১)মাঝে মাঝে ভাবতেই অবাক লাগে। দেখতে দেখতে ছয় মাস কাটিয়ে দিলাম ইউএস এ তে। গত ডিসেম্বর এর সময় শুনলাম একাডেমি তে ১ টা অফার এসেছে । ১ জন ক্যাডেট নিবে ওরা। চার বছর এর জন্য। ইউএস নেভাল একাডেমি ! সেই বিখ্যাত আনাপোলিস। এই মুভি টা দেখে ফাস্ট টার্ম এ মোরাল নেবার চেষ্টা করেছিলাম। যাই হোক, আমার কি? আমার দরকার কমিশন। ঐটাতে ই আমি খুশি। আনাপোলিস আমার লাগবে না।
বিস্তারিত»আমার বাবা-বেলা – ৩
[নয়] কানাডার প্রবাসী জীবন অনেক টানাপোড়েন। বেশ কিছুদিন চাকরীর টাকায় দিন আনা দিন খাওয়া চললো। অবশেষে আমেরিকায় একটি চাকরী জুটলো। কানাডার বেতনের তুলনায় অনেক বেশী। গিন্নীর মনটা ভারী। কিন্তু বাচ্চাগুলো কিছু বুঝে উঠতে পারছে না কি ঘটতে চললো। যথারীতি চাকরীতে যোগদিলাম। র্যালী – নর্থ ক্যারোলিনা। টরন্টো থেকে প্রায় সাড়ে আটশো মাইল। আমাকে প্রতিটি উইকএন্ডের রাতে ওদের ফোনে গল্প বলে ঘুম পাড়াতে হতো। মানে ওরা হোম ফোনটা স্পীকার ফোনে দিতো আর আমি গল্প বলে যেতাম।
বিস্তারিত»তবুও…
ইদানিং কি সব কিছু ভুলে যাচ্ছি? তাই হবে হয়তো। এটা যে আমার নিজের বাসা সেটা বুঝতেই বেশ সময় লেগে গেল। আমাকে অফিসে যেতে হবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে। ইশশ… কোন টাইটা পরব বুঝতে পারছিনা। আমার কালার কম্বিনেশন এর ধারনা খুবই খারাপ। শার্ট এর সাথে টাই এর ম্যাচিং করতে পারিনা। ওই তো নিতু ডাকছে “খেতে এসো, দেরি হয়ে যাবে তো!” আমি আর দেরি করলামনা। টেবিলে চলে গেলাম।
বিস্তারিত»কান্না ভেজা রক্ত
দাদীর হাত ধরে বসে আছে ওসমান। দাদীর হাতটা কেমন যেন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা। উত্তাপ নেই। ওসমানের মুখের চামড়া শুকিয়ে টান ধরেছে। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া চোখের পানি শুকিয়ে কেমন একটা চ্যাট-পেটে অনুভূতি। কপালের কোনার কাটা জায়গাটা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে আপনা আপনি। রক্ত জমে লাল থেকে গাঢ় খয়েরী রঙ নিয়েছে। বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখটাও উল্টে গেছে। তীব্র ব্যথাটা এখন ঝিমিয়ে এসেছে একটু একটু করে।
বিস্তারিত»যুদ্ধের প্রয়োজনে ধর্ম কিংবা ধর্মের প্রয়োজনে যুদ্ধ
সকালে ঘুম ভাঙল ৫ মিনিটের মধ্যে পরপর দুটো টেক্সট মেসেজ এর শব্দে।একটি মেসেজ এসেছে আরাকান(রোহিঙ্গা) মুসলমানদের সাহায্যের জন্য আরেকটি
মেসেজ এসেছে ফিলিস্তিনের মুসলমান ভাইদের সাহায্যের আবেদন নিয়ে। মেসেজগুলোতে বলা হয়েছে কত সহজে আমি মায়ানমার ও ফিলিস্তিনের মুসলমান
ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। মোবাইলের মেসেজ অপশন এ গিয়ে ARAKAN অথবা FİLİSTİN টাইপ করে নির্দিষ্ট একটা নাম্বারে পাঠালেই আমার
মোবাইল থেকে ৩ ডলারের মতো কেটে নেয়া হবে এবং তা ARAKAN অথবা FİLİSTİN এর মুসলমান ভাইদের জন্য ব্যবহার করা হবে।
তরমুজ
শৈশবেই ছিঁচকে চুরিতে হাত পাকায়নি এমন ক্যাডেটের সংখ্যা বিরল। যদিও ক্যাডেটদের কাছে এগুলো কখনোই চুরি নয় বরং নিজেদের প্রাপ্য হক আদায় করা। সেভেন/এইটে খুব বেশি সুযোগ না থাকলেও প্রতিভাবান ছেলেদের কখনোই দাবায়ে রাখা যায়না। আর ক্লাস নাইনে উঠে যাবার পর তো চুরির অঢেল সুযোগ। শুধু চোখ কান খোলা রাখলেই চলে।
আমার সমসাময়িক বেশিরভাগ ক্যাডেটের চুরির হাতেখড়ি পেয়ারা দিয়ে। সেভেনের শিশুরা কথায় কথায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে( একবার এক জুনিয়রকে মন ভালো না থাকার কারণে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকতে দেখেছিলাম )।
বিস্তারিত»জন্মদিনের লেখাঃ মাতাল,আমাকে অগ্নিতে ফেলে চুপ বসে থাকে মা নিষাদ
এই রকম কাঞ্চনরাত্রিতে আমার শঙ্খচারিনী মেতে উঠে তুমুল উল্লাসে
ঘুমের ভেতর কেপে কেপে উঠে আমি দেখি আলোকের বর্ণময় মুখ
ঃ ধূলোরাশি!
অতঃপর ধূলোতেই পড়ে থাকে মিলনের দাগ-রক্ত,বীর্য,থুথু,প্রতারণা
আমাকে ছাড়া আর যাকেই দেহ দেবে গোপনে নীল হয়ে উঠবে ক্রমশ
এবং রাত পার হলেই ভোর,তারপর আবার রাত্রি,আবার মিথ্যে,আবার মিলন
নিয়ম মেনে মেনে প্রতারণা,অতীত ঘরে বসে চুমু খাওয়া
থরথর কাঁপতে কাঁপতে সিড়িঘরের সব ধূলো জমা হয় মেঘের গায়ে
লাল-নীল চিঠি সমূহ কাগজের উড়োজাহাজ হয়ে ঢুকে পড়ে অন্য পুরুষের ঘরে
এরপর বুকের বস্ত্র তুলে দিয়ে,অবিস্তত্র চুলগুলো বিন্যাসকরণ
মৃগনাভি,ঈত্বর ইত্যাদি গায়ে মাখা-তারপর চুপিচুপি গোপন প্রেমিকের প্রতি ফিসফিস-
“মাতাল,আমাকে অগ্নিতে ফেলে চুপ বসে থাকে মা নিষাদ!”
বিবাহ(বার্ষিকী), স্মৃতিচারণ, ও নসিমন (দু)র্ঘটনা – ২
(গত পর্বের পর)
বাসায় ঢুকতেই বিয়ের আমেজ চোখে পড়লো এখানে সেখানে। তবে বেশ ভোর হওয়ায় এখনো পুরোপুরি সরগরম হয়ে উঠেনি। শুরুতেই ইঞ্জিনিয়ারের হাস্যোজ্জ্বল স্বাগতম। দেখে বুঝলাম উনি যারপরনাই আনন্দিত ঢাকা থেকে আমাকে আমদানী করতে পেরে। একটি ঘরে গিয়ে বসলাম। পরিচিত হলাম সাব্বির (সম্ভবত র,ক,ক ২০০১-০৭) ও সুষমার খালাতো/মামাতো/ফুপাতো/চাচাতো (খেয়াল নেই) ভাই রাজিবের সাথে। ওরা তখনো লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। কিছুক্ষণের মাঝেই খালাম্মা (ইঞ্জিনিয়ারের মা) এবং অন্যান্য খালারা এসে পরিচিত হলেন।
বিস্তারিত»বিবাহ(বার্ষিকী), স্মৃতিচারণ, ও নসিমন (দু)র্ঘটনা – ১
মার্কিন মুল্লূকে এসেছি সেই আগস্ট মাসে। এখন পর্যন্ত টাইম জোনের বিশাল পার্থক্যের সাথে মিলিয়ে উঠতে পারি নি। খেই হারিয়ে ফেলি। উদ্দেশ্য ছিলো একটি একটি সুখকর স্মৃতির রোমন্থন করার কিন্তু মন বেশ খারাপ। সকালে উঠেই ফেইসবুকে দেখতে পেলাম ময়মনসিংহের ২০১২ তে পাশ করে যাওয়া একটি মেয়ের ব্রেইন হেমারেজের ঘটনা। জীবনের সাইকেলে প্যাডেল দেয়ার আগেই অনেক অনিশ্চয়তা। ইতমধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর “অতীত ভুলে যাওয়ার” জ্বালাময়ী আহ্বান ও আমাদের অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের স্বেচ্ছাচারী পুতুল খেলা দেখে মন তেতো হয়ে আছে।
বিস্তারিত»অসুখের অসুখ
আমার হুমায়ুন আহমেদের মতো অসুখবিসুখে চিৎকার করে লোক জড় করতে ভাল্লাগে। বাসায় মা কে কাজ করতে দেইনা, একটু পর পর ডাক দিয়ে রান্নাঘর থেকে নিয়ে আসি।অসুখ সহ্য করতে পারিনা। ছোটবেলায় হতও না। ক্লাসে কতবার গর্ব করে বলেছি আমি সিজারিয়ান বাচ্চা কিন্তু আমার অসুখ হয়না(শোনা কথা _সিজারিয়ান বাচ্চাদের অসুখ বেশি হয়)… এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ক্লাস এইটের আগে কোনদিন কলেজের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি।
বিস্তারিত»চলুন একটি ঝরে যাওয়ার গল্প বদলে দেই
সেই মেয়েটির গল্প বলি। রাশনা। বাবা মা ডাকে রাশু বলে,আমরা কখনো রাশনা কখনো ওর নামটা একটু পরিবর্তন করে বাসনা। আমাদের কথা শুনেই ওর হাসির বেগ বেড়ে যায়। বন্ধুত্বের দাবী নিয়ে বন্ধুকে অনেক কিছুই বলতে পারি বলা যায়। অনেক সন্ধ্যাবেলা জানালা দিয়ে রাশনা আকাশ দেখতো। ক্যাডেট কলেজের চারদেয়ালের মধ্যে বন্দী হয়ে সীমাহীন মুক্ত আকাশ। কখনো সখনো ওর খুব কাছে চলে যেতাম। পেছন থেকে চোখ চেপে বলতাম,রাশনা একটু তুই হাসনা।
বিস্তারিত»হ্যালো, স্লামলিকুম! দৈনিক উন্মাদ থেকে বলছিলাম।
Prank – শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলোনা সে সময়। কিন্তু এর পিছনে সময় না দেওয়াটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তূু আমি ছিলাম নেহাতেই চুনোপুটি। এ লাইনে পি এইচ ডি করা বড় বড় ওস্তাদ লোকজনের অভাব ছিলোনা। এরকম একজন ছিলো মোতাকাব্বের ওরফে মোবারক।
উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে সেদিন। পরিক্ষায় সেই রকম ডাইল মারছি। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরিক্ষার নম্বরের পার্থক্য হোলো ১৭২ নম্বর। সূতরাং ১ ঘন্টার মধ্যে বাপের প্যাদানির ভয়ে এক বস্ত্রে বাসা ছাড়লাম।
বিস্তারিত»আজব ক্যাডেট লাইফ এর গজব কাহিনী – ১
ক্যাডেটদের জীবনের (এবং কলেজে ক্যাডেটদের নিখাদ বিনোদনের)এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আমাদের স্যার-ম্যাডামরা । এই দুইয়ের মধ্যে চলে এক চোর-পুলিশ কিংবা ইঁদুর-বিড়াল খেলা । ক্যাডেট যত সিনিয়র হয় খেলাগুলোও জমে ওঠে তত বেশি । ক্যাডেট জীবনের তেমন কিছু স্মৃতিই আজ লেখার বিষয়(স্যার-ম্যাডামরা ক্ষমা করে দেবেন প্লিজ)…
একজন মেস ও.আই.সি, কিছু চাষাভুষা ক্যাডেট ও ব্যা-ব্যা ডাক :
ঘটনা-১ : ক্যাডেটরা সাধারণত খুব ভোজন-রসিক প্রকৃতির হয় ।
ছায়া
অক্টোবরের পাতা ঝরা রাত। পশ্চিম থেকে অ্যাড্রিয়াটিকের গা ছুঁয়ে আসা বাতাস হিম করে রেখেছে চারপাশ। খুব সজাগ হয়ে কান পাতলে বাতাসের ডাক শোনা যায়। বিমর্ষ এক হাহাকার জাগিয়ে সে বাতাস দিনারিক পর্বতমালার গা ঘেঁষে হারিয়ে যায়। নিস্তব্ধ চারপাশ। গাছের পাতাটি পড়লেও শোনা যায় এমন। মানুষ পৃথিবীতে আসার অনেক অনেক আগে, যখন মহীসঞ্চারণে প্যানেজিয়া ভেঙে সাত সাতটি আলাদা মহাদেশ হচ্ছিল, তখন কি পৃথিবী এমন ছিল? এমন শান্ত,
বিস্তারিত»টম ক্রুজ
অতি সাম্প্রতিক সময়ে এই পরিচিত নামটি আমাদের কানে কিংবা নজরে এসেছে আলোচিত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অনন্ত জলিল এর সুবাদে। আরো একটু পেছনে গেলে পাওয়া যাবে ‘মিশন ইম্পসিবল ৪’ এর দুর্দান্ত অ্যাকশন। সোজা কথায় বললে আমাদের আশেপাশেরই বহু রমণী- তরুণী- বালিকার অতি আপনজন এই টম ক্রুজ।
কিন্তু আমি হলিউডের কারো কথা আজ বলছিনা। অনন্ত জলিল কে নিয়েও কিছু বলছিনা।
বিস্তারিত»