চাপাতির সঙ্গে আমার ছয় বছরের শত্রুতা

চাপাতি খেয়েছেন কখনো?

আঁতকে উঠবেন না। এটা আঘাত করার অস্ত্র নয়। নিতান্তই সহজপাচ্য একটা খাদ্যপণ্য। এটা গমের আটা দিয়ে তৈরি।

আটার রুটি বললে আমাদের চোখে সহজেই ভাসে একটি খাদ্যের চেহারা। রুমালি রুটি, গরম গরম পেলে মনে হয় মাক্ষন্! কিন্তু গমের আটা দিয়ে তৈরি চাপাতি কি জিনিস?

১৯৭৪ সালের ১৪ আগস্ট লাল্টু-পল্টু ধরণের ৫৬টি বালক (শিশু বললে কি খারাপ শোনায়?

বিস্তারিত»

পাহাড় চূড়াটা আমাকে নির্জনতায় মগ্ন হওয়ার সাহস জোগায়

কলেজ ক্যাম্পাসে আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল ডাইনিং হলের পেছনের পাহাড় চূড়া। কতো রাত ওখানে বসে সাগরের গান শুনেছি! বন্ধু মামুন অথবা শাহীনকে নিয়ে ওই চূড়ায় বসে হতো কিশোর বয়সের কতো গল্প! কখনো কখনো গলা ছেড়ে গান, তাও চলতো। ওখানে বসে শাহীন গান তুলতো উঁচু গলায়, বব মার্লি কিম্বা জোয়ান বায়েজের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমার এই ক্যাম্পাসেই।

অমাবশ্যা অথবা পূর্ণিমা যে কোনো রাতেই ছোট্ট এই পাহাড় চূড়াটা ছিল দারুণ।

বিস্তারিত»

সাত দিনের পথ – বিষাদ পর্ব

একাডেমি ব্লকের সামনে বিশাল গোলচত্বর। তার একেবারে মাথায় লেখা “শিক্ষা ভবন”। এটাকে জিরো পয়েন্ট ধরছি। সাত দিনের পথের দূরত্ব মাপার জন্য। ইলেভেনের এক্সকারশন, যাত্রা শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। ফিরেও এসেছি এখানে। মাঝখানে সাতটা দিন, সরণ শূন্য, কাজ শূন্য, কিন্তু অনুভূতি অসীম। সেই অসীম শূন্যতার কথা লিখতে বসেছি। সেই অনুভূতির কথা যার জন্য ক্লাস সেভেন থেকে ইলেভেন পর্যন্ত পাঁচটা বছর অপেক্ষা করেছি, যেটা শেষ হয়ে যাবার পর মনে হয়েছে কলেজ ছেড়ে অচিরেই চলে যেতে হবে।

বিস্তারিত»

ভালোবাসার রঙ টা সবুজ

– বুঝলা, যতদিন জুনিয়র আছো কখনো মাথা উঁচু করে হাঁটবানা। সবসময় মাথা নিচু। লুকডাউন পজিশন।
লকারের উপরের তাকে কাপড় গুছিয়ে দিতে দিতে ফাহিম ভাই কথাগুলো আমাকে বললেন।
– জ্বী আচ্ছা।
– তোমাকে না একটু আগে বললাম সিনিয়রের সাথে যে কোন কিছু বলার আগে কাইন্ডলি বলতে হবে।
ফাহিম ভাইয়ের কন্ঠে হালকা অসন্তোষের ছাপ। আমি মুখ কাঁচুমাচু করে ফেলি।

বিস্তারিত»

টক-মিষ্টি-ঝাল (ছোটবেলা)

বাসার গলির মুখে রিকসা এসে থামলো। আমি নিশি আপুর পাশে যেয়ে বসলাম। শোন, আজকে স্কুল থেকে ফেরার সময় হেঁটে আসবো… ঠিকাছে? আমি বলি এতো দূর হাটঁতে পারবোনা…আরে পারবি। দুইজন গল্প করতে করতে ঠিক চলে আসবো।

মুখে গাইগুই করলেও আনন্দে আমার বুকটা ভরে উঠলো। আমি আপুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। আপু তখন কথা বলছেন আর মিটিমিটি হাসছেন। ওনার হাসিটা এত্তো সুন্দর। হাসলে চিবুকটা ভেতরের দিকে ডেবে যায়।

বিস্তারিত»

মন কি যে চায় বলো…………

১। কিছু মনোজাগতিক ব্যাপার আছে যার কোন ব্যাখ্যা মনোবিজ্ঞানেও নেই।এরকম কিছু ঘটনা প্রতিটি মানুষের জীবনেই কম বেশী ঘটে থাকে। যারা এই ঘটনাগুলোকে সহজভাবে নেন না, আমার ধারণা তাদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ ঘটে নাই। যে সময়টাতে মায়ের আচলের নিরাপদ ছায়ায়, বাবার কড়া শাসন, বড়ো ভাই বোনদের স্নেহ ভালবাসায় বড়ো হওয়ার কথা, সে সময়টা আমরা পার করেছি ক্যাডেট কলেজ়ের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে। এই সময়টাতে সুন্দরী , অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ম্যাডামদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ক্যাডেটদের মনে প্রেম জাগাবে এইটাই খুব স্বাভাবিক।

বিস্তারিত»

ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ -৫০ বছর

এই লেখাটা সবাই পড়তে পারেন। শাকুর মজিদ ভাই এর , সমকাল পেপারে।
এখানে

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের – ৩

১.

বহুদিন পর আমাদের কলেজে একজন ম্যাডাম আসলেন। তাও আবার রীতিমতো অবিবাহিতা।
শোয়েব আখতারের বলে টেনডুলকার ছক্কা মারলে ভারতের সাপোর্টাররা যেরকম খুশি হয় আমরা সবাই ওরকম খুশি হয়ে উঠলাম। মনের ঘরে চান্দের আলো চুইয়া চুইয়া পড়তে শুরু করল। আমরা যারা মকরা পার্টি ছিলাম, সেভ না করার জন্য ডেইলি জোড়ায় জোড়ায় ই.ডি. খাইতাম তারাও সকাল বিকাল সেভ করতে করতে গাল সবুজ করে ফেললাম কখন ম্যাডামের সাথে দেখা হয়ে যায় এই আশায়।

বিস্তারিত»

অনেক পুরোনো একটা প্রেমে পড়ার গল্প

ভালবাসা নিয়ে ছোট বয়সে একটা ছোটগল্প লিখেছিলাম। কালের অতলে হারাবার আগেই, তোমাদের জন্য –

বেশ কয়েকদিন ধরে ভালবাসা নিয়ে ভাবছি, কিন্তু কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিনা । আমাদের কলেজে বৃষ্টি পড়ে। বৃষ্টি রহমান সুন্দরী এবং কিছুটা রহস্যময়ী।
ওর সাথে এতদিন মিশেও ওর মনের কোন কিনারা পাইনা, কোথায় যেন ওকে বুঝতে পারিনা।যদিও সবার সাথে ওর ব্যবহার খুব সাবলীল। সবার!!
সবার মানে আমি, নাফিস আর বাকিরা গুরুত্বহীন।

বিস্তারিত»

ভুল করে মেজর থেকে সৈনিক মো আলী স্টাফ

মো আলী স্টাফ ছিলেন মেঘনা হাউসের হাউস স্টাফ।তার অদ্ভুত শারীরিক গড়ন আর কালো মোচ যে কাউকে সার্কাস এর জকিদের কথা মনে করিয়ে দিবে।কি এক অজানা কারনে তিনি সব সময় হীনমন্যতায় ভুগতেন।একদিন পিটি টাইম এ আমাকে হাটতে দেখে তিনি দৌড়ে আস্লেন………।।
কি বেপার আপনি হাটছেন কেন

,আমি বললাম, পিটি এক্সকিউজ,ডাক্তার এর চিট আছে।

তিনি বলেন,দেখি কি সমস্যা,আপনার কি ডিজিজ দেখি?

আমার মেজাজ গেল গরম হয়ে।

বিস্তারিত»

আইনের লোক এনামুল স্টাফ ও একটি বাংলা সিনেমা

আমরা তখন ক্লাস নাইন এ পড়ি। আমাদের বন্ধু জিনিয়াস জিন্নাত প্রতি সপ্তাহে এক একটি নতুন ঘটনার জ়ন্ম দিত,বড়ো ভাইদের সাথে ছিল ওর অদ্ভুত রকমের সখ্যতা। ওকে জ়িনিয়াস বলার কারণ অন্য আর একদিন লিখব। ক্লাস নাইন মানে বিশাল ব্যাপার,শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের এক অদ্ভুত অধ্যায়ের সূচনা। আর ক্যাডেট হলে তো কথাই নেই। নিজেকে তখন JASON BOURNE এর মত মনে হতে থাকে। হাটা চলা,কথা বলা, রিএক্ট করা সব কিছুতেই এক একজ়ন অন্যজনের চেয়ে আলাদা।

বিস্তারিত»

আমি শিহরিত!!!

ব্লগ এ এটাই আমার প্রথম লেখা এবং বাংলাতেও এই প্রথম আমি কিছু লিখছি…..
টাইপ করতে একটু কষ্ট হলেও হেব্বী মজা পাচ্ছি…..
সত্যিই বিজ্ঞান কত এগিয়ে গেছে….!!!
লিখছি ইংলিশ এ অথচ দেখাচ্ছে বাংলা অক্ষর…..
আজিব…!!!
পুরো বিদেশী ব্যাপার স্যাপার……

যাহোক, আজ আর কথা বেশি বাড়াবো না…..
সবাইকে ধন্যবাদ ।

কবীর
খ-১৭৭৪
৩২ তম ইনটেক(‘৯৫-২০০১)
ঝ.ক.ক

বিস্তারিত»

প্রিয় সমাচার

পূর্ব প্রতিজ্ঞাস্বরুপ আজ ক্যাডেট কলেজে আমার প্রিয় ১টি প্রসঙ্গ নিয়ে হাজির হলাম। আর এই লেখাটি উত্সর্গ করছি নওরীন আপুকে।

বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝরঃ

রুটিনবদ্ধ ক্যাডেট জীবনে সামান্য কিছু ছুটির আকাঙ্ক্ষায় প্রাণটা হয়ে থাকতো ব্যকুল। বাঁশির তালে তালে প্রতিটি মুহূর্ত যেন একটা পিছুটান হয়ে রইতো। আর সেই অসহ্য ক্লান্তিতেও যখন কেউ দরদভরে এগিয়ে আসেনি, ঠিক তখনি প্রকৃতির দয়া হয়ে ঝরে পড়তো এক পশলা বৃষ্টি।

বিস্তারিত»

হে আল্লাহ,আমাদের সুফিকে তুমি দেখে রেখো……

“আমরা গাজীপুর পৌঁছাই ১১টার কিছু আগে। জহিরকে রাখা হয়েছিলো বাসায় ঢোকার আগের খোলা জায়গাটাতে। কেউ একজন এসে কাফনের কাপড়টা সরিয়ে ওর মুখটা দেখালো। চোখের কাছটায় সুরমা দেয়াতে কিছুটা নীলচে হয়ে আছে মনে হলো। এছাড়া অন্যকোনো অস্বাভাবিকতা নেই। প্রথম দেখাতে কোনো অনুভূতিই হলোনা। কিভাবে হবে? আমাদের সুফির লাশ কাফনে মুড়ে খাটিয়াতে শুয়ে আছে আর আমরা ভীড় করে দেখছি, এটা কোনো কথা নাকি?তাই ওই সময়ে ভাবলেশহীন মুখে আমরা দেখে বাড়ির বাইরে এসে দাড়িয়ে থাকলাম।

বিস্তারিত»

আঈক ম্যান ও গ্রামের ছেলের গল্প

সি.এইচ.এম ছিলেন আয়ুব স্টাফ। তাকে সবাই আঈক ম্যান বলে ডাকতো। কারণ যেকোনো কথা বলার আগে তিনি আইক বলতেন। যেমন, আইক তুমি এইদিকে আসো, আঈক সাবধান, আইক ডানে ঘুর।
গেমস টাইম এ একদিন প্যারেড মার্চ করার সময় এডজুট্যান্ট কে রিপোর্ট দেয়ার জন্য যেই উলটা ঘুরলেন, একটা পটকা ফাটার শব্দ শোনা গেল। সামনে দাঁড়ানো সব প্রিফেক্ট আর স্টাফরা হাসছে, আমরা বুঝতে পারিনি প্রথমে।

বিস্তারিত»