এক একটা দিন যায়, বিষণ্ণতা কেমন জড়িয়ে জড়িয়ে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয় পেরুনো মনটা আমার বারবার প্রশ্ন করে, এইটেই কি জীবন? ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। একদিন বাসায় ফেরার পথে আকাশ জুড়ে হেলিকপ্টারের শব্দ। প্রথমে ভাবলাম তপন চৌধুরী বুঝি খুব মিটিং করে বেড়াচ্ছেন। (রিসেন্টলি নতুন তথ্য জানলাম যে স্কয়ারের তপন চৌধুরী নাকি জ্যামের কারণে এখনে গাড়িতে চড়া ছেড়ে হেলিকপ্টারে ওঠা শুরু করেছেন। তার প্রতি অফিসের মাথায় আছে সুদৃশ্য হেলিপ্যাড।
বিস্তারিত»গাবদা
শেষ রাতের দিকে বৃষ্টি নামল। ঝুম বৃষ্টি। করিডরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়ার চেষ্টা করলাম। চোখের পাতা ক্রমেই ঝাপসা হয়ে এল। গাবদাকে মনে পড়ে। গাবদা মানে ওয়াহেদ। আদর করে নাম দিয়েছিলাম গাবদা। একটু মোটা ছিল। ক্যাডেট কলেজের সামরিক পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়তো একটু কষ্টও হয়েছিল। এক সন্ধ্যার কথা। সেনাবাহিনীর এক সদস্য গাবদাকে প্যারেড শেখাচ্ছে। গাবদার মোটা দেহ বেয়ে দরদর করে ঘাম নামছে। ততক্ষণে খেলার সময় শেষ।
বিস্তারিত»গল্পটা আর যে রকম হতে পারতো…(১)

১.
ছেলেটা গাঁজা খায়,বাট ভালো কবিতা লিখে।তিয়াশা অবশ্য কবিতার অতশত বুঝে না,বন্ধুদের মুখে অনেক প্রসংশা শুনেছে।তবে কথা বলতে পারে দারুন।চার্ম একটা!গাঁজা-ফাজা খেয়ে কী আবোল তাবোল আওড়ায়,তাও ভালো লাগে তিয়াশার।অদ্ভুত একটা লোক!লোকই তো!মুখে রুক্ষ্ম দাড়ি গোঁফ।খোচা খোচা!ম্যানলি অবশ্যই!ডার্ক এন্ড ডিপ।কবিতা লিখলেও ল্যাদল্যাদে না,ন্যাকা না।স্মার্ট এবং চালু মাল।কথা শুনলেই বোঝা যায়।স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড।কোন লুকোছাপা নেই।কেমন সরাসরি বুঝিয়ে দিলো!অবশ্য কোড করা কবিতায়।তিয়াশা কবিতা অত না বুঝলেও ঈঙ্গিতটা বুঝেছে!মেয়েদের আবার একটা এক্সট্রা ইন্সটিংক্ট থাকে কিনা!
লঘু-কথা
সন ‘৭৮, ক্লাস ওয়ান।
সকাল আট কি সাড়ে আট, ফাঁকা ক্লাসঘরে দু’জন বন্ধু বসে বসে পরস্পরের টিফিন বাক্স নিয়ে মেতে উঠেছি।মা সক্কালবেলা পেট ভরে ভাত খাইয়ে পাঠাতো, ফলে বেশিরভাগ সময় টিফিনবক্সই থাকতোনা সংগে। খুব সংকোচ হতো।কিছু একটা টিফিন নিতেই হবে এমন একটা পণ করে বসতাম একেকদিন।ওর বাক্সে দেখলাম পাউরুটির মধ্যে লাল মত কিসের প্রলেপ, লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম সেদিকে।বন্ধুটি আমাকে সেই জেলি-পাউরুটির ভাগ দিলো,
আক্ষেপ বানী
১.
হায়রে মুসলমান
সসম্মানে নষ্ট করিস ধর্মের সম্মান
২.
আঁধার রাত্রি কেটে গিয়ে
ইসলাম সেতো ভোর-আনে
জ্বালাও পোড়াও এ কথা নেই
কোথাও লেখা কোর-আনে
৩.
এক ই রক্ত এক ই ধারায় যখন বয়ে যায়
ধর্মে ধর্মে কেন এত বিভেদ বল হায়
কেউ ডাকে আল্লাহ তাঁরে কেউ ভগবান
দুই নামের মধ্যে কেন এত ব্যবধান
৪.
বিস্তারিত»রাষ্ট্র এবং দাউদ হায়দার
কবি কিংবা লেখক- যাই বলো না কেন, তুখোড় হাত ছিল লোকটার
পদ্য কিংবা গদ্য কবিতা- প্রেম কিংবা ধিক্কার- কিছুতেই কমতি ছিল না তাঁর।
তব কেন সে দেখা পায় না এইসব কুসুমমঞ্জরী
পাবনা কিংবা ঢাকার।
মার্কিন মুলকে- য়ূরোপ উপবাসে দিনকাটে বাঙাল স্বাধীনতার।
কই- কেউতো সম্পাদকীয় লেখে না!
পত্রিকা-চ্যানেল এরা সব আড়াই নম্বর চরিত্রের কর্পোরেট পামর-দালাল।
চিন্তা করা যায়,
আমি আর আমার বাদামের খোসারা…
আজকাল এমন একটা জীবনের লোভ হয়, যেখানে আমি আসলেই একা। একা মানে নিঃসঙ্গ। একেবারে নিঃসঙ্গ। সারাদিনের শেষে বাড়ি ফিরে আমি একা হবো। বাইরে আমি যেমন তেমন, ক্লাস, হ্যাং আউট, পার্টটাইম আর ভলেন্টারি ব্যাস্ততায় মশগুল! কিন্তু নিজের জগতে একা। পুরোপুরি একাই!!!
আমার জন্যে কারো কেয়ার করা লাগবেনা। আমিও করবোনা। আমাকে কারো জিজ্ঞাসা করা লাগবেনা কি খেয়েছি, ক্লাস কেমন গেল। আমার আনন্দে কারো তালি বাজাতে হবেনা!
প্রার্থনা-৩
তোমার নদী’য় ডুব সাতারে
ক্লান্ত আমার এ মন দেহ
“খুব গোপনে বাড়ছে যে জল”
মনের মধ্যে এ সন্দেহ-
আমায় আরও ক্লান্ত করে
তখন ভাসি তোমার সাথে
আরও বেশী বাড়লে বিরোধ
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!
তখন বোকা ঈশ্বরেরা
আমায় বলে,”সন্ত কবি,
ঘরের মধ্যে প্রার্থনা ঝুট
নষ্ট তোমার সাধন সবই!
গৃহত্যাগের লোভ দেখিয়ে
আমায় ডাকে জোৎস্না রাতে
আমি তখন প্রবল দ্বিধায়
চোখ বুঁজে রই প্রার্থনাতে!
নস্টালজিয়া-২
সাপ
অষ্টম শ্রেনীর শেষের দিকের ঘটনা। আসাদ ভাই তখন জুনিয়র প্রিফেক্ট।
আমার প্রিয় বন্ধু নাঈম আমাকে মজার এক তথ্য দিল। তথ্য চমকপ্রদ কিছু নয় কেবল ভেড়ার আচরন সম্পর্কিত, ভেড়ার পালে পশ্চাদগামী ভেড়া তার অগ্রগামী ভ্রাতাকে যথাযথ অনুসরণ করে থাকে। উক্ত তথ্য জেনে আমি ভেড়া, বড়ই আশ্চার্যান্বিত হলাম। বন্ধু আমাকে একটা উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিল।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ২২তম পর্ব
এই পর্বটা আমাদের ইসলাম(১৯৯৬-১০০২) ভাইয়ের একটি পোষ্ট (ঘুম) http://www.cadetcollegeblog.com/islam1060/15846থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয়েছে। ক্যাডেটদের সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঘুম। তারা একটু সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিতে পারে। সাধারণ ঘুমের স্থান ছাড়া ক্যাডেটদের প্রিয় ঘুমের জায়গা হচ্ছে ক্লাসরুম। আমার একটা খসড়া হিসাবে একজন মোটামুটি ঘুমপ্রিয় ক্যাডেট তার ছয় বছরের ক্যাডেট জীবনের প্রায় ৬ মাস ঘুমিয়ে কাটায় শুধু মাত্র একাডেমিক ব্লকে ক্লাস ও প্রেপটাইমে ঘুমিয়ে।
হিসাবঃ
ক্লাসের ৭ পিরিয়ডের কমপক্ষে ৩ পিরিয়ড × ৪০ মিনিট = ১২০ মিনিট
প্রেপটাইমের কমপক্ষে ১ ঘন্টা = ৬০ মিনিট
দৈনিক সর্বমোট = ১৮০ মিনিট
এই হিসাবে ১ বছরে ২০০ দিন ক্লাসে ঘুমালে মোট হবে = ৩৬০০০ মিনিট বা
= ৬০০ ঘন্টা বা
= ২৫ দিন বা ১ মাস*
তাহলে ৬ বছরে ক্লাসে মোট ঘুমানোর পরিমান হবে = ১মাস × ৬
= ৬ মাস
*(২৫ দিনে একমাস হিসাবে কারণ শুক্রবারগুলো বাদ দিয়ে)
বিঃ দ্রঃ এই হিসাবে কারও চোখে কোন ত্রুটি পড়লে লেখককে কোনভাবে দায়ী করা যাবে না।
বিস্তারিত»কিবরিয়া সাহেবের আলো বিক্রয়ের গল্প
এক বস্তা আলো নিয়ে হাটে এসেছে কিবরিয়া সাহেব
লক্ষ্য, যদি কেউ ক্রয় করে আলোকিত হতে চায় !
ইদানিং অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ,
সূর্য আগের মতো আলো ছড়ায় না,
শুনেছি জোনাকিরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
অদ্ভুত, অদ্ভুত সেই অন্ধকার
কেউ কোন কিছু দেখতে পায় না, তাও আলোর প্রতি কারো কোন আগ্রহ নেই।
ইদানিং দৃশ্যমান শয়তান মূর্তিহীন ঈশ্বরের জায়গা নিয়ে নিয়েছে
কিংবা দৃশ্যত সুখের কাছে অনন্ত অদৃশ্য সুখের বিলুপ্তি ঘটেছে
সমাজ সভ্যতার আলো এখানে মলিন ফিকে হয়ে গেছে ,
নস্টালজিয়া-১
মেডিটেশন
নবম শ্রেনীর কোন এক টার্মে, আমাদের মাহ্দী বিদ্যুৎ মিত্রের বই নিয়ে হাজির। মেডিটেশনের উপকারিতা বর্ননা করতে করতে অস্থির। ইতিমধ্যে খায়ের মেডিটেশনে পুরোপুরি উস্তাদ বনে গেল। সে নাকি চোখের ইশারায় চামচ বাকা করে ফেলেছে। চোখ না যেন হাতের ইশারায় বেডের উপর হতে তালা বন্ধ রুমের চাবি উদ্ধার করেছে। মাহ্দীর কাছে জানলাম, মেডিটেশন করে নাকি দেহের ওজন শূন্য করে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। পুরো ব্যাপারটাতে আমারো একটু আগ্রহ জন্মালো।
টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সায়েদ ভাই এর টুশকি সিসিবিতে একটা ক্যাটাগরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন উনাকে হারিকেন, মোমবাতি, হ্যাজাকবাতি কিছু দিয়েই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের সবারই ছয় বছরের ক্যাডেট জীবন টুশকিতে টুশকিময়। তাই কিছু টুশকি…মোস্ট জুনিয়র!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ নিজ দায়িত্বে পড়িবেন!
১। এক স্যার এর টিজ নেম ছিল “ট্যাপা”। স্যার এই নাম শুনলে খুব ক্ষেপে যেতেন। তো এক দিন এই নাম শোনার পরঃ “ওই…
বিস্তারিত»উপলব্ধিঃ মায়ের ভালবাসা
সবাই বলে সময়ের সাথে সাথে মানুষের ব্যস্ততা বাড়ে কিন্তু আমার কাছে কেন যেন মনে হয় ব্যস্ততা না দায়িত্ত বাড়ে।
বাবা-মা সবসময়ই তার সন্তানদের জন্য চিন্তা করেন, সে বড় হোক আর ছোট। যখন থেকে নিজেকে বড় মনে হয়েছে তখন থেকেই আমি সবসময় এই জিনিস গুলো নিয়ে খুব বিরক্ত হতাম। রাতে বাসায় আসতে দেরি হলে আম্মু বার বার ফোন দিত। কখন আসবি, আর কতদুর,
বিস্তারিত»মেয়েটা আর আমি…
এক বন্ধুর বিয়েতে পরিচয়_
প্রথম দেখাতেই হলো সংশয়।
জানি না, কেন তার ঐ নীলশাড়ি
আমার মনটা নিলো, অচিরেই কাড়ি।
আমি শান্তমনা ছেলে_
বন্ধুপাগল মনটি আমার
রাতদিন থাকে তালেতালে।
আর, কী যেন সে খোঁজে
আপন মনেতেই গান বাজে।
দিনদুপুরে নায়ক বেশে
বাইরে যায় কাজে।
বিস্তারিত»