আমার বেসিকে কিছু প্রব্লেম আছে। বছরের এগারো মাস যখন ব্লগ লিখার আইলসামিতে ভুগি তখন শুধু পরীক্ষা সামনে আসলেই লিখতে লিখতে কী বোর্ড ভাইংগা ফেলতে ইচ্ছা করে। সামনে আর মাত্র দুইদিন। কাজেই আমি লিখতে বসলাম। দেখি দুই একটা কী বোর্ড ভাংগতে পারি কীনা।
ক্লাস নাইন ফর্ম বি। টার্ম এন্ড পরীক্ষার কোন একটা বিষয়ের অবজেক্টিভ পার্ট চলছে। গার্ড খুব সম্ভবত সালাম স্যার।
চারদিক শুনশান। সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখছে। কেউ নিজের খাতা। আর কেউ অন্যকারোরটা। আমার পেছনেই জাভেদ এর ডেস্ক। আর বামে কে ছিল ঠিক খেয়াল নাই। কিন্তু কাহিনীতে সে একটা ইম্পোর্ট্যান্ট ক্যারেক্টার। ধরি, তার নাম X.
হঠাত ফিসফিসানিতে বামে চোখ ঘুরাই। X জাভেদকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করছে। আমিও কান খাড়া করি।
-দোস্ত , অমুক নাম্বার এর এনসার কোনটারে?
জাভেদ মুখ না তুলেই কিছু একটা উত্তর দেয়। আমি ওর সামনে থেকেই ঠিক ঠাক শুনতে পাইনি। কাজেই ধরে নেয়া যায় X ও শোনেনি। কিছুক্ষন পরে X আবার তাড়া দেয়।
– দোস্ত, আরেকবার বল না। শুনতে পারিনাই।
আমিও মনে মনে বলি – বল, বল, আমিও শুনিনাই।
জাভেদ এবার আগের বারের চে আরেকটু জোরে উত্তর দেয়। শুনে আমার “গ” মনে হয়। X এর বোধহয় কিছুই মনে হয়নাই। কাজেই ওর সন্দেহ যায়না। সে জাভেদ কে খোচাতেই থাকে।
-দোস্ত, আরেকবার বল। আরেকটু জোরে।
জাভেদ আবার বলে।
– কি বললি? গরুর “গ” , নাকি ঘোড়ার “ঘ” ?
এই পর্যায়ে এসে জাভেদ এর আর সহ্য হয়না। একাডেমি ব্লকের আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে ও চিল্লিয়ে ওঠে-
-গঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅ !!!!!!!!!
সালাম স্যার চিল্লানির আকস্মিকতায় কিছুক্ষন তব্দা মেরে থাকে। সাথে আমরাও। স্যার কিছুক্ষন পর সামলে উঠে বরাবর এর মত কনফিউসড একটা হাসি দিয়ে বলে-
-এই জাভেদ। এত জোরে জোরে লিখেনা। আস্তে আস্তে লিখ!!
পুরা ফর্ম এইবার গরুর “গ” এর মত হো হো করে হেসে ওঠে। সবাই ব্যাপক মজা পাই। কিন্তু মোটেও আশ্চর্য হইনা।
জাভেদ কে দিয়ে সবই সম্ভব।
'গ' এর মত মজার লিখা... 😉
😀
=))
কাহিনীটা পড়ার সময় মুখভর্তি পানি খাচ্ছিলাম। হাসির চোটে পানি সব ছিটকে পড়লো কার্পেটে। :>
আমি তোমার চেয়ে একধাপ এগিয়ে, সকাল দশটায় পরীক্ষা আর আমি এখন বসে বসে এইসব আকাম করতেসি।
আমিও তোমাদের সাথে কম্পিটশনে আছি। গতকাল সাড়ে ১০ টায় আমার পরীক্ষা ছিল আর আমি সোয়া ৯ টার দিকে অন্যরকম কলেজের লেখাটা দিয়ে দেখি দেরী হয়ে যাচ্ছে তারপর দিলাম দৌড়।
গরু ঘোড়ার আরেকটা কাহিনী মনে পড়ল। আমার এক খালাত ভাই এইরকম প্রশ্ন শুনে নেচে নেচে টগবগ টগবগ করে আরেকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে সেটা গরু না ঘোড়া।
=)) =))
>:)
কি, তোমার কীবোর্ড ভাঙ্গা বন্ধ হয়ে গেল ক্যান? আরো লেখা দাওনা!! X-(
একটা ভাংগার পর মনে হইলো লসটা আমারই হইতেসে।
তাই আপাতত ভাংগাভাংগি বাদ 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
যাউকগা, রামের সুমতি হইসে তাইলে।
একই ধরণের ঘটনা...তাই এখানে বলে দেই...
আমাদের ৩৪তম ব্যাচের গড়িলা (আসল নাম চেপে গেলুম)...এসএসসির সময় ভালো ছাত্র বলে ব্যপক নামডাক! কিন্তু কাউকে কিসু দেখাতে চায়না। প্রিটেস্টের সময় অবজেক্টিভ টাইমে সামনে থেকে পিছনে ডাক দিলাম...
"ওই গড়িলা! ১৮ নাম্বারের এন্সার কত?"
- "হু?"
"ওই গড়িলা! ১৮ নাম্বারের এন্সার টা কত বল না!!!"
- "উমম?"
"ওই গড়িলার বাচ্চা গড়িলা! ১৮ নাম্বারের এন্সার টা বলবি নাকি বল!!!!"
ব্যাটা ডেস্কের পাশে দেখাই যায় না এরকম ভাবে দুইটা আঙ্গুল তুললো। যাক...খুশি হয়ে গেলাম...দেখাইসে এটলিস্ট! সুন্দরমতন 'খ' দাগায়ে বাইরে এসে শুনি এন্সার নাকি 'ঘ'!!!!
গড়িলা বাইর হবার পর শুনি সে ঠিকই 'ঘ' দাগাইসে!!!ঝাপায়ে পরলাম...শালা কত খারাপ!! ভুল দাগায়ে দিসে!! এই অপরাধের ক্ষমা নাই!!
বলে..."ও! তুই ২ দাগাইসিস? আমিতো আসলে তোকে ২ মিনিট ওয়েইট করতে বলসিলাম......"
=)) =)) =)) =))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হুম্ম।
আশিক,
জটিল লাগলো ২ মিনিটের ইতিহাস।
আমরা প্রথম ব্যাচ ছিলাম অবজেকটিভ প্রশ্নোত্তর এর।
কত কি যে মনে পড়ে গেল- তোমার এই ২ মিনিটের দিকে তাকিয়ে !
🙂
অনেক শুভেচ্ছা নিও ভাইয়া।
প্রিয় জিহাদ,
'গ' এ গরু।
'ঘ 'এ ঘোড়া।
আর
'চ 'এ চালু !
তোমার কী বোর্ড ভাঙ্গানিয়া লেখাটা সত্যি চালু হউছে ভাইয়া।
যতক্ষন পড়বা মন দিয়ে পড়বা;
আর বাকি সময় নিয়মিত কী বোর্ড ভাঙ্গবা... 😉
আশাকরি পরীক্ষা ভাল হবে।
শুভেচ্ছা নাও।
:khekz: :khekz: :khekz:
আমাদের অবশ্য অবজেক্টিভ ছিল না, কিন্তু জেনারেল নলেজ টেষ্টে কত কান্ড হইত রে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এই সালাম কি আবদুস সালাম স্যার, ইসলাম শিক্ষার?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..