ময়মনসিংহের সামিয়ার “পলেন” লেখাটি পড়ে আমার এই লেখাটি লিখতে বসা। লেখালেখিতে আমি কখনোই ভালো ছিলাম না এবং এখনো না। তবে সামিয়ার সুন্দর লেখাটি আমাকে অনুপ্রানিত করেছে এই লেখাটি লিখতে, যদিও জানি ওর মত এত সুন্দর করে আমি পারবোনা লিখতে। ওর বা ওর ব্যাচের মত আমাদের (বকক ৮৮-৯৪) ও একটা দুঃসহ স্মৃতি আছে। আজ থেকে ১৬ বছর আগের সেই ঘটনার প্রতিটি অনুভুতি আমি সামিয়ার লেখাতে খুজে পেয়েছি। জানিনা কি করে মেয়েটি আমাদের ১৬ বছর আগের সেই অনুভুতির কথাগুলো জানলো। আর এ কারনেই আরো বেশী আলোড়িত হয়েছি লেখাটি পড়ে।
পটুয়াখালী খুবই ছোট একটা শহর। আমাদের স্কুল থেকে ৮৬ সালে একজন, ৮৭ সালে দুইজন, ৮৮ সালে তিনজন, ৮৯ সালে ২জন ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছি। ৮৮ সালের তিনজনের মধ্যে আমি এবং মঞ্জুর ছিলাম স্থানীয়। কলেজ থেকে ছুটিতে আসা, ছুটি থেকে কলেজে যাওয়া, এই সব কিছুই আমার আর মঞ্জুরের একসাথে করা হতো। বাস এ উঠলেই মঞ্জুর এর প্রধান কাজ ছিল আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাওয়া। এমন মায়া করে ঘুমাতো যে বাস পৌছে যাবার পরেও ওকে ঘুম থেকে তুলতে মায়া লাগতো। এসকল কারনে আমার আর মঞ্জুরের সম্পর্কটা ছিল খুবই কাছের। আর স্বাভাবিকভাবেই ওর পরিবার আর আমার পরিবারের মাঝে কোন ব্যবধানই ছিলনা। দুই পরিবার একসাথে প্যারেন্টস ডে’তে আসতো একসাথে যেতো। সব কিছুই তাদের একসাথে হওয়া চাই।
মঞ্জুর ছিলো খুব কালো কিন্তু ভীষন মিষ্টি চেহারার। ফিগার ছিলো মারাত্মক স্টাউট। গেমসে যখন বাস্কেটবল খেলত, ওর সাথে কারো ধাক্কা লাগলে সে ছিটকে পরে যেত। ঘামে ভেজা চিকচিকে শরীরটা অন্যরকম একটা সৌন্দর্যের আভা ছড়াতো। ভীষন ভাল ছাত্র ছিলো। হাতের লেখা সুন্দর হবার কারনে ওর হাউসের দেয়াল পত্রিকা ও লিখতো। আমাদের ব্যাচে যে কয়েকজনকে বোর্ডে স্ট্যান্ড করবে বলে ধরা হয়েছিল, মঞ্জুর ছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম।
১৮ এপ্রিল,১৯৯২ সাল। আমরা সবাই নিজ নিজ হাউসে পড়াশুনা করছি। ৩দিন পর অর্থাৎ ২২ এপ্রিল থেকে আমাদের এস এস সি পরীক্ষা। আর সেকারনেই আমরা তখন সব সময়ই হাউসে থাকতাম। লেখা পড়ার এক ঘেয়েমী কাটানোর জন্য ওরা কয়েকজন মিলে করিডোরে মোজা দিয়ে বল বানিয়ে ক্রিকেট খেললো। অন্যান্য সব ব্যাচ তখন আফটারনুন প্রেপ এ ছিল এবং তারপরে গেমস এ যাবে। ওদের খেলা শেষ হবার পরে মঞ্জুর গোসল করার জন্য বাথরুমে গেলো। পাশাপাশি মোট ৬টি শাওয়ার রুম ছিল যেগুলোর দেয়াল ছাঁদ পর্যন্ত ছিলনা (সামিয়ার বর্ণণার অনুরুপ)। মাঝখানের একটিতে অলরেডি আমাদের আরেক ক্লাসমেট গোসল করছিল। হঠাৎ কি খেয়াল হলো, মঞ্জুর দুষ্টুমি করে বাথরুমের ওয়াল এর ওপর উঠল এবং হামাগুড়ি দিয়ে আমাদের যেই বন্ধুটা গোসল করছিল, ওর শাওয়ার রুমে উকি মারলো। দেয়ালের উপর থেকেই কথা বলা শেষ করে নিজ শাওয়ারের কাছে ফেরত যাবার সময় কিভাবে যেন দেয়াল থেকে ও পড়ে গেল। ফ্লোরে অত্যন্ত ভারী কিছু পতনের একটা শব্দ পাওয়া গেল।
আমি তখন আমার রুমে পড়ছিলাম। মঞ্জুর ছিলো ৩ তলার হাউসে (সোহরাওয়ার্দী হাউস) আর আমি ছিলাম শেরে বাংলা হাউসে (২য় তলা)। ৩ তলা থেকে দৌড়ে কে যেন এসে বললো, “তাড়াতাড়ি আয় তোরা, মঞ্জুর বাথরুম এ পড়ে গেছে।“ কিছু না বুঝেই দৌড়ে ছুটে গেলাম। ততক্ষনে হাতে ধরাধরি করে ওকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিলো। কাছে গিয়ে দেখলাম, মঞ্জুরের চোখ বন্ধ, জ্ঞানহীন নিথর দেহটা সবাই পাজাকোলা করে নিয়ে যাচ্ছে। নাক দিয়ে অল্প একটু রক্ত বেড়িয়ে আবার থেমে গেছে। পানি থেকে মাছ ডাঙ্গায় তুললে যেভাবে মুখ হা করে আর বন্ধ করে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য, ঠিক সেরকম করে মঞ্জুরও মুখ হা করছিলো আবার বন্ধ করছিলো।
হাসপাতালে ওকে অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হলো কিন্তু তখন ও অক্সিজেন নিচ্ছিলোনা। এর মধ্যেই মাইক্রোবাস এনে তাতে করে ওকে তুলে বরিশাল মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলো। আমরা সবাই অপেক্ষা করতে থাকলাম……কেউ কেউ মসজিদে রইলাম… সমগ্র কলেজে একটা ভুতুড়ে নিস্তব্ধতা নেমে এলো।
এর পরের ব্যাপারগুলো exactly সামিয়া যেভাবে বর্ণণা করেছে ওর লেখাতে, ঠিক সেভাবেই ঘটেছে। এক বিন্দু ও এদিক ওদিক হয়নি। ওর লেখাতে স্যারদের যেরকম ভুমিকা ছিল, ক্যাডেটদের যেরকম ভুমিকা ছিল, আমাদের ক্ষেত্রে ও ঠিক তাই ই ছিল। আমাদের সবার অধীর অপেক্ষার প্রহর যেন আর শেষ হতে চায়না। অবশেষে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বস্কেটবল গ্রাউন্ডে পুরো কলেজ ফল ইন করানো হলো। সব স্যাররা দাঁড়ানো, আমরাও…… কেমন জানি একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ… সবাই কিছু একটা বুঝতে পারছি মনে হলেও কেউ কিছু প্রকাশ করছেনা……মনে প্রাণে চাইছে যেন যা ভাবছি তা না হয়………
নীরবতা…
নিস্তব্ধতা……
বাতাস বইছেনা……
কথা নেই কোনো………
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম……” কি হলো? এভাবে শুরু হচ্ছে কেন? কে যেন ডুকড়ে উঠলো… কি হচ্ছে এসব…??? সব এমন করে যাচ্ছে কেন……? আমরা তো এভাবে চাচ্ছিনা…তাড়াতাড়ি বললেই হয় যে, মঞ্জুরের অপারেশন হবে…রক্ত লাগবে…কে কে রক্ত দিতে চাও…কিংবা মঞ্জুরের জন্য দোয়া করা হবে, কে কে কোরান তেলাওয়াত করতে চাও… কিন্তু না, এগুলো তো বলছেনা… কি বলছে এসব…”মানুষের সব প্রযুক্তি এক জায়গাতে থেমে গেছে……।। “ উফ…আল্লাহ কি হচ্ছে এসব…।। কিছু কানের মধ্যে আর ঢুকছেনা……।। হঠাৎ কানে এলো, “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন”……।।
এভাবেই চলে গেল মঞ্জুর। ১৯ এপ্রিল মঞ্জুর কলেজে এলো… তবে কাঠের বাক্সের কফিনের মধ্যে করে… মিষ্টি মুখ টা বন্ধ কেন…? মুখে হাসি নেই কেন…? শুধু একটা ব্যাপার ই পরিচিত লাগলো…… বাসে আমার কাধে যেই নিষ্পাপ ঘুমন্ত মুখটা থাকত, সেই নিষ্পাপ মুখটা ঠিক যেন, সেভাবেই ঘুমিয়ে আছে…
………………………………………………………………………………………………
পরীক্ষা শেষ। ছুটিতে যাচ্ছি। এই প্রথম আমি একা। আমার পাশের সিটে অন্য কেউ বসা যাকে আমি চিনিনা…যে আমার কাধে মাথা রাখছেনা… চোখ জ্বালা করছে ভীষন। পাশে বসা লোকটি আমাকে বলছেন, “জানালা টা বন্ধ করে দাও বাবা, চোখে তাহলে বাতাস লাগবেনা……।।“
……………………………………………………………………………………………….
বাস থেকে নামলাম। রিক্সাওয়ালা জানতে চাইলো কোথায় যাব। বললাম, “গোরস্থান”। আমি জানতাম না ঠিক কোন জায়গাটিতে ওকে সমাহিত করা হয়েছিল, কিন্তু তারপরেও খুঁজতে থাকলাম এবং এক সময় পেয়েও গেলাম। পাশে দাঁড়ালাম। দুই বন্ধু খুবই কাছাকাছি…কিন্তু তবুও অনেক ব্যবধান…… কই কখনো তো এরকম সময় আমাদের কাটেনি… বাধ ভাঙ্গা কান্না আমার সব কিছু ওলট পালট করে দিচ্ছিল…একটা সময় রিক্সাওয়ালার কন্ঠ শুনতে পেলাম, “ভাই মনটারে শক্ত করেন…আসেন……”
………………………………………………………………………………………………..
মঞ্জুরের মার কোলে যে আমাকে কতদিন বসে থাকতে হয়েছে তা আমি গুনে শেষ করতে পারবনা…আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখতেন বুকে… চুমুতে চুমুতে আমার কপাল আমার মুখ ভরিয়ে দিতেন……তার আকুলতা আমাকে ধীরে ধীরে অপরাধী করে তুলতে লাগলো……
…………………………………………………………………………………………………………..
পলেনের মৃত্যুর মত মঞ্জুরের মৃত্যুতেও সবাই রহস্য কিংবা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিলেন। পটুয়াখালী’র সবার দৃঢ় বিশ্বাস মঞ্জুর কে খুন করা হয়েছে। কেন ওকে খুন করা হবে জানতে চাইলে কেউ কেউ বললো ও যাতে ভাল রেজাল্ট না করতে পারে তাই…কেউ কেউ বললো কলেজে নাকি ঢাকা আর বরিশাল পার্টি’র মধ্যে মারামারি হয়েছে, সেখানে ঢাকার ছেলেরা ওকে মেরে ফেলেছে…কয়েকজন ছিল আরো এক কাঠি সরেস। ওনারা নাকি মঞ্জুরের পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেখতে পেয়েছিলেন। অনেকেই আমাকে বলতেন,”আমাকে একটু সত্যি ঘটনাটা বলো, আমি কথা দিচ্ছি আর কাউকেই বলবোনা……”। আমি তাদেরকে কি করে বোঝাব, যে ক্যাডেট কলেজের একটা ছেলে কে আরেকটা ছেলের পক্ষে মেরে ফেলা সম্ভব না। ওরা সেভাবে বেড়ে ওঠেনা। বাইরের মানুষদের মত ওরা কলুষিত না। ওদের কাছে বন্ধু মানে অনেক কিছু…একসাথে দিন শুরু করা…একসাথে দিন শেষ করা…একসাথে পানিশমেন্ট খাওয়া…একসাথে দুষ্টুমি করা… জানি ক্যাডেট ছাড়া এই অনুভূতিগুলো আর কেউ বুঝতে পারবেনা এবং কাউকে বোঝানো সম্ভব ও না।
পলেনের ব্যপারটা একারনেই আমাকে খুব স্পর্শ করেছে। সামিয়ার লেখাটা আমাকে একারণেই আলোড়িত করেছে। আমরা সবাইই যে একই পরিবেশে বড় হয়েছি…। আমরা সবাই যে একই শিক্ষা পেয়েছি…। আমাদের সব অনুভুতিগুলো যে একই ছাঁচে গড়া… তাইতো আমাদের সবার একই সুরে প্রার্থনা, “ শান্তিতে থাকুক ওরা…মঞ্জুর কিংবা পলেন……। আর শান্তিতে থাকুক ওদের প্রিয় মুখগুলো……যেখানেই থাকুক…। যেভাবেই থাকুক……।“
আহ্সান, পুরান কথা মনে করায় দিলা।
শফি ভাই,
আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যেভাবে আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন তা কোনভাবেই ভোলার নয়। You people were like the true elder brothers over our head which helped us to overcome the shock and sit for the exam. সনাতন ধারার alternate batch এর সেই সম্পর্ক পায়ে ঠেলে নতুন যে ধারা আমরা দুই ব্যাচ শুরু করেছিলাম, আমি মনে করি তা অনুকরণীয়।
মঞ্জুর ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।
লেখাটা পড়ে কান্না ঠেকানো মুশকিল হয়ে পড়লো......
আমরা বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ১৮ তম ব্যাচ যেদিন কলেজে যোগদান করি সেদিন ২১শে মে ১৯৯২।
প্রথম প্রথম অনেক কিছুর কথাই মনে আছে।
কিন্তু প্রথম মসজিদের কথা মনে পড়ে যেটা সেটা হলো মান্নান হুজুরের পরিচালিত বিশেষ দোয়া....
উপলক্ষ্য........মঞ্জুর ভাই'এর চল্লিশা!!!
আহসান ভাই........অনেক কষ্ট হচ্ছে আপনার জন্য, আপনাদের জন্য।
Life is Mad.
টাইপিং মিসটেক.......সরি, ১৮ তম এর জায়গায় ১৫ তম হবে।
Life is Mad.
প্রথমে কামরুল ভাইর কোথায় পাব তাদের পড়ে খুব হাসলাম আর একটু পরেই এই লেখাটা পরে কাঁদলাম।
শান্তিতে থাকুক ওরা…মঞ্জুর কিংবা পলেন……। আর শান্তিতে থাকুক ওদের প্রিয় মুখগুলো……যেখানেই থাকুক…। যেভাবেই থাকুক……।
লিখাটা পড়ে কেমন লেগেছে তা নিশ্চুই আপনি বুঝেছেন ভাইয়া...
...ক্যাডেটীয় ঘটনা গুলো কেমন জানি এক ছকে বাধা, সবই এক, কেবল স্থান-কাল-পাত্র ভিন্ন। আপনি যা যা লিখেছেন, সব কেন যেন চোখের ওপর দিয়ে গেল, আমি বুঝতে পারলাম অন্য অনেক ঘটনার মত এই ঘটনাগুলোও এক ছকে চলে।
সেই ফল ইন, সেই বুঝতে পেরেও না বুঝতে পারা, একইরকম স্যারের স্পীচ, কানের মাঝে ঢোকেনা...থেমে থেমে যায়, স্পীচ শেষ হওয়ার পর একজন আরেকজনকে শূন্যচোখে জিজ্ঞেস করি, কি বলল স্যার এতক্ষণ, শুনেছিস?
একই প্রশ্ন, কি হয়েছিল সত্যি করে বল দেখি? কথা দিচ্ছি জানাজানি হবে না...কাউকে বোঝানো যায় না ক্যাডেট কলেজে কেউ কাউকে মেরে ফেলে না, মেরে ফেলা সম্ভব না।
কেউ কেউ ওর ঘাড়ে ধারালো বস্তুর দাগ উদ্ধার করে ফেলে হঠাৎ, কেউ কেউ ওর শরীরে আঘাতের চিহ্ন খুঁজ়ে পায়। এলাকার লোকজন জোট বাঁধে, মানব বন্ধন হয়, মিছিল হয়।
কেবল আমরা এখন পর্যন্ত এইটুকুই খুজে পাইনা ও কেন চলে গিয়েছিলো?
মঞ্জুর ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া, যেমন পলেনের জন্য করি।
আহসান ভাই,আমি জানি কাব্য করা আমার মত নিরক্ষরের মানায় না তবুও বীরবাহুর নিথর দেহের সামনে পিতা রাবণ যে বিলাপ করেছিল তা খুব মনে পড়ছে-
"হা বিধি এ ভবভূমি তব লীলাস্থলী,
পরের যাতনা কিন্তু দেখি কি হে ,তুমি
হও সুখী?পিতা সদা পুত্রদুঃখে দুঃখী'-
তুমি হে জগৎপিতা,এ কি রীতি তব?
বিধাতার এ রীতির অর্থ আমরা মরণশীল মানুষেরা কখনই বুঝতে পারবনা,কিন্তু আপনার লেখনীতে অব্যক্ত কান্না যেন ঝরে ঝরে পড়ছে।সেই সাথে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমরা যারা পড়ছি এ লেখা তাদের অন্তরে।
মঞ্জুর ভাই এর আত্মার জন্যে প্রার্থনা আর অকালে চলে যাবার কারণে একবুক অভিমান।
ভাই, আপনার লেখা পড়ে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম্না।
মঞ্জুর ভাই আর পলেন এর জন্য আমাদের এত এত দোয়া আল্লাহ নিশ্চয় কবুল করবেন...
মানুষ গুলো চলে যায় শুধু তাদের স্মৃতিগুলো রয়ে যায়, বয়ে বেরাতে হয়...।
ভাই, অনেক কষ্ট পেলাম লেখা পড়ে..।
আল্লাহ যেন ভাল রাখেন তাকে, দোয়া করি।
মঞ্জুর ভাইয়ের কথা কলেজে অনেক শুনেছিলাম। লেখাটা পড়ে মন খারাপ হইলো। কেন যে এমন হয়। 🙁
আহসাণ ভাই লেখাটা খুবিই touchy হইছে। মঞ্জুর ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুখে ও শান্তিতে রাখুক।
আমিন।
বড় বেশি সত্যি কথা।
দুজনের জন্যই দোয়া করছি।আল্লাহ তাদের বেহেস্ত নসীব করুন।আমিন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
একদম মনের কথা...
এ জিনিস বাইরের কাউকে কখনো বোঝানো সম্ভব না!
এর সাথে রাজশাহির অপুর্ব ও পলাশ ও কেন বাদ পরবে??
সকল বিদেহি ক্যাদেটের আত্মা শান্তি পাক এই হক আমাদের কামনা।
অবশ্যই ভাইয়া।
সকল বিদেহী ক্যাডেটদের আত্মার শান্তি কামনা করছি...
ভাই শাহী ক্যাডেট। প্রোফাইলে গিয়ে তোমার তথ্যগুলা বাংলা করে দাও। এরকম দেখতে খারাপ লাগে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হুম্ম। দোস্ত মঞ্জুরের জন্য দোওয়া করি।
আমরা ওকে ভুলবো না। আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের কখনোই ভুলব না রে !
তোর লেখায় আমি সত্যি অনুপ্রাণিত হলাম রে !
ভাবছি সময় করে রাশিদুল আর নাজের এর কথা লিখতে হবে। যতখানি ব্যাকুলতা আছে এই বুকের মধ্যে- হয়তো সব তো আর বলতে পারব না- তাই ভয় হয়। পাছে আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু দুজন ঐ দূর আকাশে বসে বসে যেন আবার অভিমান না করে... 🙁
দিনে দিনে জেনেছি - ঐ পাড়েও ভাল মানুষদের ও বড় চাহিদা, নইলে এই অসময়ে কেন ওরা চলে গেল?
অনেক হিসাবই মেলাতে পারি না রে !
ভালো থাকিস।
খুব ভালো।
সৈয়দ সাফী
দোস্ত, সংশয় রাখিসনা। লিখে ফেল। আমার মনে হয় ওরাও খুশী ই হবে।
দিনে দিনে জেনেছি - ঐ পাড়েও ভাল মানুষদের ও বড় চাহিদা, নইলে এই অসময়ে কেন ওরা চলে গেল?
অনেক হিসাবই মেলাতে পারি না রে !
আহসান ভাই আপনার এই লিখাটি,সামিয়ার পলেন আর জিহাদের রনন ভাই কে নিয়ে লিখা ব্লগ গুলো যতবার পড়ি ততবার চোখ ভিজে আসে।তারপরেও পড়ি।কিছু কিছু কষ্ট বড় আপন,একান্ত নিজেদের জন্যে--যা বোধহয় দুঃখবিলাসের পর্যায়ে পড়ে।
আবার পড়লাম এবং আবারো কাঁদলাম।
ভাই মাসরুফ,
বলেছিলাম না যে বাইরের কোন কলুষতা স্পর্শ করার আগেই ক্যাডেটরা একজন আরেকজনকে খুব কাছে টেনে নেয়?
তুমি আরেকবার তা প্রমাণ করলে। শুধু তাই না, কলুষতা তোমাকে এখনও স্পর্শ করতে পারেনি, তাই আজো নিজের চোখের জলকে বাধ মানাতে পারোনা। অকপটে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে যায়।
দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে তোমার মত নিষ্কলুষিত হওয়ার তৌফিক দান করেন।
আমিন।
ভাই খুব মন খারাপানিয়া লেখা । লেখা পড়ে জাহিদ (রনন) এর কথা মনে পড়ে গেল । আল্লাহ সবাইকে বেহেশত নসীব করুক ।
আল্লাহ যেন তোমার দোয়া কবুল করেন।
আমিন।