স্কুল পালানোর দিনগুলো!
পলায়নের কাহিনী কখনই গৌরবগাঁথা বা বীরত্বের কাহিনী হতে পারেনা। যেমন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির ১৭ জন অশ্বারোহী বাহিনীর আকস্মিক আক্রমনের মুখে লক্ষন সেনের রাজপ্রাসাদের পিছনের দরজা দিয়ে পলায়ন অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে দক্ষিন এশিয়া থিয়েটারে জাপানিজ আক্রমনের বিপরীতে ‘ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ফোর্স’ এবং চাইনিজ ফোর্সের বার্মা থেকে পালিয়ে আসা, এমনকি আহমেদ সফা’র বিখ্যাত উপন্যাস ‘অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী’ উপন্যাসে পুরান ঢাকার মাস্তান ছেলেদের রোষ থেকে বাঁচার জন্যে ‘দুরদানা বেগম’ (শামিম শিকদার) ও আহমেদ সফা’র বাড়ীর মালিকের সহায়তায় পিছনের দরজা দিয়ে সাইকেল যোগে পালিয়ে আসা – সব কাহিনী গুলোকেই আমরা একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। কোনটাই গৌরব দীপ্ত ছিলনা। অবশ্য সামরিক ইতিহাসের পলায়ন গুলোকে ভিন্নমাত্রা হিশেবে দেখা হয়ে থাকে এবং এই ধরনের পলায়নই পরবর্তীতে তাদের জন্য ভিন্নতর বিজয় সূচিত করতে পারে। যেমন তালেবানরা আমেরিকানদের সর্বতভাবে ডেপলয় নিশ্চিত করার পর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। এখন তাদের আবার দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে জায়গায় নব নব রুপে!
ক্যাডেট কলেজ থেকে পালানোর বিষয়গুলোও ভিন্ন মাত্রার পলায়ন বলেই সকল অতীত এবং বর্তমান ক্যাডেটরা বিবেচনা করে থাকে এবং সারা জীবন তারা এ সম্পর্কিত নস্টালজিয়ায় ভুগে থাকেন। পলায়ন সম্পর্কে আমার ধারনা একটু অন্য ধরনের। আমার কলেজ থেকে পালানোর কখনোই কোন ইচ্ছে হয়নি।তবে তারপরেও আমি বা আমরা পালিয়েছিলাম। একবার নয় অনেকবার!
প্রথমবার আমি কলেজ থেকে পালাই দেওয়ান আব্দুন নাসেরের সাথে ক্লাস এইট অথবা নাইনে।
এর পর বহুসংখ্যক বার বাহাদুরের সাথে; কেউ জানেনা!
সবশেষে পালাই ক্লাসের সবার সাথে যূথবদ্ধ হয়ে ক্লাস ইলেভেনে।
এতদিন পরে আমার মনে হয়, শুধুমাত্র বাহাদুরের সাথে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে কলেজের পূব পাশের পুকুরপাড় দিয়ে পালিয়ে আশেপাশের মধুপুরের বন বা প্রকৃতির ভেতরে ঘোরাফেরা করে আবার সবার অজান্তে যথাসময়ে আবার কলেজে ফিরে আসার মতন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পালানোর ঘটনাগুলোই শুধু আমার জন্যে যথার্থ ছিল। আমার প্রথম এবং শেষ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুটো প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী তো ছিলই, আমাদের জন্যেও শিক্ষণীয় বা নৈতিক কোন কিছু ছিলনা। প্রথমোক্ত এবং শেষোক্ত পলায়ন দুটোকে আমি যদি কৈশোর বা যৌবনের অবিমৃশ্যকারিতা বলে উল্লেখও করি, তাহলেও অত্যুক্তি করা হবেনা বলে আমি মনে করি। যদিও আমার জীবিত অনেক ক্লাসমেট বন্ধুরাই সমস্বরে আমাদের শেষ পলায়নকে ‘দ্য গ্রেট এস্কেইপ’ নাম দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকতার বেড়াজাল ছিন্নভিন্ন করে বেরিয়ে আসার কৈশোরিক প্রয়াশ বা আমাদের তারুন্যের উন্মাদনা হিশেবে চিহ্নিত করে এদেরকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করবেন। তারপরেও আমার এই বয়সকালে আমি একই কথা বলব। কারন বড় হবার পর বা কর্মক্ষেত্রে এসে আমি বুঝেছি কতটুকু উন্মাদনাকে তারুন্যের প্রতিফলন হিশেবে বিবেচনা করা যেতে পারে আর কতটুকু উন্মাদনা অনিয়মতান্ত্রিকতা বা শৃঙ্খলাহীনতার বাহন হতে পারে!
আমার প্রথম পলায়ন আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ স্পোর্টস মিট এর সময়ে শুক্রবারের নামাজের পর। বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজ থেকে বিশাল বিশাল দল এসেছে আমাদের কলেজে। এদের থাকার জায়গা করার জন্যে আমাদেরকে নিজ নিজ কক্ষ থেকে দোতালার রুমগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই সাময়িক ব্যবস্থাপনার কারনে যে কক্ষগুলোতে আমরা পুনর্বাসিত হয়েছি, সেই কক্ষগুলোতে একই ক্লাসের ক্যাডেটদের আধিক্য হবার কারনে রুম ক্যাপ্টেনের আদেশ-নিয়ন্ত্রন কাজ করছেনা। স্পোর্টস মিট এর কোন আনন্দই আমাকে আর দেওয়ান আব্দুন নাসেরকে আনন্দিত বা উদ্বেলিত না করার কারনে গতরাতে আমরা দুজনে মিলে বড় ধরনের একটা অভিযানের পরিকল্পনা করেছি। কলেজে যেহেতু বিভিন্ন কলেজ থেকে খেলোয়াড় এবং এথলেটরা এসেছে, সেহেতু আমি আর দেওয়ান আব্দুন নাসের দুজনেই জানি যে, আগামি কয়েকদিন দুপুরের লাঞ্চে ডাইনিং হলে শুধু কেন, বিকেলে বা সন্ধ্যার পরও আমাদেরকে কেউ খোঁজ করবেনা। কাজেই মাগরিব নামাজের সময়ে মসজিদ থেকে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক পাজামা পাঞ্জাবী পরেই আমি আর নাসের সবার চোখের সামনে দিয়ে কলেজের মূল প্রবেশ দ্বারের দিকে চলে গেলাম এবং কলেজ হাস্পাতাল আর গেটের মাখামাঝি জায়গায় কাঁটা তারের বেড়াকে বিনা অবলীলায় অতিক্রম করে উঁচুনিচু পথ আর জঙ্গল পেরিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপরে যেয়ে উঠলাম। আমি যথেষ্টই বিচলিত এবং আতঙ্কিত এই মহাসড়কের পাশে। কারন আমরা মহাসড়কে ওঠার একটু পরেই আমি এখান থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরে সুদূর জামালপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের বাড়ীর পাশের যে প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন স্যারের ছোটভাই হাবিবুল্লাহ কাকা মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে জামালপুরের দিকে চলে গেলেন এবং আমাকে পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময়ে আমার দিকে বড় বড় চোখ দিয়ে প্রবল বিস্ময়ের সাথে তাকিয়ে গেলেন! আমি নিশ্চিত যে তিনি ফিরে যাবার পরে হারুন স্যারকে আমার এই স্কুল পলায়নের গল্প করবেন এবং যিনি আবার আমার বাবাকে বলবেন! আমার সকল আনন্দ মুহূর্তের ভেতরেই অন্তর্হিত। আমি নাসেরকে বললাম, “কলেজ থেকে আমার পালানোর বিষয়টি কলেজের কেউ না জানতে পারলেও আজ সন্ধ্যার ভেতরেই আমাদের বাড়ীর সকলেই জেনে যাবে!” দেওয়ান আব্দুন নাসের ইতিপূর্বেও কলেজ থেকে পালিয়ে যেয়ে কালিয়াকৈরে তাদের বাড়ীতে লাঞ্চ করে এসেছে। এই ধরনের পালানো তার কাছে দুধভাত ছাড়া কিছুই নয়। আমাকে আমার এক দূরসম্পর্কের কাকা দেখে গেছে এবং এটা নিয়ে আমি বিচলিত হচ্ছি দেখে সে রীতিমতো অবাক! সে বলল, “আমাকে তো আমার এলাকার অনেকেই দেখেছে এর আগে, কই? কেউ তো আমাদের পরিবারে যেয়ে কমপ্লেইন করেনি!” আমি কি করে তাকে বোঝাবো যে তার এলাকার কালচার আর আমার এলাকার কালচার এক নয়। যাহোক বাসে করে আমরা যথারীতি অন্য কোন ধরনের বিপদ ছাড়াই কালিয়াকৈরে চলে গেলাম। সন্ধার পর কালিয়াকৈর সিনেমা হলে নায়ক রাজ রাজ্জাক অভিনীত ‘রাজবন্দী’ সিনেমা চলছে। এই সিনেমার ভেতরেও নায়িকার পালানোর একটা দৃশ্য আছে! কিন্তু এই দৃশ্যও আমাকে উজ্জীবিত করতে পারছেনা। আমি ভাবছি আমার গ্রামে আত্মীয় পরিজনদের এবং স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বুদ্ধিলগ্ন থেকে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত তিলে তিলে গড়ে ওঠা আমার ‘ভালছেলে’ পরিচয়ের সমাপ্তির এবং সমাধির কথা। সিনেমার অর্ধেক সময় পার হতেই বিরতির সময়ে আমি নাসেরকে বললাম, “চল, কলেজে চলে যাই।ভাল্লাগছেনা”। নাসের বলল, “আমরা যে এখানে এসেছিলাম এটা আমাদের হাউজের ছেলেদের কথা বুঝাতে হবেনা?” বলেই সিনেমা হলের পাশের স্টল থেকে একটা সিনেমার গানের চটিবই কিনে নিল।প্রথম গান ‘সুন্দরী’ সিনেমার, “ কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না…”। ফেরার পথে আবার বাসযাত্রা। বাস কলেজের দিকে চলতে শুরু করলে আমরা দুজনেই অবাক হয়ে দেখলাম আমাদের সিটের সামনের সিটে ফজলুল হক হাউজের হাউজ মাষ্টার শামসুদ্দহা স্যার বসে আছেন! নিজের অজান্তেও যদি তিনি আমাদের দেখে ফেলেন ক্যাডেটদের তালিকা থেকে আমাদের দুজনের নাম চিরকালের জন্যে বিলীন হয়ে যাবে। নাসেরর বুদ্ধিমত তাড়াতাড়ি দুজনেই পাঞ্জাবি খুলে পাগড়ীর মতন করে পরে সাদা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে নিচু হয়ে বসে থাকলাম। কলেজ গেইটে এসে স্যার নেমে গেলেন। আমরা দুজনে নামলাম পরের গোরাই বাস স্ট্যান্ডে। অতঃপর আবার শুরু হল রাতজাগা পাখি আর প্রহরীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আমাদের দুজনের কলেজে প্রত্যাবর্তন! আগামিকাল সকালে সিনেমার গান গেয়ে আমরা রুমের সবার ঘুম ভাঙ্গাবো!
বাহাদুর আর আমি দুজনে নজরুল হাঊজের বিউগলার। আমরা দুজনে মিলে সকাল বেলার পাখিদের মতন বিউগল বাজিয়ে হাউজের অন্য সকলের ঘুম ভাঙাই। কিন্তু শারিরিক এবং মানসিক অলসতার কারনে এই দায়িত্ব থেকে আমরা দুজনেই মুক্তি চাচ্ছিলাম। অবশেষে বাহাদুরের বুদ্ধিদিপ্ততার কারনে দুজনেই একসাথে এই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেলাম (বরাতঃ ‘একজন অসার্থক বিউগলারের কাহিনী’)। এখন আমার আর বাহাদুরের ওপরে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অর্পিত কোন দায়িত্ব নেই বললেই চলে। অথচ আমরা দুজনেই রুম মেট। বিউগল বিষয়ক প্রশিক্ষন, প্রশিক্ষন পরবর্তী আমাদের ভোগান্তি আমাদের দুজনকে খুব কাছে এনেছে।আমি একবার স্কুল পালানো ছেলে। ছুটির দিন আসলেই কলেজে আমার মন টিকে না! বাহাদুরকে একদিন কলেজ থেকে বের হয়ে মধুপুরের জঙ্গলের ভেতরে ঘুরাঘুরি করার প্রস্তাব দিতেই সে সানন্দে রাজী হয়ে গেল। ঠিক লাঞ্চ পরবর্তী ‘কুয়ায়েট আউয়ার’ শেষ হবার পর পরই আমরা বেরিয়ে পরলাম। পরনে সাদা ফুল শার্ট এবং সাদা ফুল প্যান্ট। পায়ে কেডস। বনের ভেতরে যেয়ে আমরা দুজনেই অবাক। সৃষ্টিকর্তা কত সুন্দর করে তার পৃথিবীকে সাজিয়ে রেখেছেন। অথচ আমরা শুধুমাত্র আমাদের নজরুল হাউজের পেছনের পেয়ারা বাগান দেখেই এতদিন সন্তুষ্ট ছিলাম! মনে মনে দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি সুযোগ পেলেই আমরা বার বার আসব। আমি হাউজের নামকরা এথলেট। হ্যামার নিক্ষেপে এবং পোলভল্টে আমি প্রতিবছরই রানার আপ হয়ে থাকি। মাঝে মধ্যে ৪০০ মিটার রিলে রেইসেও অংশ নিয়ে থাকি। কাজেই আমার সাধারন চলাফেরাই দৌড়ের গতিতে সম্পন্ন হয়ে থাকে। বনের ভেতরে আমি হরিণের গতিতে চলাফেরা করছি। বাহাদুর ইন্টেলেকচুয়াল প্রকৃতির। সে খেলাধুলা পছন্দ করেনা। আমার সাথে হাঁটার গতিতে না পেরে উঠে সে আমাকে বলল,” আসাদ, তুই যে এতো জোরে জোরে হাঁটিস, এতে লাভ কি? চারপাশের কিছুই তো তুই দেখছিস না!” তার কথাটা আমার পছন্দ হয়ে গেল। আমি হাঁটার গতি কমিয়ে দিতেই খেয়াল করলাম পৃথিবী আমার চারপাশে সুন্দর, মনোরম রুপ নিয়ে হাজির হচ্ছে। সেই যে আমার হাঁটার গতি কমিয়ে দিলাম, সেটা প্রকারান্তরে আমার জীবনের গতিকেও স্তিমিত করে দিল! এখনো আমি আস্তে আস্তেই হাঁটি। জীবনের সব ক্ষেত্রেই। নিবিড় বনের ভেতরে গাছপালার ফাঁক দিয়ে নীলাকাশ দেখা যায়। যেখানে উড়ছে কয়েকটা সোনালি ডানার চিল। বাহাদুর বিড়বিড় করে জীবনানন্দের “ হায় চিল, সোনালী ডানার চিল…” আবৃত্তি করতে থাকে। কলেজের পুবপাশের ‘বংশী নদীর পাড়ে গ্রামের কোন যুবতীকে দেখে আপন মনে গেয়ে ওঠে, “ ওই জলকে চলেরে কার ঝিয়ারী…”! এই গানটার প্রথম অন্তরা সে খুব ভাল গাইতে পারে। রফিক কায়সার স্যার তাকে আন্তঃহাউজ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় এই গান গাইতে বলেছিলেন। দুইদিন অনুশীলনের পর সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল! সেই দিন রাতে হাউজে ফিরেই আমরা দুজনে মিলে জীবনানন্দের ‘চিল’ কবিতাটা ইংরেজিতে অনুবাদ করে ফেলি এবং নিজেদের অনুবাদ করার ক্ষমতা দেখে নিজেরাই আত্নরতি (NARCISSISM) তে ভুগতে থাকি! ‘বনলতা সেন’ কবিতাতাও আমরা দুজনে মিলে অনুবাদ করেছিলাম কলেজের প্রেপ আউয়ারেই (PREP HOUR)!
“ঘাসফড়িংয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে
আমিও যে কতবার ঘাস হয়ে গেছি তৃণমূলের জলকণা জানে”
(চলবে… অথবা এখানেই শেষ)
মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫
আমি লতিফপুর ছিলাম ছোটবেলায়। এই এলাকা কালিয়াকৈর সংলগ্ন।
তাই সাগর সিনেমা হলে ছবি দেখা হইছে।
জীবনের প্রথম সিনেমা। নাম মনে নাই, আলমগীর, শাবানা ছিলো এইটা মনে আছে।
আর সুন্দরী আমি গত মাসেই দেখলাম। জটিল ছবি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ
আর শামসুদ্দোহা তালুকদার স্যার কে আমিরা প্রথমে ভিপি আর পরে প্রিন্সিপাল হিসাবে পেয়েছিলাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার ধারনা, আপনারা যে ঠিকঠাক মতো ফিরে যাচ্ছেন, এটা বুঝতে পেরে শামসুদ্দোহা তালুকদার স্যার ব্যাপারটা ওভার লুক করেছেন।
এমনিতেই ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকেরা নানামুখি চাপে কাজ করতে গিয়ে ওভার ওয়ার্কড থাকেন। সেখানে দুই কলেজ ফেরতা "পলাতক"-কে ধরতে গিয়ে ঝামেলা বাড়ানোর কি দরকার?
আমি হলে মনেহয় সেটাই ভাবতাম.........
তাছাড়া ক্যাডেটরা চলনে বলনে সাধারন বাসযাত্রী থেকে এতটাই ভিন্ন যে শুধু মাথায় শার্ট বাধার কারনে তাদের অন্যকিছু ভাবাটা কাইন্ড অব আনবিলিভেবল টু মি......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
হা হা হা।
আমার মনে হয় ভাইয়েরা ঠিক পিছনের সিটেই বসেছিলেন না। মনে হয় কয়েক সিট পিছনে।
আর শামসুদ্দোহা স্যার এদিক ওদিক তাকাতেন না। যখন হাটতেন সোজা হাটতেন।
এই কারণে অবশ্য ওনার একটা নিক নেম ও হয়ে গিয়েছিলো।
আর স্যার প্রচুর বই পড়তেন।
হয়তো ভাবুক টাইপ ছিলেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার মনে হয় তুমিই ঠিক! এই মানবিক ব্যাখ্যাটাই শামসুদ্দোহা তালুকদার স্যারের ক্ষেত্রে সঠিক !
😀 😀 😀
আমাদের সময়ে কোনো কোনো শিক্ষকের কাছ থেকেও এমন মানবিকতা দেখার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আমার হয়েছিল।
রুমে ঢুকে কাঠালের বা খেজুর রসের ঘ্রাণ পেয়েও সেগুলো ওভার লুক করা, বা "কেমন যেন একটা গন্ধ। রুমটা ভাল করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করবে কিন্তু" - বলে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা কিন্তু বিরল ছিল না......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
গল্পের সূচনাটুকু খুব চমৎকার হয়েছে।
এই সিনেমার ভেতরেও নায়িকার পালানোর একটা দৃশ্য আছে! কিন্তু এই দৃশ্যও আমাকে উজ্জীবিত করতে পারছেনা। -- উপভোগ্য হিউমার! :clap:
বনের ভেতরে যেয়ে আমরা দুজনেই অবাক। সৃষ্টিকর্তা কত সুন্দর করে তার পৃথিবীকে সাজিয়ে রেখেছেন। অথচ আমরা শুধুমাত্র আমাদের নজরুল হাউজের পেছনের পেয়ারা বাগান দেখেই এতদিন সন্তুষ্ট ছিলাম! -- বেশ ভালো লাগলো।
সেই যে আমার হাঁটার গতি কমিয়ে দিলাম, সেটা প্রকারান্তরে আমার জীবনের গতিকেও স্তিমিত করে দিল নাম করা দার্শনিকেরাও এমন দর্শনের কথা শুনে মুখ লুকোতে চাইবে।
কাঁটা তারের বেড়াকে বিনা অবলীলায় অতিক্রম করে -- এটা বোধহয় "কাঁটা তারের বেড়াকে অবলীলায় অতিক্রম করে" হবে। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
স্যার, অনেক ধন্যবাদ অসাধারন সহমর্মি মন্তব্যের জন্যে !
বরাবরের মতই আরেকটা মন কাড়া লেখা।
ধন্যবাদ
অসীম মুগ্ধতায় পড়ি আপনার লেখা, ভাইয়া :boss: :boss:
🙂 🙂 🙂
এইক্ষেত্রে আমারও খানিকটা কৃতিত্ব আছে।
আসাদভাইকে আমিই রাজি করিয়েছি সিসিবিতে লিখা দিতে।
তাই তাঁর যেকোনো লিখাই মনযোগ দিয়ে পড়াটা কাইন্ড অব ডিউট হয়ে দাড়িয়েছে।
একখানা শ্লোগান দিয়ে শেষ করছি
"লং লীভ আওয়ার ফ্র্যাটারনিটি"
এন্ড লেটস রিভিজিট আওয়ার ওল্ড ডেইজ , হোয়েনএভার পসিবল........."
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাইয়া রকস্ ::salute::
:awesome: :awesome: :awesome:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
তোমার শ্লোগানে কন্ঠ মেলালাম, পারভেজ।
থ্যাংক ইউ স্যার!!!
:boss: :hatsoff: :boss: :hatsoff:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.