মেকং এর নাকফুল

মেকং এর নাকফুল

প্রস্তাবনা

“চেয়ে দেখ মেকং আর বেনহাই এর জলে নতুন জীবনের মুখ
কান পেতে শোন নতুন দিনের ঘোষণা মন্দ্রিত হচ্ছে হো-চি-মিন এর কণ্ঠে।”
কেবল মেকং নদী দিয়েই দেশগুলোকে এক বিনিসুতোর মালায় গেঁথে ফেলা যায়! কেননা, এই নদীকে কেন্দ্র করেই এর তীরবর্তী বা অববাহিকার দেশগুলোয় গড়ে উঠেছে ঔপনিবেশিক আধিপত্যবাদ, বহু সংগ্রাম ও বিপ্লব এবং নদীকেন্দ্রিক সভ্যতার উত্থান ও বিকাশের ঐতিহ্য।

বিস্তারিত»

অন্য জীবন!

অন্য জীবন!

“Xavier didn’t merely live a single life that extended from birth to death like a long, filthy string; he didn’t live his life, he slept it; in this life-sleep he leaped from dream to dream; he dreamed, fell asleep while dreaming, and dreamed another dream, so that his sleep was like a box into which another box is fitted, and in that one still another box,

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ চৌদ্দ

: ঘুমিয়ে পড়েছিলে?
: এই সময়টা ঘুম ঘুম লাগে। তবুও তোমারই আশায় ছিলাম মনে হল। বুঝতে পেরেছিলে?
: আমারো ঘুম পাচ্ছিলো খুব … কিন্তু ভাবছিলাম কতগুলো গান-এর কথা তোমাকে বলবো।
: আমিও আজ কতগুলো গান বেছে রেখেছি তোমার জন্যে!
: কী আশ্চর্য! ভাবনাগুলো কেমন মিলে যায় … একই সময়ে …
: হুম, ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে’ …
: জানো,

বিস্তারিত»

ঢাকা টু নরসিংদী (ভ্রমন কাহিনী!)

ঢাকা টু নরসিংদী (ভ্রমন কাহিনী!)

আমার বড় মেয়ের ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি প্রসেস কমপ্লিট হওয়া পর্যন্ত মোট পৌনে এক বছর সময় লাগলো! মার্চ টু ডিসেম্বর ২০১৪! এই সময়ের মধ্যে পুরো পরিবার নিয়ে আমার কোথাও বেড়াতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কাজেই এই বছরের শুরুতে যখন আমার মিসেসের খালা নরসিংদীতে তাদের বাসায় বেড়াতে যাবার আমন্ত্রন দিলেন, আমরা লুফে নিলাম।

খুব সকালে যাত্রা করলাম।

বিস্তারিত»

মৃত এক ভায়ের চিঠি

মৃত এক ভায়ের চিঠি

(বোনদের কাছে লেখা একজন অকম্যর্ খেয়ালি ভায়ের চিঠি)
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ ।

এমনই জনম পোড়া কপাল জীবন নিয়ে আমার
তোমাদের সাথে বসবাস ভালবাসা হল না আর
তাই হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম , থাকবো না
এই ঘরে বসবো না চেয়ারে, সিঁড়ি বেয়ে হাঁটবো না
যেন আর কোনদিন দেখা না হয় তোদের সাথে।
কত কথা কত জন কত রাগ আমাকে নিয়ে
আমি নছ্ছার বেয়ারা বাঁদর অসভ্য কোথাকার
জানি কত যে দোষ ছিল আমার হাজার হাজার।

বিস্তারিত»

বিরক্তি-অবহেলা চক্র: খুব খারাপ! খুব খারাপ!!

আজ সকালেই দালাইলামার একটি কোটেশন পড়ে যা বুঝলাম তা হলো এই যে –
কখনো কারো ক্রোধের কারন হলেও, বিরক্তির কারন হতে নেই। কারন:
ক্রোধ ও বিরক্তি, দুই-ই মানব মনে থাকা কাছাকাছি ধরনের অবস্থা হলেও তাদের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর।

ক্রোধ জিনিষটা তুলনামূলকভাবে তীব্রতর একটি অবস্থা হলেও তা আসে যায়। অর্থাৎ তা দীর্ঘস্থায়ী কিছু নয়।
কিন্তু বিরক্তি কম দৃশ্যমান হলোও তা দীর্ঘ্যস্থায়ী একটি অবস্থা যা ধিকি ধিকি করে জ্বলতেই থাকে।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন হুমায়ুন আহমেদ

IMG_20151104_143551

 

 

 

 

 

 

 

[ হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে লেখা একটি Bilingual Poem. অলপোয়েট্রিতেও প্রকাশিত ]

Ode to Humayun Ahmed

You  taught us
to enjoy rain
and crying is not
a matter of shame.

আজ আমার খুব
কাঁদতে ইচ্ছা করছে
কষ্টের বাষ্পগুলো সব
ঝরে পড়ুক নিঃশেষে।

বিস্তারিত»

অষ্টম বর্ষে সিসিবিঃ আসছে পিকনিক।

৮ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখটি নিয়ে চিন্তা করতে থাকুন। আগামী ৮ ডিসেম্বর সেই তারিখটি অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করবে। চিন্তা করে দেখুন আটটি বছর কিন্তু অনেকটা লম্বা একটি সময়। সিসিবির জন্যেও এই আটটি বছর ছিল অনেক লম্বা একটি পথ। এই পথটি ছিল নির্মল আনন্দের, ছিল কোলাহলপূর্ণ, ছিল মত পার্থক্যের, ছিল কলহের, ছিল দুঃখের, ছিল কোলাহলশূন্য, ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর, ছিল পূনর্জাগরণের। এই আট বছরের চড়াই উতরাইকে উদযাপন করতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সিসিবি এবার লেখক,

বিস্তারিত»

উনিশ শ’ একাত্তর -১

ব্রিগেডিয়ার মজুমদারের রবিবাবের সকালটা পানসে হয়ে গেল। মিনিট দুই আগে কোয়ারটার মাষ্টার জানিয়েছে, ঢাকা থেকে হেলিপ্যাড রেডি করতে বলা হয়েছে। তার মানে সিনিয়র কারো আসার কথা, অথচ তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ঢাকায় ফোন বুক করলেন। কোর্সমেট জাহাঞ্জেব আরবাব ঢাকায় ৫৭ ব্রিগেডের অধিনায়ক। তিনি বললেন “আশ্চর্য তুই কিছুই জানিস না? চীফ যাচ্ছেন, কিঊএমজিকে নিয়ে, জিওসিও যেতে পারেন”।
মার্চের শুরু থেকেই একের পর এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বিস্তারিত»

তিন শহর

ফ্রাঙ্কফুর্ট। জার্মানী।
ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুর ম্যাসেজ। আর এক মহাদেশ পার হয়ে আসাতেই যেন হ্যান্ডসেট স্ক্রীণে মৃদু কাঁপন অনুভব করে দূরের বন্ধু। মৃদু হাসি নিয়ে বিছানায় পাশ ফিরে আরাম অনুভব করে। ভালো লাগাটুকু চোখ বন্ধ করে উপভোগ করে।
স্ক্রীণে বন্ধুর মুখ।
‘ পারুর সাথে একবার কথা বলতে চাই। আমার ফোন ই ধরছে না। তোর বুবুকে বল না..’
সময় যেন থমকে যায়।
নিঃশ্বাসগুলো বিশ্বাসের ওপার থেকে এপারে আসতে বাঁধা পায়।

বিস্তারিত»

~ বেভুল বিটোভেনে এখন ~

জীবনকে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিঙে
আমূল বিদ্ধ করে
দেখতে চেয়েছিলাম
কতোটা রক্তপাত ধারন করে
তার লৌকিক শরীর !

কোষের ভিতর
নুনের পরিমান মাপতে মাপতে
ক্লান্ত জিভের চামড়া খুঁইয়েছি ।
বুঝিনি –
কতোটুকু ছিলো তার ঘাম,
কতোটা রক্তস্নান !

বোধের মরফিনে
ডুবে থাকা অনুভূতির ঢল
তখনো অবাক
ঝরায় অশ্রুজল !

চামড়ার পোষাক খোয়ানো
নাংগা জিভখানা অকস্মাৎ
বুঝে ফেলে অশ্রুতে
জল ও নুনের মিশ্রণ অনুপাত ।

বিস্তারিত»

ববি ডারিন – “ভুল সময়” যাকে “কিংবদন্তি” হতে দেয়নি

“কাম সেপ্টেম্বর” ছবিটা তরুণ্যের কালে বিটিভিতে দেখেছিলাম।
কিন্তু তখন রক হাডসন আর জিনা লোলা ব্রিজিডাকে দেখায় এতটাই মশগুল হয়ে ছিলাম যে এ ছবির তরুণ সাপোর্টিং একটর-একট্রেসদের কে লক্ষ করা হয়নি সেভাবে।
তাছাড়া তখনতো আর তথ্য-প্রযুক্তির কাল আসে নাই, তাই পরে তাঁরা এছবি থেকে কি কি স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন, তার কোন কিছুও জানা হয়নি আর।

কিছুদিন আগে অনেকটা হঠাৎ করেই এক বন্ধুর কাছে জানলাম,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৩

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন আমাদের বাংলার শিক্ষক ছিলেন, তবে ইংরেজীতেও তাঁর বেশ ভালো দখল ছিলো। একইসাথে তিনি নজরুল হাউসের হাউস মাস্টারও ছিলেন। প্রতিদিন সিরিয়াসলী পড়াতেন না, কিন্তু যেদিন তাঁর পড়ানোর মুড আসতো, সেদিন তিনি পিন পতন নিস্তব্ধতার মাঝে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যেতেন। আমরা হয়ে থাকতাম তাঁর বিমুগ্ধ শ্রোতা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, গোলাম মোস্তফা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ কবিদের লেখা থেকে তিনি প্রচুর রেফারেন্স টানতেন।

বিস্তারিত»

তারপর…

একদিন ঝড়ো রাতে তুমি এসেছিলে,
চুপচাপ কাছে এসে পাশে বসেছিলে।
বোশেখের আমগুলো ঝরে পড়েছিলো,
প্রদীপের শিখাটুকু নিভে গিয়েছিলো।

তারপর…
মনে পড়ে?

তারপর আর তেমন কিছু নয়…

আঁধার মাঝেই উঠে তুমি রসুইঘরে গেলে,
উনুন ফুঁকে পাটখড়িতে আগুন ধরালে।
সেই আগুনে নিভে যাওয়া সলতে জ্বালালে,
আবার পাশাপাশি আলোয় বসে গল্প শোনালে…

ঢাকা
০৪ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»