ্গিতে বলেছো, এখন প্রকাশ্যে বললে এ'ই আর কি.........
দেখে ভালো লাগল যে, সিসিবি প্রগতিশীল হয়ে উঠছে, মুক্তমনা হয়ে উঠছে, একটা বিশেষ ঘরাণার বাইরে মত প্রকাশকে তাদের মত করে ডিফাইন করার মতো 'বালেগ' হয়ে উঠছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দয়া করে আমার নিজের মন্তব্যকে সিসিবির মতামত বলে চাপিয়ে দেবেন না।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমিও আসলে তোমাকেই বলেছি, সিসিবি'তে নয়, এটা সিসিবি'তে অন্যরা বুঝতে পারবে বলেই বলেছি।
আমার ভুল হয়েছে পুরো সিসিবি বলায়, আসলে এই কমেন্টটা আমি কামরুলকে উদ্দেশ্য করে করেছি।
আর একজনের মত আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ভুল হতেই পারে। যেমন, উপরে কামরুল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার 'নিরপেক্ষ হতে হবে' এইটা আমার দাবী বলে উল্লেখ করল। অথচ, এটা ট্রাইব্যুনালের দাবি। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনার মত বুদ্ধিমান লোক বারবার ভুল করছেন এটা কেমন কথা?
আমি কোথায় বলেছি যে '' 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিরপেক্ষ হতে হবে এইটা আপনার দাবী ?''
দাবি-টাবি তো আমি বলি নাই। আমি শুধু আপনার লেখা পড়ে আমার কী মনে হইছে সেটা বলছি। আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হইছে 'আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান তবে নিরপেক্ষ।' গত কয়েকবছরে আমি এই কথা অনেকবার খালেদা জিয়ার মুখে শুনছি। মওদুদের মত শুওরের মুখে শুনছি, সুশীল ছদ্মবেশী জামাতী ছাগলগুলির মুখেও শুনছি।
নিচে দেখলাম, আপনি জিহাদের মন্তব্যের জবাবে বলছেন-
ট্র্যাইব্যুনালের নিরপেক্ষতাকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদেরকে আমার ছাগল ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। (দুঃখিত, এই ইস্যুতে আমি আপনার মত ভদ্দরলোক নই বলে ঘুরায়া প্যাচায়ে গালি দেয়া শিখি নাই।) আপনার লেখা এবং তারপর বিভিন্নজনকে দেয়া মন্তব্যে আপনি নিজেকে সেই প্রশ্নবিদ্ধ করাদের দলের বলে প্রমান দিয়েছেন।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল,
ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা কি কেউ করতে পারবেনা? না কি সেই সমালোচনা করার সময় এটি নয়।নাকি সমালোচনা করলেই সে ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধের বিচার না চাওয়া দলভুক্ত হয়ে গেলো?
আমার মনে হয় এ ধরণের সরলীকরণ নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়াবে।একটু রয়েসেয়ে।
চরম দুঃসময়ের মধ্যেই সহনশীলতার আসল পরিচয় দিতে হয়।
সবাইকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেই, সব নিয়ম মেনেই।
নূপুর দা
আন্তরিকভাবে দুঃখিত যদি কোন কারণে আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকি।
দাদা, আমি কখনও বলিনি ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু সমালোচনা করা এক কথা আর একটা নির্দিষ্ট ইস্যুতে কিছু নির্দিষ্ট লোকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ট্র্যাইব্যুনালের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কি এক ?
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হুম,
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা ত' আওয়ামীলীগের (শুয়োর+ভদ্র উভয় টাইপেরই) মুখেও শুনে চলেছি, শধুমাত্র ১৯৯৬এ জামাতকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করার সময়টুকু ছাড়া। তোমার চিন্তাধারা অনুযায়ী ত' তাইলে এই যুদ্ধাপরাধের ইস্যুটা আওয়ামী ইস্যু। আর যেহেতু এই মুহুর্তে ওদের বিচার না করে কোন মতে রায় ঝুলায়ে দিতে পারলে আগামী বছর নির্বাচনের বৈতরনীটা পার হওয়া যায়, অতএব আওয়ামী লীগই প্ল্যান করে এই মামলা নিয়ে প্যাচটা লাগাইছে!
জেনারালাইজেশন করলে সব হিসাব কত সোজা, তাই না? বড় বড় জ্ঞানী, দেশপ্রেমিকরা আমাদের চিন্তা করার কাজটা সহজ করে দেওয়ার পরেও আমি (হয়তো আরো কোন কোন 'ছাগু') অযথাই প্রশ্ন করি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনি মানুষের মুখে কথা বসিয়ে দিতে ওস্তাদ। যা আমি বলি নাই তা কত সহজে বুঝে গেলেন !
আমার আর রুচি হচ্ছে না আপনার সঙ্গে কথা বলতে। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
এইটা তোমার মন্তব্য থেকে তুলে আনলাম। এর সাথে তোমারই পরবর্তী মন্তব্যটা মিলিয়ে দেখো। তারপর রুচির বিচার হবে খন ... (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
@কামরুল,
ঠিক বুঝলাম না তুমি কোনটাকে আমার ভুল মনে করলে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকের সাথে রায়হান ভাইয়ের (তথা আইসিএসএফ) জড়িত হওয়ার মাধ্যমে ট্রাইব্যুলানের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে- এইখানে আমার কোন ভুল হয় নাই। আর তুমি বা অন্যকোন চেতনার ব্যাপারী তা'তে আমাকে কি মনে করল সেই ভয়ে আমি ভীতও নই। আফটারঅল আমার দেশপ্রেম, বুদ্ধি, বা চেতনার বিচার করার জন্য আমি কারো মুখাপেক্ষি নই, অন্ধবিশ্বাসী কারো কাছে ত' নয়ই। নিজের বিচারবুদ্ধির উপর আস্থা হারানোর মতো দেউলিয়া হওয়ার মতো কোন কারণ এখনো ঘটেনি।
আমি ভুল করেছি তোমার প্রতি মন্তব্যকে সিসিবি'র প্রতি উল্লেখ করে। আশা করি, আমার প্রতিমন্তব্যে কোনটাকে আমি 'ভুল' বলেছি, সেটা পরিস্কার।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সমাজবিজ্ঞানী মাহমুদ ভাইয়ের কাছে আমার প্রশ্ন প্রগতিশীলতা কি খারাপ, মুক্তমনা হওয়াটা? এই দুই ভাগের উপর এতো রাগ ঝরে পড়া দেখে অবাক হলাম কি? না।
দুইটাই বেশ প্রশংসনীয় গুণ, এতে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু আমার মন্তব্যটা আক্ষরিক অর্থে নয়, শ্লেষাত্নক অর্থে বুঝতে হবে। প্রগতিশীল+মুক্তমনের দাবি করার পরও মৌলবাদীদের মতো প্রতিক্রিয়া করা এবং ভিন্নমতে অসহিষ্ণুতার সমালোচনা করে মন্তব্যটা করেছি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:thumbup:
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আপনার সল্যুশন কী? কী করলে আপনার কাছে বিচার নিরপেক্ষ মনে হবে? জানার আগ্রহ বোধ করছি
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
নিরপেক্ষ বিচার হতে হবে, রায় আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে- এইসব দাবী আমার নয়, ট্রাইব্যুনালেরই। অথচ, ট্রাইব্যুনালই সেই নিরপেক্ষতা ভেঙ্গেছে যা'র কারণে আমার পোষ্টিটি লেখা। বলতে চেয়েছিলাম, কিছু কাজ আছে যা' ইচ্ছা+সামর্থ থাকা সত্বেও কারো কারো করা উচিত নয় তাদের নিজ নিজ অবস্থানের কারণে। আইসিএসএফ একটা স্বনামধারী সংঘ যা' যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এবং ফাঁসীর দাবিতে সফলভাবে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠন করে চলেছে। এমতাবস্থায় এই সংস্থার যেকেউ মামলার রায়ের সাথে জড়িত হলে সেটা "ট্রাইব্যুনালের ইপ্সিত" নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এবং করেছেও।
সল্যুশনের কথা কি ভাববো, সল্যুশন ত' দেওয়া হয়েই গেছে। সেই সল্যুশন না মানলে ছাগু বলার হুমকি প্রচাতির হয়েছে+হচ্ছে। সেই হুমকি অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে (উপরে কামরুলের কমেন্ট)।
অতএব, আমার সল্যুশন জানতে চেয়ে আর কি হবে? বরং দেশপ্রেমী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একচ্ছত্র দাবিদারদের দ্বারা প্রদত্ত সল্যুশনের বাইরে অন্যকোন অপশনের কথা মনেও স্থান দেওয়া অবৈধ্য। কারণ, সেটা চেতনার পরিপন্থী। আর এইরূপ ভাবনা মনেও যে স্থান দিবে, তাকে ছাগু বললে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। এই ইন্ডেমনিটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রচার করেছেন। (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সল্যুশনের ব্যাপারে আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি ভাইয়া।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তোমার প্রশ্নের উত্তর দিবো। তবে তার আগে একটু সময় দরকার। কেন, তা' আশা করি বুঝতে পারবে......
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ,
এ অবস্থায় বিচারকার্য সুষ্ঠুভাবে চালিত হবার ব্যাপারে তোমার মতামত খোলামনে শেয়ার করো। আমিও আগ্রহী জানতে।
নূপুর ভাই,
আমার এই বিশ্বাস আছে যে জিহাদ এবং আপনার মতো আরো অনেকে (প্রকৃতপক্ষে অধিকাংশ) আছে যাদের মধ্যে এই আগ্রহ আছে। কিন্তু অনলাইনের জগৎটাকে কিছু দেশপ্রেমী এমনভাবে দখল করে রেখেছে যে, 'তাদের চোখ দিয়ে দ্যাখা+ তাদের বুদ্ধি দিয়ে উপলব্ধি করা+ তাদের মুখ দিয়ে বলা' কোন কিছুর বাইরে আর কোন অপশনই থাকতে পারবে না। মুক্তবুদ্ধি+দেশপ্রেম+মুক্তিযুদ্ধের চেতনা+জাতীয় বিবেকের একমাত্র ইজারাদারী নিয়ে বসে আছে তারা। কেউ তাদের মতের অন্যথা হলেই সে/তারা অনিবার্য ভাবেই "ছাগু"!
দুঃখিত এভাবে বলার জন্য।
আমার মতামত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, শীঘ্রই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আজকে নেট থেকে এক বিখ্যাত ছাগু (!?) ধরে আনলাম, ডঃ আলী রিয়াজ, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ষ্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যান সায়েন্সের অধ্যাপক। সম্প্রতি ঢাকা সফরে এক পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন-
🙂 😛 (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আরেকটা 'ছাগু'র সন্ধান পাইছি- সুলতানা কামাল 😛 । দেখেন তার ছাগুগিরির (!?) প্রমাণ -
সূত্রঃ প্রথম আলো- http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-14/news/336490
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx