জুলিয়েটের ঝুল বারান্দায়

জুলিয়েটের ঝুল বারান্দায়

অনেক সময়ে কাল্পনিক চরিত্ররাও বাস্তব মানুষের চেয়ে বেশি জীবন্ত এবং প্রভাব সৃষ্টিকারী হয়ে উঠতে পারে! যেমন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’! ১৯১৭ সালের প্রকাশিত হবার পর থেকে দেবদাসের ক্রমাগত মৃত্যু দৃশ্যের বর্ণনা বা মৃত্যুদৃশ্যের অবলোকন চোখের কোণায় অন্তত জল টেনে আনেনি এমন পাষাণ হৃদয়ের বাঙালি আদৌ আছে/ছিল কিনা সে সম্পর্কে আমার ধারনা নেই। ১৯৩৫ সনে প্রমথনাথ বড়ুয়া নির্মিত এবং অভিনীত দেবদাস থেকে শুরু করে ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শাহরুখ খানের আধুনিক ‘দেবদাস’ সকলেই শুধুমাত্র বাংলা ভাষাভাষীদের নয়,

বিস্তারিত»

আবোল-তাবোল (গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ)

একশ বছর বছর আগে আইনস্টাইন নামে এক ইহুদি পণ্ডিত অংক কষে এর কথা অনুমান করেছিলো। প্রায় আধাশ’ বছর আগে হকিং নামের এক নাছারা বিজ্ঞানী উপায় বাৎলে ছিল, কোন ঘটনার দিকে নজর দিলে তারে ছোঁয়া যাবে, মাপা যাবে। আর এইতো সেদিন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, আমেরিকা নামের এক নচ্ছার দেশের বিজ্ঞানীরা সেইসব কল্পনা আর অনুমানকে বাস্তবে পরিনত করে গ্রাভিটেশনাল ওয়েভকে পর্যবেক্ষন করে ফেলল। গোপনে বলি, এই ১৪ই সেপ্টেম্বর দিনটা আবার এই আধমের জন্মদিন ও বটে।

বিস্তারিত»

অভিসারনামা

প্রথম অভিসারটির রঙ ধুসর।
অবিশ্বাস্য দ্রুততায় কেটে যায় তা
পরিচিতিই ঘটে কেবল,
স্মরণে থাকে না আর কোনো কিছুই
কিন্তু কানে কেবলই বাজে একটা সুর,
“আবার কবে দেখা হবে, প্রিয়তমেষু………”

দ্বিতীয় অভিসারের রঙ বেগুনি।
কত কত নিরীক্ষায়ই না ঘটে তখন
আর সময়টা কাটতে থাকে
অভিজ্ঞতায়, অর্জনে,
যার কতক টেকে
আর কতক ঝরে পড়ে
গন্তব্যহীন হয়ে।

বিস্তারিত»

কিছু সবুজ বাতির সারি এবং তুমি

মধ্য রাতে ও কিছু সবুজ বাতির ভিড়ে
তোমায় খুঁজে ফিরি
কিছু সবুজ বাতি, তুমি, আমি।
বাতাসের উষ্ণতা কমে,
আঁধারের চাদর আরো বেশি আঁটসাঁট হয়
সবুজ বাতি নিভে যেতে থাকে একে একে
তখন তুমি ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলছ নয়ন মাঝে
তারা খসে পরে, আলো নিভে যায়
তুমি ঠিক রয়ে যাও দুরে
ভেসে উঠ তবু স্বপ্নে-সুরে,
বারেবার চলে যাও এভাবেই এসে ফিরে।।

বিস্তারিত»

কেন ‘দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প’ লেখলাম

dushtu22
বাইরে থেকে ক্যাডেট কলেজগুলোকে অনেকের কাছে স্বপ্নপুরী মনে হয়। ওখানে বাচ্চারা খুব ভাল থাকে। আবার কেউ-কেউ মনে করেন ইট-পাথরের দালানের মধ্যে কিছু রুক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর বসবাস। আসলে এই কলেজগুলোতে যারা বেড়ে ওঠে তাদের তৈরী করা হয় সশশ্রবাহিনীর উপযুক্ত করে। তিনশো-ষাঠ ডিগ্রি শিক্ষায় তাদের গড়ে তোলা হয়। সবাই হয়তো সশশ্রবাহিনীতে যোগ দেয় না, তবে তিনশো-ষাঠ ডিগ্রি শিক্ষা লাভ করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরে।

বিস্তারিত»

~ সেই ফাগুনের অপেক্ষাতে ~

শুকনো পাতার মতোন
কুঁকড়ে আছে অপেক্ষার সময় সব
সানকিতে সাদা ফুল
রঙধনুর চেয়ে কিছু বেশী রঙ
মেখে সবুজাভ
আসবে বসন্ত সময় নয় শুধু
মানুষের উৎসবে
কলরব মুখরিত দীপ্রতার
হুল্লোড়ে জীবনের
টক ঝাল মাখা প্রাণবান গান নিয়ে

ভাস্কর্যের মগ্নতায়
আছি স্থির সেই ফাগুনের অপেক্ষায়

(য তি চি হ্ন হী ন – তি ন)

বিস্তারিত»

মিলন হবে কতো দিনে …


ক্লাসে মেয়েদের অলিখিত দলনেত্রীর পদটি বাগে রাখার জন্য ভেতরে ভেতরে আমাকে অনেক রাজনীতির হিসেবনিকেশ কশে চলতে হতো। তাই তিথির সৌন্দর্য নিয়ে কেউ যাতে বেশি উচ্ছ্বসিত প্রসংশায় মেতে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে ছিল আমার কড়া নজরদারী। মসনদ – তা সে ময়ূর সিংহাসনেরই হোক কিম্বা পদ্মপাতার উপর দু’ফোঁটা পানিরই হোক – কব্জা করা আর তা ধরে রাখা এতো সহজ নয়। প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কথার যন্তর-মন্তরে আমার শিষ্যানুসদকে বশ করে রাখতে হতো।

বিস্তারিত»

তিনটি প্রতিক্রিয়া (//)

এক

দুই

একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। খুব সম্ভবতঃ হুমায়ুন আহমেদের এলেবেলে তে পড়েছিলাম। উচ্চ শিক্ষার্থে এক মেধাবী শিক্ষার্থী গেছে মার্কিন মুলুকে। কিছুদিনের মধ্যেই সেখানকার অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সাথে পরিচয়, বন্ধুত্ব হয়ে গেল। সেখানকার ছেলেমেয়েদের মাঝে সে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করল। কথাবার্তার মাঝে কেউ একজন হঠাৎ একটা নাম্বার বলে ওঠে আর অন্যরা হো হো করে হেসে ওঠে। বিদেশী ছেলেটি কিছু বুঝতে না পেরে বোকার মত তাকিয়ে থাকে।

বিস্তারিত»

একজন কিংবদন্তীর কথা বলছিঃ ক্লাইভ লয়েড (১ম পর্ব)

প্রখ্যাত ক্রিকেট সাংবাদিক অরুনভ সেনগুপ্ত কয়েক বছর আগে ক্রিকেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট cricketcountry.com এ ক্লাইভ লয়েডের উপর বিশাল এক আর্টিকেল লিখেছিলেন। আর্টিকেলটির নাম Clive Lloyd: The mastermind behind West Indies’s domination of world cricket. এতে তাঁর ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকে প্রায় সবকিছুই দারুণভাবে উঠে এসেছে। সুপাঠ্য এই লেখাটি সবার পড়ার জন্য দুই খণ্ডে অনুবাদ (ভাবানুবাদ) করার চেষ্টা করছি। মূল লেখাটি পাওয়া যাবে এখানে

বিস্তারিত»

অন্য বসন্ত

ছেলেটি অসম্ভব চুপচাপ ধরনের ছিলো।।কিন্তু প্রচন্ড ভালোবাসতো মেয়েটিকে।।মেয়েটির কোনো আবদার কখনো অপূর্ণ থাকতে দিতোনা সে।।শুধু একটা হাসিকে জুড়ে ছিলো তার জগতের সব চাওয়া পাওয়া।।তার মুখে হাসি ফোটাবার জন্য এমন কিছু নেই যা সে করতোনা।।তার মলিন মুখ দেখলে ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠতো ছেলেটি।।সত্যিই অনেক বেশি লাকি ছিলো মেয়েটি।।আজকালকার যুগে কেই বা এমন করে ভালোবাসতে পারে।
মেয়েটি ছিলো বড্ড বাচ্চা বাচ্চা।।জগত সংসার সম্পরকে খুব কম বুঝতো।।ছোট্ট কারনেই মন খারাপ করতো আবার অনেক কিছু হলেও যেনো কিছুই হতোনা।।তার মায়াকাড়া মুখের দিকে চাইলে যে কেউই তার সরলতাকে অবলোকন করতে পারবে।।ভালোবাসা বোঝার মত ক্ষমতা তার ছিলোনা।।তবে এটা বুঝতো যে কেউ একজন তাকে অনেক care করে,তার সুখে হাসে,দুঃখে কাদে।।এই মায়াটাকে সে ছাড়তে পারতোনা কখনো।।কিংবা হয়তো তার অবচেতন মন অপেক্ষা করতো যে ছেলেটা তাকে কিছু বলবে!!

বিস্তারিত»

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়!(সূচনা পর্ব)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়!

লুমলে বীচ (LUMLEY BEACH)

‘সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে নক্ষত্রের তলে বসে আছি’!ঠিক তাই। এই মুহূর্তে আমার মন পড়ে আছে আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী পশ্চিম আফ্রিকার যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিয়েরালিওনের রাজধানী ‘ফ্রি টাউন’ সন্নিকটবর্তী ‘লুমলে’ , ‘গডরিচ’, ‘লাক্কা’ এবং ‘রিভার২’ নামক বিস্মৃত বেলাভূমিগুলোতে । আটলান্টিক মহাসাগরের বিস্তৃত সৈকতরেখা জুড়ে এই বেলাভূমিগুলো সমুজ্জ্বল কণ্ঠহারের মতন জ্বলজ্বল করছে আদিকাল থেকে। পৃথিবীর কোন দুঃখ,

বিস্তারিত»

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ডায়েরীর পাতা: চুমুতে আপত্তি (?!)

এক ভাই এর মারফত জানলাম ফেসবুকে নাকি কি ইভেন্ট খোলা হয়েছে যার নাম পুলিশি প্রহড়ায় প্রকাশ্যে চুমু খাবো জাতীয় কিছু একটা। দেখলাম ইভেন্ট পেইজটা। সেখানে আরিফুর রহমান নামের এক ভাই এর ভিডিও ভ্লগ দেখলাম যেখানে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে কেন প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া উচিৎ আমাদের। ইভেন্ট ওয়ালে মানুষজনের পোস্টও দেখলাম। বেশ লাগলো।

বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জিনিস আমি মিস করি। বিশেষ করে কিছু মানুষকে যারা কল্পনার এক অবাস্তব জগৎ এ বাস করে।

বিস্তারিত»

কিছু চাওয়া

পৃথিবীটা সুন্দর, তাই বলে—
সবটাই তো কুসুম কানন নয়,
আর তা হতেও পারেনা।
কোথাও ধূ ধূ মরুপ্রান্তর,
কোথাওবা শুধুই রুক্ষ পাথর।
কোথাও সূর্যতাপে চামড়া ঝলসে যায়,
আবার কোথাও কনকনে শৈ্ত্যপ্রবাহে
দেহটা অসাড়, অনুভূতিহীন হয়ে রয়।

পৃথিবীর মাঝে আমি তো এক ক্ষুদ্রকণা
আমার চাওয়া পাওয়াতে কিছু যায় আসেনা।
তবু বলে যাই, আমি এইটুকু চাই—
এ ধরার কোন এক কোণে একটি শ্যামল প্রান্তর।

বিস্তারিত»

এবারের একুশে বই মেলায় আমার দুটো বই

ইন শা আল্লাহ, আগামী সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এবারের একুশের বইমেলায় আমার দুটো বই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথমটা কবিতার বই “গোধূলির স্বপ্নছায়া”, প্রকাশক- জাগৃতি প্রকাশনী, স্টল নম্বর ১৭৩-১৭৫। দ্বিতীয়টা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮।
সিসিবিয়ানদের সাদর আমন্ত্রণ রইলো।

wp_ss_20160118_0001

Design-1

এ পোস্টারটা আমার প্রকাশক পাঠিয়েছেঃ
F-B-Ad

বিস্তারিত»