ক্যাডেট শব্দটা কানে আসলেই সবার সামনে আসম্ভব মেধাবী আর প্রতিভাধর একটা মানুষের ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠে। বলতে লজ্জা বা দ্বিধা নেই আমি তার ব্যতিক্রম। না ক্যাডেট কলেজে না ক্যাডেট কলেজের বাইরে কোথাও আমি সেরকম কিছুর স্বাক্ষর রাখতে পেরেছি। তবে বন্ধুদের আড্ডায় আমি অনেক প্রিয়। তাই হলফ করে বলতে পারি ক্যাডেটসুলভ আচরণের ষোল আনা আমার মধ্যে আছে। এজন্যই নিজের অযোগ্যতা আর অসামর্থের কথা ভুলে যাই।
বিস্তারিত»আবারও ক্যাডেট কলেজে আমরা
বেলায় বেলায় সময় গড়িয়ে যায়, জীবন থেকে হারিয়ে যায় এক একটা দিন। পৃথিবীর সাথে সাথে আমার বয়সও একদিন বেড়ে যায়। কলেজের দিনগুলা থেকে আমি আরও একদিন দূরে সরে যাই। আসলেই কি দূরে সরে যাই? সময়ের সাথে অনেক স্মৃতিতে মরচে পড়ে, কলেজের দিনগুলাতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। প্রায় ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি কলেজ নিয়ে, হয়তো ক্লাস টেনের ব্লকে পরীক্ষার্থী আমরা মোজা বানিয়ে ক্রিকেট খেলছি,
বিস্তারিত»ক্রিকেটারের শাস্তি ……
( আমার হাউসের বন্ধুরা, এদের অনেকেই ক্রিকেট খেলার দায়ে দোষী)
.
.
.
ক্লাস সেভেনের প্রথম কয়েক মাস ছিল বড়ই ভয়ংকর। চারিদিকে সিনিয়র ভায়েরা। সদা সর্তক থাকতে হয়, কখন কি ভুল হয়ে যায় । দিনে ড্রিল আর রাতে বিরক্তিকর প্রেপ । এর মধ্যে মজার সময় হলো একটাই । সারাদিন ড্রিলের কারনে আমাদের নাইট প্রেপে শর্ট করে আধা ঘন্টা আগেই ছুটি দেয়া হতো ।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন তারেক ভাই…
কয়েকদিন আগে তারেক ভাইয়ের কথা মতো তার পরিচিত এক বন্ধুর বাসায় গেলাম এক্স-ক্যাডেট গেঞ্জিটা হস্তান্তর করতে। তারেক ভাইয়ের সেই বন্ধুর নাম সানি। তো সানি ভাই আমাকে ড্রইং রুমে বসিয়ে জানতে চাইলেন তারেক ভাই আমার কি হন। আমি বলি ভাই হন। উনি মাথা নাড়েন। মৃদু স্বরে জানতে চান কেমন ভাই? চেহারায় তো তারেক ভাইয়ের সাথে তোমার কোন মিল নাই। আমি বলি ক্যাডেট ভাই। তখন উনি একটা সবজান্তা টাইপ হাসি দেন।
বিস্তারিত»যোগদান
সালাম সবাইকে । আজ ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এ যোগ দিলাম । এখন থেকে লিখব।
বিস্তারিত»আচার-০০১
ক্যাডেট জীবনের প্রথম স্টেজ কম্পিটিশানে গিয়া বিরাট পঁচাইলাম, এইরকম পঁচানি যে আকাশ বাতাস গন্ধে ত্রাহি ত্রাহি করতে লাগল। সেইটা ছিল ইংরেজি এল্যুকিউশান। আমি নেহেরুর বক্তৃতা মুখস্থ কইরা না গিয়া, দেইখা দেইখা পুরাটা বইলা আসলাম। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হইল। আমি হইলাম লাড্ডুগুড্ডু। আমাদের হাউস কালচারাল প্রিফেক্ট সেইদিন কোন কারণে যায় নাই অডিটরিয়ামে, তাই ভাবছিলাম বাইঁচা যামু এইবার। কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আমাদের তৎকালীন হাউস মাস্টার রফিক নওশাদ স্যারের জিগরে বড়ই চোট লাগল তার হাউসের এক ক্যাডেটের এই রকম ন্যাক্কারজনক পারফর্মেন্সে।
বিস্তারিত»এইচ এস সি কাহিনী…
কামরুলের এইচ এস সি’র রেজাল্ট নিয়ে লেখার প্রেক্ষিতে আমার একটা লেখা লিখবার কথা ছিল এবং আমি প্রমিজ করেছিলাম যে আজকের মধ্যে লিখব। তাই প্রমিজ রক্ষা করতে চলছি।
লেখা পড়ার ব্যাপারে আমার অনীহার কথা ইতিপূর্বে আমার “ফিরে দেখা” লেখাটিতে বলেছিলাম। ক্লাশ ইলেভেন এবং টুয়েল্ভ এ আমি এতটাই বান্দর ছিলাম যে কি আর বলবো। আমার রুমমেট ছিল হাফিজ এবং আরাফাত। আরাফাত ছিল কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট।
বিস্তারিত»ক্যাডেট বন্ধু আর্মি তে থাকার উপকারীতা…
ব্লগে সবার এতো সুন্দর সুন্দর লেখা দেখে লেখতে ভয় লাগে। এতো ভালো লেখার ভীড়ে কিভাবে লিখি। তারপর বাংলাতে লেখতে গেলে আবার খব্র হয়ে যায়। অভ্র দিয়েও দেখি সব যুক্ত অখখ্র হয়ে যায় এরকম।তারপরও লেখার লোভ সামলাতে পারতেছি না।
ক্যাডেট বন্ধু থাকার ১০০০১ টা উপকারীতা এর আরেকটা কিছুদিন আগে টের পেলাম। গত মাসে আমরা ৫ ক্যাডেট ভ্রমন এ গেলাম। সাথে ১ জন আর্মি থাকাতে পূরা ট্যুর তাই অন্য রকম হলো।
ব্যাকগিয়ার……
তখন সম্ভবত আমরা ক্লাস টেন এ। অলরেডী আমি আর আমিন ওমর ফারুক হাউসের ক্লাস টুয়েলভের টার্গেট। এর আগে আবার একদিন হাসান স্যার আমাদের ডেকে নিয়ে থ্রেট দিসেন যে আমরা নাকি হাউসকে ব্যাকগিয়ার দিচ্ছি (ব্যাকগিয়ার হলো : ইচ্ছে করে কম্পিটিশনে খারাপ করা। ক্লাস টুয়েলভের সাথে আমাদের রেশারেশি ছিল বলে ক্লাস টুয়েলভ ধারনা করতো আমরা ইচ্ছে করে হাউস কম্পিটিশনে খারাপ করতাম)। আমাদেরকে উনি হাউস থেকে বের করে দিয়ে হাসপাতালে রাখবেন ।
বিস্তারিত»পরথম পোষ্ট
অনেক দিন ধইরাই শুন্তাছি এই ব্লগের কথা, মাগার বাংলা টাইপ করবার পারতাম না দেইখা কোনদিন সাহস করবার পারি নাই। আইজকা যহন অফিসে মেলা কাম, ম্যানেজার যে কুনু সুময় রুম এ হান্দায় পরতে পারে, সেই সুময় ভাব্লাম বইয়া বইয়াই ত আসি, কিছু productive কাম করি। জীবনে এই পরথম বাংলা টাইপ করলাম। ভুল ভেরান্তি হইলে ক্ষমা কইরা দিয়েন।
কলেজ ছারছি আইজ এগার বচ্ছর। দিনে দিনে কম হয় নাই দেহি।
বিস্তারিত»আমার পড়া যত বই!!!!!!!!!!!
লিস্টটা কম্পলিটেড না,আরো অনেক বইয়ের নাম লেখা বাকি!!
আর পড়াও বাকি অনেক বই। যতগুলো লিখতে পারলাম দিলাম…………
হুমায়ুন আহমেদ
1. মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই
2. অনিল বাগচির একদিন
3. জোছনা ও জননীর গল্প
4. সেদিন চৈত্র মাস
5. নীল মানুষ
6. দ্বিতীয় মানব
7. হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
8. হিমু মামা
9. হিমু ও কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা
10.
আমার লাস্ট স্পোর্টস ডে
ডিসেম্বর ২০০৪। সেদিন ছিল আমাদের লাস্ট স্পোর্টস ডে। সিপি হবার আগে আমার কোনো ধারনাই ছিলনা যে একটা সাধারন স্পোর্টস ডের এতো কাজকর্ম থাকতে পারে। ছোটোখাটো সবকিছুর খোঁজখবর রাখতে গিয়ে হালুয়া টাইট হয়ে যাছ্ছিল আমার।
আমাদের চিফ গেস্ট ছিলেন ইশতিয়াক আঙ্কেল, আমার আব্বুর কোর্সমেট। ওনার মেয়ে জুহি আপু আবার আমার খুব ভাল ফ্রেন্ড। ওনারা আসার পর জুহি আপুর কাছে যেতেই উনি বললেন,
বিস্তারিত»ক্রস কান্ট্রি এর বিভীষিকা
প্রথমেই আমি আমার দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি, আমার অনেক বানান ভুল হবে কারন এটিই আমার এখানে প্রথম লেখা ।যাই হোক, কলেজে একটি জ়িনিস আমি খুবই ভয় পেতাম আর টা হচ্ছে এই ক্রস কান্ট্রি নামক ব্যপারটি।
প্র্যাকটিস দৌড়, যা আগের দিন হত তাতেই আমার পা এর অবস্থা শেষ ! মনে আছে খুব চেষ্টা করতাম যেন কোন ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায় কিনা। ১ বার মনে হয় মেডিকেল অফিসার কে বোকা বানিয়ে ভর্তি হতেও পেরেছিলাম ।
মোস্ট বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট থ্রী
ক্লাস নাইন এর ঘটনা। তখন কলেজে নতুন ক্লাস ইলেভেন এসেছেন। কে কত বেশি ভয়ঙ্কর সিনিয়র তা প্রমান করার জন্য প্রতিদিনই তারা নিত্যনতুন উপায় বের করছেন। এ ব্যাপারে আবার সদাচার হাউস সবচেয়ে এগিয়ে ছিল!
একদিন রেস্ট টাইমে থার্ড ব্লক, ফার্স্ট ডর্মের সেই প্রিয় বিছানায় ঘুমানোর আয়োজন করছি। সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছে কি পলেন কোথ্থেকে দৌড়ে এসে বলে, “অর্চি ওঠ, ক্লাস ইলেভেন ডাকে তোকে।” আমি তো অবাক!
বিস্তারিত»এক্স-ক্যাডেটদের ইনডিসিপ্লিন এক্টের প্রতিবাদ জানাই!
গতকাল এই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করলাম,তারপর থেকে অপেক্ষা করছি আমার গাইড কখন আসবে!গাইড তো পাইলামই না,ইভেন কোন অন্য সিনিয়ারও রিসিভ করলোনা! এক্স-ক্যাডেটদের এই ইনডিসিপ্লিন এক্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাই!
এবং আমার গাইড কে হবে?????????
বিস্তারিত»