স্কুল জীবনের একটু সিনিয়র পর্যায়ে ঠিক কতদিন যে এসেমব্লির পর ক্লাস করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে সেটা আমি হাতে গুনে বলে দিতে পারব। এসেম্বলি হত থার্ড পিরিয়ডের পর। রংপুরে লায়ন্স দিয়ে আমার স্কুলিং শুরু। সে সময় আমি আবার তদানীন্তন কেজি শ্রেনীর বেশ উদিয়মান তারকা ছিলাম। প্রথম ক্লাস টিচার ছিলেন মধুছন্দা ম্যাডাম।ম্যডাম বেশ যত্ন করে আমাদের হ্যান্ড রাইটিং শেখাতেন। সে সময় আমাদের স্কুলে আমরা প্যাচানো হাতের ইংরেজী লেখা শিখতাম।
বিস্তারিত»টুকিটাকি – ১
১
আকাশ যত অন্ধকার, তারারা ততই স্পষ্ট। এটি একটি পারসিয়ান প্রবাদ। মন খারাপের মুহূর্তে এরকম কিছু শুনতে ইচ্ছে করে। তারপরও মনে হলো এটি ঠিক মতো বুঝতে পারছি না। এর সঠিক অর্থটা কী? যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখনই আমরা জ্বলে উঠি নাকি অন্ধকার সময়েই দূরের আলোরা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হয়তো শেষেরটা। একবার আর্ট কলেজে গিয়েছিলাম একটি চিত্র প্রদশর্নী দেখতে। সেখানে একটি ভাষ্কর্যের সামনে অদ্ভুত একটি নাম দেখে তার মর্মার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
আমাদের স্বাধীনতার গল্প
লেখকঃ উখ্যইনু (১৫১৩) মাওয়া (১৫১৫) হৃদিতা (১৫১৬) জান্নাত (১৫৩১) তাসনিয়া (১৫৩৯) আশিফা (১৫৪৬) নুঝাত (১৫৫৭) সাবাবা (১৫৬১)। কলেজ ম্যাগাজিনে ছাপা হওয়া লেখাটিকে এই চার বছর পর ডক ফাইলে এ রুপান্তর করেছেন জান্নাত (১৫৩১)।
(কলেজের শেষ বছর কলেজ ম্যাগাজিনের জন্য আমরা আট জন মিলে লিখেছিলাম “আমাদের স্বাধীনতার গল্প”। মূলত, স্মৃতিচারণ করতে করতেই লিখে ফেলেছিলাম এটি। গল্পের নাম স্বাধীনতার গল্প হবার পেছনের অন্যতম কারন হচ্ছে আমাদের ক্যাডেট কলেজে পদার্পণ করি পঁচিশে মার্চ।
বিস্তারিত»সেইসব গল্পঃ তিন
পড়ন্ত বিকেলে উড়াল হাওয়া মনটাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল।
মেপল পাতাগুলো উড়ে চলে তার পাশে পাশে। কানাডার ৪২তম সাধারণ নির্বাচন।
টানটান উত্তেজনা। নেতৃত্বের পরিবর্তন চায় বেশিরভাগ মানুষ!
পাগলা হাওয়া আজ। মনে জেগেছে ভাব।
দেবী আজ ভীষণ মানবী। দেবতাও বুঝি একদিন ছিলেন কবি।
দূর থেকে ভেসে আসে কানেঃ
যা দেবী সর্বভুতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা!
লিখে দিলে নাম ‘দুর্গতিনাশিনী’ হেসে
তবু সে তোমারেই আজ দুর্গতির কারণ মানে!
সীমার!
সীমার!
আমার তখন সেই বয়স যখন মানুষ শুধুমাত্র দুই ধরনের হয় বলে আমি জানি। ছোট মানুষ বা বাচ্চা মানুষ এবং বড় মানুষ বা বয়স্ক মানুষ! এর বাইরে লিঙ্গভেদ ছাড়া মানুষের ভেতরে আর কোন ধরনের শ্রেণিভেদ হতে পারে সে সম্পর্কে আমার ভেতরে কোন ধরনের ধারনাই তখন জন্ম নেয়নি। কাজেই প্রকারভেদ অনুযায়ী আমি ছোট মানুষদের দলেরই অন্তর্ভুক্ত।
আমার চাচা চান মাস্টার আমাদের বাড়ির পাশের ঝাড় কাটা বহুমুখী স্কুলের ফিজিক্যাল টিচার।
নব্বই চর
নব্বই চর
আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখে কেউ শব্দ করে কথা বললেও আমি শুনতে পাইনা, অথচ আমার দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে অস্পষ্টভাবে বিড়বিড় করলেও আমি বুঝতে পারি কি বলা হচ্ছে! ফলে ছোটবেলা থেকেই আমি ক্লাসের টিচারদের সব কথা ফলো করতে পারিনা, কারন তাদের দৃষ্টি সারাক্ষন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ক্লাসের ভেতরে। আমি শুধু বুঝতে পারি যমুনার ভাঙ্গনে দুভাগ হয়ে যাওয়া সারিয়াকান্দি থানার দ্বিখণ্ডিত পূর্ব অংশে (মাদারগঞ্জ থানার দিকে) নদীর সিকস্তিতে অবস্থিত ‘নব্বই চর’ গ্রাম থেকে আমাদের ঝাড়কাটা স্কুলে পড়তে আসা আমার ক্লাসমেট সাদুল্লাহর সকল কথা।কারন সে সবকথা আমাকে বলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,
বিস্তারিত»নিউরনে আলাপনঃ পনেরো
: তুমি কোথায়, বলো তো?
: আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াও। দেখবে ঠিক তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছি।
তোমার চুলের সুবাস নিচ্ছি। তোমার ঘাড়ে নিঃশ্বাস পড়ছে। টের পাচ্ছো?
তুমি ঘুরে দাঁড়ালেই তোমাকে ধ’রে ফেলবো।
: তুমি এমন ক’রে বলো … আমার বুক ধুকপুক ক’রে … মনে হয় স্বপ্ন দেখছি না তো?
: আজ মনটা ফুরফুরে বলেই হয়তো এমন …
: ঘুম ভাল হলো?
Strange Darkness
জীবনানন্দ দাসের অসাধারন কবিতা ” অদ্ভুত আঁধার এক ” ইংরেজীতে অনুবাদ করে অল পোয়েট্রিতে প্রকাশ করলাম। অনুবাদ কেমন হল, এ ব্যাপারে মতামত আশা করি।
http://allpoetry.com/poem/12382384-Strange-Darkness-by-Tito-Mostafiz
Strange darkness landed
on the earth today.
The blinds can see
more than anybody.
The world is obsolete
without their advice
who has no love or affection
in their hearts.
দাবা ও জুয়া

দেখেছো তোমার পুরাণ আমাকে পোঁড়ায়
আমি ভাসি নির্নিমেষ নিঃঘ্রাণে
আমিও কুয়াশায় বশ হারানো লোকের মতো
স্থানু থাকি, নির্বান্ধব সন্ধ্যায় কাঠের ক্যাম্পে বসে
একা একা বদল করি সাদা কালো সাইড
বড়ে-মন্ত্রী , দাবার গুটি,
উভয় পক্ষে বেটে দেই ট্রাম, তাসের স্পেড
তার পর বাজি ধরি তোমার নামে
জিতে গেলে সুউচ্চ প্রাসাদ বানাবো
হেরে গেলে মেনে নেবো নিঃশর্ত নির্বাসন
দুর দ্বীপে আবাস বানাবো,
নারীর কোন দেশ নাই – ২ : একটি বিচার ও প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন
এই পৃথিবীতে অদ্ভুত এক দেশ আছে
সেই দেশে অদ্ভুত এক নগর আছে
সেই নগরে অদ্ভুত এক কম্যুনিটি আছে
সেই কমুনিটির অদ্ভুত এক সামাজিক যোগাযোগস্থল আছে
তার নাম ডট ডট ডট ডট…
একদা ডট ডট ডট ডট-এর এক কনিষ্ঠ সদস্য আরেক জেষ্ঠ্যা সদস্যার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কিছু কটুক্তি করলো যা সেই দেশের আইসিটি এক্টের ৫৭ ধারানুযায়ি শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
বিস্তারিত»ইষিতার বেড়াল
ইষিতার বেড়াল কি ঘুমুচ্ছে
গতকাল ঘুমিয়েছিলো
আচড়ে দিয়েছে পরশু
বেড়াল নিয়ে বড্ড বাড়াবাড়ি
হেমন্তের রাত্রি, কালো বেড়াল
ইষিতার সাদা হাত
আমার নির্ঘুম অপেক্ষা।
বিস্তারিত»
নির্বোধ কথামালা অথবা কিছু অনির্বচনীয় বচন……।

যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুমঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চীৎকারে।
খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।
সে ভাষা বুঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার।
আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে ভাষা
পেয়েছি নতুন চিঠি আসন্ন যুগের-
পরিচয়-পত্র পড়ি ভূমিষ্ট শিশুর
মোহ, ভালবাসা নয়…
যখন থেকে বুঝলাম
ওসব তোমার প্রেম নয় –
মোহাক্রান্ত কালের উচ্ছ্বাস ছিল,
আমার কাছে তুমি আর
প্রেমিকা নয়, ধীরে ধীরে
এক “যেকোনো নারী” হয়ে উঠতে থাকলে।
নারী আর প্রেমিকা এক নয়,
জান তা নিশ্চয়?
পুরুষের অত্যুৎসাহে
নারী বিরক্ত হয়,
প্রেমিকের অত্যুৎসাহে
প্রেমিকা উদ্বেলিত হয়।
বিরক্ত? কখনো নয়…
মোহাক্রান্ত কালে
যেসব অত্যুৎসাহে তুমি
উদ্বেলিত হয়ে উঠতে,
সন্ত্রাসের ধর্ম নিয়ে কিছু এলোচিন্তা
প্যারিস হামলার ঘটনায় পুরো বিশ্ববাসী মোটামুটি স্তম্ভিত । অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন । অনেকে আবার এর সাথে লেবানন বোমা হামলা নিয়ে কেনো কোন কথা বলা হচ্ছে না তা নিয়ে নিন্দা করছেন । কিছু লোক আবার আরো দুই ডিগ্রী উপরে গিয়ে কাশ্মির, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইন এর পরিস্থিতি নিয়ে কেনো কোন কথা বলা হচ্ছে না তা নিয়ে তাফালিং করছেন ।
বিস্তারিত»ফ্রান্সের জন্য সমবেদনা
ফেসবুকে তেরঙ্গা পর্দা লাগানো কিছু প্রোফাইল পিকচার দেখে চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। ফ্রান্সে খারাপ কিছু ঘটেছে তা আঁচ করা গেলেও নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। টেলিভিশনটা কিরণমালা আর মোটুপাতলুর দখলে কি না। বউকে বল্লাম দেশ বিদেশে কি হচ্ছে খবর রাখ? খালি কটকটি পাখি দেখলে হবে? উনি জানালেন আইএস হামলায় শতাধিক মারা গেছে। বিজ্ঞাপন বিরতিতে চ্যানেল পাল্টানর সময় দেখেছেন। উনি একটা দামী কথাও বল্লেন।
বিস্তারিত»