ভেতরে কেউ কাঁদছিল

লেখালেখির বিশেষ কিছু না পেয়ে অগত্যা কবিতাপাঠ।আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি কবিতা।
কবিতা: কাঁদছিল, কেউ কাঁদছিল। সৈয়দ শামসুল হক।
সুর কৃতজ্ঞতা: Missing you, আনন্দ শংকর।

ভেতরে কেউ কাঁদছিল

কাঁদছিল, কেউ কাঁদছিল

ভেতরে কেউ কাঁদছিল তখন থেকে কাঁদছিল
সেই তখন থেকে
যখন আমার সাজানো এক ঘর ছিল
যখন তার দরোজা থেকে বিরাট তালা ঝুলছিল
ভেতরে কেউ কাঁদছিল
তখন থেকে যখন থেকে
তোমার মতো কারোর দিকে দেখার দুটো চোখ ছিল
যখন কিছু বলতে গিয়ে
হঠাৎ করে ভয় ছিল
নাম ধরে যে ডাকব তখন
সেই সাহসের টান ছিল
তখন থেকে কাঁদছিল ভেতরে কেউ কাঁদছিল
কানে আমার যাচ্ছিল
বোকা যেমন –

বিস্তারিত»

“ক্যাডেট” শব্দটা আমার কাছে “স্পেশাল ওয়ান” কিংবা “অনলি ওয়ান”

“ক্যাডেট” এই শব্দটাকে আমার কাছে মনে হয় – “স্পেশাল ওয়ান” কিংবা “অনলি ওয়ান”। ১১/১২ বছরের একটি কিশোর এর কাছে ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়াটা যেন আনন্দের এক বঙ্গোপসাগর । বাবা-মা’র হাসিমাখা মুখ, পাড়া-প্রতিবেশী সবার অগনিত প্রশংসা, বন্ধুমহলের সবার কাছে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির স্থানলাভ কিন্তু এত আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই চলে আসে কলেজে যাবার ডাক। মনের মাঝে হাজারো স্বপ্ন সাজিয়ে কোন এক সকালে ব্যাগ-পত্র গুছিয়ে বাবা-মা-ভাই/বোন’কে সাথে নিয়ে সেই কিশোরের যাত্রা শুরু হয় ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্যে ।

বিস্তারিত»

আমার ডিজি বাংলার থ্রিজি গরু

একটি গরু কিনলাম-
১. ২ রংয়ের ৩২০ পিক্সেল রেজুলেশন চামড়া বিশিষ্ট
২. যার গোস্ত ধারন ক্ষমতা প্রায় ৫৫০ জিবি।
৩. ডাইমেন্সান হবে ১০২৪ x ৭৬৮ .যার মধ্যে এন্টিভাইরাস থাকায় ভ্যাক্টেরিয়া আক্রমন করার কোন সম্ভাবনা নাই।
৪. ইউ এস বি পোর্ট ১টা (…) ।
৫. নাক, মুখ ও মলদারসহ প্রসেসর এর কুলিং তিনভাবে হয়।
৬. গরুর লেজের অসিলেশন সিম্পল হারমোনিক মোশানের সকল তত্ত্ব ফলো করে।

বিস্তারিত»

আমি একজন ক্যাডেট

ক্লাস সেভেনে থাকাকালীন ঘটনাটা বলি। কলেজ হাসপাতালে আমরা কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে আমার এক বন্ধুকে নিয়ে এলাম। বেচারার অবস্থা আজ বড়ই খারাপ। বেশ টানা কয়েকদিন ধরে আমাদের নভিসেস্‌ প্যারেডের প্র্যাকটিস চলছে। কড়া রোদের নিচে থাকতে থাকতে গায়ের রঙ তো কালো হয়েছেই তার সাথে সাথে আবার গেঞ্জিটা খুললে রোদে না পোড়া অংশটুকু আর একটা সাদা গেঞ্জির মতো লাগে। যাইহোক, আমার বন্ধুটা আজ সকালের প্যারেড প্র্যাকটিস শেষে বাথরুমে গোসলের জন্য লাইন রাখবে বলে দৌঁড়ে আসার সময় পিচের রাস্তায় পড়ে যায়।

বিস্তারিত»

আমার বাবা-বেলা – ১

[শূণ্য] আমি যখন প্রথম বাবা হই, তখন থেকে ছ’মাস পরে আমার মেয়ে তার প্রথম ধ্বনী উচ্চারণ করে – ’বা বা বা বা উঁ উঁ উঁ’ যার অর্থ করলে দাড়ায় আমার এখন ক্ষিদে লেগেছে। কিংবা আমার ডাইপারটা এক্ষুণি বদলে দাও। কিংবা সবকিছু বাদ দাও, এখন আমি ঘুমোব। এটি কমবেশী সব বাবা মা ই জানেন। বাকী গুলো বাবা-মা বিশেষে বিস্তারিত এবং ইউনিক!

[এক] আরো ছ’মাস পর যখন সে তার চারদেয়ালের ঘরের ভিতরকার জগত্‍াআবিষ্কার করলো তখন আরো কিছু কথা সে বলা শুরু করলো।

বিস্তারিত»

মুক্তি

মুক্তি চাস? মুক্তি পাবি
মুক্তি চাস,মুক্তি পাবি
মুক্ত হয়ে চলে যাবি…
কিন্তু তুই কোথায় যাবি?
কোন আকাশে কোন বাতাসে
দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘশ্বাসে
ধাক্কা খাবি।
মুক্তি পেয়ে চলেই যাবি।

আমার আবার কিই বা হবে,
আগের মতই কয়েকটা রাত
কাটবে না হয় তোকে ভেবে
বিষাদ কালি চোখের নিচে জমলে বেশি
কছম খোদার,তুই চরম সুখী হবি।

বিস্তারিত»

টানো,তুমি জানো- এ ঠোঁটের স্বাদঃ

টানো,তুমি জানো-
এ ঠোঁটের স্বাদঃ

কূয়ো থেকে জল টানা-বিষাদ,বিষাদ!
তুমি জানো না জানি
এত এত পথ ঘুরেও হয়তো খুব বেশী কাছে আসিনি
ইচ্ছে হলো না তখন,এখন প্রবল ইচ্ছে খেলবার

তোমার সাথে আমার নদীপার হওয়া দীর্ঘশ্বাস
কেবল ছুঁয়ে দেখিনি,এখন প্রবল ইচ্ছে হয়!
লোভী!
লোভই!
তাই তোমাকে প্রলুব্ধ করবার নাটুকে বাসনা
আমার নাটক করবার ইচ্ছা,পড়ে থাকে,পালকে
তাই টানো,আমাকে টানো,পড়ে থাক অবশিষ্ট ধূলোবালি
টানো,টেনে তোলো জল,প্রিয় মফস্বল,পড়ে থাক রেলগাড়ি
পড়ে থাক রেণু,লোভ,বিষাদ,বিষাদ-
ক্ষমা করো দেবী,এই তো সামান্য অপরাধ!

বিস্তারিত»

পরবাসী ঈদ সমাচার

ঈদ উল আযহা উপলক্ষে এক খানা লেখা লিখবো বলে ঠিক করলাম।তখন হটাত মনে হল বিসয়বস্তু কি হতে পারে। প্রথমেই মাথায় এলো যে বিদেশে বসে ঈদ করতে ক্যামন লাগছে তাই নিয়ে লিখে ফেলি। কিন্তু মনের অজান্তেই ক্যানও যেন মনে হচ্ছিল এই লেখা শুরু হলেই মন খারাপ করা কথা বার্তা শুরু হবে।

 

ক্যাডেট কলেজ পার হয়ে বি এম এ, অবশেষে সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়া ,

বিস্তারিত»

মায়ের ছোট্ট ছেলে

কতদিন মাকে জড়িয়ে ধরি না,
কতদিন মায়ের গায়ে নাক ডুবিয়ে,
মিষ্টি মিষ্টি মা গন্ধটা নেই না,
হয় না মায়ের গায়ের ওম চুরি করা,
হয় না আর করা খুনসুটি গুলো,
আবোলতাবোল আবদার-বায়না,
হয় না খাওয়া
মায়ের হাতে মাখানো ভাত,
মনের কোনের ছোট্ট ছেলেটা যে কেঁদে মরে,
সে যে বড় হতে চায় না,
সারাজীবন সেই ছোটটি থাকতে চায়,

বিস্তারিত»

ডেইলি প্যাসেঞ্জার- পর্ব ৫

নিন্দুকেরা যাই বলুক, আবুল শব্দটার অবস্থান থাকা মানেই ঝামেলা, আমি এই কথা থোড়াই কেয়ার করে বীর বিক্রমে আমার আবুল কোম্পানির, থুক্কু আবুল খায়ের কোম্পানির নুন খেয়ে মাঝে মাঝে গুণ গাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালাইতাম ।কিন্তু সময় অসময়ের বাসযাত্রার ইতি টেনে যখন আমাকে দুম করে গরুর হাটে পাঠায়ে দিল, তখুনি বুঝসি আমার ডেইলি প্যাসেঞ্জার এর কুলখানির সময় হইসে ! ইয়ে মানে, গরুর হাটে পাঠাইসে মানে গাবতলী রেডিমিক্সের ফ্যাক্টরিতে বদলি কইরা দিসে !তারমানে প্রতিদিন মিরপুর টু মতিঝিল বাসযাত্রার আর সেই সাথে অদ্ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার সলিল সমাধি ।

বিস্তারিত»

সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি…..

সেদিন ছিল কোন একট ছুটির দিন। হলে বসে বন্ধুদের সাথে কার্ড খেলা আর চা সিগারেটের জম্পেশ আড্ডা চলছিল। আমার খুবই বিরক্ত লাগছিলো। কারণ আর কিছুই না; মোবাইলে একটু পর পর এসএমএস এর আগমন। এই মোবাইল কোম্পানি গুলোর যে কী হয়েছে…? খালি এসএমএস পাঠায়। সবাই ভাবছিল মনে হয় কোন মেয়ে আমাকে এসএমএস পাঠাচ্ছে। আবির বলল, “ কীরে দোস্ত, গার্ল ফ্রেন্ড নাকি?” আমি বললাম,  “ হ্যাঁ, দুইজন;

বিস্তারিত»

দিলাম পাল্টে স্রোত

লেখনী শক্তি বা জৌলুস যাই বলেন না কেনো, কোনটা যে লোপ পেল বোঝা যাচ্ছেনা । বাংলা ভাষার দখল যাকে অনেকে বলে থাকেন তাকেই আবার অনেকে আদিখ্যেতা বলে চালিয়ে দিতে কুন্ঠা করেন না । আইজকাল কানের দুইপাশ দিয়া হাপরের লাহান ধুয়া উঠতাছে আমার, মাগার চান্দি ঠান্ডা না রাইখ্যা উপায় আছেনি ? প্রেম প্রেম গুলুগুলু ছব্দ যুদি মাতা থাইক্যা , কলম থাইক্যা না বাইর হয় আমার, হেইডা কি আমার দোস ?

বিস্তারিত»

ঘুম ব্যাঘাত কিংবা বোবায় ধরা বিষয়ক আবোল তাবোল

ইদানিং কিছু লিখতে চাইলেও লেখার আইডিয়া মাথায় চাপে না। আবজাব কিছু একটা লিখবার ইচ্ছা করলেও বিষয় শূন্যতায় ভুগছিলাম। হঠাৎ করেই মাথায় আসল ঘুম বিষয়ে লিখবার। আমি ঘুমাতে পছন্দ করি। ঘুম বিষয়ে আমার আগ্রহও তাই অসীম। ছোট বেলায় বাসার চিপা চাপা ঘেটে সহীহ ফালনামা আর তাবীর পড়তাম স্বপ্নের ব্যাখ্যা পড়বার জন্য। স্বপ্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও সহীহ তাবীরের বইতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেখে তাজ্জব বনে যেতাম যে কেবল তাই না,

বিস্তারিত»

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে – ১

বেশ কিছুদিন হয়ে গেল আমার শুধু ব্লগ দেখে আর পড়ে ।আর সেই সাথে কিছুদিন আগেই পার করলাম আমাদের আত্মার আত্মীয়তার বারটি বছর । লেখার একদম শুরুতেই যে মানুষটির কথা না মনে করলেই নই, সে হল বন্ধুবর কাউসার আহমেদ। যার সাথে না থাকলে জানতেই পারতাম না যে ” বাসন্তী এখন বিহারে ডাকাত স্বামীর ঘরে চার সন্তানের জননী হয়েছে… অথবা হাত না বাড়িয়ে মন বাড়িয়েও কাউকে ছোঁয়া যায়( হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে ,

বিস্তারিত»

ঘরের মায়ায় টানে মোরে,বাহিরেও যে ছাড়ে না রে…

ক্যামেরা স্থির,স্লো মোশনের শট চলছে,রিপিট হয়ে এটা দিয়ে তৃতীয় বারের মত,ব্যাকগ্রাউন্ডের মিউজিক টা উত্তেজনা চরমে উঠাতে বদ্ধপরিকর।টিভি সেটের সামনে বসে থাকা মা,মেয়ের কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে,উপরের এবং নীচের পাটির দাঁতের মাঝখানে জায়গা করে নিয়েছে ডান হাতের অনামিকা।এখানেই কি শেষ?দুই মোটর সাইকেল এর মুখোমুখি এই সংঘর্ষই কি কেড়ে নিবে নায়কের জীবন?এটা হিন্দী সিরিয়ালের কোন এক স্ক্রীনশট,তবে আমার সামনে যেই ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছে সেটা মোটেই কোন স্ক্রীণ শট না,

বিস্তারিত»