২০১১ সাল থেকে অনলাইন দুনিয়ায় আমার নিয়মিত পদচারণা। শুরুটা সিনেট.কম দিয়ে। বিভিন্ন সেফ এবং ফ্রি সফটওয়ারের জন্য এটি আমার প্রিয় ওয়েবসাইট।এর পর কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন ঝৈ ঝামেলা মুক্তির জন্য সামহোয়ার ইন ব্লগ- এর নিয়মিত পাঠক হয়ে পড়ি। ঐ সাইট থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। মাঝে মাঝে ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে ঢু মারতাম।ফেসবুকে আসার আমন্ত্রণ পেতে পেতে বেশ বিরক্তও হচ্ছিলাম। ফেসবুক শব্দটা প্রথম শুনেছিলাম ‘ফার্ষ্ট ডেট’ নাটকে।
বিস্তারিত»বরফকল
মাঝে মাঝে ঘরের দেয়ালগুলি
তরল হয়ে যায়,
আমি ইট-ভেজা হয়ে
বাইরে এসে দাড়াই।
স্বপ্ন বারান্দায়
বুক ভরে শ্বাস নেই ;
ঘরের ভেতর ক্রমাগত
জমাট বরফ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
জীবনানন্দ ক্লান্ত,
ক্লান্ত আমিও, ক্লান্ত সুবোধ বাবু
অথচ বরফকল অবিশ্রান্ত
চলছেই চলবেই …
ইচ্ছা পূরণের রোডম্যাপ (একটি ভিডিও ব্লগ)
বেশ কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ব্লগ বানিয়েছিলাম। পশ্চিমেতো সবসময় ভিডিও কনটেন্ট দেখছি। তখন মনে হতো বাংলাতেও এরকম বানিয়ে দেখি। এটি একটি এক্সপেরিমেন্ট। এটি সময় কিভাবে সামলে আনা যায় তার উপর ভিত্তি করে বানানো। বই বা রেফারেন্স এই ভিডিওটির মধ্যেই আছে। ধন্যবাদ। সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
বিস্তারিত»নীল অশ্রু
আহ্…… কি যে ভালো লাগছে। কত দিন ধরে অপেক্ষা করেছি এই একটা খবরের জন্য। আনন্দে লাফাতে ইচ্ছা করছে। শেষ পর্যন্ত তা হলে রেসিডেনসিটা হোল। অনু অবরয় …… কনগ্রেসুলেসন ..অবশেষে তুমি পারলে, নিজেকে নিজেই ধন্যবাদ দিল অনু। নিজের যোগ্যতায় যতটুকু না হয়েছে তার চেয়ে মনে হয় বেশি কাজ হয়েছে মুরুব্বিদের দোয়ায়। গ্যাস ইস্টিসনে কাজ করার ফাঁকে কম্পিউটারে ইমেল চেক করে মাত্রই ইরেস (ইলেক্টনিক রেসিডেনসি এপ্লিকেশ্ন সিস্টেম) থেকে ইমেলটা পেলাম।
বিস্তারিত»কনা’র বিয়ে
আজ কনা’র বিয়ে। বিয়ে মানেই আনন্দ, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে হৈ চৈ করে বাজার করা, রঙ্গিন স্বপ্নের জাল বোনা। অথচ কনা’র এগুলো কিছুই করা হয় নি, ওর হয়ে আত্মীয়-স্বজনরাই সব করেছে। কমিনিউটি সেন্টারে কণা বৌ সেজে, স্টেজে চুপচাপ বসে আছে। চারিদিকে বাচ্চাদের চেঁচামেচি আর দৌড়াদৌড়িতে কানে তালা লাগার অবস্থা। মনে হচ্ছে ওদেরই সবচেয়ে বেশী আনন্দ। অথচ কনা’র একটু আনন্দ লাগছে না, বরং সবকিছু বিরক্ত লাগছে। একরকম ভাবলেশহীন।
বিস্তারিত»সিসিবির সাথে সুখবর *টি শেয়ার করছি!
বছর দেড়/দুই আগেও এই ব্লগটি লেখার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না!
সিসিবিতে সেসময় ‘ঠাণ্ডা প্রতিশোধ‘ নামে একটি ওয়েস্টার্ন গল্প লেখা শুরু করেছিলাম। আমার স্বভাব হচ্ছে লেখা পুরোটা (বা অনেকখানি) শেষ করে তারপর ব্লগে দেয়া শুরু করি। এতে করে নিয়মিত লেখা দেয়া সম্ভব হয় এবং যে দুই-একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমার লেখা পড়েন তাদের কাছেও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। যাই হোক, সিসিবিতে কয়েকটি পর্ব দিয়ে আমি পুরো গল্পটি আমি সেবা প্রকাশনী বরাবর পাঠিয়ে দেই।
বিস্তারিত»দেখে এলাম ভারতবর্ষঃ পর্ব ২
আগের পর্ব ছিলো,কলকাতা পৌঁছানো নিয়ে।পৌঁছে তো গিয়েছি,এবার আগানো যাক।
কলকাতায় নেমে সবার আগে যেখানে গেলাম আমরা,সেটা হচ্ছে ফেয়ারলি প্লেস।ফরেন কোটার যাত্রীরা এখান থেকে সারা ভারতজুড়ে ট্রেনের টিকিট অগ্রীম কাটতে পারেন।ভিতরে ঢুকে দেখি কয়েকজন সাদা চামড়া বাদে বেশিরভাগই বাংলাদেশি।নোয়াখালি,বরিশাল,সিলেট,অনেক এলাকার ভাষা কানে এল।বেশিরভাগই চিকিৎসাপ্রার্থী,যাবেন চেন্নাই অথবা অন্য কোথাও।ফর্ম পূরণ করে বসে থাকলাম সবাই।ঘণ্টা দুই পর সিরিয়াল এল আমাদের।
আমাদের প্ল্যান ছিলো,যাওয়া আসা,২বারের যেকোনো একবার,ইন্ডিয়ার বিখ্যাত ট্রেন রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়বো।কিন্তু কপাল খারাপ,কোনদিনের টিকিটই পেলাম না,পেলেও তা এসি-টায়ার ২,যেইটা আমাদের সাধ্যের বাইরে।তো কালকা মেইলের আপ এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের ডাউন টিকিট কেটে ব্যাগ টানতে টানতে বের হলাম সামনের মহাসড়কে।
বিস্তারিত»উপন্যাসের খোঁজে
আনন্দ হলের সামনে বাস থেকে নামতেই আবার রিংটোন বেজে ওঠে ফাগুনের। রিতা ফোন দিয়েছে। এই নিয়ে গত বিশ মিনিটে পঞ্চম ফোন।
– আরে এসে গেছি তো। এইত হলের সামনে। তুমি পার্কে থাকো। আমি আসছি।
– গিফট গুলো এনেছ তো?
– হ্যা রে বাবা। বললাম তো এনেছি।
ফোনটা কেটে যায়।
রিতার সাথে সম্পর্ক দুই সপ্তাহের।মাস ছয়েক আগে কাজলের সাথে ব্রেক আপ হবার পর প্রায় দুই মাস ফাগুন সিঙ্গেল ছিল।
গোলাপকথা
দুই।
‘উচ্ছ্বাস ভুলিয়াছ,
ভ্রান্তি ভুল নাই’
গোলাপ হাসিল।
আনতনেত্র যুবরাজ
তৃণ গণণা করিতে করিতে
মৃদুস্বরে কহিল —
‘তোমার বাক্য শুনিয়া
কেবল একজনের কথা
স্মরণ হইতেছে কেন?
উচ্ছ্বাস ফিরাইয়া আনিতে
তোমার নিকট
কন্টক যাঞ্ছা করি —
পাইবো কি?’
তথাস্তু –
গোলাপ কহিল
তিন।
‘পত্র লিখিত কি?
বিস্তারিত»ঘুরে এলাম মেঘের বাড়ি- সাজেক!!!

“দুনিয়াটা অনেকের কাছে টেনিস বলের মতো ছোট্ট। একটুখানি। এরা নিত্যদিন নানা কাজে লন্ডন- প্যারিস- নিউইয়র্ক করে বেড়াচ্ছে। আর অনেকের কাছে এই পৃথিবী এক অফুরান তেপান্তরের দেশ; সাতসমুদ্দুর তেরো নদী, ভুত-পেত্নী, রাক্ষস খোক্কসে আকীর্ণ। তাদের অজানা দুনিয়ার শেষ নেই।”
বলাই বাহুল্য আমি পড়ি দ্বিতীয় দলে। ছোটবেলায় বছরে একবার আট-দশজনের দল করে একটা ভ্রমণ হতো বটে। একবার সিলেট, বেশ কয়েকবার চট্টগ্রাম- কক্সবাজার। ক্যাডেট কলেজের আধাসামরিক ভ্রমণগুলো ছিল অন্যরকম,
প্রকৃত বন্ধুর ভাবনা
গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে বেশ ক’জন পরিচিত মুখ ক্ববরে শায়িত হয়ে গেল! প্রায় প্রতিদিনই মাইকে ঘোষণা শুনতে পাইঃ …. নিবাসী …. নং রোডের …. নং বাড়ীর অমুক গতরাতে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর …. মাসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাকে … কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আবার এ সময়টা বিয়ে শাদীরও ভরা মৌসুম। এমতাবস্থায়, গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে প্রায় প্রতিদিনইঃ
১।
ব্যথা
পাখি নীরব হয়ে থাকে,
সেই সাথে যেন প্রকৃতিও,
বিরহিণীর চোখে নদী বয়ে যায়!
(আমেরিকান ইম্প্রেশনিস্ট কবি এযরা পাউন্ড এর “In A Station Of The Metro” কবিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে)
ঢাকা
০৭ জানুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
ফাইট হ্যাবিট – বাংলা মোটিভেশোনাল ভিডিও
কখন ঘুম থেকে উঠো? কখন ঘুমাতে যাও? কয়টা লাইন ব্রেক করো? কতো জনের গুষ্ঠি উদ্ধার করো? কতক্ষণ আজাইরা গিবত গাও? কতো সময় ঝিমায়া নস্ট করো? কতক্ষণ টিভি তে বালছাল জিনিশ দেখো? কতক্ষণ ফেসবুকিং করো?
আবার সাকিব, মাশরাফি হতে চাও? আবার নেক্সট প্রফ ইউনুস হতে চাও? আবার ড জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আহমেদ হতে চাও? জহির রায়হান, মুনীর চৌধুরী হতে চাও? নিজের আইডল কে ছুতে চাও?
বিস্তারিত»আলাভোলা
আলাভোলা
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ
কাজ ছেড়ে নেমে যেতে অপাথর্িব সন্ধানে
দিয়েছিল ডাক আমাকে অনেক আগেই,
সেই ছোট্ট বেলায় গায়ের মাঠ, ধানের খেত
ঘন কচি তাজা সবুজের মাঠ চেরা আঈল,
পানির নহর আর তার মাঝে খেলা করা
মলা ঢেলা খলসে টাকি চুনোপুঁটি ঝাঁক।
খালের পার নদীর ধার ধরে কত গেছি হেটে
নেমে নদীর জ্বলে কচুরীর দামে হাত রেখে
ধরেছি দাঁড়িতে ঝুলে থাকা খলসে মাগুর কৈ
জলে তে সাপের লেজ ধরে দিয়েছি উধর্ে টান
ঘুরিয়ে দিয়েছি ছুড়ে আকাশের বুকে অসহায়
ধোরা,
নজরুল গীতিঃ খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে তার ১১৬তম জন্মবার্ষিকীতে এই গানটি আমি গেয়েছিলাম। আজ সিসিবি তে দিলাম। আশাকরি ভাল লাগবে।
বিস্তারিত»