[ভাবছিলাম, কয়েকদিন রেখে এইপোষ্টটা মুছে দিবো। কিন্তু আমার পরের পোষ্ট আর এইটার মধ্যে বেশ কিছু ওভারল্যাপ হয়ে গেছে, মূল পোষ্ট, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যেও। তাই এটা রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।]
আমার সর্বশেষ পোষ্টের মন্তব্যে কামরুল আমাকে ‘ছাগু’ বলেছে। এতোদিন অনলাইনের জগতে নিজের আত্মপরিচয় সংকটে ভুগতাম। আজ ক্যাডেট সম্পর্কের সূত্রে ছোটভাই কামরুল আমাকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করলো। ধন্যবাদ কামরুল (আমাকে ছাগু বলার সাথে সাথে তুমি যে-ই ধন্যবাদ দিয়েছে, সেই রকম)।
আমার পরিচয়ের সংকট কেন?- কারণ, আমি যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলি, তখন সেটা চেতনাজীবিদের সাথে মিলে যায়; আবার অযথাই কোন বাংলাদেশীকে শুধুমাত্র মুসলমান বা মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ার জন্য রাজাকার বললে যখন প্রতিবাদ করি, সেটা যুদ্ধবিরোধীদের সাথে মিলে যায়। যখন বিশ্বজিৎকে খুন করার সমালোচনা করি, তখন সেটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎকারীদের সাথে মিলে যায়, আবার যখন গোলাম আজম-নিজামী-মুজাহিদদের বিচারের পক্ষে বলি, সেটা চেতনাজীবিদের সাথে মিলে যায়।- অর্থ্যাৎ, আমি যা’ই ভাবি না কেন, সেটা হয় যুদ্ধাপরাধী (+বিএনপি) না হয় চেতনাজীবি (+আওয়ামী) পান্ডাদের সাথে মিলে যায়। এই অবস্থায় নিজেকে “খাঁটি মুনাফেক” ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। – আজ কামরুল আমাকে একটা নির্দিষ্ট পক্ষভুক্ত করে মুনাফেকির দোষ থেকে মুক্তি দিলে। সেই জন্য তোমাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ (তুমি আমাকে ছাগু বলে তারপর যে ধন্যবাদ দিছ, সেইটা না)।
এখন দেখি কামরুলের ছাগুর সংজ্ঞা কি বলে। সে বলেছে-“ট্র্যাইব্যুনালের নিরপেক্ষতাকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদেরকে আমার ছাগল ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।”- কারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে?-
ট্রাইব্যুলানের প্রধান বিচারক প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যে, অন্য কারো কাছে, এমনকি নিজের স্ত্রীর কাছেও মামলার বিষয়ে কোনরূপ আলোচনা করলে তা’ তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আর কতিপয় দুস্কৃতকারী তার ইমেইল আর স্কাইপে হ্যাক করে বের করল যে তিনি মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন একাধিক ব্যক্তির সাথে গোপনে পরামর্শ করছেন, একবার নয়, একদিন নয়, অসংখ্যবার, দীর্ঘদিন। তাও আবার এমন ব্যক্তিবর্গের সাথে, যারা এই মামলার আসামীদের ফাঁসীর দাবিতে সোচ্চার। – এইটা মামলার নিরপক্ষেতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করলনা, সেটা করল আমার প্রশ্ন করাতে?!
বিচারকের এই বেআইনী ভাবে গোপনে আদালতের সাথে সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের সাথে বাৎচিৎ অবশ্যই বিচারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কাজেই, উদ্ধৃত সংজ্ঞা অনুসারে ঐ বিচারকই সবথেকে বড় ছাগু, তারপরে তার সাথে এই কেলেংকারিতে জড়িতরা, তারপরে যারা তাদেরকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ক্রমাগত ত্যানা-পেচিয়ে অযথাই আরো দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তারা।
আসলে সবার থেকে বড় ছাগু হচ্ছে যে/যারা এই ধারণাটা প্রতিষ্ঠা করেছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে নিরপেক্ষ। এইটা না হলে ত’ এতো ভেজাল হতো না। অবশ্য তা’তে আমার একটা ব্যক্তিগত সমস্যা হতো- আমি যে আসলে ছাগু, কামরুলের কাছ থেকে সেই জ্ঞানটা পাওয়া হতো না। অতএব, বিচার নিরপেক্ষ হতে হবে এই ধারণা প্রতিষ্ঠাকারী হে ছাগু/ছাগুবর্গ, তোমাকে/তোমাদেরকে ধন্যবাদ।
:teacup: মাহমুদ কুল ডাউন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মাহমুদ ভাই, কামরুলকে নিয়ে কিছু বলার নেই। মতামত দেবার অধিকার থাকতেই পারে। কিন্তু লেভেলিং করা মনে হয় আমাদের জাতীয় রোগ। এবং এর কোন চিকিৎসাও এ পর্যন্ত জানা নেই। যাদের মধ্যে কিছুটা আরোগ্য লাভের লক্ষণ দেখেছি এদের প্রায় সবাই বাইরের জগতের অভিজ্ঞতা নিয়েছে আর বুঝতে শিখেছে এই বিশ্বে প্রতিটি মানুষের মতামতের অধিকার কাছে কিন্তু লেভেলিং এর নয়। আপনার লেখা পড়ি, কিন্তু কমেন্ট করিনা কারণ আমি ও যে লেভেলিং এর দিএন এ বহন করছি। পরে আমার নিজের সুপ্ত রোগই বের হয়ে আবার অন্য কারো মনঃকষ্টের কারণ হয়!
@রাজীব,
এখানে যে লেভেলিং নিয়ে কথা হচ্ছে, তা'র উৎস নির্দিষ্ট, কেন তাও পরিষ্কার। কাজেই, আমি এটাকে জাতীয় রোগ বলে দায়ীদেরকে আড়াল করতে রাজী নই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই, আমি আপনার এই সাহসিকতা এবং ধৈর্যকে স্যালুট করি। আমার পক্ষে এক চুখ অন্ধ মানুষকে দুই চুখ দিয়ে দেখানোর কাজটা বেশ কঠিন, এমন কি কখনও কখনও অসাধ্যও মনে হয়।
অফ টপিক, একটা কনফারেঞ্চে ইউসিএলএ গিয়েছিলাম গতবার যখন আপনার সম্পর্কে জানতাম না। পরের কোন সুযোগে সাক্ষাতের ইচ্ছা রইল।
আপনাকে সাকুরার দেশে আবার আসার আমন্ত্রন রইল। আমি ডঃ ইউনুসের সাথে সরাসরি জাপান অর্থমন্ত্রনালয়ের অধীনে কাজ করে, পরে ছেড়েছি কারণ শুভঙ্করের ফাঁকি দেখেছিলাম। এখন ক্ষুদ্র ঋণের বিকল্প নিয়ে বাংলাদেশে ফিল্ডওয়ার্ক করছি। আপনার এই বিষয়ে লেখাগুলো প্রেরণা যোগায় কারণ বেশির ভাগ শিক্ষিত লোকই নোবেল পুরষ্কারের দোহাই দিয়ে গরীব লোকগুলোর দীর্ঘকালীন পভার্টি লুপটি এড়িয়ে যান।
ভাল থাকুন।
রাজীব,
সাকুরার দেশে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ পেয়েছি একটা, এক বছরের ফেলোশীপে, হোসেই উনিভারসিটিতে। কাজেই ইউসিএলিএ'তে আর আসতে বলছি না।
আমাকে mahmud735এটgmail.com এ লিখতে পারো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দুঃখ পেলাম লেখাটা পড়ে। জামাতিদের কৌশল যে সফল সেটা শাহরিয়ার কবীর বা আপনার এ লেখা পড়ে বোঝা যায়।
জিয়া ভাইয়ের স্কাইপ কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট আমি পুরোটা পড়ে দেখেছি। কোথাও পেলাম না তিনি গুরুত্বপূর্ন কোনো তথ্য ফাঁস করেছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে এবং এই আলোচনা করার পেছনে যে যুক্তি সেটাকে আমার যুতসই মনে হয়েছে। নতুন কোনো কাজ করতে হলে আমরা কি আশে আশে সমমনা/সমপারদর্শী মানুষের সাথে আলোচনা করি না? আমরা কি খবরের কাগজ, বই, একাডেমিক জার্নাল এসব পড়ি না? সেটাও তো আরেকজন মানুষের লেখা। যুদ্ধপরাধের বিচারকের তাহলে তো খবরের কাগজও পড়া উচিত নয়। বিশেষ করে একই খবরের কাগজ তো কখনই নয়।
এটা শুধু আপনার মনে হয় না, অন্তত বাংলাদেশেই আরও কোটি মানুষের মনে হয়।
আমার তা' মনে হয়নি। আর সেইজন্য আমি ছাগু হয়ে গেলাম! অন্য পোষ্টের মন্তব্যে প্রশ্ন করেছো আমি 'প্রগতিশীলতা' আর 'মুক্তমনা' শব্দদুটিকে অপছন্দ করি কেন। আমি এই শব্দদুটোকে নয়, অপছন্দ করি এইগুলার অপব্যবহার দেখে। আজ ত' কেউ এই উদ্ধৃতি কোট করছে না যে, আমি তোমার মত না মানতে পারি, কিন্তু সেটা প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত? উলটা ছাগু ট্যাগিং করছে!
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
রায়হান আমি মুটামুটি শিওর যে বিচারপতি হাবীবুর রহমানের কোর্ট থেকে গো আযম নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পান।
হাবীবুর রহমানের দেশপ্রেম আর তার যোগ্যতা নিয়া প্রশ্ন তোলাটা বাতুলতা মাত্র।
আমরা সবাই একবাক্যে বলবো, (ছাগু বাদে, আর কিছু বোকা বাদে) গো আযমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাবার অধিকার নাই। তাইলে পাইলেন ক্যামনে! খুইজা দ্যাকতে হইবো কোন ঘি-মাখন খানেওয়ালারা কেস লড়েছিলেন আযম মিয়ার বিরুদ্ধে।
না সংবাদপত্র পড়াও হয়তো উচিত না।
খেয়াল আছে কিনা, লতিফুর রহমান ২০০২ এ বলেছিলেন তিনি হোম ওয়ার্ক করে এসেছেন। আজ কিন্তু তার সেই পদক্ষেপ ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।
আমি জামাতের এই কুকামকে খুব পজিটিভলি নিছি।
জিয়াউদ্দিন বা নিজামুল হকের উদ্দেশ্য যে ১০০ ভাগ সৎ ছিলো তাতে কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে দেখলে বলবো, আমি বিব্রতবোধ করেছি। তবে মাহমুদ(আমার দেশ) মিয়া রে শক্ত ডলা দেয়ার সময় আসছে।
তার জন্য হাজতে ডজন খানেক রাজ হাসের ডিম রেডি করার আবেদন করছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নিজের মতের সাথে মত না মিললে এই ব্লগে যেভাবে গালি চলে তাতে এটাকে এখন আর ক্যাডেট কলেজ ব্লগ মনে হয়না। মনে হয় সামু ব্লগে আইসা পরলাম নাকি। নইলে ব্লগে একজন ৪ বছরের সিনিয়র কে মানুষ ছাগল কেমনে বলে। আর অন্য সিনিওরদেরকে এর প্রতিবাদ ও করতে দেখলাম না। নুপুর ভাই শুধু মৃদু স্বরে একটু বকা দেয়ার চেষ্টা করলেন।
কিছু বলার নাই।তবে মাহমুদ ভাই এর পোস্টে আমিও এমন কিছু পেলাম না যার জন্য তাকে ছাগল গালি শুনতে হয়। তাইলে আমিও মনে হয় ছাগল।
ব্লগের এডমিন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। (অবশ্য ছাগলের কথার দাম কিবা আছে? দৃষ্টি আকর্ষিত না হইলেও পারেন)
@মনির,
কামরুল আমাকে ছাগু বলে ভালো করেছে। বিষয়টা এতোদিন চাপা ছিল, আজ প্রকাশ্যে আসল। এর আগেও আমার কমপক্ষে আরো দুটো পোষ্টে অনুরূপ সম্ভাবনা জেগেছিল। কেউ বুঝে, আবার কেউ ক্যাডেটদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কের কথা ভেবে আমাকে ছাগু বলে নাই। কিন্তু এটা যে অনুচ্চারে ছিল, সেটা বোঝা গেছে। আমিও অনুচ্চারে রেখেই আমার অবস্থানকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।
এখন প্রকাশ্যেই এই আলোচনা করা যাবে। তবে অবশ্যই সেটা সামু'র মতো করে নয়, ক্যাডেটসূলভ ভব্যতা রেখেই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মনির,
ব্যাপারটা আমার দৃষ্টিতে সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় -মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সিসিবিতে আমি কাউকেই এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চাইনা।তাছাড়া 'সিনিয়র'হিসেবে কামরুলকে 'মৃদু' বকা দিয়ছি - তোমার এ পর্যবেক্ষণও ঠিক নয়।কামরুল যদি বয়সে ছোট কাউকেও এ কথা বলতো, আমি এভাবেই বলতাম।
কামরুলের (বা যা কারো) যদি আমাকে 'ছাগু' মনে হয় সে আমাকে নির্দ্বিধায় বলতে পারে, সিনিয়রিটির দোহাই দিয়ে ইনডেমনিটি নেবোনা।এবং এই ট্যাগিং টা তোমার পছন্দ হয়নি, তুমি প্রতিবাদ করছো। শুধু 'সিনিয়র'দেরই কেন এগিয়ে আসতে হবে -- এটা সিনিয়রিটি জুনিয়রিটি ইস্যু নয়। এটা ক্যাডেট কলেজ নয়। তুমি, আমি, আমরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক -- নিজস্ব মতামত দেবার অধিকার, বয়স আমাদের হয়েছে।
'ছাগু' বিশেষণটি একটা নতুন শব্দে পরিণত হয়েছে। মাহমুদকে কিন্তু 'ছাগল' বলা হয়নি। 'ছাগু' বলার মাধ্যমে মাহমুদকে একটা বিশেষ দর্শন/কর্মে বিশ্বাসীদের গোত্রভুক্ত ধরে নেয়া হয়েছে।এখন এই 'ছাগু' বা 'ছাগু নয়' এই গোত্রবিভাজন করতে গিয়ে আমরা কি ব্যাপক সরলীকরণের স্বীকার হচ্ছি কি না সেটাই বিচার্য।
বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিকালীন সময় পার করছে। উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা দেখছি যুদ্ধাপরাধের বিচারকার্যের অগ্রগতি এবং আনুষঙ্গিক ঘটনাগুলো।এ অবস্থায় আমাদের দেখতে হবে - আমাদের মৌল ইচ্ছা কি, অর্থাৎ অপরাধীদের বিচার চাই, না কি চাই না। যারা চায়না তারা ইতোমধ্যে সংঘবদ্ধ, উদ্ধত, বেপরোয়া।যারা চাই, তাদের একত্রিত হতে হবে। সেই একত্র হওয়াটাকে সাংগঠনিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
:thumbup: :hatsoff:
নূপুর ভাই,
একত্রিত হতে হবে তা'তে একমত। কিন্তু সেইটা কিভাবে? হুমকি দিয়ে, ট্যাগিং করে? এতো বড় ম্যান্ডেট ত' নির্বাচিত সরকারেও দাবী করে না। আফটারল, সকলেই ত' 'খাঁটি ঈমানদার' না 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
একত্রিত থাকতে হবে, ট্যাগিংয়ে দমে না গিয়ে, বিভ্রান্ত না হয়ে। মনে রাখতে হবে 'ট্যাগিং' আসছে উৎকণ্ঠা থেকে, হতাশা থেকে।আমাদের যোগাযোগে সমস্যা থাকলে বিরোধীরাই লাভবান হবে।সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।
এমন মুহূর্তগুলো ভুলবোঝাবুঝি, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির উৎকৃষ্ট সময়।যে কোন মূল্যে এটাকে উতরে যেতে হবে।
আগামীকাল আমি যদি নার্ভ ঠিক না রাখতে পারি, তোমাকে ঠিক রাখতে হবে।
ব্লগের বুদ্ধিজীবিদের কাছে আমার আকুল আবেদন 'আওয়ামী লীগ না করলেই রাজাকার' এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসুন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এখন।
অত্যন্ত হাস্যকর এই ধারণা কিন্তু প্রোপাগেট করছে জামাতিরাই।
উল্টো দিকে জামাতের সংগে বিএনপি যেভাবে প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে গাঁটছড়া বেঁধেছে তাতে তাদের পক্ষে একজন সচেতন মানুষের যাবার প্রশ্নই আসেনা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছেধারী সরকারের প্রয়োজন -- এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।ইতিহাসের নীচে প্রায় চাপা পড়ে যাওয়া ইস্যুটাকে আবার ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব তো আওয়ামী লীগকে দিতেই হবে, না কি।
কাজেই দেশের ক্রিটিকাল ঐতিহাসিক মুহূর্তে 'আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলেই গায়ে ময়লা লেগে গেলো' এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করার জন্য আমাদের শেষ পর্যন্ত যেতে হবে।এটাকে অসমাপ্ত রেখে গেলে আওয়ামী লীগকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে -- বাকীরা তো হাত ধুয়ে বসে আছে।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
নুপুর ভাই,
এইযে লাইনে চলে আসেছেন। কি সুন্দরভাবেই না বললেন একজন সচেতন মানুষের বি এন পি করা উচিত নয়। আবার বললেন যে আওয়ামীলীগ না করলেই রাজাকার এটা নাকি জামাতিরা বলছে, আমার কিন্তু কোনও ভাবেই কামরুল ভাই রে জামাতি মনে হচ্ছে না, কিন্তু উনার কথা বার্তায় মনে হয় উনি নন আওয়ামীলীগদের রাজাকার মনে করেন
আর উনার মন্তব্যগুলা আর একবার পরে দেখুন। উনি একটাতে ছাগল শব্দটাই বলেছেন। হয়তবা আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে বা আপনি ইচ্ছে করে এড়িয়ে গেছেন। আর নাম যেহেতু ক্যাডেট কলেজ ব্লগ সিনিয়র জুনিওর ব্যাপারটা তো থাকাই উচিত নাকি।
আর কোনও এডমিন যেহেতু এখনও কিছু বলেননি, তার মানে হচ্ছে এই ব্লগে আওয়ামীলীগ ছাড়া বাকি সবাইকে ছাগল বলা যায়। তাইলে এটার
নাম ক্যাডেট কলেজ আওয়ামী ব্লগ দিলেই ত ভাল হয় নাকি?
মনির,
বিএনপির কার্যকলাপ, তার উৎপত্তি,অতীত, বিশেষ করে ঘটমান বর্তমান - এসব বিবেচনা করে সচেতনভাবেই বলেছি বৈ কি।বিএনপির ইদানিংকালের কার্যকলাপের পক্ষে তোমার কোন বক্তব্য থাকলে জানাও --শুনি কিছুটা।
'আওয়ামী লীগ না করলেই রাজাকার' কামরুলের মুখে কিন্তু তুমিই একথা বসিয়েছো। এখন বলছো সে নন-আওয়ামী লীগারদের রাজাকার 'মনে' করে।এটা অত্যন্ত সিরিয়াস একটা অভিযোগ কামরুলের বিরুদ্ধে। আশা করি, প্রমাণ দেখাতে সমর্থ হবে। তোমার মনে হওয়াটাই শেষকথা নয়।
এবং নানান ব্লগে, অন্তর্জালে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বিচারের পক্ষীয় লোকদের কি গণহারে আওয়ামী লীগার বলে গাল পাড়া হচ্ছে তার খবর রাখি বলেই ওই কথাটা বলা।কামরুলকে ডিফেণ্ড করার জন্য নয়, আশা করি সে নিজেকেই ডিফেন্ড করার ক্ষমতা রাখে।
কামরুলের মন্তব্যে ছাগল শব্দটা আসলেই আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।কাজেই সে মন্তব্যে গিয়ে দেখলাম তার আগে 'জামাতি' শব্দটা আছে।
জামাতিদের ছাগল বলাতে আপত্তির কিছু দেখিনা, তুমি কি দেখো? আমার এখনো মনে হচ্ছেনা সে মাহমুদকে 'ছাগল' বলেছে - সে মাহমুদকে যা বলার সরাসরিই বলেছে।
তবে 'ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাবার' অপবাদটা না দিলেও পারতে।এটুকু কনফিডেন্স আশা তো করতেই পারি, না কি।
আমি এখনো বলছি, ক্যাডেট কলেজ ব্লগে সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটির হায়ারারকি না থাকাই ভালো।
আর শেষ প্যারায় যা বললে তা আমি শিওর তোমার উত্তপ্ত মস্তিষ্কের সৃষ্টি। এতটা প্রতিক্রিয়াশীলভাবে ভাবার কি দরকার আছে? তুমি কি বুঝতে পারছো সিসিবিকে ক্যাডেট কলেজ আওয়ামী ব্লগ ডেকে তুমিই শৃঙ্খলা/এটিকেট ভাঙছো?
নূপুর ভাই,
কামরুল শুধু জামাতিদেরকে ছাগল বলেনি, সে অন্যান্য আরো অনেককেই (যে লিষ্ট দিছে তা'তে ইনফ্যাক্ট আওয়ামী লীগ ছাড়া আর সকলকেই) অন্তর্ভূক্ত করেছে।
আপনার উদ্ধৃত অংশের ঠিক পরেই দেখেন সে কি লিখেছে -
দুইটা অংশ মিলিয়ে দেখেন, তাইলেই বুঝবেন যে, কামরুল শুধু জামাতিদেরকে নয়, নিজ দলের মতের বাইরে যেতে পারে এমন প্রায় সকলকেই ছাগল বলেছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
--এই কথাগুলো আমারো।এখন এই কথার জন্যে আমাকে যদি আওয়ামী লীগার ভাবা হয় তাহলে তো আর কিছু বলার থাকেনা।
যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে আমার স্পর্শকাতরতা কি আমাকে আওয়ামী লীগার করে দ্যায়? আমি আসলে জানিওনা কামরুল আওয়ামী লীগ করে কি না।
- এ অংশটিতে ' দলের' শব্দটি অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে সেজন্যে। না কি খালেদা, মওদুদ, জামাতের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং যুদ্ধাপরাধের পক্ষাবলম্বন মানেই আওয়ামীঘরানার হয়ে যাওয়া।
এই অংশটা পরেরবারো (মনিরের মন্তব্যের জবাব দেবার সময়) খেয়েল করিনি, আসলে কাজ থেকে বেরুচ্ছিলাম তাড়াহুড়োতে।
আন্তরিকভাবে দুঃখিত এটার জন্যে, যার জন্য মনে হতেই পারে আমি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছি।
উপরের মন্তব্যে এই অংশটা বাদ পড়ে গেছিলো কিভাবে জানি।
নুপুর ভাই,
অনেক কথাই তো বললেন। কিন্তু শুধুমাত্র কামরুল ভাই এর কমেন্ট টাই ঠিকভাবে পড়লেন না। আসলে সমাজে বুদ্ধিজীবীদের একটা দোষ কি জানেন একটা লেখার মধ্যে তারা যা দেখতে চায় শুধু তাই দেখে। নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে হবেনা। নইলে এত বার পড়ার পরেও ব্যাপারটা আপনার চোখ এড়িয়ে গেল এটা বিশ্বাস করা কঠিন।
আওয়ামীলীগ আল্লাহ প্রেরিত একদল ফেরেশতা । ওনাদের কোন আবুল নাই। উনারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি করেননা। উনারা হল মার্ক কেলেঙ্কারির সাথে কোনভাবেই যুক্ত না। উনারা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠা ই দেন নাই। সব বিচারকদের কারসাজি।
উনাদের ছাত্রলীগতো আল্লাহ প্রদত্ত গেলমান । সকল ছাত্রাবাস ওনারা
সুখে ভরিয়ে রেখেছেন।
তাছাড়া ১৯৯৬ তে ত উনারা জামাতের সাথে আন্দোলন ইচ্ছা করে করেন নাই। উনাদের উপর তখন ওহি নাজিল হয়েছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্তও তাদের স্বাধীনতার সপক্ষের হাত গরতের মধ্যে ছিল। সে হাত এখন ও বের হয় নি। উনারা একটা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ অপরাধীদের কাঁথা খুলে বসেছেন আর গত চার বছর ধরে স্বাধীনটার স্বপক্ষের লেজ দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়ছেন । উনাদের স্বপক্ষে অনেক কিছুই লেখা যায়। আমাদের গেয়াতি ভাই ইন্ডিয়াকে উনারা বিনা পয়সায় ট্রানজিট দিয়ে দিচ্ছিলেন। ভাইয়ের কাছ থেকে কি পয়সা নেয়া যায়? তবে কিছুদিন আগেও উনাদের উপর আবার ওহি নাজিল হয়েছিল। উনারা স্বৈরাচারীর সাথে তাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন।
এছাড়া বি এন পি আবার কে করে। উনাদের হেড তো একজন রাজাকার ছিলেন। যুদ্ধের সময় উনি গ্রেনেড দিয়ে টাকায়ে বাঙ্গালীর মাথা ফাটিয়েছেন ।
এছাড়া পিতা মুজিব বাকশাল গঠন করেছিলেন কারন সে সময় এছাড়া কোনও উপায় ছিল না। যুদ্ধের সময় এত কষ্ট করে স্বাধীন করা দেশে তিনি ছাড়া আর কেউ শাসন করবেন তা একেবারেই ঠিক না।
তার কন্যা ও কম যান না। তত্ত্বাবধায়ক টধায়ক এ সব আবার কি, দেশ তো তার বাবার ই। ঢাল একটা পেয়েছেন যুদ্ধপরাধ। এত সহজে কি বিচার করা যায় । বেশী তাড়াতাড়ি হয়ে যায় তাই একটু খেলিয়ে নিচ্ছেন।
আসলে ভাই জানতে চান আমরা নিরপেক্ষ বিচার চাই কিনা , সত্যি কথা আমার মত বি এন পির বেশীর ভাগ লোক চায় যে ভাই এদের বিচার ফিচার লাগবেনা। তাড়াতাড়ি ঝুলিয়ে দেন। যাতে তত্ত্বাবধায়ক এর জন্য হরতাল করলেও বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে শুনতে না হয় সব বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র ।
মনির,
তোমার শ্লেষাত্মক মন্তব্য মাথা পেতে নিলাম।'বুদ্ধিজীবী' বলে গালিও মাথা পেতে নিলাম।মিথ্যেবাদীও বলে নিলা এই ফাঁকে।
আওয়ামী লীগের সরকার সম্পর্কে যা বলেছো, তা কোন্ সরকারের আমল সম্পর্কে সত্য নয় বলতে পারো?
তোমার এই পুরো অবতারণাটিতে 'আওয়ামী লীগ'কে টেনে আনার কারণটাও তো আমি বুঝতে পারছিনা। কামরুলকে 'আওয়ামী লীগার' মনে হলো বলে? সেই মনে হওয়া থেকে বদ্ধমূল ধারণায় পৌঁছে যাওয়া কতটা যৌক্তিক। তাছাড়া কামরুলের দায় পুরো সিসিবিকে নিতে হবে কেন।
তাড়াতাড়ি ঝুলিয়ে দেন মানে কি? আর 'আমরা' বলতে তুমি কাদের বোঝাচ্ছো।
আর আওয়ামী অপশাসন আর দুর্নীতির জবাব যদি বাংলাদেশীদের কাছে জামাতের লেজ ধরা বিএনপি হয়, তাহলে আর কি-ই বা বলার থাকতে পারে।
নুপুর ভাই,
আওয়ামীলীগ টানলাম কেন বুঝতে পারেন নি? ঐযে আপনি বললেন যে কোনও সচেতন মানুষের বি এন পি করা উচিৎ নয়।ওখানে আপনি হটাৎ করে বি এন পি কে টেনে আনলেন। আমিও তাই একটু বলার চেষ্টা করছিলাম যে কোনও সচেতন মানুষের আওয়ামীলীগ ও করা উচিৎ নয়। আসলে যার যার যুক্তি তার তার কাছে। আপনি ও আমাকে হাজার টা কারন দেখাতে পারবেন কেন বি এন পি করা উচিৎ নয় , আমিও দেখাতে পারব কেন আওয়ামীলীগ করা উচিৎ নয় । তাই যুক্তি দেখাতে গিয়ে সচেতনতার সংজ্ঞা নিজের মত করে বানানো কোন কাজের কথা নয় ।
মনির,
এ কথা তুমি কিন্তু আগেই উত্থাপন করেছো, মনে পড়ে? তারপরই যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে আমার কথা বলা। এখন বলছো, আমি বলার পর তুমি আওয়ামী লীগের কথা তুলেছো? বাহ্!।
তাই একটু বলার চেষ্টা করলে যে 'সচেতন মানুষের আওয়ামী লীগও করা উচিত নয়?' কোনটা cause আর কোনটা effect এখানে, আমি তো কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি।
তাছাড়া আমি কিন্তু বিএনপি 'করা' নিয়েও কিছু বলিনি, বলিনি এমনকি আওয়ামী লীগ 'করা' নিয়েও। আমার মন্তব্যটি আবার পড়লে দেখবে আমি বলেছি, এই ইস্যুতে বিএনপির 'পক্ষে' সচেতন মানুষের যাবার প্রশ্ন উঠেনা।
দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকে যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা সম্পূর্ণ বিপরীত হতো, তাহলে আমি বিএনপিকে সমর্থন দিতে ও লীগকে ছুঁড়ে ফেলতে একফোঁটা দ্বিধা করতামনা।
আশা করেছি বোঝাতে পেরেছি/পারছি নিজেকে।
আর ওই জবাবটা পেলামনা, কামরুলকে কেন মনে হলো আওয়ামী লীগার। আমাকেই বা কি মনে হচ্ছে, 'বুদ্ধিজীবী' পরিচয়ের বাইরে রাজনীতির হিসেবে?
নূপুর ভাই এবং মনির,
আলোচনাটা ঠিক যুক্তি ধরে এগুচ্ছে না বলে নাক গলাতে বাধ্য হলাম।
@ মনির,
এইটা সকল মানুষের মধ্যকার সাধারণ প্রবণতা, সোসাল সাইকোলজীর যেকোন ইন্ট্রোডাকটরি লেভেলের বইয়ে 'perception' অধ্যায় শুরুই হয় এইটা দিয়ে। বুদ্ধিজীবিসহ সচেতন সকলেই তাই চেষ্টা করে এই প্রবণতাকে এড়িয়ে যেতে। কিন্তু তারপরেও সব সময় পুরোপুরি একে এড়ানো যায়না, স্বভাবগত কারণেই। কাজেই এর জন্য কাউকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী মনে করি না। তবে এটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা সকলেরই উচিত, তা নাহলে যৌক্তিক চিন্তা+ভাবনা অনিবার্যভাবেই প্রতিক্রিয়ার চক্রে পড়ে ঘুরপাক খায়। যেমন, তুমি আওয়ামী লীগের দোষের ফিরিস্তি দিবে, প্রতিক্রিয়ায় নূপুর ভাই বিএনপির দোষের লিষ্ট দিবেন। বাস্তব হচ্ছে, দুই দলই অগণিত দোষে দুষ্ট। আর একটার বদলে আরেকটার দোষ নিয়ে পড়লে শুধু তর্কই হবে, কাজের কাজ (তথা উত্তরণের উপায়) কিছুই হবে না।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
নূপুর ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ, প্রতিক্রিয়া না-দেখিয়ে ধৈর্য ধরে নিজের অবস্থান বোঝানোর চেষ্টা করছেন বলে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দাদা :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
এখানে আওয়ামীলীগের প্রসঙ্গ কেন আসলো বুঝলাম না? যুদ্ধাপরাধের বিচার চাচ্ছেন সবাই , হয়তো এ ব্যাপারে অনেকের অবস্থান অনেক বেশি দৃঢ় । তাতেই তারা সবাই আওয়ামীলীগ করেন এমন মনে করার কারণ কী? এটা কি আরেকটা অতি সরলীকৃত ট্যাগিং হয়ে গেলোনা?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কুল ডাউন এগেইন। কিছুদিন আগে আমার এক বড়ভাই আমাকে আনফ্রেন্ড করলেন, ব্লক ও। সে আওয়ামী রাজনীতি করে, উপরের দিকে।
গতকাল এক বড়ভাই আমকে আন ফ্রেন্ড করলেন কারণ আমি জামাতের বিরুদ্ধে বললাম তাই। কি যে বিপদে আছি।
মাহমুদ আমি যে তোর কষ্টটা বুঝতেছি না তা না।
কিন্তু এটাও তো মানতে হবে আমরা নিজেরা নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অন্য কারো হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছি নাতো। ৭১ এর পরের মুজিবের কথা একবার ভাব।
আমি এই মহুর্তে আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করি দুইটা কারণে
০১ যুদ্ধাপরাধী ইস্যু
০২ বেটার অপসন নাই বইলা
আরেকটা কথা বইলা নেই আমি আজীবন কিছুটা আওয়ামী লীগ ঘেষা হইলেও ২০০২ সালে ভোট দিছি বি এন পি রে।
যদিও আমার আসনে এমপি ছিলেন আহসান উল্লাহ মাষ্টার। এরপর উনার ছেলে রাসেল। সে যদি উলটাপালটা কিছু না করে তবে বলা চলে এই সিটটা তার আজীবনের জন্য হয়ে গেছে।
২০০২ এ বি এন পি রে ভোট দেয়ার কারণ ৯৬-০১ এ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অযোগ্যতা, বিশেষ করে সন্ত্রাস। আর আমি বদরুদ্দোজা গঙের কথা বিশ্বাস করেছিলাম নির্বাচনের পূর্বে।
যাই হোক এইসব কথা অবান্তর। শুধু একটা কথাই বলবো আমি আমার মগজ ভাড়া দিই না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তোর আর্গুমেন্টটা বুঝি নাই। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ/বিএনপি আর মগজ ভাড়া দেওয়ার প্রসংগ নিয়ে আসায়।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:teacup: আরেক কাপ খা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
জিহাদ আর নূপুর ভাইয়ের মন্তব্যের রেশ ধরে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটা ব্লগ লেখা শেষ করলাম মাত্র। এখন চা-খাওয়া হবে 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
(সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
">
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কতটা বেআইনী? আলোচনা করতে পারো? না কি তুমি বলতে চাইছো আনএথিকাল?
দুটো শব্দের মধ্যে কিন্তু বিস্তর ফারাক।
এপ্রসংগে মুক্তমনায় এ পোস্টে অভিজিৎ-এর মন্তব্যটি দেখার অনুরোধ করছি।
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=32044
নূপুর ভাই,
আমি যখন কোন 'শব্দ' নিয়ে আলাপ করি, সেটা সুনির্দিষ্ট অর্থেই করার চেষ্টা করি। আমার বক্তব্যের মূলে হচ্ছে 'বিচারকের নিরপেক্ষতা', সেটা আইনী/বে-আইনী, নৈতিক/অনৈতিক কি না সেটা নয়।
আর নৈতিকতার প্রশ্নে আপনার সাথে আমার যে মতের অমিল নাই, সেটা ত' আগেই পরিষ্কার 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বিবেকের ভিডিও দেখছিস?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
না।
আপাততঃ দেখবোও না। আলোচনার সূত্র হিজিবিজি হয়ে যেতে পারে বলে। 🙂
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
জীবন নিয়ে দৌড়ের উপরে আছি তাই ব্লগে কম আসা হয়, কমেন্ট তো করা হয় আরও কম। যাই হোক, ২ টা ব্লগই পড়লাম, সব কমেন্টসহ। কিন্তু ব্লগ আর কমেন্টগুলার যথার্থতা কি সেটা বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে। মানে আমি বলতে চাইছি, বিচারকের স্কাইপের কথাবার্তা প্রচার হয়ে গেছে, ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের সম্মুখীন সবই তো বুঝলাম। এইটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার দরকার নেই, প্রতিদিন পত্রিকা, ফেসবুক, ব্লগ পড়লেই এগুলা বোঝা যায়। এখন কি করা যায়, ট্রাইব্যুনাল এখন ব্যাপারটাকে কিভাবে ট্যাকল করতে পারে, কিভাবে বিচারের রায় অতি তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, অথবা বিচারের রায় কি আদৌ আমরা পাবো কিনা এইগুলা নিয়ে কিছু বলার থাকলে বলেন। আমরা একটু বুঝতে পারি তাহলে কি হতে পারে।
এখানে কে লীগ, কে দল, কে প্রগতিশীল এগুলা নিয়ে কথা বলার কি আছে? সবাই যদি যুদ্ধাপরাধীর ( কেউ যদি না চান তাহলে আলাদা কথা ) বিচার চায় তাহলে কি করা যেতে পারে ওগুলা নিয়ে কিছু বলেন দয়া করে। আপনারা যখন ঝগড়া করছেন তখন ছাগু সম্প্রদায় কিন্তু পরের ক্লিপ নিয়ে রেডি হচ্ছে, আর এবার যদি বিচার না হয় তো ১০ বছরের পর এই দেশে কি হবে আমিতো সেটা ভাবতেই পারছি না।
( কমেন্টটি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে না নেয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে)।
একদম মনের কথা। ষড়যন্ত্রকারীরা সফল। আমরা নিজেদের মধ্যেই এখন বিভেদ সৃষ্টি করে ফেলছি। যখন এক থাকাটা সবচে বেশি দরকার ছিলো।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তানভীর,
ঝগড়াঝাটির কথা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে বললেও অসুবিধার কিছু দেখিনা। ফোকাস আসলেই সরে যাচ্ছে, সবসময় -সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।এবং সেই পয়েন্টগুলোতে অযথাই কালক্ষেপণ হচ্ছে/করছি।
যুদ্ধাপরাধের বিচার যারা চাই তাদের একত্রিত থাকতে হবে - সব বিভেদ, মতবাদের উর্ধ্বে থেকে।
নূপুর ভাই,
যুদ্ধাপরাধের বিচার অবশ্যই হতে হবে, কিন্তু সেটা নিয়ে রাজনীতি, ছাগু-ট্যাগিং করে বিভেদ সৃষ্টির দায় আইসিএসএফ কখনোই এড়াতে পারবে না। একত্রিত থাকতে হবে, কিন্তু সেটা যে গায়ের জোড় খাটিয়ে করা যাবে না, এই উপলব্ধি আইসিএসএফ এবং এর অন্ধ অনুসারীরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততোই মঙ্গল। তা না করে কার কার সুর জামাতের সাথে মিলে যাচ্ছে, সেগুলো খুঁজে খুঁজে ট্যাগিং করতেই থাকলে এক পর্যায়ে নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম, একান্ত বাধ্যগত চ্যালাচামুন্ডা ছাড়া আর কাউকে পাশে পাওয়া যাবে না, গণসমর্থন ত' দূরের কথা। মাস্তানী করে আর যা'ই হোক সকলকে একসাথে রাখা যায় না, কি রাজপথে, কি রাস্তায়। বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা দলের লেজুড়দের (এখন ছাত্রলীগ) অবস্থা দেখেও এই সরল সত্যটা বুঝতে না-পারা সত্যিই হতাশাজনক।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ,
'ছাগু' ট্যাগিংয়ের দায় আইসিএসএফ এর একার উপর কেন দিচ্ছো সেটা বুঝতে পারছিনা। আইসিএসএফ এর যদি দায় থাকে সেটা হচ্ছে এই ট্যাগিং থেকে একটা প্রফেশনাল দূরত্ব বজায় রাখতে না পারা।
'ছাগু' ট্যাগিং তো আর আইসিএসএফ শুরু করেনি, অন্তত আমি যতটা দেখছি।এটা শুরু হয়েছে বাংলা ব্লগগুলোতে।যেটা আপত্তির সেটা হচ্ছে ঢালাওভাবে এটার ব্যবহার হওয়া।বাংলাদেশের সবকিছুরই তো পোলারাইজেশন খুব দ্রুত আর নির্বিচারে হয় - তুমি পক্ষের না হলে বিপক্ষের।
আর 'যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আইসিএসএফ-এর রাজনীতি' প্রসংগে আশা করি আইসিএসএফ- এর কিছু বলবার থাকবে এবং বলবে।
আইসিএসএফ- এর সমালোচনা করা যাবেনা বা গায়ের জোর খাটিয়ে সমর্থন আদায় করে নিতে হবে এমনটা কি আমার কথায় মনে হচ্ছে তোমার? মনে কি হচ্ছে সরাসরি না বললেও ঠারে ঠারে বলছি?
গায়ের জোরে তো যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছেওনা, হচ্ছে কি?
আর 'ফোকাস সরে যাচ্ছে বা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে' কথাটা কিন্তু আর যাই হোক তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলা নয়।ভুল বুঝোনা।
সত্যি কথা কি জানো, এই লেজুড়েরা কাল সরকার পরিবর্তন হলে সুর পাল্টে ফেলবে, ভোল দল সবই পাল্টে ফেলবে। কাজেই 'সরল সত্য' আজকেই বুঝতে পারছিনা - বহু আগেই বুঝে গিয়েছি।
আমি বলছিলাম, আমরা তো অনেক এক্সপ্লয়েটেড হলাম। এবার আমাদের সময় সিস্টেমকে এক্সপ্লয়েট করার - বিশেষ করে আমরা সাধারণ মানুষ যখন এতই রাজনীতি-বিরুদ্ধ এবং সমাজের ভালোমন্দ সকল সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রাজনীতিকদের মুখাপেক্ষী।
এখন আমাকে যদি কেউ 'ছাগু' বলে বসে কোন সমালোচনা বা মন্তব্যের জন্যে, সেটা আমাকে আহত করবে সন্দেহ নেই - কিন্তু আমি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবোনা।
চোখে আঙুল দিয়ে ভুলগুলো ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করবো যতটা পারা যায়।
নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম, একান্ত বাধ্যগত চ্যালাচামুন্ডা দের হাত থেকে এই প্রসেসকে মুক্ত রাখার এটাই উপায় বলে আমি মনে করি।এটাই আমি বারংবার বলার চেষ্টা করছি।দেশের এই সময়ে আমার ব্যক্তিগত মান অভিমানের মূল্য সমান্যই।
নূপুর ভাই,
আইসিএফএস'কে উদ্দেশ্য করে বলা কথাগুলো কোনমতেই আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়, প্লিজ ভুল বুঝবেন না। আর আইসিএফএস এর নাম বলছি কারণ কিছু প্রচারণায় এর লোগো/নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই জন্য। আসলে আইসিএফএস এর উদ্দেশ্যে যে কথাগুলো বলা, সেগুলো একটা দল/মতকে উদ্দেশ্য করে বলা। এদের একটা বিষয় সমালোচনা করছি বলে কিন্তু এদের কৃতিত্বগুলোকেও অস্বীকার করিনা।
পুরোই সহমত। আর এজন্যই আমার ব্যক্তিগত পড়াশোনা বাদ দিয়ে পুরা দেড়-দিন ধরে সিসিবি'তে ব্লগ+মন্তব্য নিয়ে পড়ে আছি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অস্থিতিশীলতার পেছনের আসল পাণ্ডাগুলোকে না ধরে আওয়ামী লীগের সরকার যেভাবে নাস্তিকতা ইস্যুতে ব্লগারদের তালিকা প্রণয়নে লেগেছে তাতে করে মনে হচ্ছে সরকার ছাগুমাল্য মাথা পেতে নিচ্ছে।প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধের মতো একটি বিষয়কে মোকাবেলা করার মতো মাজার এবং মাথার জোর এই সরকারের নাই - এটা বুঝেও না বোঝার ভাব করছিলাম; 'যদি কোন মিরাকেল হয়েই যায়!' ভেবে মনকে প্রবোধ দিয়ে যাচ্ছিলাম। কার্যত এভাবে পরিবর্তন আসেনা - স্বল্পমেয়াদে বিপ্লব হয়না।