: সবকিছু কি বলে বুঝানো যায়?
: হয়তো এইজন্যেই আমি সব বলি না, নিজেই বুঝি না, বুঝিয়ে বলবো কী ক’রে?
: তাই হবে হয়তো।
: তুমি কি বুঝতে পারো, আমাকে?
: পুরোটা নয়।
: কতটুকু বুঝতে পারো?
: তুমি যতটুকু বুঝতে দাও।
: খুউব না? ভালই তো বলো!
: মাঝে মাঝে অবাক হই, তুমি কত সহজে অনেক কিছু বুঝিয়ে বলতে পারো আশ্চর্য!
আবার মাঝে মাঝে বলতে গিয়ে থেমে যাও, পুরোটা বল না।
নারী রহস্যময়ী মানুষ বলে, আমি তার থেকেও বেশি একজন রহস্যময় পুরুষকে চিনি।
: তুমি আমার অনেক কাছের একজন এতটুকু তো জানলে?
: এটা যে আমি অনেক আগেই জানি, সেটা তুমি জানো না।
: আমি মাস্টারি করি, বুঝিয়ে বলা আমার কাজ।
কিন্তু বোধের অতীত থাকে অনেক কিছুই,
চিন্তারও অতীত; তা কীভাবে বুঝাই?
ভোর বেলাতেই যদি নামে সন্ধ্যার সাজ!
: আবার হেঁয়ালি, আবার কবিতা!
: দীপাবলির রাতে একা একা পথ হেঁটে ফিরি, এখনো জীবন খুব অগোছালো,
চারদিকে এতো আলো, কে গো অমন দীপ জ্বেলে রেখেছো, বলো?
কারো সব হয়ে আছে আলো, কবি’র দু’পাশে শুধু অন্ধকারের কালো,
পূর্ণ প্রাণে চেয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসে সেও তো প্রেমিক, বোকা কিংবা ভালো!
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।
এবারেরটায় একটা সম্পুর্নতা খুজে পেলাম সহজেই।
গাঁথুনি চমৎকার।
তুমি লম্বা রেসের ঘোড়া, বুঝতে পারছি....
স্বাগতম আমদের আপন ব্লগিং ভুবনে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পূর্ণ প্রাণে চেয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসে সেও তো প্রেমিক, বোকা কিংবা ভালো!
- বাহহ !
নাটকীয় কবিতা। ভাল লাগলো 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
বাহ, পুর্ণেন্দু পত্রী'র কথা মনে পড়লো
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
অনেক ধন্যবাদ! 🙂
কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার ...
"বোধের অতীত থাকে অনেক কিছুই"
"পূর্ণ প্রাণে চেয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসে সেও তো প্রেমিক, বোকা কিংবা ভালো"
- চমৎকার বলেছো!
পাঠকের মন্তব্যে তোমার রেস্পন্স দেখতে পেলে খুশী হতাম, সবগুলোতে সম্ভব না হলেও অন্ততঃ প্রতি কবিতায় কয়েকটাতে। এতে কবি-পাঠকের উপলব্ধির মাঝে কোন ফারাক থকে যাচ্ছে কিনা তা বোঝা যায়।