আমি আর আমার বাদামের খোসারা…

আজকাল এমন একটা জীবনের লোভ হয়, যেখানে আমি আসলেই একা। একা মানে নিঃসঙ্গ। একেবারে নিঃসঙ্গ। সারাদিনের শেষে বাড়ি ফিরে আমি একা হবো। বাইরে আমি যেমন তেমন, ক্লাস, হ্যাং আউট, পার্টটাইম আর ভলেন্টারি ব্যাস্ততায় মশগুল! কিন্তু নিজের জগতে একা। পুরোপুরি একাই!!!
আমার জন্যে কারো কেয়ার করা লাগবেনা। আমিও করবোনা। আমাকে কারো জিজ্ঞাসা করা লাগবেনা কি খেয়েছি, ক্লাস কেমন গেল। আমার আনন্দে কারো তালি বাজাতে হবেনা!

বিস্তারিত»

প্রার্থনা-৩

তোমার নদী’য় ডুব সাতারে
ক্লান্ত আমার এ মন দেহ
“খুব গোপনে বাড়ছে যে জল”
মনের মধ্যে এ সন্দেহ-

আমায় আরও ক্লান্ত করে
তখন ভাসি তোমার সাথে
আরও বেশী বাড়লে বিরোধ
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!

তখন বোকা ঈশ্বরেরা
আমায় বলে,”সন্ত কবি,
ঘরের মধ্যে প্রার্থনা ঝুট
নষ্ট তোমার সাধন সবই!

গৃহত্যাগের লোভ দেখিয়ে
আমায় ডাকে জোৎস্না রাতে
আমি তখন প্রবল দ্বিধায়
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!

বিস্তারিত»

নস্টালজিয়া-২

নস্টালজিয়া-১

সাপ
অষ্টম শ্রেনীর শেষের দিকের ঘটনা। আসাদ ভাই তখন জুনিয়র প্রিফেক্ট।

আমার প্রিয় বন্ধু নাঈম আমাকে মজার এক তথ্য দিল। তথ্য চমকপ্রদ কিছু নয় কেবল ভেড়ার আচরন সম্পর্কিত, ভেড়ার পালে পশ্চাদগামী ভেড়া তার অগ্রগামী ভ্রাতাকে যথাযথ অনুসরণ করে থাকে। উক্ত তথ্য জেনে আমি ভেড়া, বড়ই আশ্চার্যান্বিত হলাম। বন্ধু আমাকে একটা উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিল।

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ২২তম পর্ব

এই পর্বটা আমাদের ইসলাম(১৯৯৬-১০০২) ভাইয়ের একটি পোষ্ট (ঘুম) http://www.cadetcollegeblog.com/islam1060/15846থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয়েছে। ক্যাডেটদের সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঘুম। তারা একটু সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিতে পারে। সাধারণ ঘুমের স্থান ছাড়া ক্যাডেটদের প্রিয় ঘুমের জায়গা হচ্ছে ক্লাসরুম। আমার একটা খসড়া হিসাবে একজন মোটামুটি ঘুমপ্রিয় ক্যাডেট তার ছয় বছরের ক্যাডেট জীবনের প্রায় ৬ মাস ঘুমিয়ে কাটায় শুধু মাত্র একাডেমিক ব্লকে ক্লাস ও প্রেপটাইমে ঘুমিয়ে।

হিসাবঃ
ক্লাসের ৭ পিরিয়ডের কমপক্ষে ৩ পিরিয়ড × ৪০ মিনিট = ১২০ মিনিট
প্রেপটাইমের কমপক্ষে ১ ঘন্টা = ৬০ মিনিট
দৈনিক সর্বমোট = ১৮০ মিনিট

এই হিসাবে ১ বছরে ২০০ দিন ক্লাসে ঘুমালে মোট হবে = ৩৬০০০ মিনিট বা
= ৬০০ ঘন্টা বা
= ২৫ দিন বা ১ মাস*
তাহলে ৬ বছরে ক্লাসে মোট ঘুমানোর পরিমান হবে = ১মাস × ৬
= ৬ মাস
*(২৫ দিনে একমাস হিসাবে কারণ শুক্রবারগুলো বাদ দিয়ে)

বিঃ দ্রঃ এই হিসাবে কারও চোখে কোন ত্রুটি পড়লে লেখককে কোনভাবে দায়ী করা যাবে না।

বিস্তারিত»

কিবরিয়া সাহেবের আলো বিক্রয়ের গল্প

এক বস্তা আলো নিয়ে হাটে এসেছে কিবরিয়া সাহেব
লক্ষ্য, যদি কেউ ক্রয় করে আলোকিত হতে চায় !
ইদানিং অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ,
সূর্য আগের মতো আলো ছড়ায় না,
শুনেছি জোনাকিরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
অদ্ভুত, অদ্ভুত সেই অন্ধকার
কেউ কোন কিছু দেখতে পায় না, তাও আলোর প্রতি কারো কোন আগ্রহ নেই।

ইদানিং দৃশ্যমান শয়তান মূর্তিহীন ঈশ্বরের জায়গা নিয়ে নিয়েছে
কিংবা দৃশ্যত সুখের কাছে অনন্ত অদৃশ্য  সুখের বিলুপ্তি ঘটেছে
সমাজ সভ্যতার আলো এখানে মলিন ফিকে হয়ে গেছে ,

বিস্তারিত»

নস্টালজিয়া-১

মেডিটেশন
নবম শ্রেনীর কোন এক টার্মে, আমাদের মাহ্‌দী বিদ্যুৎ মিত্রের বই নিয়ে হাজির। মেডিটেশনের উপকারিতা বর্ননা করতে করতে অস্থির। ইতিমধ্যে খায়ের মেডিটেশনে পুরোপুরি উস্তাদ বনে গেল। সে নাকি চোখের ইশারায় চামচ বাকা করে ফেলেছে। চোখ না যেন হাতের ইশারায় বেডের উপর হতে তালা বন্ধ রুমের চাবি উদ্ধার করেছে। মাহ্‌দীর কাছে জানলাম, মেডিটেশন করে নাকি দেহের ওজন শূন্য করে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। পুরো ব্যাপারটাতে আমারো একটু আগ্রহ জন্মালো।

বিস্তারিত»

টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!

সায়েদ ভাই এর টুশকি সিসিবিতে একটা ক্যাটাগরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন উনাকে হারিকেন, মোমবাতি, হ্যাজাকবাতি কিছু দিয়েই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের সবারই ছয় বছরের ক্যাডেট জীবন টুশকিতে টুশকিময়। তাই কিছু টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ নিজ দায়িত্বে পড়িবেন!

১। এক স্যার এর টিজ নেম ছিল “ট্যাপা”। স্যার এই নাম শুনলে খুব ক্ষেপে যেতেন। তো এক দিন এই নাম শোনার পরঃ “ওই…

বিস্তারিত»

উপলব্ধিঃ মায়ের ভালবাসা

সবাই বলে সময়ের সাথে সাথে মানুষের ব্যস্ততা বাড়ে কিন্তু আমার কাছে কেন যেন মনে হয় ব্যস্ততা না দায়িত্ত বাড়ে।

বাবা-মা সবসময়ই তার সন্তানদের জন্য চিন্তা করেন, সে বড় হোক আর ছোট। যখন থেকে নিজেকে বড় মনে হয়েছে তখন থেকেই আমি সবসময় এই জিনিস গুলো নিয়ে খুব বিরক্ত হতাম। রাতে বাসায় আসতে দেরি হলে আম্মু বার বার ফোন দিত। কখন আসবি, আর কতদুর,

বিস্তারিত»

মেয়েটা আর আমি…

এক বন্ধুর বিয়েতে পরিচয়_

প্রথম দেখাতেই হলো সংশয়।

জানি না, কেন তার ঐ নীলশাড়ি

আমার মনটা নিলো, অচিরেই কাড়ি।

 

আমি শান্তমনা ছেলে_

বন্ধুপাগল মনটি আমার

রাতদিন থাকে তালেতালে।

আর, কী যেন সে খোঁজে

আপন মনেতেই গান বাজে।

দিনদুপুরে নায়ক বেশে

বাইরে যায় কাজে।

বিস্তারিত»

নেহায়েত ভন্ডামি

শখ করে সিগারেটও খাইনি কখনো
উৎসবে।
মদ!
তওবা তওবা- ছুঁয়েও দেখিনা।
মেয়ে বন্ধু কখনোই ছিল না আমার।
রাতের আড্ডায় কেউ দ্যাখেনি আমাকে।
তাই বলে-
পুরোদস্তুর হাজী সাহেব বলেও নিজেকে দাবি করি না !

জুয়ার টেবিলেও বসিনি কখনো।
বাঈজী নাচতো রীতিমতো অবিশ্বাস্য!

সকালে ক্লাসে যাই,
তারপর খাতা নিয়ে সেমিনার-
নোটপাতি খুঁজে নিয়ে বিকেলে পাঠাগার।

বিস্তারিত»

ভুলের ফল

ফুলটা তুলে ভুল করেছি

লাগছে নাতো ভাল

মানিয়ে ছিল যখন সেটি

গাছের ডালে ছিল।

 

ডালে ছিল তীক্ষ্ণ কাঁটা

খোঁচা খেয়েছি তাতে

ফুল তুলতে গিয়ে আমার

রক্ত ঝরে হাতে।

 

বাড়ি ফিরে লাগাই মলম

ব্যথায় টন্‌-টন্‌

ফুলটা রাখি বোতল জলে

মৌমাছি ভন্‌-ভন্‌।

বিস্তারিত»

সমসাময়িক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি অন্যতম ট্রেন্ড আছে। দুনিয়ার সকল রাষ্ট্র দুইটি দলে বিভক্ত। এক তাদের দলে, দুই শয়তানের দলে। আমাদের দেশের সরকারি দলের মানসিকতাও এমন হয়ে যাচ্ছে। হয় তুমি আওআমী লীগে, নয় তুমি স্বাধীনতাবিরোধী, জামাত শিবিরের দলে।

এই সরকারের সমালোচনা করলেই তারা তার মধ্যে শিবির, জামাত আর জঙ্গিবাদের ভূত দেখে। নিজের দোষ ঢাকার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কি হতে পারে? সরকার সমালোচনা করলেই আপনার পশ্চাতদেশে জামাতের সিল লাগিয়ে দিবে।

বিস্তারিত»

নব্বর্ষের বোধোদয়

তারিখঃ ১৪ই এপ্রিল, ২০১০।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী কর্তৃক অভিনীত।

 

শিল্পীদের নাম ও ভূমিকার পরিচয়ঃ

সাঈদুর রহমান                   সাদাত

ফারিয়া রহমান                    মুনিরা

মাজেদ                             সোহেল

কাশেম                             তপু

নাদিয়া                             বৈশাখী

রচনায়ঃ মোঃ সাদাত কামাল

নির্দেশনায়ঃ সোহেল ভাই ও দিপুল ভাই।

 

বিস্তারিত»

তোমাকে না বলা কথা

শোন,
তোমাকেই বলছি।প্রেম পত্র নয়,ব্লাস করোনা। কেমন আছো? অবশ্য বৃথাই জিজ্ঞেস করছি, তোমার মতো লোকেরা ভালই থাকে। আমাকে কি চিনতে পারছনা? তা পারার কথাও নয়। রাজা( বা যে নিজেকে রাজা ভাবে) যে প্রজার ঘর ভাঙ্গে;তাকে মনে রাখলেও রাখতে পারে,কিন্তু তার সাথে সম্পর্কিত যার মনটাও গুঁড়িয়ে দেয় তাকে মনে রাখেনা। আমার বোনের কথা মনে আছে? দয়া করে এখন অন্তত এটুকু বলনা, তোমার বোন কে!চিনিনা তো!

বিস্তারিত»

কেন?

এই বছর কলেজ ছেড়েছি। বুকের ভেতরে ঘা টা এখনো দগদগে,আনকোরা নতুন। একটু খোঁচা লাগলেই যন্ত্রনা হয়। কিছু দেখলেই কলেজের সাথে তুলনা করি। খালি মনে হয় কলেজ কত ভাল ছিল। ডাইনিং হলে কত চিল্লাইছি ‘বাদল ভাই গ্লাসে ময়লা ক্যান?’ এখন নিজের রান্না নিজে করতে হয়! কিছুদিন আগে কলেজে গেলাম,আমি একা না,আমার সাথে আরো ৩২ জন ছিল! রিইউিনয়ন টাইপ অবস্থা। সবার মুখে এক কথা,চল বুয়েটে পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডেট কলেজ ইনটেক পরীক্ষা দেই!

বিস্তারিত»