টাগ অব ওয়্যার

দু’ঘন্টার বিরতিহীন ক্লায়েন্ট মিটিং । বেরোবার পর নোমানের মাথাটা নিরেট পাথর হয়ে থাকে। স্যাভিটেক কর্পোরেশনের ঝানু জেনারেল ম্যানেজারের সাথে পেরে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আজ । কিউবিকলে ঢুকে অবসন্ন শরীরটা চেয়ারে এলিয়ে দিয়ে পিওনকে কড়া এক কাপ কফির অর্ডার দেয় । সেলফোনে ফেসবুক খুলে বসে হোমপেজে ঘোরাঘুরি করে অলস আঙুলে । অমুকের রেস্টুরেন্টে চেক-ইন, তমুকের চোখ ড্যাবড্যাবে ডাক-ফেস সেলফি দেখতে দেখতে একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালের হেড লাইনে দৃষ্টি সেঁটে যায় ।

বিস্তারিত»

“আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার”

“আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার”

এটা একটা দুজন অসম বয়সী নারীর সত্য গল্প। দুজনের ভেতরে প্রবল পার্থক্য। একজনের বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। অন্য জনের বয়স মাত্র ১৫। দুজনেই অসম্পুর্না। একজনের স্বামী মারা গেছে ২০ বছর আগে। ৫০ বছর আগে তিনি এসেছিলেন তার জন্মস্থান উজানের ‘চিলমারী’ থেকে এই ভাঁটির দেশে। অন্য জনের জন্ম ভাঁটির দেশেই । জন্মলগ্ন থেকেই তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।

বিস্তারিত»

ফাঁদ পাতা এই দুনিয়ায় – আরেকটি তথ্য ভাগাভাগিকরন প্রচেষ্টা

দেখতে পাচ্ছি, আমার এই ইনফরমেশন শেয়ারিং বা তথ্য ভাগাভাগিকরন প্রচেষ্টাগুলোতেই আজকাল পাঠকদের আগ্রহ বেশি।
তাই ভাবলাম, এ নিয়েই বরং আরও কিছু লিখালিখি করি।

গত লিখাটায় নারীকে ব্যবহার করে এক ধরনের বিরল প্রতারনার তথ্য দিয়েছিলাম। আজ আর বিরল না, নারীকে – বিশেষ করে বিবাহিত এবং/অথবা মধ্যবয়সী নারীকে টার্গেট করে পাতা একধরনের ফাঁদ নিয়ে আলাপ করবো।

ফেসবুকে মোটামুটি একটিভ নারীরা নানান বয়সী অপরিচিত র‍্যান্ডম পুরুষের কাছ থেকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট হর-হামেসাই পেয়ে থাকেন।

বিস্তারিত»

ইটস ভাইটালিটি

অপোজিট অফ ডিপ্রেশন ইজ নট হ্যাপীনেস, ইটস ভাইটালিটি

অনেক কনফিউশন থাকার পরও তিনি কফিনটা কিনেই ফেললেন।
কেনাটা সমস্যা ছিল না, ঝামেলা বাধলো ওটা বাসায় নিয়ে আসতে গিয়ে। রিক্সায় নেয়া যাচ্ছে না। ভ্যান নিতে হোল। উনি দুঃখী চেহারা নিয়ে বসে আছেন, কফিন ধরে।
সস্তা কফিন, আন ফিনিশড আম কাঠের। কোথাও কোথাও পেরেক উঠেছিল। দোকান্ দারকে বলতেই চরম বিরক্তি নিয়ে তাকালো।

বিস্তারিত»

প্রত্যাবর্তন

প্রত্যাবর্তন

“জঙ্গলে যাবার কোনো দিনক্ষণ নির্ধারিত নেই,
যে-কোনো সময়ে তুমি জঙ্গলের মধ্যে যেতে পারো”।—শক্তি চট্টোপাধ্যায়

ফেলে আসা দৃশ্যাবলী কত স্পষ্ট!

আমার সাথে কখনই তাঁর সামনাসামনি দেখাসাক্ষাৎ হয়নি।কয়েকদিন মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে মাত্র। আমি ক্যাডেট কলেজে ঢোকার অনেক আগেই তিনি কলেজ থেকে পাশ করে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন! তার সাথে আমার পরিচয়ও ভার্চুয়াল। ফেসবুকে আমিই তাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহন করেছিলেন তার ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকের সাথেই আমার পরিচয় আছে দেখে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নবিলাস

[ আপিসেতে ছিলাম অনেক চাপে,
হয়ানি আসা বোলগ-বাড়ির ধাপে।
অবশেষে নিলাম যখন ঝুঁকি-
দেরাজ খুলে কোবতে দিল উঁকি। ]

বিস্তারিত»

ধরিব মৎস খাইব সুখে

নিদারুন খরায় পুড়ছে সারা দেশ। আষাঢ় শেষে শ্রাবন এসেছে, মেঘের তবু দেখা নেই। সূর্যটা যেন সারাদিন এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে জ্বলতে থাকে প্রচন্ড তেজে। প্রখর রোদে বাইরে কেমন ঘোলাটে দেখায়। প্রকৃতির এমন রুদ্ররূপ আমাদের অচেনা।

গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘরের জানালাগুলি ভারী চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে । চাদরে আর মেঝেতে খানিক পর পর পানি ছিটোনো হয়, তাতে ঘরের ভেততরটা মোটামুটি সহনীয় থাকে। ফারাক্কা বাঁধ চালু হবার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে দেশটা মরূভূমি হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

সময়ের ভালোবাসা

কেমন করে সময় গুলো যেন ফুরিয়ে যাচ্ছে

কারন সময় কারো জন্য কখনো অপেক্ষা করে না,

আমি তাল রেখে জোড় করে কদম মিলাচ্ছি

আথচ বারে বারে তাল বেতাল হয়ে যাচ্ছি।

 

রাস্তার পাশে বসেছে উষ্ণ চায়ের আড্ডা

আথচ আমি আজ তার স্বাদ নিতে ভুলে গেছি,

এক সময় মন প্রাণ ছুটে যেত কবিতায়

আজ কবিতার কথায় নষ্টালজিক হয়ে গেছি।

বিস্তারিত»

দেখে এলাম ভারতবর্ষঃ পর্ব ৩

আমাদের ট্রেনের নাম কালকা মেইল,স্লিপার ক্লাস।সিট অনেকটা আমাদের দেশের শোভন শ্রেণীর মত,তবে সাইজে অনেক বড় এবং পুরোটাই একজনের জন্য।আছে ফোন চার্জ দেওয়ার সুব্যবস্থা।সেইটা দেখে প্রেমিককুলের মুখের হাসি ছিলো দেখার মত।

ট্রেনে উঠে দেখি আমাদের উপরের বাংকে পা ঝুলিয়ে বসে আছেন দুই ভদ্রলোক।আমাদের সীট বলতেই বললেন,ঘুমানোর সময় বললেই নেমে যাবেন।উনারা যাবেন আসানসোল কিংবা বর্ধমান পর্যন্ত।

জানা ছিলো,এই ট্রেন দিল্লীতে যেতে কমপক্ষে ২৪ঘণ্টা সময় নেবে।আমি আগেই সবাইকে বলেছিলাম,যে চাইলে এই ট্রেনে আমরা কালকা পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে ২ঘণ্টায় সিমলা পৌছাতে পারি।কিন্তু আমার ব্লগ পড়া জ্ঞানে ওদের ভরসা ছিলনা।অথচ ট্রেনে উঠেই পাশের সীটের এলাহাবাদগামী দাদা যখন একই কথা বললেন,তখন সবাই রাজি হয়ে গেল।আর আমরা রেডি হলাম,লাইফের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি করতে।সবাই ফুলানো যায় এমন বালিশ,কম্বল নিয়ে উঠেছিলাম।একটু পরেই ট্রেনের লোক ডিনার করবো কিনা জানতে আসলো।দুই ধরণের খাবার,ভেজ-ননভেজ।হালাল-হারাম বিবেচনায় ভেজ নিলাম সবাই।

বিস্তারিত»

অনুগল্প (প্রচেষ্টা মাত্র)

ফ্ল্যাশ ফিকশন বা অনুগল্পের সাথে আমার পরিচয় আরনেস্ট হেমিংয়ের হাত ধরে।তার সেই বিখ্যাত “For sale: baby shoes; never worn” – মাধ্যমে। এমন একটি মাস্টার ক্লাস দিয়ে সাহিত্যের এই শাখায় আমার অবতারনা হলেও গভীরের স্বাদ আমি সঠিকভাবে এখনো আস্বাদন করতে পারিনি। প্রথমত,সংখ্যার এর অপ্রতুলতা যা বাংলাসাহিত্যে একে বারেই নগন্য। দ্বিতীয়ত, ছোট গল্পের সাথে তার সংমিশ্রণ। ছোট গল্পের সাথে সংমিশ্রণ এই জন্য বলছি, অনুগল্পের সঠিক আকার নিয়ে আসলেই আমি এখনো দ্বীধাগ্রস্ত।

বিস্তারিত»

শর্তহীন ভালোবাসার স্বরূপ

01971XXXXXX_series

স্বদেশপ্রেম, দেশের প্রতি ভালোবাসা অথবা জাতীয়তাবাদ, এসব যখন মানুষের চিন্তা-চেতনায় স্থান নেয় তখন এসব নিয়ে মানুষ কখনই তাদের মনে অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি রাখে না। যদি কেউ বাংলাদেশকে ভালোবাসে তবে সে কখনই বলবে না যে, “আমি দেশকে ভালোবাসি” বরং বলবে, “আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি”—–অবশ্যই সুস্পষ্টভাবে, কোন সংকোচ না রেখেই। অথচ বাংলালিংকের এই বিজ্ঞাপনটা/TVC শুরুই হয়েছে “দেশের” এই শব্দটা দিয়ে। যেহেতু বিজ্ঞাপনে দেশপ্রেমের বিষয়টা মুখ্য সেহেতু “দেশ” শব্দটার পরিবর্তে “বাংলাদেশ” শব্দটা ব্যবহার করতে পারতো।

বিস্তারিত»

কালি-কলম কাহিনী

আবার কালি কলম ব্যবহার করা শুরু করলাম। তবে প্রতিদিনকার লেখালেখির জন্য নয় অবশ্যই। এখন ব্যবহার করি শখ করে। কাগজের সাদা পাতার বুক চিড়ে রোপন করে যাই বুকের ভিতর জমে থাকা অযুত নিযুত শব্দমালা। কেমন যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি। ভালোই লাগে। কেন জানি ঠিক এই একই কাজ বল পয়েন্ট কিংবা জেল পেনে আসে না। অরুচিকর লাগে খুব। বল পয়েন্ট আর জেল পেন আমার কাছে প্রানহীন কিছু একটা।

বিস্তারিত»

একটি নতুন ধরনের হাইব্রীড প্রতারনা সম্পর্কে সতর্কিকরন ব্লগ

নানা ধরনের এনালগ প্রতারনা তো যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে।
জীবন-যাত্রা ডিজিটালাইজড হবার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নানাবিধ ডিজিটাল প্রতারনাও।
আবার এই দুইয়ের সংমিশ্রনে এক পর্যায়ে শুরু হয়ে যায় হাইব্রিড প্রতারনাও।

নানা ধরনের হাইব্রিড প্রতারনা থাকলেও, সম্প্রতি এক নতুন ধরনের হাইব্রিড প্রতারনার গল্প শুনলাম।
শোনার পর মনে হলো, তথ্যটা শেয়ার করে অন্যদের সতর্ক করা দরকার। বিষয়বস্তু জানা থাকলে অন্যরা হয়তো প্রতারিত হবার হাত থেকে রক্ষা পেতেও পারেন…

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৮

‘জীবনের জার্নাল’ এ গত কয়েকটা পর্ব ধরে আমাদের শিক্ষকদের কথা বলে চলেছিলাম। এখনো অনেকের কথা বলার বাকী রয়ে গেছে। কিন্তু আজ আর ওনাদের কথা বলতে চাচ্ছিনা, আজ আমার নিজেরই কিছু কথা বলবো। তখন জীবনের এমন একটা সময় পার করছিলাম, যখন মানুষ কিছু বৈপরীত্যের সম্মুখীন হয়। কিশোর মনে অনেক প্রশ্ন আসে, যেগুলো সবাইকে জিজ্ঞেসও করা যায়না, যেগুলোর উত্তর সবাই দিতেও চায়না। এই বয়সের একটা কালজয়ী বর্ণনা দিয়ে গেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,

বিস্তারিত»

অব্যক্ত অনুভূতি

দীর্ঘ সামরিক জীবনে,
যখনি কোন আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করেছি,
ব্যান্ডের তালে তালে মার্চপাস্ট করেছি,
জাতীয় সংগীতের সুরে সশস্ত্র সালাম দিয়েছি,
কেউতো দেখেনি আমার নীরব অশ্রুপাত।

কেন জানিনা,
সামরিক ব্যান্ডগুলোর সুরের মূর্ছনায়,
অপূর্ব বাঙ্ময় হয়ে উঠে যেকোন গান।
দেশাত্মবোধক হলে তো কোন কথাই নেই,
অশ্রু ও স্বেদ একাকার হয়ে প্রবাহিত হয়।

এখনো নাড়া দেয়,
জাতীয় কবির সেই তেজস্বী রণসঙ্গীত,

বিস্তারিত»