ক্যাডেট নম্বর 1862- অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন…….

এক…..

অনেক ধরেই ভাবছিলাম ক্যাডেট কলেজের ঘটনা নিয়ে লিখব।ব্যস্ততা আর আলসেমি দুয়ে মিলে তা সম্ভব হচ্ছিল না।তারপরও আজ না বসে পারলাম না। এর কারণ একটি বিয়ের দাওয়াত। অনেকেই চমকে উঠতে পারেন,ক্যাডেট কলেজের সাথে বিয়ের দাওয়াতের আবার সম্পর্ক কি এই ভেবে। সম্পর্ক এজন্য দাওয়াতটি সেনাকুঞ্জে। সেনাকুঞ্জ নামটি আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে এই লেখা।কারণ এই সেনাকুঞ্জেই তার বিয়ে হবার কথা ছিল। সে বলতে ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২।

বিস্তারিত»

ও ফাসানি…বলে যাও…

কখনো যদি একগাদা মানুষকে প্রশ্ন করা হয়…… “আচ্ছা, ফাসানো কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কে করতে পারবে?” – আমি সিওর……ওই একগাদা মানুষের ভিতরে ক্যাডেটগুলি সবার আগে ৩২ পাটি দাঁত বের করে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে যাবে। ক্লাস সেভেনের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপিলেরা মায়ের কোল থেকে সরাসরি ক্যাডেট কলেজে এসে লংআপ হয়ে উলটো করে ১০০০ থেকে কেঁপে কেঁপে ১ পর্যন্ত গোনার সময় দুবার ধুম করে মেঝেতে পড়বে……আর তৃতীয়বার সিনিয়রদের কাছে ক্লাসমেটদের নাম বলে দেবে ফল্টের জন্য……

বিস্তারিত»

আমাদের ছিপি!!!

CP- কলেজ প্রিফেক্ট; শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে খুবই গম্ভীর, রাফ এন্ড টাফ টাইপের সিরিয়াস কোন চেহারা…যাকে জুনিয়ররা খুব কমই হাসতে দেখে, যার সাথে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলতে পারা জুনিয়রদের গর্ব করে বলার বিষয়…এমনকি স্যার-ম্যাডামরা পর্যন্ত তাকে সমঝে চলে…
সরি, রঙ নাম্বার!!!
আমাদের ইনটেকের CP, হাসান, সম্পুর্ণ অন্য রকম। হাসি-খুশি, ফান লাভিং…কলেজে ওকে কখনও সিরিয়াস হতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না…
একবার পৌরনীতির রেজাউল করিম (পেরেক) স্যার ছিলেন ডিউটি মাস্টার।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-১

ক্যাডেটদের ফাজলামি নিয়ে লেখা এই গল্প গুলির কিছু আমার নিজের দেখা, কিছু রি-ইউনিয়নে বড় ভাইয়াদের কাছে শুনা।

১.

আমাদের অনেক সিনিয়র কাশেম ভাই হঠাৎ করে একদিন পাগল হয়ে গেলেন।
গেমস টাইমে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে সবাই খেলছিল। হঠাৎ কাশেম ভাই বলা নেই কওয়া নেই গ্রাউন্ডের চারদিকে চক্কর দেয়া শুরু করলেন। প্রথমে কেউ দেখল না বা দেখলেও পাত্তা দিল না। কিন্তু গেমস টাইম শেষ হওয়ার পরও কাশেম ভাই চক্কর দিতেছে দেখে স্টাফ ডাক দিয়ে বললেন
-কাশেম ব্রেক আপ হয়ে গেছে,

বিস্তারিত»

মহান ১৪ই আগস্ট (পাঙ্গা দিবস)

আগামীকাল ১৪ই আগস্ট। রংপুর ক্যাডেট কলেজের ১৯তম (১৯৯৩-১৯৯৯) ইনটেকের জন্য এই দিনটি ছিল পাঙ্গা দিবস। ঘটনার সুত্রপাত হয় ১৯৯৩ সালের ১৪ই আগস্ট। দিনটি ছিল শনিবার। কলেজ এসেম্বলী ছিল সেই দিল। আমাদের ইনটেক হয়েছিল ২০ মে ১৯৯৩। তখন আমরা ক্লাস ৭ এ পড়ি। কলেজ এসেম্বলী শেষ হবার পর কলেজ প্রিফেক্ট এক এক ক্লাসকে ক্যারি অন করাচ্ছিল। সেই সময় এসেম্বলী রুমে অনেক চিল্লাচিল্লি হয়। সম্ভবত সিনিয়র কোন ব্যাচ এই চিল্লাচিল্লি করে।

বিস্তারিত»

চাচা কাহিনি

ariba
কলেজে থাকার সময় আমি আর রানা পাশাপাশি ডেস্কে বসতাম।
ব্যাক বেনচারের সুনাম রেখে চলেছি আজীবন, আমাদের ডেস্কও পেছনেই ছিলো। মানে, প্রেপগার্ডের ডেস্ক যেখানে থাকে, তার ঠিক সামনে।
আমি, রানা, শাহেদ, আরিফ, নাইম, তানভীর আর আহমেদ, আমরা এই কয়জন মিলে ঐখানে আলাদা রাজত্ব বানিয়ে ফেলেছিলাম। শাহেদের সুপ্ত নাম ছিলো শাহেদ আলী, সেইখান থেকে ধার নিয়ে আমাদের জোনের নাম ঘোষণা দিয়েছিলাম আলী জোন।

বিস্তারিত»

প্রেয়ার বেল……


আমাদের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের মসজিদটা হয়তো অন্যান্য ক্যাডেট কলেজের মতই। মাগরিবের নামাজের আগে দিয়ে গমগম করতো, অন্যান্য সময় সুনশান নিরবতা। একদম সামনের দিকে নিরীহ কিছু ক্লাস সেভেন……কখন ক্লাস এইট কি নিয়ে ধরে বসে সেই নিয়ে ঘেমে টেমে একাকার। তার একটু পিছনের সারিতে নব্য সিনিয়র হওয়া ক্লাস এইট। আরো পেছনে নতুন গোলটুপি পড়ার পারমিশন পাওয়া ভাবের জগতে থাকা ক্লাস নাইন। আমাদের সময় এই গোলটুপির ইস্যুটা খুব সাংঘাতিক ছিল।

বিস্তারিত»

সংস্কৃতি(!)মনা মনটার বিড়ম্বনা-৩

সেইবার ফজলুল হক হাউস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বেশ ঘটা করে হাউস পার্টি হবে।
চার দিকে সাজ সাজ রব। আমরা সবাই ঈদ ঈদ ভাব নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছি।
হাউসের পিছনে মাঠের মধ্যে প্যান্ডেল লাগিয়ে বিশাল আয়োজন।

গানের স্কেল সংক্রান্ত কিছু জটিলতা আছে আমার। উঁচু ক্লাসে পড়ার সুবাদে ততদিনে বাথরুম সিঙ্গার হিসেবে মনোবল দৃঢ় হয়ে উঠেছিল দিনে দিনে। কিন্তু গান নিয়ে যে ‘স্টেজ ফোবিয়া’ দানা বেধেছিল আমার মগজে তা জয় করাটা একটু কঠিন ঠেকছিল।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট বেলা-৫ (ক্লাস নাইন পর্ব)

প্রথম পর্ব থেকে…

ক্লাস নাইনে উঠেই গেলাম তবে
ক্যামনে দেখি ঠেকায় ক্যাঠায়
এইবার সব হবে। :party:

সিনিয়রের চোখ রাঙানি
সকাল বেলার ঘুম ভাঙানি
চিল্লানিটা ঠিকই যাবে কমে
লাইফ এবার উঠলো বুঝি জমে। :dreamy:

ডাইনিং এতে খেয়াল খুশি
হাত ঝুলিয়ে এখন বসি
আগের মত শান হওয়া নেই
ভয় পেয়ে খান খান হওয়া নেই
ইচ্ছেমতন ঝোলটা নেয়া যাবে
নেই ক্ষতি আর হিসাব এবার লাভে।

বিস্তারিত»

সংস্কৃতি(!)মনা মনটার বিড়ম্বনা-২

মনে পড়ছে ক্লাস এইটের কাল্‌চারাল ইভ্‌নিং এর কথা। সেবার আমি নাম লেখালাম উপস্থাপক হিসেবে। এই ভাল । বেশ একটা একটা অর্গানাইজার গোছের ভাব এসে গেছে।

দলীয় সঙ্গীত ঠিক হলো – প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ… এই গানটি। ভাল গান। বাংলার শ্রদ্ধেয় রিয়াজ উদ্দীন স্যার দায়িত্বে ছিলেন। স্যার চাচ্ছিলেন এই গানটার শেষ পর্যায়ে একটু উঁচু স্কেলে হামিং দেয়া হবে -বাংলাদেশ…বাংলাদেশ …বাংলাদেশ……। আর বাকিরা গানের শেষাংশ গাইতে থাকবে।

বিস্তারিত»

বাবু……কথা বলিস???

হান্নান স্যার। অনেক কলেজের অনেকেই তাকে চেনে। পুরাই পাগ্লা……পাগ্লা মানে একদম ক্র্যাক যাকে বলে। আমরা উনাকে প্রথম পাই যতদূর মনে পড়ে…… ক্লাস নাইনে। সারাক্ষণ বাবু বাবু করতেন। – “বাবু, এটা কি সর্বনাশ করেছিস? এখন তো তোকে পেটাতে হবে” অথবা, “বার বার করে বলেছি বাবু তোদের নোংরা আন্ডারওয়্যার গুলো ইন্সপেকশনের সময় বিছানার চিপায় লুকিয়ে রাখবি না……” ইত্যাদি ইত্যাদি।

ইংরেজির স্যার উনি। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে আমাদের কলেজে এসেছিলেন।

বিস্তারিত»

“ভালবাসি বর্ষাকে”

(ছড়াটি অস্ট্রেলিয়া-প্রবাসী আদনান ভাইকে গিফট করা হলো।
আগেই জানিয়ে রাখি, বর্ষা এবং টিউলিপ দু’টি মেয়ের নাম আর জিহাদ হলো আমাদের অতি পরিচিত একটি ভাইয়া।)

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
মুষলধারে রাত্রি-দুপুর
জলের বুকে টিপটিপ
দেখছে বর্ষা-টিউলিপ।
বর্ষা শুধায়, “সখিরে
লাগছে কীযে আহারে
চলনা একটু ভিজি
হৃদয় সুখে মজি।”
টিউলিপ কয় জবাবে,
“আজ জিহাদের অভাবে
আমায় তবে পড়লো মনে
বৃষ্টিমুখর মিষ্টি ক্ষণে?

বিস্তারিত»

সংস্কৃতি(!)মনা মন’টার বিড়ম্বনা… (১)

প্রিয় বন্ধু আহসান এর পল্লীগীতিতে গোল্ড মেডেল অর্জনের কাহিনীটা পড়া শেষ হতে না হতেই আমার বুকের রিসাইকেল বিনে রাখা এক ঝাক স্মৃতির মধ্যে কয়েকটি এমন ভাবে নড়াচড়া করে উঠলো যে তাদের রিস্টোর করা ছাড়া আমার আর কোন পথ রইলো না।
অগত্যা- শুরু হোক আমার সংস্কৃতি(!)মনা মন’টার আদি হতে পথ চলা’র ইতিকথা।

ক্যাডেট হওয়ার আগের একটি ঘটনা দিয়ে গপ্পোটা শুরু করি। ভূমিকা হিসেবে ঘটনাটি পার পেয়ে যাবে আশা করি।

বিস্তারিত»

দুষ্ট ছবি আর দুষ্ট গানের গল্প।

১.
ক্যাডেট কলেজে আমার দেখা প্রথম সিনেমা ছিল অক্ষয় কুমার আর রাভিনা ট্যান্ডনের ‘মোহরা’। আমরা তখন ক্লাস সেভেনে একেবারে নতুন। সেই সময় নিয়ম ছিল মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ফিল্ম শো হবে। আমরা তো আর এত কিছু জানিনা। একদিন সন্ধ্যায় টি ব্রেক শেষ হওয়ার ঘন্টা পরার সাথে সাথে দেখলাম ক্লাস ১২এর ভাইয়ারা আমাদের আগে ডাইনিং হল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারপর ক্লাস ১১, ১০ একে একে সবাই।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

আমি বৃষ্টি ভালবাসি।

বাক্যটা পড়ার সাথে সাথেই রায়হান আবীর নিশ্চিতভাবেই তার পেটেন্ট করা “মায়াবী হাসি” লকারে পুরে গা জ্বালানো কোন হাসির ধান্দায় চারপাশ হাতড়ানো শুরু করে দেবে। আদনান ভাই হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় না দেখা দুরত্বে থেকেই “দেখার মত” একটা হাসি দিয়ে চেয়ারে আরেকটু নড়েচড়ে বসবে কাহিনী নতুন কোন দিকে মোড় নেয় কীনা ভেবে। কিংবা কে জানে, আলম ভাই “ভালবাসি তোমাকে- পার্ট টু” বের করেও ফেলতে পারে বর্ষা আর বৃষ্টির মাঝে গোপন কোন যোগসূত্র আবিস্কার করে।

বিস্তারিত»