নিশিকন্যা

কাঁধে রাইফেল, নির্ঘুম লাল চোখ যা অন্ধকার তার হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছে, কোমরে গামছা বাঁধা, খালি পা, পরনে শতচ্ছিন্ন শার্টপ্যান্ট যেটার এখানে ওখানে ফেঁসে গেছে, কাদাপানিতে ভিজে আর রোদে শুকিয়ে খটখটে হয়ে আছে। হাতে পায়ে অসংখ্য কাঁটাছেঁড়ার দাগ, কোথাও কোথাও থেকে রক্তও পরছে। এসব দিকে কারো খেয়াল নেই। উত্তর দিকে একজায়গায় আগুন লেগেছে সবার দৃষ্টি সেদিকেই নিবদ্ধ। সবাই সেখানেই যাচ্ছে।

-আমি সবাইকে ক্যাম্পে জীবিত ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা দিতে পারবো না।

বিস্তারিত»

একটি কোটা আর বাংলালিংক

এইতো গত বছর-

রাজশাহী ভার্সিটি বি বি এ পরীক্ষা, আই বি এর কোচিং করে স্বভাবতই ধারণা জন্মেছিল, ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সেই ভুল পরীক্ষার হলে গিয়ে ভাঙল যখন দেখি পাশের ছেলেটি মহানন্দে দুইটি ক্যালকুলেটর একের পর এক ব্যবহার করে যাচ্ছে। ম্যাথ করতে যেয়েই যত বিপত্তি, এত বড় বড় ম্যাথ কিভাবে করবো? পাশের ছেলেটির ক্যালকুলেটর এর দিকে তাকাতেই সে বুঝতে পারল এবং মহানন্দে দুইটি ক্যালকুলেটর ই অন্যপাশে সরিয়ে রাখল।

বিস্তারিত»

চুপকথা(১-৫)

“চুপকথা” সিরিজের পাঁচটি
কবিতা:

এক.

রাত কেটে যাক চুমোতে
আজ দেবোনা ঘুমোতে

দুই.

অন্য সব ব্যাপারে হলাম না হয় অজ্ঞ
আজ থেকে আমি শুধু তুমি বিশেষজ্ঞ।

তিন.

গালের সাথে গাল মিলিয়ে তালের সাথে তাল
তোমার আমার কাটুক সময় দেখুক মহাকাল।

চার.

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ
তোমার কপালের টিপ

পাঁচ.

বিস্তারিত»

অদেখা

আজ আবার তোকে দেখতে ইচ্ছে হল,
কেন জানিনা; কিন্তু হল।
শীতের রাতে কিভাবে কুঁকড়ে থাকিস তুই?
কিভাবে নিজেকে আড়াল করিস কম্বলের উষ্ণতায়?
কিভাবে চমকে উঠিস স্বপ্ন দেখে?
আর পরক্ষনেই কিভাবে সামলে নিস নিজেকে-
পরম আত্মবিশ্বাসে?
আচ্ছা তুই কি চুল খুলে রাখিস , না’কি খোঁপা?
আমার কি মনে হয় জানিস?
– তোকে পুতুলদের মত ঝুটি করলেও বেশ লাগবে।

বিস্তারিত»

কিছু কৈশোর… (৩য় খন্ড)

(শিরোনামটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র একটি আত্মজৈবনিক গন্থ হতে অনুপ্রাণিত)

 

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা বা পুরো ব্যাবস্থাটা বাইরে থেকে অনেক আলাদা। কোন সন্দেহ নাই। একটা স্কুল বা কলেজের যে সকল কর্মকান্ড বাইরেও হয় সেগুলোও ক্যাডেট কলেজে একটু অন্যভাবে হয়। তবে কিছু আছে যেগুলো খালি ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব। এমন একটা জিনিস ছিলো কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে বা চলতি ঘটনা প্রদর্শনী। সব কলেজেই এই প্রতিযোগীতাটা হতো।

বিস্তারিত»

.আগামী

 

“ আমি চোর নই,
টোকাই? তাও না।
কিন্তু আমি চুরি করি
রাস্তার ছ্যাঁচড়া ছেলেদের মত দু-পয়সার বাতাসা নয়,
লজেন্স-টফি ও নয়।
কিন্তু তবুও আমি চুরি করি
অন্যদের মত পেটের দায়ে নয়; নিজের দায়ে।
আর কেনই করবনা বল?
প্রতিদিন লাইব্রেরীতে পদার্থবিজ্ঞানের ঐ বিশ্রী বইটা এমন ভাবে পড়তি
আর দুনিয়ার সবটুকু বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতি অর দিকে
আবার কি যত্ন করেই না পাতা ওল্টাতি!

বিস্তারিত»

অহেতুক চরণ সমষ্টি

জানি না কেন আমার পছন্দ হয় তোমাকে,
শুধু জানি পছন্দ করি ভীষনভাবে।
তোমার স্নিগ্ধতা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে,
তোমার কানের পাথরের রিং এ আটকে যায় আমার দৃষ্টি-
যতবার আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখতে চাই।
এক সময় তুমি হয়ে উঠো আমার আকাশ,
তোমার তুমি গ্রাস করে নেয় আমার আমিকে;
ভাবাভাবি বাদ দিয়ে তোমার সামনে দাড়াই
সোজাসুজি বলে দেই”আমি তোমাকেই ভালবাসি”

বিস্তারিত»

গল্প হলেও হতে পারে

আজ থেকে সাত বছর আগে আমার এই গল্পটা লিখেছিলাম,তারপর কলেজের বার্ষিকীতে ছাপান হয়,আমি যখন সামু তে প্রথম ব্লগ খুলেছিলাম তখন প্রথম এই লেখাটিই দিয়েছিলাম,আবার আমি এই লেখাটি তুলে দিচ্ছি কারন আমার খুবই  খুবই ভাল লাগার গল্প এটি………..

এ গল্প “ আমার” আর “তার”। সে ছিল একান্তই আমার।“তাকে” সবসময় রেখেছি অন্তরে সযন্তে । প্রকাশ করি নি কখনো শঙ্কায়। বাইরের বিষাক্ত পরিবেশে “তার” কিছু হলে যে আমি শেষ হযে যাবো।

বিস্তারিত»

অহেতুক চরণ সমষ্টি

অতি প্রিয় জানালার গ্রীল আজ জেলখানার অসহ্য গরাদ,
দেয়ালে সাঁটা লাস্যময়ীর ডাইনি দৃষ্টিতে
বারে বারে ভষ্ম আমি
সাধের বালিশ যেন কঠিন পাথর
উষ্ণতম কোমল শষ্যাকে ভুল করি উত্তপ্ত উনুন ভেবে
ছন্দের ঐকতান কে মনে হয় কামানের শেল্
সহজ যাপিত জীবন নির্বাসিত আজ।

বিস্তারিত»

বাংলা বাতাস

১ নিম্নলিখিত একটি বিষয়ে রচনা লিখঃ পূর্ণমান ২০

ক) বাংলা লিঙ্ক
খ) বাংলা ভাই
গ) বাংলা বাতাস
ঘ) বাংলা বাজার

১নং প্রশ্নের উত্তর
“বাংলা বাতাস”
সূচনাঃ
নিজেকে মাঝে মাঝে খুব ভাগ্যবান মনে হয়। বাংলাদেশে জন্ম হয়েছে বলে। এই বাংলা নামে পৃথিবীতে কত কিছু আছে। আর কিছু অন্যদেশের মানুষ জানুক কিংবা নাই জানুক, “রয়েল বেঙ্গল টাইগার” আর “বে অফ বেঙ্গল” এর কথা ত অনেকেই জানে।

বিস্তারিত»

বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন

আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।

উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।

বিস্তারিত»

“সত্যি বিচিত্র এই দেশ”

হরতালের বিরোধিতা করলেই সে সরকারী দলের চামচা না,
রাজাকারের ফাঁসি চাইলেই সে আওয়ামীলীগ না,
একটা গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের-
-জেলে ভরার প্রতিবাদ করলেই সে বিএনপি না,
শাহাবাগের গণজাগরন সাপোর্ট করলেই সে নাস্তিক না,
জামাত নিষিদ্ধ হোক চাইলেই সে ধর্ম বিরোধী না।

আমাদের দেশের শিক্ষিত, বুদ্ধিমান কিছু মানুষ একই জিনিস চান, তারা সবাই ঘুরে ফিরে দেশের জন্যই ভাবে হয়ত।

বিস্তারিত»

“মন বাড়িয়ে ছুঁই”

জুঁই কখনোই ভাবেনি ওর স্বামী এতটা কাব্যিক হবে। কবি ও কবিতার প্রতি জুঁইয়ের ক্ষোভ অনেক আগে থেকেই। কলেজে মোয়াজ্জেম স্যার বাংলা পড়াতেন। কবিতার ক্লাস গুলো অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নিলেও জুঁই এর কিছুই মাথায় ঢুকতোনা। এইচ এস সিতে যখন বাংলার জন্য গোল্ডেন মিস হলো সেদিনই জুঁই প্রতীজ্ঞা করেছিল জীবনে কখনো সাহিত্যিক অথবা কবি বিয়ে করবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একটা ছেলে জুঁইকে পাগলের মত ভালোবাসতো। যতটা ভালো একটা মানুষকে বাসা যায় এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু।

বিস্তারিত»

গর্ভ

(গল্পটি ২০০৯ লেখা। ব্লগে পোষ্ট করলে লেখাটির একটি অস্তিত্ব থাকে। তাই পোষ্ট করা।)

নদীটি খুব একটা প্রশস্ত নয়। আবার নালার মতো সরুও নয়। তবে নামটি এর কাছাকাছি। একটু অদ্ভুত। নলছিটি। আর বাদবাকী সবকিছু একই রকম। সেই চিরাচরিত গ্রামের দৃশ্য – নগরে বাস করা ট্রেনিংপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুরা যেরকমটা এঁকে থাকে। একটি নদী। তারপাশে দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত। দূরে একটি প্রকাণ্ড বটগাছ। সেই বটগাছ থেকে পাকানো রশির মতো লম্বা লম্বা ঝুল নেমে এসেছে।

বিস্তারিত»

খাপছাড়া সময়ের গদ্য

এক তারা ভরা রাতে মাঝ দরিয়ার ঝিরিঝিরি বাতাসের মাঝে বসে আমরা হঠাৎ শুনতে পেলাম, থাবা বাবাকে জবাই করা হয়েছে। মেরুদন্ডের ঠিক মাঝ দিয়ে ঠান্ডা কিছু একটা সরসর করে নেমে গেলো। আমার ছাব্বিশ বছর বয়স্ক মস্তিষ্ক খবরটার জন্য প্রস্তুত ছিল না। রুমে ফিরে এসে আবীরকে ধরে আমি ফুপায় ফুপায় কিছুক্ষণ কাঁদলাম, আমি জানতাম সুযোগ পেলে ওরা এই ছেলেকেও ছাড়বে না।

সেই রাতটা ছিল অসহনীয়,

বিস্তারিত»