হ্রস্ব দ্বিপ্রহর, দীর্ঘ বিক্ষিপ্ততা

কার্তিকের এই হ্রস্ব দ্বিপ্রহরে আমি অস্থির থাকি।
মনে হয়, গাছপালা ফুল পাখি প্রকৃতির সবকিছু
যেন বিষন্নমনে তপস্যায় বসা, গোধূলির খোঁজে।
খুঁজতে খুঁজতেই বিকেলটা হারিয়ে যায় অবেলায়।

দুপুরের পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। টেবিলে বিক্ষিপ্ত
পড়ে থাকে কাগজ কলম, যাবতীয় বিল আর পত্রাদি।
অগোছালো মনের মতই ইতস্ততঃ ছড়ানো ছিটানো।
ত্রস্ত মনে যা গোছানোর কথা ভেবে অস্থির হয়ে উঠি।

আলস্য ঘিরে ধরে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৫

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS (দ্বিতীয় পর্ব)
12080911_10206498642160036_1449238350_n
JRS taking a break from walking around Hyde Park
12067766_10206498641600022_1126490871_n
JRS at Prof Saleh’s (my batch mate) apartment.
12092728_10206498639479969_743500688_n
JRS at Albert Memorial

“কিংবদন্তী শিক্ষক JRS” এর উপর আমার আগের লেখাটা পড়ে অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। কেউ টেলিফোনে, কেউ ই মেইলে, কেউ ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে কিনা,

বিস্তারিত»

পাঠ-প্রচেষ্টা: মেহের নিগারের “বন্ধু আমার কই?”

এই কবিতাটা দেখার পর থেকেই পাঠের আগ্রহ হচ্ছিল, খুব! খুব!! খু-উ-ব-ই!!!
শেষ পর্যন্ত পড়েই ফেললাম!!!

‘বন্ধু আমার কই?’
মেহের নিগার
[এম.জি.সি.সি -এর প্রিয় মুখগুলোকে মনে করে]

স্মৃতির নোনা নদীর ধারে
বছর বছর বাদে,
বন্ধু যখন মিলল দেখা,
কান্না কি বাদ সাধে?

হাজার স্মৃতি খোঁজার তোড়ে
একশ’ কথার ফানুস,
ওড়ায় দেখ আকাশ জুড়ে
আমার প্রিয় মানুষ …।

বিস্তারিত»

মৃত্যুঞ্জয়ী

মৃত্যুঞ্জয়ী

১৯৭১ সালে আমাদের মাদারগঞ্জ থানায় পাকবাহিনী ঢুকতে পারেনি।কারন এর পশ্চিম দিকে যমুনা আর অবশিষ্ট তিন দিক যমুনার শাখা প্রশাখা দ্বারা বেষ্টিত থাকার ফলে নদী অতিক্রম করা ছাড়া এখানে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করা সহজসাধ্য ছিলনা। ফলে যুদ্ধের পুরো সময়েই এই এলাকা ছিল অনেকটা মুক্ত স্বাধীন ক্ষুদ্র একটা রাষ্ট্রের মতন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা অভয়ারণ্যের মৃগয়াদের মতন চলাফেরা করত। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ থেকে নাকি একবার বলা হয়েছিল মাদারগঞ্জ থানার গাছের পাতায় পাতায় নাকি মুক্তিযোদ্ধারা বিচরন করে!

বিস্তারিত»

পুরনো ঢাকা’র গল্পঃ এক

ওয়ারির এই ছায়াঘেরা স্থানটি বাইরের কোলাহলের সাথে মানাচ্ছে না। শুনেছিলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার এখানে অবকাশ যাপন করতে এসেছিলেন, জয় হাউজে থেকেছেন। এই বলধা গার্ডেন দেখতে এসে অনেক বৃক্ষের বাংলা নামকরণ করেছিলেন। ‘ক্যামেলিয়া’ রচনার পেছনের ইতিহাস এখানকার ক্যামেলিয়া বাগানটি!

তন্ময় হয়ে ভাবতে ভাবতে হাঁটছি। বড় অশোক গাছটির পেছন থেকে এক পুরুষ কন্ঠ ভেসে এল, “আল্লার কছম! তুমারে ক্যামনে বুঝাই? আমি বুড়া হইবার পারি, মাগার আমার দিলডা এক্কেরে কচি,

বিস্তারিত»

~ বিচ্ছেদের অরণ্যলোক ~

শহরের সব পার্ক, উদ্যান,
সুদূর অতীত গন্ধ মাখা
প্রাচীন বৃক্ষ কিংবা জলাশয়,
মৌ মৌ আড্ডার ক্যাফে,
থিয়েটার, নাট্যশালা, আর্ট গ্যালারী,
ছায়ামাখা ফুলার রোড,
ভার্সিটির কড়িডোর, ক্যান্টিন,
সর্বত্রই স্মৃতির ব্যপক সন্ত্রাসী বাড়াবাড়ি।

নাট্যমঞ্চের আধো আলো চেয়ারে,
চীনে রেঁস্তোরার টেবিল কাভারে,
বা ধরো যতনে ভাঁজ করা ন্যাপকিনে
স্পর্শের আভা, এমন কি সেই চেনা
সুরভির রেশ,

বিস্তারিত»

ধন্যবাদ মিচ. . . . .

“অ্যাশেজ টু অ্যাশেজ, ডাস্ট টু ডাস্ট, ইফ টমসন ডাজন্ট গেট ইউ, লিলি মাস্ট………………” সত্যি সে এক সময় ছিল। লিলি, টমসন, হোল্ডিং, গার্নার রা তখন রাজত্ব করতেন পুরো ক্রিকেট সাম্রাজ্যটা জুড়ে। ২২ গজে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন ‘দ্যা ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। কত রথী মহারথী ব্যাটসম্যান রা তাদের ব্যাটিং পসিশন বদলে ফেলতেন শুধু নতুন বলে মার্ভ হিউজকে ফেস করতে হবেনা ভেবে। ম্যালকম মার্শাল এর এক একটা অগ্নিগোলক যখন ব্যাটের কিনারা ছুঁই ছুঁই করে বেরিয়ে যেত,

বিস্তারিত»

অসভ্য সামরিক ছাউনি !

১। “পার্বত্য চটগ্রামে প্রবেশ করার সময় সামরিক ছাউনির অভ্যর্থনার দৃশ্যের মত কদর্যতম চেহারা একটি রাষ্ট্রের হতে পারে না।”
২। “আপনি একটি শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন আর তখনি প্রবেশ্মুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সামরিক বাহিনীর ছাউনি। এটা কোন সভ্য দেশে চলতে পারে না।
৩। “প্রতিনিয়ত সামরিক ছাউনির সঙ্গে এখানকার মানুষের সাক্ষাৎ হবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। এটা কাম্য হতে পারে না।”

সম্প্রতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানুর রহমান রাঙামাটি জেলা পরিষদের হলরুমে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’

বিস্তারিত»

গ্রীকপুরাণ এর ছোঁয়া

নারীর মন

কহিলা ম্লান হেসে
হিফাস্টাস দেবে
নারীর মন বুঝে
কার সাধ্য ভবে!

 

মিনোটর

জীবন নামের গোলক ধাঁধায়
মিনোটর ই শেষ কথা
থেসিউস হানিমুনে
সে তো ভাই রুপকথা।

 

অগ্ন্যাশয়ে আততায়ী

অগ্ন্যাশয়ে আততায়ী
বাজায় তালি নিন্দুক
কল্প থেকে বাস্তবেতে
প্যানডোরার সিন্দুক।

বিস্তারিত»

উনিশ শো একাত্তর ৭

লাঞ্চের আগে সিও(অধিনায়ক), লেফ্টেনেন্ট কর্নেল মাসুদুল হকের সালাম পেয়ে (ডাক) মেজর শফিউল্লাহর মনে হল, ঘটনা আর একটু খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। মার্চ মাসটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। ১০ তারিখে তাঁর শশুরের মৃত্যু হলো আচমকাই। ১৯ তারিখে হঠাৎ করেই ব্রিগেড কমান্ডারের আনশিডিউল্ড ভিজিট নিয়ে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল! আবার সেদিনই পাঁচজন সৈনিককে মারধর করে কালিয়াকৈর বাজার থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেলো সিভিলিয়ানরা। আওয়ামীলীগের দু’জন নেতার সহযোগিতায় তিনদিন পর গফরগাঁও থেকে উদ্ধার করা হলো সে অস্ত্র।

বিস্তারিত»

এক জনমের পূর্নতা

মোহমুক্তির পরে একদিন
তুমি যে চলে যাবে,
সে আমি জানতাম।
তোমার সেই চলে যাওয়াটা যে
বেদনাবিধুর হবে,
সেটাও জানতাম।
আর তাই একদিন ঘটতে যাওয়া
তোমার বিদায় দিনটাকে
মানিয়ে নিতে কি কি বলবো,
কি কি ভাবে বলবো –
তার সব নিয়ে একখানা মুসাবিদাও
করে রেখেছিলাম মনে মনে।

বুঝতেই পারছো, আমাদের যে সম্পর্কটা
হয়েছিলই ভাঙ্গার জন্য,

বিস্তারিত»

নাচঘরে দেখা হবে

flamenco-dancer-dance-series-ii-78376
‘নাচঘরে দেখা হবে’ এই বলে
জনৈক সন্ন্যাস হারিয়ে গেলো বিলীন সাগরে
নীল পাহাড়ের আড়ালে ক্রমশ লুকালো আর
নর্তকী বসে রইলো পাথরের মেঝেতে, প্রিয় সাজঘরে।

অবিরত এইসব কবিতাকল্প, সংকেতময় এক্রসটিকে
নিজেতে মুগ্ধ হই, তুমিও প্রশ্নবোধক টানো আমারই দিকে।

বিস্তারিত»

~ অনিবার্য রেষারেষি ~

আবারো আসছে শীত
শুকনো পাতার গায়ে ভর করে
গাছেদের জমানো দুঃখগুলো
একে একে পড়বে ঝরে।

এরপর বসন্ত এলে, নতুন সুখের গান
রঙ্গিন পাতার চাদর মুড়ে
ছোটাবে বর্ণিল কথার বান।
গাছের শরীর জুড়ে জমবে আসর
জীবন হাসবে রঙে।
আবারো সাজাবে বৃক্ষ
তার প্রাণের ঐকতান
বাঘা অর্কেষ্ট্রার কুশলী ঢঙে।

আর এই আমি !

বিস্তারিত»

ফেসবুক বন্ধ করা ও খুলে দেবার পরে …

[ফেবু বন্ধ করার পরে] –

শুনিয়া আঁতেল  সবে করে ধিক্‌-ধিক্‌,
কোথাকার গণ্ডমূর্খ পাষণ্ড নাস্তিক!
ফেবু নাকি হতে পারে অশান্তির আকর
একথা কেমন করে করিব স্বীকার!
জগৎ-বিখ্যাত মোরা ‘জ্ঞান-অন্ত’ জাতি –
জবান বাঁধিয়া  দিবে! দুপুরে ডাকাতি!

[ফেবু পুনর্বার খুলে দেবার পরে] –

সভাস্থ সবাই ভাসে আনন্দাশ্রুনীরে,

বিস্তারিত»

ভালবাসার দেড়যুগ!

কাল রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখবো বলে
সারামাস অপেক্ষার প্রহর গুনেছি।

আজ ২৬শে মে,
বহু প্রতিক্ষিত সেই দিন!
অতিক্রান্ত হলো আমাদের বিয়ের ১৮টি বছর!

চারচক্রযানে চেপে নিঃসঙ্গ আমি বেড়িয়ে পড়েছি,
আজ কোনো দিক নির্দেশনার প্রয়োজন নেই আমার।
চলমান বর্তমানকে সযত্নে পাশ কাটিয়ে,
স্মৃতি-বিস্মৃতির প্রশস্ত মহাপথ ধরে
দ্রুত এগিয়ে যাই আমি সামনের দিকে;
তারপর, সহসাই এক আলোড়িত ঘুর্ণিমোড় নিয়ে
অতীত স্মৃতির মহাকালকে সামনে রেখে
পেছন ফিরে রওনা হই আমি।

বিস্তারিত»