আলাভোলা

আলাভোলা
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

কাজ ছেড়ে নেমে যেতে অপাথর্িব সন্ধানে
দিয়েছিল ডাক আমাকে অনেক আগেই,
সেই ছোট্ট বেলায় গায়ের মাঠ, ধানের খেত
ঘন কচি তাজা সবুজের মাঠ চেরা আঈল,
পানির নহর আর তার মাঝে খেলা করা
মলা ঢেলা খলসে টাকি চুনোপুঁটি ঝাঁক।

খালের পার নদীর ধার ধরে কত গেছি হেটে
নেমে নদীর জ্বলে কচুরীর দামে হাত রেখে
ধরেছি দাঁড়িতে ঝুলে থাকা খলসে মাগুর কৈ
জলে তে সাপের লেজ ধরে দিয়েছি উধর্ে টান
ঘুরিয়ে দিয়েছি ছুড়ে আকাশের বুকে অসহায়
ধোরা,

বিস্তারিত»

নজরুল গীতিঃ খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে তার  ১১৬তম জন্মবার্ষিকীতে এই গানটি আমি গেয়েছিলাম। আজ সিসিবি তে দিলাম। আশাকরি ভাল লাগবে।

বিস্তারিত»

৮ টি ক্ষতিকর মিথ্যাচার আমরা প্রতিদিন নিজেদেরকে বলি

DLBK00005-compressor

কখনও কখনও নিজের জন্য সবচেয়ে বড় বাধাগুলো আমরা নিজেরাই তৈরী করি এবং আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক ধারনা পোষণ করি। মনকে সান্ত্বনা দেই।

আমাদের চিন্তাগুলো আসলেই প্রচন্ড শক্তিশালী, যারা কি না শেষমেশ আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের আচরণ তৈরি করে।তারাই কিন্তু সাফল্য নির্ধারণ করে।

বিভ্রমে থাকা খুবই সহজ। অন্ধকার এ থাকলে মিথ্যার মূল পরিপক্ব হয় এবং অতল ভেদ করেই চলে।

বিস্তারিত»

দেখে এলাম ভারতবর্ষঃ পর্ব ১

২০০৯ সাল থেকেই শুরু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া।ক্যাডেট কলেজের বন্ধু,বড় ভাই,ডিপার্টমেন্টের বন্ধু,অন্য কলেজের বন্ধু…সবার সাথে একের পর এক ট্যুরে বেড়িয়েছি।কখনো পাহাড়ে,কখনো চরে,কখনো বা নির্জন দ্বীপ,সমুদ্র সৈকতে।২০১৫তে এসে ঠিক করলাম আমরা কয়েকজন,লেভেলটা এবার বাড়িয়ে নিতে হবে,ট্যুরে যাবো দেশের বাইরে।

সবাই স্টুডেন্ট আমরা,টিউশনি করে চলি।আমাদের পক্ষে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর যাওয়া সম্ভব নয়,অবধারিত ভাবেই ডেস্টিনেশান প্রতিবেশী দেশ,ভারতবর্ষ।কাশ্মীর যাওয়া অনেক খরচ,প্ল্যান হোল তাই,ঘুরে আসবো সিমলা-মানালি-দিল্লী-কোলকাতা। প্রায় একবছর ধরে প্ল্যানিং আর স্টেপ বাই স্টেপ আগানোর পর গত ২২ডিসেম্বর পা বাড়াই আমরা ইন্ডিয়ার পথে।সেই ট্যুরের অভিজ্ঞতা নিয়েই এই ব্লগ লেখা।আশা করি কারো হয়ত কাজে আসবে।

বিস্তারিত»

ভূমিকম্প এবং ‘থিয়োরি অফ এবসারডিটি’!

ভূমিকম্প এবং ‘থিয়োরি অফ এবসারডিটি’!

অতি সম্প্রতি আমি আমার অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার সুযোগ নিয়ে জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করা আলোয় আলবেয়ার কাম্যুর ‘আগন্তুক’ (The Stranger) নামের একটা বিখ্যাত উপন্যাস পড়েছি, সম্ভবত যে উপন্যাসের জন্যে তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। উপন্যাসটির মূল থিম ‘থিয়োরি অফ এবসারডিটি’ (Theory of Absurdity) কে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে যার মোদ্দা কথা আমি যতটুকু বুঝেছি তা হল যে,

বিস্তারিত»

~ এই শীতে, অবশেষে … ~

অকস্মাৎ সরিসৃপ হেঁটে গেলো দেহময়,
অস্থি-মজ্জার কেন্দ্র ও কুরুশে

মেঘের নিরাপদ আবাস থেকে
মিহিদানা জলকনা
দেরাজে তুলে রাখা লংকোট
ও মাফলারে চালালো হানা।

পারদের স্থবিরতা কাটাতে
নাভিমূল সাজালো আজ
উষ্ণতার অভয়ারণ্যে আঁকা
শিল্পের সুষম ভাঁজ।

সোনালী শিশির সুখ পানে
সুশোভন সময়ের যুবরাজ।
অনাবিল আহলাদে তুলে আনে
কম্পমান যুগল পায়ের কারুকাজ।

বিস্তারিত»

গুজব রটনা সম্পর্কিত সচেতনতামূলক একটি ব্লগ

অনলাইন বা অফলাইনে ছেড়ে দেয়া ও ছড়ানো রিউমার-গুজব-হোএক্স নিয়ে কিছু একটা লিখার ইচ্ছা অনেকদিনের।
লিখি লিখি করেও লিখা হয়ে উঠছিল না, নানা কারনে।
এবার লিখাটা একরকমের জরুরীই হয়ে উঠলো হঠাৎ করেই।
কেন? সে কথায় পরে আসছি। তার আগে বলে নেই, আমার প্রথম অনলাইন হোএক্সের শিকার হবার গল্পটা।
গত দশকের গোড়ার কথা। তখনও ফেবু যুগ শুরু হয় নাই।
আমাদের সোশাল মিডিয়া ছিল গ্রুপ মেইল নির্ভর।

বিস্তারিত»

গোলাপকথা

লিখিয়াছিল:প্রাণনাথ,
প্রাণ দিতে পারি।

কবুতর উড়িল বটে,
অদূরেই পতিত হইল;
দুয়ারে উহার কর্তিত মুন্ডু লইয়া
তরবারি উপস্থিত হইতে
কহিল — গোলাপের উদ্যানে
সংগোপনে সমাহিত হইব
অন্তিম এই ইচ্ছা মিনতি করি…..

পক্ষ দুই পরে
অশ্বপৃষ্ঠ হইতে অবতরণ করিয়াই
যুবরাজ অনন্যার সন্ধান করিলে
গোলাপের চক্ষু রক্তে ভরিয়া উঠিল
মৃত পায়রার পালকে
আকাশ আচ্ছন্ন হইল;

বিস্তারিত»

পুরনো ঢাকা’র গল্পঃ পাঁচ

“এই যে আসেন!” কঠিন অথচ কৌতুক মেশানো গলায় ডাক এলো পেছন থেকে।
ঘুরে তাকালাম, বিক্রেতা দুই হাতে কী সব একত্রে মাখাচ্ছেন আর হাঁক দিচ্ছেন, “এই যে আসেন, বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা বাড়ি লিয়া যায়! ধনী-গরিব ছবায় খায়, মজা পাইয়া লিয়া যায়! দাদায় খায়, দাদি তৃপ্তি পায়!”
বুট, মুরগি, ডিম, কিমা, গিলা, কলিজা, মগজ, ঘি, চিড়াসহ অসংখ্য পদ দিয়ে তৈরি হয় ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ নামের এই অদ্ভুত ইফতার আইটেম;

বিস্তারিত»

যতিতে পূরবী

ক.
যতিতে পূরবী;ছড়াও নাগরিক ছোঁয়া
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে জেগে উঠা দাবী
জোছনা-জোছনা চায়,আর ছাদঘরে
পুঞ্জীভূত মেঘ হয় উর্বর নাভী

নাভীমূলে গোলাপের চাষ
কৃষিবিদ শীতঘুম ভেঙে
রোদে বসে লিখবে থিসিস
:নেপিয়ারে ধূর্ত দোঁ-আশ

খ.
রাখি বলে ছেড়ে দিয়ে ফোন
বই খুলে তর্জমা খোঁজে
এলোমেলো জ্যামিতিক কোণ
মাপজোকে প্রেম ভুল বোঝে

গ.

বিস্তারিত»

রিইউনিয়নঃ সুন্দর তুমি চক্ষু ভরিয়া এনেছো অশ্রুজল

স্মৃতিরা হলো ঝুলিতে রাখা আহ্লাদী বেড়ালছানার মত; এমনিতে গুটিসুঁটি মেরে সুবোধ বালিকার মত চুপচাপ থাকে কিন্তু একটু নড়াচড়া করলেই আলতো করে সে মাথা উঁচিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়ে বলে, মিঁয়াও মিঁয়াও! তারপর সেই মিঁয়াও ধ্বনির সাথে সকরুণ বিল্লি পিটপিট চোখে এমন করে তাকায় যে তখন সংসার সন্তান সব ফেলে তার মুখে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে মন চায়! আমাদের কলেজের রিইউনিয়নের আলোচনা শুরু হতে আমার সেই তুলতুলে সাদা বেড়ালবাচ্চার কথাই মনে পড়লো!

বিস্তারিত»

অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা কি আমাদের জাতিগত সমস্যা?

ক্যাডেট কলেজগুলো মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার পরও মুক্তিযুদ্ধের পরপরই তা বন্ধের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা থেকেই একটা প্রশ্নই মাথায় ঘুরপাঁক খায়….// অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা আমাদের জাতিগত সমস্যা কিনা?//

ক্যাডেট কলেজগুলো বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা ভাবনা বা উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর পর তো বটেই এখনও অনেকে আছেন যারা এ ব্যাপারে একেবারেই আপোসহীন। যদিও ক্যাডেট কলেজের বিকল্প (ক্যাডেট কলেজ বন্ধ করে দেয়ার পর) কি হতে পারে বা তার চেয়েও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা ব্যবস্হা কি হতে পারে সে ব্যাপারে তারা আম-জনতাকে অন্ধকারে রাখতেই পছন্দ করেন।

বিস্তারিত»

স্কুল পালানোর দিনগুলো!

স্কুল পালানোর দিনগুলো!

পলায়নের কাহিনী কখনই গৌরবগাঁথা বা বীরত্বের কাহিনী হতে পারেনা। যেমন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির ১৭ জন অশ্বারোহী বাহিনীর আকস্মিক আক্রমনের মুখে লক্ষন সেনের রাজপ্রাসাদের পিছনের দরজা দিয়ে পলায়ন অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিন এশিয়া থিয়েটারে জাপানিজ আক্রমনের বিপরীতে ‘ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ফোর্স’ এবং চাইনিজ ফোর্সের বার্মা থেকে পালিয়ে আসা, এমনকি আহমেদ সফা’র বিখ্যাত উপন্যাস ‘অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী’ উপন্যাসে পুরান ঢাকার মাস্তান ছেলেদের রোষ থেকে বাঁচার জন্যে ‘দুরদানা বেগম’ (শামিম শিকদার) ও আহমেদ সফা’র বাড়ীর মালিকের সহায়তায় পিছনের দরজা দিয়ে সাইকেল যোগে পালিয়ে আসা –

বিস্তারিত»

স্বপ্নের দিন ও রাত

প্রিয়তমা,
ভাল আছ তুমি? নিশ্চয়ই ভাল আছ।
শিকলহীন পথে তোমার পথচলা খারাপ হওয়ার কথা নয়।

মাঝেমাঝে নিজের উপর অভিমান হয়।
অভিমান টা মাঝে মাঝে রাগে রূপ নেয়,
শান্ত হয় উত্তপ্ত গরলের ছোয়ায়।
অভিমান হয়,
অভিমান হয় তোমায় আগলে রাখতে না পারার কারনে।
কিন্তু কিভাবে তোমায় আগলে রাখি বলো ?
আমার কাছে যা আগলে রাখা,
তোমার কাছে তা আটকে রাখা।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৭

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মোঃ আব্দুল গফুর
গফুর স্যার আমাদের ফিজিক্স পড়াতেন। তিনি অতি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন, কথাবার্তায় স্পষ্টভাষী ছিলেন, নিয়মনীতি পালনে ও রক্ষায় কঠোর ছিলেন। হোমওয়ার্ক নিয়মিতভাবে দিতেন এবং নিয়মিত ভাবে তা পরীক্ষাও করতেন। ল্যাবেও বেশ সিরিয়াস ছিলেন, কোন ফাঁকিজুকি পহন্দ করতেন না। তিনি ক্লাসে কদাচিৎ হাসতেন, আর একটু নাকি সুরে কথা বলতেন। বাহ্যিকভাবে তিনি খুব কঠোর থাকলেও অন্তরে তিনি ক্যাডেটদের প্রতি স্নেহপ্রবণ ছিলেন।

বিস্তারিত»