অনাগতদের প্রতিঃ

(এ লেখাটি গত মাসে হয়ে যাওয়া আমাদের প্রিয় সিসিবির গেট টুগেদারে অংশ নিতে না পারা সবার জন্যে লিখেছিলাম,বাসা থেকে বের হবার মাত্র মিনিত ত্রিশেক আগে।সার্ভার কাজ না করায় হারিয়ে গিয়েছে তাই আমার আপলোড করে দিচ্ছি।আশা করি গেট টুগেদারে উপস্থিত কেউ  আমাদের দুর্দান্ত আড্ডার কথা তাড়াতাড়ি লিখে ফেলবে)

আর মাত্র ৫৫ মিনিট পর আমাদের সমাবেশ শুরু হতে যাচ্ছে।গতকাল রাত থেকে সময় যেন পেরুতেই চাইছিলনা…খালি ভাবছিলাম কখন কালকের সময়ের ঘড়িতে বিকাল ৫ টা বাজবে…স্টার কাবাব মুখরিত হয়ে উঠবে আমাদের ছোট্ট কিন্তু একান্ত আপন সিসিবি ব্লগের সদস্যদের হাসিমুখর কলতানে।বিশেষ করে শেষ কয়েক ঘণ্টা যেন শেষই হতে চাইছিলনা।একবার ভাবলাম যাই ধানমন্ডী লেকের পাড় দিয়ে চিরাচরিত ক্যাডেট স্টাইলে ১ মাইল দৌড় আর ১০০ বুক ডন দিয়ে সময়টা পার করি…তারপর ঘামে ভেজা দেহ নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে হাজির হই স্টার কাবাবে…ঠিক সদ্য গেমস পিরিয়ড শেষ করা ৫ বছর আগের সেই আমির মত করে…

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ৩

(শুরুতে নাম ছিল ‘প্রথম দিন…প্রথম মাস…প্রথম টার্ম’। পরে দেখলাম যেভাবে লিখতেছি তাতে টাইটেলটা ঠিক যাচ্ছে না। তাই নাম পালটে দিলাম।

এই লেখাটা আগেই লেখা। পোস্ট করতে গিয়ে দেখি সিসিবি ডাউন…যেদিন আপ হলো অফিসে দেখলাম কিন্তু লেখা সাথে ছিলো না, বাসায় এসে পোস্ট করতে গিয়ে দেখি সিসিবি আবার ডাউন! লাভের লাভ হলো এখন আপ হবার পর এডজুট্যান্ট বাদে প্রথম লেখাটা আমিই দিলাম……হেহ হেহ…)

আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর –

বিস্তারিত»

সি সি বি ইজ ব্যাক !!

গত ৩০ অগাস্ট শনিবার সকালে হঠাৎ করে সিসিবি যে সার্ভারে হোস্ট করা হচ্ছিল সে সার্ভার হার্ডডিস্ক অনাকাংক্ষিত ভাবে ক্র্যাশ করে। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ সাইটটি ডাউন ছিল। আমাদের সাইটটি হোস্ট করা হচ্ছিল শফি ভাইয়ের (‘৮৬ ব্যাচ, বি সি সি) অফিস সার্ভারে। কিন্তু অসম্ভব কাজের ব্যাস্ততার দরুণ আমাদের জন্য সময় দেয়া তার পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছিলনা। এজন্য সিসিবি কে আবার ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও কিছুটা বিলম্ব হচ্ছিল।ফলে সাময়িকভাবে আমরা বিকল্প কোথাও সাইট আপ করার সিদ্ধান্ত নেই।

বিস্তারিত»

আমাদের খেলা দেখা ও রোমাঞ্চকর এক রাত

***এই লেখাটাও আমার সামহোয়ারইনে লেখা একটি পোস্ট। এক রোমাঞ্চকর রাতের অনুভুতি শেয়ার করলাম। দুটি চরিত্র বাদে সব চরিত্রই বিভিন্ন জনের স্বভাবের মিক্সচার। তবে কাহিনীটা পুরোপুরি সত্য।

২০০১ সাল,সোহরাওয়ার্দী হাউস,মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ

রাত দশটা ,পোর্চ

সারাদেশে ক্রিকেটের জোয়ার চলছে। কয়েকদিন আগে মাত্র বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। ক্রিকেটিয় উম্মাদনার আচড় থেকে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও বাদ যায়নি। আর এইসব উম্মাদদের মধ্যে বদ্ধ উম্মাদ
তারা দুইজন পিয়াল আর পুলক।

বিস্তারিত»

প্রসংগঃ ক্যাডেট কলেজের ভিতর-বাহির (পর্ব-২)

………..নিজস্ব অপারগতাগুলো তুলে ধরতে খুব আপন কেউ চাই। এমন কেউ যার সাথে কোন কম্পিটিশন নাই। যার সাথে কোন লেনাদেনা নাই। যার সাথে কোন রাখ-ঢাক বা ইজ্জতের ব্যাপার নাই। প্রশ্ন উঠতে পারে…ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরা তাহলে কি? উত্তরে বলব। জ্বী। অবশ্যই ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরাই হতে পারে এরকম কেউ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমি নিজেও কতবার অংকে খারাপ করার পর আমার বন্ধুর কাছে গিয়ে অংক বুঝিয়ে নিয়েছি। বরং বলা যায় ক্যাডেট কলেজই পড়াশুনার জন্য আদর্শ স্থান যেখানে সার্বক্ষনিক সাহায্যের হাত বাড়ানো আছে।

বিস্তারিত»

আমার ভিতর-বাহিরে অন্তরে অন্তরে…

কালবেলা ভাইয়ার পোস্টটা পড়ে একটু মন খারাপের মতো হলো। কমেন্ট দিতে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আলাদা পোস্ট লিখতে হলো।

ভাইয়ার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে একমত হতে পারছিনা।

“ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেট রা হল রাস্তার পাশে সারি সারি পাতাবাহারের মত…………………… পাতাবাহার গাছ গুলোকে কি করা হয় কিছুদিন পর পরই? কাঁচি দিয়ে ছেটে দেয়া ………………………এখানে নিজের মত করে বড় হবার সুযোগ নেই।

বিস্তারিত»

ভালোবাসার রঙ? – উত্তর না পাওয়া একটি প্রশ্ন !

প্রিয় জিহাদের ‘ভালবাসার রং সবুজ’ লেখাটা পড়তে গিয়ে হুরমুর করে কিছু স্মৃতি এসে আমার মনের দরজায় ঠকঠক শুরু করলো।
:ahem:

বাংলার একরামুল হক স্যার এর ক্লাস ভাল লাগতো আমার।
স্যারের পড়ানোর স্টাইল আর কথাগুলো খুব আপন আপন লাগতো।
আর স্যারের রবীন্দ্রপ্রীতি আর কথায় কথায় ‘বাপু…’ সুরটা এখনো যেন কানে বাজে। :dreamy:

শেষে স্যার যেন কোথায় বদলী হয়ে যান।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের ভিতর-বাহিরঃ প্রসংগ-১

ক্যাডেট কলেজের অনেক অনেক ভালো দিক যেমন আছে তেমনি আছে কিছু খারাপ দিকও। অনেক অনেক আলোকিত দিকের আড়ালে রয়ে গেছে কিছু ড্র-ব্যাক। এমনই একটি বিষয় নিয়ে আজ কথা বলতে চাইছি।

একদিন বাংলা ক্লাসে স্যার (নাম ভুলে গেছি) কি যেন বোঝাতে যেয়ে পড়ার বাইরে একটু অন্য প্রসংগে চলে গেলেন। প্রসংগটা আস্তে আস্তে ” ক্যাডেট” বিষয়ক আলোচনায় মোড় নিল। এরই এক পর্যায় তিনি বলছিলেনঃ
“ক্যাডেটরা কেমন জান?

বিস্তারিত»

একজন সফল প্রিন্সিপালের কথা

আমরা যখন ক্লাস টুয়েলভে পড়ি তখন আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন লেঃ কর্নেল মোকাররম আলী স্যার। আমার জীবনের দেখা কয়েকজন ভাল মানুষের মধ্যে তিনি একজন। স্যার আমাদের অনেক আদর করতেন। ক্যাডেট কলেজে সাধারনত প্রিন্সিপালের সাথে ক্যাডেটদের ইন্টারেকসন কম হয়। কিন্তু মোকাররম স্যার ছিলেন একেবারেই আলাদা। সবসময় ক্যাডেটদের সাথে অনেক মেলামেশা করতেন। তিনি আমাদের সাথে গেমস টাইমে ভলিবল খেলতেন, ক্লাসটাইমে প্রায়ই আসতেন আমাদের সাথে গল্প করার জন্য।

বিস্তারিত»

আমার লেখালেখির গল্প……..

**ব্যস্ততার কারণে আলমকে নেয়া সিরিজটা আগাতে পারছি না। এই ফাকে সামহোয়ারের আমার এই লেখাটা দিলাম। এটা পুরোটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে না হলেও বেশিরভাগ অংশই ক্যাডেট কলেজের গল্প।দেয়াল পত্রিকার জন্য রাত জাগা সকল ক্যাডেটকে লেখাটা উৎসর্গকৃত।

লেখালেখি করিবার সাধ ছোটবেলা হইতে আমার ছিল এমন দাবি করাটা বোধ করি অযৌক্তিক।আমার লেখালেখি করিবার অনুপ্রেরণা বলিতে আমার এক ফুফা।তাহার কথা ভাবিলে অবশ্যি ভারী চশমা মোটা গোফের কোন গম্ভীর চেহারা কল্পনার নয়নে আসিয়া উপস্থিত হয় না।

বিস্তারিত»

চুম্বনঃ ব্রোকব্যাক মাউন্টেনের আইডিয়া যেভাবে নাজিল হইছিল

ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস কইরা আমি মমুসিং-এর পোলা চইলা আসলাম ঢাকা, “নেকাপড়া” করতে। ঢাকায় আসার পর রাস্তায়, অলিতে-গলিতে বহুসংখ্যক এবং বহুধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখছি (দেশ আগায়া যাইতাছে, আমাদের বাবাদের আমলে ঢাকা ভার্সিটিতে মেয়েদের সাথে কথা বলতে নাকি ডিপার্টমেন্টের পারমিশান লাগতো, সত্য মিথ্যা জানি না, শোনা কথা।) এইসব চুম্বনকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়- ছোবল চুম্বন আর খাইছি তোরে চুম্বন। ছোবল চুম্বন করে ভীতু জুটিরা,

বিস্তারিত»

আমার প্রথম ই,ডি,

আমাদের কলেজে ইডি খাওয়ার ঘটনা খুব কম ছিল। খুব গুরুতর অপরাধ করলে ইডি ইসু করা হত। আমাদের ১৯৯৩ ইনটেকের সিলেট ক্যাডেট কলেজের অনেকে নাকি ২৫-৩০ টা ইডি খাইছে। কিন্তু রংপুরে আমাদের ব্যাচের কেউ মনে হয় ৫ টার বেশি ইডি খায়নি ৬ বছরে। অধিকাংশ ক্যাডেট ৬ বছর ইডি না খেয়েই ক্যাডেট কলেজ পার পেয়েছে। যেই সামান্য কয়েকজনের ইডি খাওয়ার সৌভাগ্য হয়, আমি ছিলাম তাদের মধ্যে একজন।

বিস্তারিত»

উপলব্ধি

বেশ কিছুদিন যাবত পেশাগত ব্যস্ততার কারণে ব্লগে আসতে পারিনি। নিজে লেখা তো দূরে থাক, অন্যদের লেখা পড়তেও ব্লগে আমার আসা হয়ে ওঠেনি। প্রচন্ড খারাপ লাগছিল এই দিন গুলোতে। কেমন যেন একটা অপূর্ণতা সব সময় ঘিড়ে রাখত আমাকে। সবকিছু ছাপিয়ে, আমার অনুপস্থিতির কারণ ও আমার বাবার স্বাস্হ্যের খবর জানতে চেয়ে ব্লগের অতি পরিচিত মুখ সিরাজের মেইলটি ব্লগে আসার জন্য আমাকে আরো ব্যকুল করে তুলেছিল । কিন্তু তারপরেও কিছু করার ছিলনা।

বিস্তারিত»

জীবিতদের গালগল্প

তখন আমরা বসে আছি ঢাকা মেডিকেলের লাশকাটা ঘরের সামনে। ভেতরে লাশ হয়ে পড়ে আছে আমার বন্ধু, আমাদের বন্ধু -আলম। ওর বুক আর করোটি ফুড়ে দিয়ে গেছে যে বুলেট দুটো, ডাক্তাররা তার খোঁজ করছেন ওর শরীরের ভেতর হাতড়ে হাতড়ে। আমি ভেতরে যাই না, বুকে জমে থাকা ভালো লাগা অজস্র স্নৃতির ভীড়েই থাকুক ও, লাশকাটা ঘরে শুয়ে থাকা চিরে ফেলা শরীরটাকে ওই স্নৃতিগুলোর সাথে নাই বা যোগ করলাম।

বিস্তারিত»

স্বাগতম পর্যন্ত পইড়া ফেলছি… :-)

পড়া শুরু করছিলাম রাত তিনটায়, এখন বাজে ৬ টা ৪০ (সকাল), একটানে ব্লগের সবগুলান লেখা পইড়া ফেললাম। প্রবাস জীবনের যেদিন শুরু হইছে এর পর থাইকা মনে হয় এত অল্প সময়ে এতবেশি হাসি নাই।

ধন্যবাদ ব্লগের উদ্যোক্তাদের এবং লেখকদের আমাকে এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য। ভবিয্যতে লিখব, এখন ঘুমাতে যাই, খালি হাই উঠছে।

-নন্দঘোষ

বিস্তারিত»