১
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আন্দোলন চলছে, দিনে দিনে তা চারাগাছ থেকে মহীরুহে পরিণত হচ্ছে। প্রাথমিক উত্তেজনা খানিকটা থিতু হয়ে আসায় এখন এই গাছে কি ফলের সম্ভাবনা আছে, তা কবে পরিপক্ক হবে, কার পাতে যাবে- এইসব নিয়ে খানিকটা চিন্তারর ফুরসত পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রক্ষিতে রাব্বীর ব্লগটা খুব পরিচ্ছন্ন একটা ধারণা দিল এই আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত নিয়ে। এটা খুবই সত্য যে, স্বাধীনতা-উত্তর দেশে ইসলামীকরণ হয়েছে, আর সেই সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্রমশঃ দূর্বল করে দিয়ে দেশকে বারবার পেছনে ঠেলে দিয়েছে।
বই সমালোচনা “বিতংস”
খান আরিফা লোপা আমার বই “বিতংস”এর একটি সমালোচনা করে। সেটি এখানে পোস্ট করে দিলাম।
লোপা বুয়েটে আমার এক ক্লাস উপরে পড়তো – স্থাপত্যবিদ্যায়। যদিও আমেরিকাতে এসে সে বিষয় পরিবর্তন করে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েছে। লোপার চিন্তা-ভাবনায় তার একটা নিজস্বতাবোধ কাজ করে। ওর বাবা কবি রফিক আজাদ যার “ভাত দে …” কবিতাটি মনে হয় সবারই কমবেশি জানা। যেহেতু এই কবিতাটি রচনাকালের সেই সময়টা আমার লেখায় উঠে এসেছে তাই আগ্রহ ছিল লোপা কি বলে তা জানার জন্য।
“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার; জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ, আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।
খাটের পাশে রাখা গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
বইমেলায় মোস্তফা মামুনের নতুন বই………
আমাদের ব্যাচের ব্লগার বন্ধু ফরিদ অবশ্য ইতোমধ্যে ফেসবুকের প্রতিটি পাতায় পাতায় এঁটে দিয়েছে। আমি ওর টাই কপি করলাম। কি আর করা?
ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ক্যাডেট নম্বর ৫৯৫, কলেজ ক্যাপ্টেন, ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার ইত্যাদি সাড়া জাগানো বই এর লেখক মোস্তফা মামুন (সি ক ক) ভাই এর এবারের বই মেলায় এসেছে নিচের বইগুলো-
১। লাল শার্ট – অন্বেষা প্রকাশন
২।
ভোরের আলো
আমি দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করতাম
রক্ত মাখা শরীর , ছিন্ন বসন
বোবা চোখের চাহনি,
আমার ঘুম হয়নি হাজারো রাত
রক্ত মাখা শরীর , ছিন্ন বসন
বোবা চোখের চাহনি,
আমাকে তাড়া করে ফেরে।
আমি রাস্তাই হাঁটতাম ভীত হয়ে
আমার চারপাশে পিশাচের দল পতাকা নিয়া উল্লাস করে,
আমি ঘরে বন্দি ছিলাম।
আমি চিৎকার করে বলতে পারিনা
ওরা আমার কণ্ঠ চেপে ধরে
আমি কথা বলা ভুলে গেছিলাম।
ডায়েরি প্রেমী শিক্ষক ও কতিপয় ক্যাডেট
কলেজে নতুন টিচার এসেছেন । তিনি নাকি আবার কোন কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপল স্যারের পুত্র। এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা ছিলোনা। কিন্তুু মাথাব্যথা বেড়ে গেলো যখন জানা গেলো স্যারের অভ্যাস ক্যাডেটদের ডায়েরি পড়া। একে তো ব্যক্তিগত ডায়েরি, তার উপর ক্যাডেটের ডায়েরি, সেটাও আবার সিভিলিয়ান হয়ে! পুরো কলেজের মাথায় আগুন ধরে গেলো। শিক্ষা দিতে হবে উনাকে!
প্রথম পরিকল্পনা, ক্লাসের যে পার্টি ডায়েরি লিখত,তারা ডায়েরি আনা বন্ধ করে দিল প্রেপ টাইমে।
বিস্তারিত»শ্লোগান মশাল
নিঃশেষ না হলেও স্বপ্নগুলো দিন-দিন সংকুচিত আর বিবর্ণ হয়েছে অনেক।শরীর ও আচরন থেকে পিছু হটে তারুন্য এখন বাস করে বুকের খুউব গভীরে; সচরাচর তাকে ঘাটাই না। কিন্ত শাহবাগের গগন-বিদারী শ্লোগান সেখান পর্যন্ত পৌছে গেছে।
বিশ বছর আগে পিজি হাসপাতালের কেবিনে পৃথিবির সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির শিয়রে বসে নির্বোধ আশাবাদী হয়ে যখন তার সুস্থতার স্বপ্ন দেখতাম, তখন আমি টিন-এজার।ডাক্তারদের নিরাশা সত্য হয়েছিল; মা চলে গিয়েছিলেন।ফ্যাকালটিতে যাবার পথে কিংবা কোন কাজে শাহাবাগ ক্রস করার সময় বাস কর্মীদের ‘শাহবাগ’ ‘শাহবাগ’চিৎকার আমার সেই শোক-কে জাগ্রত করেছে বারবার……।
বিস্তারিত»কাক-কবি-চিল
১.
অতঃপর ভোর হবে,
আমি হাততালি দিয়ে বলবো,”পায়রা ওড়ো!”
তুমি চা আনতে আনতে বারান্দার রকে বসে একবার দেখবো
ডিগবাজী খেতে খেতে নেমে আসছে আমাদের প্রিয় গিরিবাজ
আমিও বৃদ্ধ হবো একদিন,যেমন তুমিও…আমাদের ধূসর চুলে
হাত রেখে সময়ের ওল বুনে যাবে,
রঙচঙে সুয়েটার গায়ে আমাদের সন্তানেরা রোদ্দুরে দাঁড়াবে
শুধু ভাঁড়ার ঘরের খোলে পড়ে থাকবে পুরোনো মেসেজ,
আর আজকের মতই দুরত্ব- ২৯৩ মাইল মাত্র
আর ইঁদুরের থেকে বেঁচে যাওয়া ৩৩ হাজার ইনবক্স!
তোমার হাতটা ধরতে দেবে তো?
আজ ভোরের সূর্যটা দেখেছিলে নিশ্চয়ই?
শীতবুড়ির কুয়াশার চাদরের আড়াল থেকে বেড়িয়ে কেমন রঙ্গিন হয়ে উঠেছিলো!
কিন্তু সেই রাঙা রোদ নয়, তোমার রাতজাগা চোখের তারায় ঝিকমিকিয়ে উঠা
দেশপ্রেম আর চেতনা আমার ঘুম ভাঙিয়েছে আজ!
ভোরের প্রথম আলোকরশ্মি মেখে মিটমিটিয়ে হাসছিল জড়াজড়ি করে দাঁড়ানো
রংধনু রঙ ডালিয়া, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকারা-
কিন্তু তোমাদের তুলির আঁচড়ে জ্বলজ্বল করতে থাকা প্রাণের বর্ণমালা যখন
ব্যানার,
বিস্তারিত»স্বীকারোক্তি… সহজ স্বীকারোক্তি
বাহ, আজ অনেকদিন পর খুব ভালো অনুভব করছি। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে নিজেকে। শিরায় শিরায় আজ আমার খুশির ঢল নেমেছে। মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, ফাসি হয়নি। তাই আমার আজ আনন্দিত উদ্বেলিত না হবার কোন কারন নেই। নিজেকে বেশ হালকা লাগছে। সারাটা দিন একটা মুচকি হাসি গালে লাগিয়ে ঘুরছি। সত্যি বলতে কি, এই খুশীর শুরু হয়েছিল বাচ্চুর পলাতক হবার পর থেকেই। ফাসির আদেশ হয়েছে তো কি?
বিস্তারিত»দাউ দাউ করে জ্বলুক পাপ মোচনের এই খান্ডব দাহন
দাউ দাউ করে জ্বলুক পাপ মোচনের এই খান্ডব দাহন
(৭১ এর হায়েনা, হিংস্র রাজাকারদের ফাঁসি বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা তরুণ মুক্তিসেনাদের উদ্দেশ্যে, জয় হোক নতুন প্রজন্মের)
কাদের-নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী আর গোলাম আযমদের রক্ত চাই- মৃত্যু চাই
মৃত্যু চাই- বিচার চাই, বিচার চাই- বিচার চাই দাবিতে
চীৎকার করে করে মায়েদের চীৎকার বোনদের চীৎকার-
ক্ষীণ হয়ে আসে সব শহীদের চীৎকার !
রক ক্যাডেট-ক্যাডেট কলেজে ছেলেদের বেড়ে ওঠার কিছু প্রতিচিত্র
ক্যাডেট কলেজের বৈচিত্রময় জীবন এবং কৈশোরের হরেক রকম মানসিক বিকাশের ধরন… ও, একদল কিশোরের বেড়ে ওঠা নিয়েই … রক ক্যাডেট
(জয়তী প্রকাশনী, স্টল নং- ২৮২, অমর ২১শে বইমেলা, ২০১৩)
অন্যরকম জীবনচিত্র নিয়ে নিরব শব্দে অংকিত এই প্রামাণ্য কথন। বিশেষ এক সামাজিক আচারের চলমান ছবিতে- কৈশোরের বিকাশ, মনোবৈকল্য, স্বপ্নস্বাদ আর ইচ্ছেছেদন। ফুঁস করে ভেসে ওঠে- ব্যস্ত জীবনের অদ্ভূত একাকীত্ব, রাত জেগে চুপিচুপি জোছনা পানের আনন্দ,
বিস্তারিত»মধ্যবিত্ত আমরা
আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার, তাই আমরা এক ঈদে মার্কেটের মোটামুটি সবচেয়ে সুন্দর জামা পড়ি আর আরেক ঈদে আম্মার হাতে বানানো জামা পড়ি। আমাদের মাসের শুরুতে অনেক টাকা ওড়ানো হয় কিন্তু সেই মাসের শেষেই আমাদের পরিবার প্রধান হিসাবের খাতা খুলে ভ্রু কুঁচকে ভাবতে থাকেন কিভাবে বাকি আট দশটা দিন যাবে। আমাদের ইগো এত বেশি যে আমরা আমাদের উচ্চবিত্ত পরিচিতদের কাছ থেকে নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে সাহায্য নেই না,
বিস্তারিত»অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–
না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…