যায়েফ কে এবং কেন; সমগ্র ভুলে গেছি
সময় প্রসারিত হয়েছে,বেড়েছে আঙুলের ফাঁক
মিথ্যা সমগ্র, যাবতীয় প্রতারণা, অন্ধত্বও বেড়েছে
গ্যালারীতে ঝুলে গেছে সহস্র তৈলচিত্র, ফটোগ্রাফ
কেউ জানে না নাকের দাগের কারণ, টোলের ইতিহাস
প্রতি রাত্রে হয়েছি কাদা, তারপর নিপূণ শিল্পীর হাতে
ঘোড়ায় রূপ নিয়েছি।
অথচ এ যৌবন কেটেছে রাবারের বনে
আদিম কাঠুরের হাতে হিংস্র কুঠারে বিদীর্ণ বৃক্ষ
কোন কোন দিন প্রতিশোধ পরায়ন হয়,
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ডায়েরীর পাতা: কেন লিখছি কি লিখছি
ডায়েরী লেখার অভ্যাস প্রথম হয় ক্যাডেট কলেজে গিয়ে। কেমন জানি একটা নিয়ম ছিল সব ক্যাডেটকে বাধ্যতামূলক ডায়েরী লেখা লাগবে। এতো তেল সব ক্যাডেটের থাকত না। দেখা যেত হাউজ ইন্সপেকশনের দিন সব গোছানো শেষে কয়েক সপ্তাহের ডায়েরী একবারে লিখে ফেলতো। আমার আবার শরীরে তেল চর্বি না থাকলেও এইসব হাবিজাবি কাজে ভালই তেল ছিল। ক্লাস এইট থেকে মোটামুটি নিয়মিত ডায়েরী লিখছি। এমনো হইছে দুইটা ডায়েরী লেখা হইছে।
বিস্তারিত»তিনটি প্রতিক্রিয়া
এক
সম্প্রতি দাবা খেলাকে হারাম বলে ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি মহোদয়। খবরটি দেখার সাথে সাথে মনে ভেসে উঠলো উৎপল দত্তর চেহারা, হীরকের রাজা। কল্পনায় দেখতে পেলাম রাজসভায় বসে তিনি এরকম একটি ঘোষণা দিচ্ছেন –
রাজাঃ
দাবা!
খেললে কিন্তু জাহান্নামে যাবা।
… ঠিক কি না?
সভাসদ দলঃ
ঠিইইইক, ঠিক ঠিক …
দাবাড়ুরা সব ইহুদি-কাফের-নাস্তিক!
পিতা-কন্যার হ্যাং আউট-১
অনেক সময়ই দেখা যায়, একটা বয়সে পৌছুলে পুত্ররা আর বাবা-মায়ের সাথে বেরুতে চায় না।
এটার একটা কারন হতে পারে এই যে, মামা’স বয় বা ড্যাডি’স বয় – এদুটো পরিচয়ের কোনোটাই তারা পেতে চায় না।
কন্যারা এই দিক দিয়ে সুবিধায় থাকে। মামা’স গার্ল হতে কিছু আপত্তি থাকলেও ড্যাডি’স গার্ল হতে তাদের কারোরই কোনো আপত্তি থাকে না।
বাবার সাথে তারা শুধু যে বেরোয়, তাই না,
আ মরি বাংলা ভাষা
টুকিটাকি – ৩
১
কারমা আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র এক নিয়ম মেনেই কাজ করে। কে ভেবেছিল পলাশীতে যে সূর্য ডুবেছিল ২৫০ বছর পরে তাই আবার একদিন উদিত হবে সিলিকন ভ্যালিতে। স্বর্গ আর নরকের মাঝামাঝি নো ম্যানস ল্যান্ডে এসে নবাব সিরাজুদ্দৌলা নাকি উত্তেজিত স্বরে লর্ড ক্লাইভকে প্রায়ই শাসিয়ে যায়, ‘ তোমাদের ছিল কূট বুদ্ধি আর আমাদের হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধি।’
‘ইয়োর মাজেস্টি, তার জন্য কী আমাডের প্রণীট এডুকেশন দায়ী নয়?’,
~ চাঁদে জীবন কাঁদে ~
স্বপ্ন সিঁড়ি
আঁকতে
আঁকতে
গেছি উঠে
চাঁদে
ফ্রেমবন্দী এক
আকাশ
আমায়
একলা দেখে
কাঁদে
২৭ জানুয়ারী ২০১৬
বিস্তারিত»প্রেমিক
“প্রেমিক”
( জাপানী মরমী কবি তামাহোমা-সানের(১৮৮৪-১৯৮৪) সুদীর্ঘ কবিতা। প্রিয় সামুরাই শিষ্য হু-সেন ((মতান্তরে হু-সান) যখন কবির কাছে প্রেমিকের সংজ্ঞা জানতে চায়, তিনি তখন এ কবিতাটি বর্ণনা করেন। বঙ্গানুবাদ এই অধম )
১
বসিয়াছিলেন কবি তামা-হোমা শান্ত নদীর তীরে,
শিষ্য হু-সান পাশে আসিয়া দাঁড়াইল নতশীরে।
হু-সান ছিল দারুণ যোদ্ধা সামুরাই দুর্বার,
তরবারী হাতে করিত সকল বিপত্তি চুরমার।
জীবনের জার্নাল – ২৯
সাধারণতঃ তিন শ্রেণীর ক্যাডেটদের জন্য ক্যাডেট লাইফটা চরম আনন্দের ও আত্মতৃপ্তির হয়ে থাকে। প্রথম শ্রেণীতে পড়ে যারা স্পোর্টস এবং এ্যথেলেটিক্সে ভালো হয়ে থাকে। এরা বাকী ক্যাডেটদের জন্য, বিশেষ করে জুনিয়রদের জন্য রোল মডেল হয়ে থাকে। তারা খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। হাউসের জন্য তারা পয়েন্ট অর্জন করে থাকে বলে তারা হাউস মাস্টার, হাউস টিউটর এবং হাউস এনসিওদের প্রিয়ভাজন হয়ে থাকে। এজন্য এদের ছোটখাট দোষ ত্রুটিও হাল্কাভাবে দেখা হয়।
বিস্তারিত»পত্র নয়, পদ্য
বুকটা যখন কোন কারণে ভারী হয়ে ওঠে,
পাখিরা তখন এসে আমায় গান শুনিয়ে যায়।
ভালো লাগে পাখিদের কণ্ঠ, বর্ণ, চলাফেরা।
কারো সযত্ন অবহেলা যখন বুকে বেজে ওঠে,
চোখের পাতা দুটো তখন ভারী হয়ে আসে।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সব ঠিক হয়ে যায়।
স্বপ্নেরা খেলা করে আমায় নিয়ে, শিশুদের মত
কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়। আমি বালিশকে
আঁকড়ে ধরে একটা অবলম্বন খুঁজে যেতে থাকি।
শুভ-পরিনয় সম্পর্কিত একটি সুসংবাদ…
আমাদের “পারুল বোন” সাবিনা চৌধুরী সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
কবে কখন কোথায় শুভকর্মটি সম্পন্ন হয়েছে, এখনো জানি না।
শুধু জানি, সৌভাগ্যবান পাত্রটিও আমাদের মতই একজন এক্সক্যাডেট।
কোন কলেজের, কোন ব্যাচের – এখনো কিছুই জানি না…
এই মুহুর্তে শুধু সংবাদটি দেয়ার অনুমতি পেয়েছি।
সেটাই দিলাম।
এর পর বাকি কথা, ছবি, ইত্যাদি কমেন্টে হবে।
এখানে সাবিনাকে অভিনন্দন জানানো যাবে।
বিস্তারিত»কর্তৃপক্ষ সমীপে
নিজের লেখায় লাইক/কমেন্ট/শেয়ার পড়লে ভালই লাগে। যেমন আমার লেখা ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস ক্যাডেট ম্যাগাজিনে এবং Bangladesh Navy এর ফেসবুক পেজে ব্যাপক নন্দিত হয়েছে। কিন্তু তাদের সম্পাদক/ এডমিন অনুমতি চাওয়া দূরের কথা আমাকে জানানর ন্যূনতম ভদ্রতা দেখাননি। এ বিষয়ে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
বিস্তারিত»আমাদের হারুন স্যার
আমাদের হারুন স্যার
“পুত্রশোকাতুর রবীন্দ্রনাথ রাত্রে ট্রেনে আসতে আসতে দেখলেন জ্যোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে, কোথা কিছু কম পড়েছে তার লক্ষণ নেই। তাঁর মন বললে, কম পড়েনি- সমস্তের মধ্যে সবই রয়ে গেছে, আমিও তারি মধ্যে। সমস্তর জন্যে আমার কাজও বাকি রইল। যতদিন আছি সেই কাজের ধারা চলতে থাকবে। সাহস যেন থাকে, অবসাদ যেন না আসে, কোনওখানে কোনও সূত্র যেন ছিন্ন হয়ে না যায়- যা ঘটেছে তাকে যেন সহজে স্বীকার করি,
বিস্তারিত»বেলাশেষে ( ইন দ্যা অটম অফ লাইফ )
মুভিঃ বেলাশেষে(২০১৫)
জেনার/রীতিঃ ফ্যামিলি ড্রামা।
পরিচালানাঃ নন্দিতা রায় / শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
অভিনয়ঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,স্বতীলেখা সেনগুপ্ত,ঋতুপর্না সেনগুপ্ত,খরাজ মুখোপাধ্যায়,প্রমুখ।
কোন সাধারন বা ক্লিশে কাহিনী সঠিক কারিগরের হাতে পড়লে সেটা কতটা নান্দনিক রূপ নিতে পারে বেলাশেষে দেখে আর একবার উপলব্ধি করালাম।নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটির ইচ্ছে,মুক্তধারা ও রামধনু দেখে আগেই বুঝেছিলাম সাবলীল গল্প বলা একটা শিল্পের নাম;আর সেইধারার সর্বশেষ সংযুক্তি বেলেশেষে।
~ এই শীতে, অবশেষে – দুই ~
এই শীতে অবশেষে
কয়েক ছত্র বৃষ্টি এসে,
নগরীতে দিয়ে গেলো
প্রতীক্ষিত সেই হিম স্বাদ।
শীতের শরীর ছুঁয়ে
আহলাদী নাগরিক
উল্লাসে জানায় তার
বরফ ভাঙা উদযাপন সাধ।
মেহেগনি ইউক্যালিপটাস বা
বোগেনভেলিয়ার লাজুক
পাতাদের গায়ে ধূলার
চাদর মুছে জমা বিন্দু জলে –
শখের ডিএসএলআর তার
দীর্ঘ অক্ষিকাঁচ দিয়ে
অপূর্ব ফ্রেমের গায়ে
বুঝি শীতছবি আঁকা খেলে।