পাতা ঝরার গান-০২

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মিলিটারি একাডেমিতে গেলাম। ছেলে হিসেবে আমার মধ্যে হোম সিকনেস ব্যাপারটা খুব কম। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে নিজের কলেজের বন্ধু ছাড়াও বাকি নয় কলেজের আরও অনেক পরিচিত মুখ পেয়েছিলাম ওখানে। প্রথমদিনেই মনে করে নিলাম যে আগামী দুটো বছর যা ই হোক আমার একার সাথে তো আর হবে না। যা হবে সবাইকেই ভাগ করে নিতে হবে। কেউ যদি ভেবে বসেন যে ক্যাডেট কলেজে পড়েছি বলে হোম সিকনেস নেই,

বিস্তারিত»

মানুষ লুবনার বিজুলি

লুবনার ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম দেখে বুঝতে পারি ঢাকা শহরে শীত পড়তে শুরু করেছে। লুবনার ব্যক্তিগত একজন দর্জি আছেন, নাম তার ইকবাল হোসেন। ইকবালের বৌ মাফিয়া খাতুন পৌষ মাস আসতে না আসতে চাল কুটতে বসে; ডাক্তার আপামণি ভাপা পিঠা খেতে বড় ভালবাসে, পিঠা বানাতে হবে যে! ইকবালের নানীর কোমড়ে ব্যথা, লুবনা আপার ‘অষুদ’ ছাড়া তার চলবে কেনো? মাফিয়ার মায়ের শ্বাসকষ্টে ইনহেলার কিনে দেবে কে, লুবনা ছাড়া?

বিস্তারিত»

পুরনো ঢাকা’র গল্পঃ চার

পথ হাঁটতে হাঁটতে রিকশায় চড়া প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। নিউমার্কেট থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, মহাখালি কিংবা গুলশান থেকে আজিমপুর অথবা লালবাগ, সদরঘাট হতে এলিফ্যান্ট রোড, রায়ের বাজার থেকে শাহবাগ, আর রাতে সব কাজ শেষে লালবাগ থেকে শংকর হেঁটেই যাতায়াত করতাম। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
এর মধ্যে রিকশা ভাড়াও অনেক বেড়ে গিয়েছিল টের পাইনি। ধাক্কাটা খেলাম এক সন্ধ্যায়। লালবাগ চৌরাস্তায় পথের ক্লান্তি নিয়ে চলতে থাকা একজন এখানকার স্থানীয় এক রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেছেন,

বিস্তারিত»

মোবাইল সুন্দরীর ফেসিয়াল

দিন কয়েক আগে আবিষ্কার করলাম যে আমার HTC Desire 626x দিয়ে আগের মতো sharp ছবি তোলা যাচ্ছে না। মন-মেজাজ খারাপ। কারন মোবাইল সেটটা তো একেবারে জলের দামে কিনিনি। দোকানদার এক গাল হেঁসে আমাকে অভয় দিয়ে বলল যে, “ভাইয়া মাত্র ৮০০.০০ টাকা। লেন্স কভারটা পাল্টে দেই”। আমিও পাল্টা কাষ্ঠ হাঁসি হেসে দোকানিকে ভাব দেখালাম যেন আমি কত্ত বেরসিক। বললাম, “মোবাইলে কিই বা ছবি তুলি আজকাল (যেন ডি এস এল আর ক্যামেরা ছাড়া আমার চলেই না),

বিস্তারিত»

পুরনো ঢাকা’র গল্পঃ তিন

লোডশেডিং শুরু হল। ঠিক একঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। অন্ধকার পথ ধরে ফিরছি।
ঘন ঘন লোডশেডিং হয় বলে সন্ধ্যার পর রোগীও আসে কম! লালবাগ আর আজিমপুর জুড়ে লোডশেডিং-এর প্রাবল্য খুব বেশি, বলতে গেলে সুষম সবিরাম। গলির ভেতরটায় রিকশাগুলো জ্যাম লাগিয়ে ফেলেছে। এরা কিভাবে যেন জ্যাম বাধায়, আবার কিভাবে কিভাবে যেন জ্যাম ছুটে যায়! সারি সারি রিকশা কেউই কোনদিকে যেতে পারছে না। আমি শরীরটাকে কায়দা করে বাঁকিয়ে দুই রিকশার মধ্যে দিয়ে পার হবার সময় কানে এলো রিকশায় বসা ছেলেটি বলছে,

বিস্তারিত»

আজব ভাবনা…

“কপি লুয়াক”

এই জিনিসের নাম প্রথম শুনি the bucket list মুভিতে।

Asian palm cat নামে এক প্রজাতির বেড়াল আছে । তাদের ঘ্রাণশক্তি খুবই প্রবল। তারা বেছে বেছে গাছের সবচেয়ে ভাল ভাল কফি বিনগুলো খায়। কৃষকরা তাদের পিছে পিছে ছুটে। মাঝে মাঝে বেড়াল থামে। মল ত্যাগ করে।

কৃষকরা যত্ন করে সেই মল তুলে নিয়ে আসে। তারপর প্রক্রিয়াজাতকরন করে সেই মল থেকে তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামী কফি “কপি লুয়াক”।

বিস্তারিত»

আমাদের গ্রাম

আমাদের গ্রাম

‘নকশিকাঁথার মাঠ’ এর কবি এবং আমাদের প্রিয় পল্লী কবি জসীম উদ্ দীন নাকি জীবনের শেষ দুই দশক কিছুই লিখেননি, আমার প্রিয় কথাশিল্পী মাহমুদুল হক (‘জীবন আমার বোন’, ‘খেলাঘর’, ‘কালো বরফ’ এর লেখক) প্রবল কোন আত্মাভিমান থেকে লেখাই বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন! আর ইন্দ্রনাথ আর নতুন দা’র সৃষ্টিকর্তা কথাশিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাকি জীবনের শেষ দিকে একটা সোনার কলম বানিয়ে নিয়েছিলেন; আশ্চর্যজনকভাবে এর পর থেকে আর তেমন কিছুই লিখতে পারেননি তিনি!আমরা সাধারন মানুষ।

বিস্তারিত»

বালিকা

‘ পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমের মত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথম যৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।”

আমাদের এই বালিকাও আজ ক’দিন তীব্র যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে যাচ্ছ। নিজেও সে সেটা বুঝে কি? তবে কিছু একটা যে হয়েছে, বয়:সন্ধিজনিত অনুভূতির প্রগাড় অনুভবে বিদীর্ণ হবার চেয়েও বেশ তীব্র এই নতুন অনুভব।

বিস্তারিত»

সাংহাইয়ের পথে পথে-১

ইউয়ুন গার্ডেনের সম্মুখ ভাগআপনি যদি ঘুরতে ঘুরতে কখনো সাংহাই চলে আসেন তবে প্রথমে কোথায় যাবেন? চোখবন্ধ করে চলে যান ইউয়ন গার্ডেন (ইউ গার্ডেন)। আধুনিক রমরমা এত আকর্ষণ থাকতে কেন আমি আপনাকে প্রথমেই একটি ক্ল্যাসিকাল বাগানবাড়ির কথা বলছি তার অবশ্য কারণ আছে।
‘ইউ গার্ডেন দ্যা ফরবিডেন সিটি’ ওল্ড সাংহাইয়ের উত্তর-পূর্বের অ্যানরেন ঝিতে অবস্থিত। তদানিন্তন মীং সম্রাজ্যের সরকারী কর্মকর্তা প্যান ইউনডন বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের সুখ ও শান্তি নিশ্চিত করতে এটি তৈরি করেন।

বিস্তারিত»

একজন অসার্থক বিউগলারের স্মৃতি কথন!

একজন অসার্থক বিউগলারের স্মৃতি কথন!

পৃথিবীর বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ভেতরে যেমন স্পষ্ট সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিদ্যমান, তেমনিভাবে আমার বিশ্বাস সমগোত্রীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র দল সমুহের ভেতরেও স্পষ্ট সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিদ্যমান থাকতে পারে। অন্ততঃ আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে! ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর আমাদের ক্লাসের ৫৫ জন ক্যাডেটকে লটারি অথবা র‍্যানডম স্যামপ্লিং এর ভিত্তিতে বিভিন্ন হাউজে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল। কাজেই মাত্র ৩০০ জন ক্যাডেট নিয়ে সংগঠিত ফজলুল হক হাউজ,

বিস্তারিত»

মাদার তেরেসাকে ওঝাত্ব প্রদান

তাঁর মানব সেবামুলক কর্মকান্ডের জন্য সেই ছেলেবেলা থেকেই মাদার তেরেসার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছিল। তাবৎ নোবেল লরিয়েটদের মাঝে এই “শান্তি” শাখায় বিজয়ীদের প্রায় সবার এই অর্জনের আড়ালে আমি রাজনীতির রঙ্গলীলার রসালো উপস্থিতি দেখতে পাই। এঁদের মাঝে মাদার তেরেসা ছিলেন বিরল ব্যতিক্রম। তাঁকে নিয়ে অনেকের অনেক আপত্তি থাকতে পারে, তাঁকে ও তাঁর সংগঠনের কাজকর্ম ঘিরে কিছু কিছু বিতর্ক থাকতে পারে,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৬

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ

আমরা যখন প্রথম কলেজে যোগদান করি, তার মাত্র কয়েক মাস আগে জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এমসিসিতে যোগদান করেছিলেন। মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া একজন তরুণ শিক্ষক। তাঁর বাড়ী ছিল রাজশাহী এলাকায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি অঙ্ক শাস্ত্রে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে আমাদের কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন,

বিস্তারিত»

যখন কবিতা লিখি

আমি যখন কবিতা লিখি,
তখন মনে আমার কোন প্রিয় গানের সুর বাজতে থাকে।
ঊর্ধ্বাকাশ থেকে নেমে আসে যেন কোন আলোকচ্ছটা,
যা মন খারাপ করা বিমর্ষ আঁধারকে আলোকিত করে,
জাগতিক পঙ্কিলতার ঊর্ধ্বে উঠে
আমি বিশুদ্ধতায় অবগাহন করতে থাকি,
আর ক্রমে ক্রমে নিজেকে নিষ্কলুষ বোধ করতে থাকি।

কবিতা লিখার সময়
কিছু বিশুদ্ধ ভালোবাসার কথা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে।

বিস্তারিত»

আমি হাম দেখেঙ্গে’র দলে

১। খুশবন্ত সিং এর “জোকস” নামক বইটায় (স্মৃতিশক্তি খুব বেশি প্রতারণা না করলে) সিনেমা নিয়ে একটা গল্প আছে এইরকমঃ

অমিতাভ বচ্চন, তনুজা আর রাজীব গান্ধী বসেছেন একটা মিটিং এ। বিষয় – ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশাল বাজেটের একটা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবার মতোন সিনেমা তৈরী করা হবে। তনুজা বললেন তিনি এই মুভিটা পরিচালনা করে দেবেন, কোন পারিশ্রমিক নেবেন না। অমিতাভ বচ্চন বললেন তিনি বিনা পয়সায় অভিনয় করে দেবেন।

বিস্তারিত»

টুকরো টুকরো গল্পেরা…

জীবন এই মতো

তুমি শুটকি ভালোবাসো জানিয়েছিলে একদিন। আমি সমুদ্র উপকূলের মানুষ। শুটকি খেতে অভ্যস্ত নই। তবুও বাজার তালিকায় শুটকি রাখলাম। আমি বললাম, শুটকি খাওয়া অমানবিক। কিভাবে মাছের লাশগুলোকে রোদে পোড়া হয়েছে দেখেছ। তুমি বললে, মৃত মাছের আবার কি অনুভূতি? তুমি যে আস্ত কই তেলে ভেজে খাও। কই মাছের ছটফটানি দেখে দুঃখ জাগে না?
আমি আর কথায় পারলাম কই। বললাম, শুটকি কখনো রাঁধতে দেখিনি মা কে।

বিস্তারিত»