“ভালবাসি বর্ষাকে”

(ছড়াটি অস্ট্রেলিয়া-প্রবাসী আদনান ভাইকে গিফট করা হলো।
আগেই জানিয়ে রাখি, বর্ষা এবং টিউলিপ দু’টি মেয়ের নাম আর জিহাদ হলো আমাদের অতি পরিচিত একটি ভাইয়া।)

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
মুষলধারে রাত্রি-দুপুর
জলের বুকে টিপটিপ
দেখছে বর্ষা-টিউলিপ।
বর্ষা শুধায়, “সখিরে
লাগছে কীযে আহারে
চলনা একটু ভিজি
হৃদয় সুখে মজি।”
টিউলিপ কয় জবাবে,
“আজ জিহাদের অভাবে
আমায় তবে পড়লো মনে
বৃষ্টিমুখর মিষ্টি ক্ষণে?

বিস্তারিত»

সংস্কৃতি(!)মনা মন’টার বিড়ম্বনা… (১)

প্রিয় বন্ধু আহসান এর পল্লীগীতিতে গোল্ড মেডেল অর্জনের কাহিনীটা পড়া শেষ হতে না হতেই আমার বুকের রিসাইকেল বিনে রাখা এক ঝাক স্মৃতির মধ্যে কয়েকটি এমন ভাবে নড়াচড়া করে উঠলো যে তাদের রিস্টোর করা ছাড়া আমার আর কোন পথ রইলো না।
অগত্যা- শুরু হোক আমার সংস্কৃতি(!)মনা মন’টার আদি হতে পথ চলা’র ইতিকথা।

ক্যাডেট হওয়ার আগের একটি ঘটনা দিয়ে গপ্পোটা শুরু করি। ভূমিকা হিসেবে ঘটনাটি পার পেয়ে যাবে আশা করি।

বিস্তারিত»

দুষ্ট ছবি আর দুষ্ট গানের গল্প।

১.
ক্যাডেট কলেজে আমার দেখা প্রথম সিনেমা ছিল অক্ষয় কুমার আর রাভিনা ট্যান্ডনের ‘মোহরা’। আমরা তখন ক্লাস সেভেনে একেবারে নতুন। সেই সময় নিয়ম ছিল মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ফিল্ম শো হবে। আমরা তো আর এত কিছু জানিনা। একদিন সন্ধ্যায় টি ব্রেক শেষ হওয়ার ঘন্টা পরার সাথে সাথে দেখলাম ক্লাস ১২এর ভাইয়ারা আমাদের আগে ডাইনিং হল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারপর ক্লাস ১১, ১০ একে একে সবাই।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

আমি বৃষ্টি ভালবাসি।

বাক্যটা পড়ার সাথে সাথেই রায়হান আবীর নিশ্চিতভাবেই তার পেটেন্ট করা “মায়াবী হাসি” লকারে পুরে গা জ্বালানো কোন হাসির ধান্দায় চারপাশ হাতড়ানো শুরু করে দেবে। আদনান ভাই হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় না দেখা দুরত্বে থেকেই “দেখার মত” একটা হাসি দিয়ে চেয়ারে আরেকটু নড়েচড়ে বসবে কাহিনী নতুন কোন দিকে মোড় নেয় কীনা ভেবে। কিংবা কে জানে, আলম ভাই “ভালবাসি তোমাকে- পার্ট টু” বের করেও ফেলতে পারে বর্ষা আর বৃষ্টির মাঝে গোপন কোন যোগসূত্র আবিস্কার করে।

বিস্তারিত»

গান…আমার ভালোবাসা…

কোন এক অদ্ভুত কারণে ক্যডেট কলেজের ৬টি বছরই আমাকে মিউজিক ক্লাবে কাটাতে হয়েছে। একটি দিনের জন্যও আমি এই ক্লাব থেকে বের হতে পারিনি। গানের নেশা আমার মধ্যে কলেজে থাকাকালীন সময়ে তীব্রতর হলেও, মিউজিক ক্লাব ব্যাপারটা আমার কেন জানি কখনই ভাল লাগত না। ভালো না লাগার কারনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিলো, কখনও বিকেলে গেমস করতে পারতাম না (যদিও আমি খেলাধূলা পারিনা, কিন্তু তবু ও I used to love games period) এবং গেমস শেষে সবাই হাউসে গেলেও মিউজিক ক্লাব পার্টি ছাড়া পেতে দেরী হত এবং যথারীতি বাথরুমের সিরিয়াল পাওয়া যেতনা।

বিস্তারিত»

শুরুতেই ধরা খাইলাম !

সেই ক্লাস সেভেনে আমরা তখনও সব কিছু বুঝে উঠতে পারি নি। কোন রকমে মন শক্ত করে হাঁটি হাঁটি করা শিখছি। আমাদের বলা হলো- সবাইকে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বেশ; সে তো আনন্দের কথা। ভেতরে রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে হাউস বেয়ারার মুনির ভাই এর সাপ্লাইকৃত ফর্ম লেখা শুরু করলাম। ঠেকে ঠেকে সব লিখে শেষে সাইন করবার জায়গায় এসে চিন্তায় পরে গেলাম। সে বয়সে তো আর নিজের সাইন কোথাও তেমন প্রয়োজন পড়ে নি।

বিস্তারিত»

আমার এসএসসি প্রিপারেশন

২০০১ এর কথা, এসএসসি’র জন্য কলেজে শুধু আমাদের ব্যাচ রয়েছে। একদিন NDM ছিলেন মো: আলী স্যার (রসায়ন), তখন স্যারেরা রাউন্ড দিতেন রাত ১০টার পর। সেদিন ডিনারের পর ঠিক হল হাউস-গার্ডেনে লুকোচুরি খেলা হবে। খুব হইচই করে খেলা চলছে, আমি রাত ১০টার একটু আগে জয়েন করলাম। তানভীর বুদ্ধি দিল যে খালি গা আর কালো প্যান্ট পরে খেলতে, তাই করলাম।
খেলা শুরু করলাম, হাউসের সামনে দাড়িয়ে ভাবছি,

বিস্তারিত»

সুলতান ভাইয়ের কথা

তখন খুব সম্ভবত ক্লাস টুয়েলভ এ পড়ি। আমাদের হাউস-বেয়ারা সুলতান ভাই দুপুরে ডিউটিতে ছিলেন। আফটারনুন প্রেপ্রের সময় তিনি আমাদেরকে ঘুম থেকে উঠানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। আর বলছেন যে ” বাঁশি পড়ছে, বাঁশি”। সেটা শুনে আমাদের তানভীর বলে উঠল- “বাঁশি পড়ছে তো নিচ থেকে উঠায় নিয়ে আসেন। আমাদের ডাকেন কেন?” ।

এর পরদিন একই ঘটনা। কিন্তু এবার সুলতান ভাই সতর্ক। এবার বলছেন- ” বাশি দিছে বাশি”।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট……আমাদের একমাত্র পরিচয়…

অসুস্থ্যতার কারনে গত কয়েকদিন ধরে অফিস করছিনা। ঘুম থেকে উঠে তাই প্রথম যে কাজটিই যেটা করি তা হলো কম্পিউটার অন করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ঢোকা। কাল রাতে লেখা “শান্তিতে থাকুক ওরা…মঞ্জুর কিংবা পলেন…” লেখাটির পাশে অনেকগুলো মন্তব্য জমা পড়েছে দেখতে পেয়ে মন্তব্যগুলো পড়ার লোভ সামলাতে পারিনি। মন্তব্যগুলো থেকেই আমার এই লেখাটির অবতারণা।

তোমাদের সবার অনুভুতিগুলো পড়ে আমার সেই একই কথা মনে পড়ছে…সামিয়া ঠিকই বলেছ,

বিস্তারিত»

শান্তিতে থাকুক ওরা……মঞ্জুর কিংবা পলেন…

ময়মনসিংহের সামিয়ার “পলেন” লেখাটি পড়ে আমার এই লেখাটি লিখতে বসা। লেখালেখিতে আমি কখনোই ভালো ছিলাম না এবং এখনো না। তবে সামিয়ার সুন্দর লেখাটি আমাকে অনুপ্রানিত করেছে এই লেখাটি লিখতে, যদিও জানি ওর মত এত সুন্দর করে আমি পারবোনা লিখতে। ওর বা ওর ব্যাচের মত আমাদের (বকক ৮৮-৯৪) ও একটা দুঃসহ স্মৃতি আছে। আজ থেকে ১৬ বছর আগের সেই ঘটনার প্রতিটি অনুভুতি আমি সামিয়ার লেখাতে খুজে পেয়েছি।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-৬

১.
শরীফ উদ্দিন স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয় একদিন টার্ন আউট প্যারেডে । আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। একেবারেই নতুন। প্যারেডে দাঁড়িয়ে আছি। আমদের পাশে ক্লাস এইটের ভাইয়ারা। হঠাৎ সেখান থেকে তানজিন ভাই আমদের আব্দুল্লাহ কে ডাক দিলেন
-আব্দুল্লাহ কাম হিয়ার
আব্দুল্লাহ দৌড়ে গেল। তানজিন ভাই বললেন
-ওই যে দেখতেছ বড়ো চশমা পরা একজন স্যার আসতেছে উনারে গিয়া জিজ্ঞেস করবা, স্যার ghost মানে কি?

বিস্তারিত»

পিছু ফিরে দেখা……

ছোটবেলা থেকে নিজেকে ভাল ছাত্র হিসেবেই জানতাম। ক্লাশে রোল কখনো ১ থেকে ৩ এর বাইরে যায়নি, অন্তত ক্লাশ সিক্স পর্যন্ত। ক্লাশ ফাইভে বৃত্তি পাওয়া এবং ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া এই দাবী কে আর জোড়ালো এবং পাকাপোক্ত করেছে। এলাকাতে তখন আমি একজন আদর্শ ছেলে হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম ছিল যে, সব বাবা মা রা ই চাইতেন তাদের ছেলেটি ও যেন এরকম আদর্শবান হয়।

বিস্তারিত»

নতুন দিনের মিছিলে…

আমার বন্ধু ভাগ্য খুব ভালো। কিন্তু আসল ভাগ্যটা খারাপ। এ কারণেই ভালো বন্ধুগুলোর সাথে নানা রকম গ্যাঞ্জাম লাগে। মধুর গ্যাঞ্জাম না, এক্কেবারে সিরিয়াস টাইপ…এই জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সবসময় উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। কখন কি থেকে কি হয়ে যায়…

পঁচা ছাত্র ছিলাম। আইডিয়াল স্কুল আমাকে ঢাকা শহর থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দিবে না বলে ঠিক করলো…হুদাই তাদের মান সন্মান ডুবাবো…আমি খুশী। কার এতো সখ পড়ছে ফাইনাল পরীক্ষার পর এইসব আজাইরা জিনিস নিয়ে সময় নষ্ট করার…এই সহজ ব্যাপারটা আমি বুঝলেও আমার মা বুঝলোনা।

বিস্তারিত»

বিড়ম্বনা…

প্রথমত আমি এখানে নবাগত, অনেক নিয়ম কানুন ই জানিনা। কোনটা করলে কি হয় কি না হয় কিছুই জানিনা। তার উপর বাংলা টাইপিং এ আবার ওস্তাদ। এত কিছুর পরেও দমিনি। অনেক কসরত করে দুই টা লেখা পোস্ট করলাম। কিন্তু কোথায় যেন লেখা গুলো হারিয়ে গেলো। তাই আবার লিখতে বসলাম। দেখি এবার কি হয়।

আমি আজই সদস্য হলাম এই ব্লগ এর। Almost সারাটা দিন ই এখানে কাটালাম।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোদের মিস করছি ভীষণ

হারিয়ে গেছে বন্ধু মিজান- মিজানুল মাহবুব। মেধাবী ছিল। আঁকার হাতটা ছিল দারুণ। বুয়েটে যখন স্থাপত্য বিভাগে ভর্তি হলো আমরা কেউ অবাক হইনি। ক্যাডেট কলেজে ঢুকে আমাদের অধিকাংশ বন্ধুর ড্রইংয়ে হাতখড়ি হয়েছিল। সেসময় মিজান, সোহেলসহ কয়েকজনকে আমরা রীতিমতো ঈর্ষা করতাম।

মিজান স্থাপত্য পড়া শেষ করে ছোটখাট কিছু কাজ করছে এমন সময় তার অসুখটা ধরা পড়লো। দুটো কিডনিই তার পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বন্ধু মিজান হারিয়ে গেল ১৯৯৩ সালে।

বিস্তারিত»