মুভিঃ বেলাশেষে(২০১৫)
জেনার/রীতিঃ ফ্যামিলি ড্রামা।
পরিচালানাঃ নন্দিতা রায় / শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
অভিনয়ঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,স্বতীলেখা সেনগুপ্ত,ঋতুপর্না সেনগুপ্ত,খরাজ মুখোপাধ্যায়,প্রমুখ।

কোন সাধারন বা ক্লিশে কাহিনী সঠিক কারিগরের হাতে পড়লে সেটা কতটা নান্দনিক রূপ নিতে পারে বেলাশেষে দেখে আর একবার উপলব্ধি করালাম।নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটির ইচ্ছে,মুক্তধারা ও রামধনু দেখে আগেই বুঝেছিলাম সাবলীল গল্প বলা একটা শিল্পের নাম;আর সেইধারার সর্বশেষ সংযুক্তি বেলেশেষে।
~ এই শীতে, অবশেষে – দুই ~
এই শীতে অবশেষে
কয়েক ছত্র বৃষ্টি এসে,
নগরীতে দিয়ে গেলো
প্রতীক্ষিত সেই হিম স্বাদ।
শীতের শরীর ছুঁয়ে
আহলাদী নাগরিক
উল্লাসে জানায় তার
বরফ ভাঙা উদযাপন সাধ।
মেহেগনি ইউক্যালিপটাস বা
বোগেনভেলিয়ার লাজুক
পাতাদের গায়ে ধূলার
চাদর মুছে জমা বিন্দু জলে –
শখের ডিএসএলআর তার
দীর্ঘ অক্ষিকাঁচ দিয়ে
অপূর্ব ফ্রেমের গায়ে
বুঝি শীতছবি আঁকা খেলে।
প্রবাসে প্রাকৃতজন (বিলাতি তিলেরখাজা)
সুপারশপের শেলফে দেখি সুন্দর করে প্যাক করে রাখা তিলের খাজা। তিলের খাজা! হ্যাঁ তিলের খাজা ই তো!! কি সাংঘাতিক! এতদিন পরে এই জিনিষ দেখলে কি মাথা ঠিক রাখা সম্ভব? এই মুহুর্তে যদি গোটা চারেক না খাই তাহলে আমার বংশ পদবীটাই বৃথা। আবার ওদিকে মধ্যপ্রদেশের আপোষহীন ক্রমবৃদ্ধি আর বাসায় লীডার-অব-দ্য-হাউজের ব্যপক চোখ রাঙ্গানিকে ও তো উপেক্ষা করা সহজ কাজ না।
অনেকক্ষণ ভাবলাম, আশেপাশের অন্যান্য আইলে ঘুর ঘুর করলাম।
বিস্তারিত»কলেজে গেলে ঘুমুতে ইচ্ছে করে না
আমাদের ক্যাডেট কলেজে গেলে আমার ঘুমুতে ইচ্ছে করে না। নাহ, যা মনে করছেন, তা নয়। না ঘুমিয়ে সারারাত গান শুনবো বা ডিজে’র সাথে সবার নাচ দেখবো সেকারণেও নয়। কলেজের আকাশে ফানুষ ওড়ানো দেখবো সেজন্যেও নয়।
শুধু মনে হয় ঘুমুলেই সময় নষ্ট হবে, কলেজটাকে মন ভরে দেখতে পারবো না। কবে সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে যাই তার ঠিক নেই! তাই, না ঘুমিয়ে কলেজটাকে যত বেশি পারি দেখে নিতে চাই,
টুকিটাকি – ২
১
আশির দশকের একজন স্মার্ট নায়িকা ছিলেন দিতি। অনেক সংগ্রামী জীবন। অনেকটা সেলফ-মেড। এখন তিনি অসুস্থ। সহকর্মীরা তাঁর জন্য দোয়া করছেন। আবার বাংলাদেশের মতো রক্ষণশীল সমাজে নায়িকা মানেই শুধু একজন অভিনয়শিল্পী নয় – যেন অন্যকিছু। তাকে সম্মানিত করতে নেই, তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর পরিণতি। একটি রক্ষণশীল সমাজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ভয়ংকর পরিণতির ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে। তাই সে সমাজে কোন সৃষ্টিশীলতা নেই, গতিময়তা নেই।
বার বার তিন বার
কথায় বলে বার বার তিন বার, ইংরেজিতে দে কাম ইন থ্রিজ। বিশেষ করে ফাঁড়া গর্দিশে ইত্যাদি। তেমনি এক তিন ফাঁড়ার গল্প বলছি।
সেদিন হিউষ্টনের বিরাট চীনা বাজারে গিয়েছি। কেনাকাটা সেরে কিউতে দাঁড়িয়ে আছি। আমার আগের খদ্দের গোটা চারেক দুরিয়ান কিনেছেন। সেগুলো কাউন্টারের উপরে ডাঁই করে রাখা। এই বিশেষ ফল সম্পর্কে দুটো কথা আগে বলে রাখা দরকার। কাঁঠালের মত চেহারার এই ফল প্রাচ্যদেশীয়দের কাছে খুবই পছন্দের জিনিষ।
বিস্তারিত»কবিতা মানবী
যদি প্রেমাষ্পদ হয়েই থেকে যেতে,
আজ তুমি হতে পারতে স্ত্রী,
কবিতা না।
অথবা হতে পারতে
আমাদের সন্তানের মা,
কিন্তু কবিতা না।
কিংবা হতে প্রেমিকা, প্রেয়সী,
অথবা আত্মার আত্মীয়,
কিন্তু কখনোই কবিতা না।
তুমি যখন প্রেমাষ্পদ হিসাবে
আর থাকতে চাইলে না,
চাইলে আমাকে ছেড়ে অন্য কোনো
ঠাই খুজে নিতে,
তুমি জানতেও পারলে না,
~ কাঁচে না কাছে ~
কাঁচে
দেখছি কাছে
আমাকে
ও তোমাকে
যখন
বিম্বের বিপরীতে
মৌনতা
মন্ত্রস্থ দুহাতে
ভাঙছে সাহচর্য
তখন
২১ জানুয়ারী ২০১৬
বিস্তারিত»চিরুণীকথা
তোমার উচ্ছল আলাপের
কোন অনুবাদ হয়না হে
ঢলঢল লাবণী,
অন্ধকার রেশম!
দাঁত ভেঙে
পড়ে আছি দেখে
আয়নায় নিরুপম কোমরের
সে কি হাসি!
কাঁটা ক্লিপ উধাও
একে একে
ড্রেসিংটেবিল থেকে,
খোঁপাময় বেশরম
তারা হবে ব’লে।
হেলায়
প্রসাধনের বেলা যায়
নীরবে চাহিয়া রব
যদি কিছু আমারে শুধাও
গানের ভেলায় বেলা অবেলায়……
১৯৬১-৬২ সালে আমরা ঢাকার কমলাপুরে থাকতাম। তখন আমার বয়স ৭/৮ বছর হবে। বাসার ঠিকানাটা এখনও মনে আছে-18, Republic Second Lane, Kamalapur, Dacca। আমরা ভাড়া বাসায় থকতাম। প্রতি মাসের ঠিক ২ তারিখে সন্ধ্যায় একজন টাকমাথা মধ্যবয়স্ক বাড়ীওয়ালা আসতেন। আব্বার কাছ থেকে গুণে গুণে ভাড়ার টাকা বুঝে নিয়ে একটা রসিদ লিখে দিতেন। তারপর বুকপকেট থেকে একটা রেভিনিউ স্ট্যাম্প বের করে জিহ্বার সাথে ঘসে রসিদটার উপর সেঁটে দিতেন।
বিস্তারিত»শীতল কাব্য
সাত সকালে ইলসেগুঁড়ি
রোঁয়া ফুলিয়ে মাছরাঙ্গার জ্বর
শীতল হিমের খোঁচা
drizzle at sunrise
ague of a kingfisher
needles of winter
বিস্তারিত»একটি মুখের ছায়া
একটি মুখের হাসি
এই কুয়াশার মাঝেও রোদের ঝিলিক এনে দিতে পারে।
একজোড়া চোখের দৃষ্টি
সাগরের অতলান্তে আমায় শয্যা পাতার স্বপ্ন দেখাতে পারে।
হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া
কারো একটি দুঃখকথা আমায় অশান্ত করে তুলতে পারে।
একটি কন্ঠের গান শুনে
আমি শিশুর মত মুচকি হেসে হেসে ঘুমিয়ে যেতে পারি।
কারো একটি নাচের মুদ্রা
আমার বাতগ্রস্ত পায়েও মৃদু হিল্লোল এনে দিতে পারে।
টাগ অব ওয়্যার
দু’ঘন্টার বিরতিহীন ক্লায়েন্ট মিটিং । বেরোবার পর নোমানের মাথাটা নিরেট পাথর হয়ে থাকে। স্যাভিটেক কর্পোরেশনের ঝানু জেনারেল ম্যানেজারের সাথে পেরে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আজ । কিউবিকলে ঢুকে অবসন্ন শরীরটা চেয়ারে এলিয়ে দিয়ে পিওনকে কড়া এক কাপ কফির অর্ডার দেয় । সেলফোনে ফেসবুক খুলে বসে হোমপেজে ঘোরাঘুরি করে অলস আঙুলে । অমুকের রেস্টুরেন্টে চেক-ইন, তমুকের চোখ ড্যাবড্যাবে ডাক-ফেস সেলফি দেখতে দেখতে একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালের হেড লাইনে দৃষ্টি সেঁটে যায় ।
বিস্তারিত»“আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার”
“আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার”
এটা একটা দুজন অসম বয়সী নারীর সত্য গল্প। দুজনের ভেতরে প্রবল পার্থক্য। একজনের বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। অন্য জনের বয়স মাত্র ১৫। দুজনেই অসম্পুর্না। একজনের স্বামী মারা গেছে ২০ বছর আগে। ৫০ বছর আগে তিনি এসেছিলেন তার জন্মস্থান উজানের ‘চিলমারী’ থেকে এই ভাঁটির দেশে। অন্য জনের জন্ম ভাঁটির দেশেই । জন্মলগ্ন থেকেই তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।
বিস্তারিত»ফাঁদ পাতা এই দুনিয়ায় – আরেকটি তথ্য ভাগাভাগিকরন প্রচেষ্টা
দেখতে পাচ্ছি, আমার এই ইনফরমেশন শেয়ারিং বা তথ্য ভাগাভাগিকরন প্রচেষ্টাগুলোতেই আজকাল পাঠকদের আগ্রহ বেশি।
তাই ভাবলাম, এ নিয়েই বরং আরও কিছু লিখালিখি করি।
গত লিখাটায় নারীকে ব্যবহার করে এক ধরনের বিরল প্রতারনার তথ্য দিয়েছিলাম। আজ আর বিরল না, নারীকে – বিশেষ করে বিবাহিত এবং/অথবা মধ্যবয়সী নারীকে টার্গেট করে পাতা একধরনের ফাঁদ নিয়ে আলাপ করবো।
ফেসবুকে মোটামুটি একটিভ নারীরা নানান বয়সী অপরিচিত র্যান্ডম পুরুষের কাছ থেকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট হর-হামেসাই পেয়ে থাকেন।
বিস্তারিত»