কোন এক অদ্ভুত কারণে ক্যডেট কলেজের ৬টি বছরই আমাকে মিউজিক ক্লাবে কাটাতে হয়েছে। একটি দিনের জন্যও আমি এই ক্লাব থেকে বের হতে পারিনি। গানের নেশা আমার মধ্যে কলেজে থাকাকালীন সময়ে তীব্রতর হলেও, মিউজিক ক্লাব ব্যাপারটা আমার কেন জানি কখনই ভাল লাগত না। ভালো না লাগার কারনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিলো, কখনও বিকেলে গেমস করতে পারতাম না (যদিও আমি খেলাধূলা পারিনা, কিন্তু তবু ও I used to love games period) এবং গেমস শেষে সবাই হাউসে গেলেও মিউজিক ক্লাব পার্টি ছাড়া পেতে দেরী হত এবং যথারীতি বাথরুমের সিরিয়াল পাওয়া যেতনা।
বিস্তারিত»শুরুতেই ধরা খাইলাম !
সেই ক্লাস সেভেনে আমরা তখনও সব কিছু বুঝে উঠতে পারি নি। কোন রকমে মন শক্ত করে হাঁটি হাঁটি করা শিখছি। আমাদের বলা হলো- সবাইকে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বেশ; সে তো আনন্দের কথা। ভেতরে রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে হাউস বেয়ারার মুনির ভাই এর সাপ্লাইকৃত ফর্ম লেখা শুরু করলাম। ঠেকে ঠেকে সব লিখে শেষে সাইন করবার জায়গায় এসে চিন্তায় পরে গেলাম। সে বয়সে তো আর নিজের সাইন কোথাও তেমন প্রয়োজন পড়ে নি।
বিস্তারিত»আমার এসএসসি প্রিপারেশন
২০০১ এর কথা, এসএসসি’র জন্য কলেজে শুধু আমাদের ব্যাচ রয়েছে। একদিন NDM ছিলেন মো: আলী স্যার (রসায়ন), তখন স্যারেরা রাউন্ড দিতেন রাত ১০টার পর। সেদিন ডিনারের পর ঠিক হল হাউস-গার্ডেনে লুকোচুরি খেলা হবে। খুব হইচই করে খেলা চলছে, আমি রাত ১০টার একটু আগে জয়েন করলাম। তানভীর বুদ্ধি দিল যে খালি গা আর কালো প্যান্ট পরে খেলতে, তাই করলাম।
খেলা শুরু করলাম, হাউসের সামনে দাড়িয়ে ভাবছি,
সুলতান ভাইয়ের কথা
তখন খুব সম্ভবত ক্লাস টুয়েলভ এ পড়ি। আমাদের হাউস-বেয়ারা সুলতান ভাই দুপুরে ডিউটিতে ছিলেন। আফটারনুন প্রেপ্রের সময় তিনি আমাদেরকে ঘুম থেকে উঠানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। আর বলছেন যে ” বাঁশি পড়ছে, বাঁশি”। সেটা শুনে আমাদের তানভীর বলে উঠল- “বাঁশি পড়ছে তো নিচ থেকে উঠায় নিয়ে আসেন। আমাদের ডাকেন কেন?” ।
এর পরদিন একই ঘটনা। কিন্তু এবার সুলতান ভাই সতর্ক। এবার বলছেন- ” বাশি দিছে বাশি”।
বিস্তারিত»ক্যাডেট……আমাদের একমাত্র পরিচয়…
অসুস্থ্যতার কারনে গত কয়েকদিন ধরে অফিস করছিনা। ঘুম থেকে উঠে তাই প্রথম যে কাজটিই যেটা করি তা হলো কম্পিউটার অন করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ঢোকা। কাল রাতে লেখা “শান্তিতে থাকুক ওরা…মঞ্জুর কিংবা পলেন…” লেখাটির পাশে অনেকগুলো মন্তব্য জমা পড়েছে দেখতে পেয়ে মন্তব্যগুলো পড়ার লোভ সামলাতে পারিনি। মন্তব্যগুলো থেকেই আমার এই লেখাটির অবতারণা।
তোমাদের সবার অনুভুতিগুলো পড়ে আমার সেই একই কথা মনে পড়ছে…সামিয়া ঠিকই বলেছ,
বিস্তারিত»শান্তিতে থাকুক ওরা……মঞ্জুর কিংবা পলেন…
ময়মনসিংহের সামিয়ার “পলেন” লেখাটি পড়ে আমার এই লেখাটি লিখতে বসা। লেখালেখিতে আমি কখনোই ভালো ছিলাম না এবং এখনো না। তবে সামিয়ার সুন্দর লেখাটি আমাকে অনুপ্রানিত করেছে এই লেখাটি লিখতে, যদিও জানি ওর মত এত সুন্দর করে আমি পারবোনা লিখতে। ওর বা ওর ব্যাচের মত আমাদের (বকক ৮৮-৯৪) ও একটা দুঃসহ স্মৃতি আছে। আজ থেকে ১৬ বছর আগের সেই ঘটনার প্রতিটি অনুভুতি আমি সামিয়ার লেখাতে খুজে পেয়েছি।
বিস্তারিত»কোথায় পাবো তাদের-৬
১.
শরীফ উদ্দিন স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয় একদিন টার্ন আউট প্যারেডে । আমরা তখন ক্লাস সেভেনে। একেবারেই নতুন। প্যারেডে দাঁড়িয়ে আছি। আমদের পাশে ক্লাস এইটের ভাইয়ারা। হঠাৎ সেখান থেকে তানজিন ভাই আমদের আব্দুল্লাহ কে ডাক দিলেন
-আব্দুল্লাহ কাম হিয়ার
আব্দুল্লাহ দৌড়ে গেল। তানজিন ভাই বললেন
-ওই যে দেখতেছ বড়ো চশমা পরা একজন স্যার আসতেছে উনারে গিয়া জিজ্ঞেস করবা, স্যার ghost মানে কি?
পিছু ফিরে দেখা……
ছোটবেলা থেকে নিজেকে ভাল ছাত্র হিসেবেই জানতাম। ক্লাশে রোল কখনো ১ থেকে ৩ এর বাইরে যায়নি, অন্তত ক্লাশ সিক্স পর্যন্ত। ক্লাশ ফাইভে বৃত্তি পাওয়া এবং ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া এই দাবী কে আর জোড়ালো এবং পাকাপোক্ত করেছে। এলাকাতে তখন আমি একজন আদর্শ ছেলে হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম ছিল যে, সব বাবা মা রা ই চাইতেন তাদের ছেলেটি ও যেন এরকম আদর্শবান হয়।
বিস্তারিত»নতুন দিনের মিছিলে…
আমার বন্ধু ভাগ্য খুব ভালো। কিন্তু আসল ভাগ্যটা খারাপ। এ কারণেই ভালো বন্ধুগুলোর সাথে নানা রকম গ্যাঞ্জাম লাগে। মধুর গ্যাঞ্জাম না, এক্কেবারে সিরিয়াস টাইপ…এই জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সবসময় উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। কখন কি থেকে কি হয়ে যায়…
পঁচা ছাত্র ছিলাম। আইডিয়াল স্কুল আমাকে ঢাকা শহর থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দিবে না বলে ঠিক করলো…হুদাই তাদের মান সন্মান ডুবাবো…আমি খুশী। কার এতো সখ পড়ছে ফাইনাল পরীক্ষার পর এইসব আজাইরা জিনিস নিয়ে সময় নষ্ট করার…এই সহজ ব্যাপারটা আমি বুঝলেও আমার মা বুঝলোনা।
বিস্তারিত»বিড়ম্বনা…
প্রথমত আমি এখানে নবাগত, অনেক নিয়ম কানুন ই জানিনা। কোনটা করলে কি হয় কি না হয় কিছুই জানিনা। তার উপর বাংলা টাইপিং এ আবার ওস্তাদ। এত কিছুর পরেও দমিনি। অনেক কসরত করে দুই টা লেখা পোস্ট করলাম। কিন্তু কোথায় যেন লেখা গুলো হারিয়ে গেলো। তাই আবার লিখতে বসলাম। দেখি এবার কি হয়।
আমি আজই সদস্য হলাম এই ব্লগ এর। Almost সারাটা দিন ই এখানে কাটালাম।
বিস্তারিত»বন্ধু তোদের মিস করছি ভীষণ
হারিয়ে গেছে বন্ধু মিজান- মিজানুল মাহবুব। মেধাবী ছিল। আঁকার হাতটা ছিল দারুণ। বুয়েটে যখন স্থাপত্য বিভাগে ভর্তি হলো আমরা কেউ অবাক হইনি। ক্যাডেট কলেজে ঢুকে আমাদের অধিকাংশ বন্ধুর ড্রইংয়ে হাতখড়ি হয়েছিল। সেসময় মিজান, সোহেলসহ কয়েকজনকে আমরা রীতিমতো ঈর্ষা করতাম।
মিজান স্থাপত্য পড়া শেষ করে ছোটখাট কিছু কাজ করছে এমন সময় তার অসুখটা ধরা পড়লো। দুটো কিডনিই তার পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বন্ধু মিজান হারিয়ে গেল ১৯৯৩ সালে।
বিস্তারিত»ভালবাসি তোমাকে
(ফ্র্যান্ডশিপ ডে উপলক্ষ্যে জিহাদকে গিফট করা হলো এই কবিতাটা।)
ছিপছিপে তার বদনখানি
মিষ্টি কোমল মুখ
এরই মাঝে খুঁজে ফিরি
এক পলকের সুখ।
নীলাম্বরী শাড়ি পরে
সামনে যখন এলো
আকাশ থেকে নামলো পরী
আমার মনে হলো।
লজ্জাবতী লতার মতো
কুঁকড়ে গেল নিমিষে
ছুটে কোথায় পালাতে চায়
অধর ছুঁতেই গ্রীবাদেশে।
টেলিফোনের ওপার হতে
বললো যেদিন আমাকে,
গরু নাকি ঘোড়া ?
আমার বেসিকে কিছু প্রব্লেম আছে। বছরের এগারো মাস যখন ব্লগ লিখার আইলসামিতে ভুগি তখন শুধু পরীক্ষা সামনে আসলেই লিখতে লিখতে কী বোর্ড ভাইংগা ফেলতে ইচ্ছা করে। সামনে আর মাত্র দুইদিন। কাজেই আমি লিখতে বসলাম। দেখি দুই একটা কী বোর্ড ভাংগতে পারি কীনা।
ক্লাস নাইন ফর্ম বি। টার্ম এন্ড পরীক্ষার কোন একটা বিষয়ের অবজেক্টিভ পার্ট চলছে। গার্ড খুব সম্ভবত সালাম স্যার।
চারদিক শুনশান।
সিসিবি সমাবেশ…
আগস্ট মাসে তপু ভাইয়ের বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে একটা সিসিবি সমাবেশ করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। তারপর এর সাথে যুক্ত হয় সমাবেশে জাফর ইকবাল স্যারকে আমন্ত্রণ করার ব্যাপারটা। আগস্ট মাস প্রায় এসে পড়েছে। এসে পড়েছে তপু ভাইয়ের ঢাকা আগমনেরও সময়। আমরা জানতে পারলাম আমাদের আরও কিছু প্রবাসী সদস্য এই সময় ঢাকা থাকবেন…
সমাবেশ হবে এইটা নিশ্চিত।
বিস্তারিত»অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ৭
[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
প্রথম পর্ব
গত পর্ব
১৬
ফর্মে চরম চিল্লাচিল্লি হচ্ছে। দুই দিকে দুই বিষয় নিয়ে চরম ফাটাফাটি অবস্থা। সামনের দিকে সবাই ফুটবল নিয়ে আছে। বিশ্বকাপ চলছে তাই এটা স্বাভাবিক।