আলাভোলা

আলাভোলা
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ

কাজ ছেড়ে নেমে যেতে অপাথর্িব সন্ধানে
দিয়েছিল ডাক আমাকে অনেক আগেই,
সেই ছোট্ট বেলায় গায়ের মাঠ, ধানের খেত
ঘন কচি তাজা সবুজের মাঠ চেরা আঈল,
পানির নহর আর তার মাঝে খেলা করা
মলা ঢেলা খলসে টাকি চুনোপুঁটি ঝাঁক।

খালের পার নদীর ধার ধরে কত গেছি হেটে
নেমে নদীর জ্বলে কচুরীর দামে হাত রেখে
ধরেছি দাঁড়িতে ঝুলে থাকা খলসে মাগুর কৈ
জলে তে সাপের লেজ ধরে দিয়েছি উধর্ে টান
ঘুরিয়ে দিয়েছি ছুড়ে আকাশের বুকে অসহায়
ধোরা, যে বিষ ছাড়া শিখেছি সব খেলা করে।

বৃষ্টি হলে রংধনুর সাত রংয়ে লিখতাম কবিতা
মেঘের গায় সাদা অক্ষর অক্ষরে ভরা শত পাতা
উড়ে উড়ে ভেসে যেত অসীমে পাখনা তুলোয়
গান হয়ে নেমে জলের ধারা শত কষ্ট বেদনায়
ডুমুরের ডালে কদম ফুলে কেতকী কেয়া তলে
সোদা গন্ধ মাতাল ছন্দ এঁকে কাদা মাটি জলে।

বই ফেলে স্কুল থেকে পালিয়ে বাঁশের বাগান
ডাংগুলি ঠুকে খুশিতে নেচে কেটে গেছে বেলা
ঘন্টা বেজে বেজে থেমে গেছে আমাকে ডেকে,
বই গুলো গুছ্য়ে আল্পনা রেখেছে যত্নে বুকে
ছন্নছাড়ার সঙ্গী স্বপ্ন মেখে পথে কুড়িয়ে বকুল
নৈবেদ্য দিয়েছি তুলে চরনে আলতা একে রং।

সবুজ অরন্য ঘুরেফিরে ফিরে যেতে যেতে পথে
ভালবেসে শিখিনি কভু ভালবাসা ফিরে পেতে।

মনিপুরীপাড়া । ঢাকা।
রাত ১২.৩৯। ৫/১২/২০১৬

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।