গভীর রাতে কয়েক কিশোরের অ্যাডভেঞ্চার

তখন ছিল গভীর রাত। শীতকালে রাত ১২টা মানেই অনেক। পেছনে পাহাড় আর সামনে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে সবুজের এক সমতলে ইট-কাঠ মাঝে নিয়ে গাছগাছালির ১৮৫ একরের বিশাল ক্যাম্পাসে সবাই ঘুমিয়ে। নাইট গার্ড কয়েকজন লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছে। আর একটু পরপর হুইসেল বাঁজিয়ে তাদের চলছে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ। সময়টা ১৯৮০ সাল।

এমন সময় ডাইনিং হলের পেছনে একে একে এসে জড়ো হলো আট-দশজন কিশোর। সবার বয়স ১৭-১৮ হবে।

বিস্তারিত»

আজকে রেজাল্ট ছিলো

আজকে এস.এস.সির রেজাল্ট দিয়েছে। প্রতিবছর এইদিনটাতে আমি অতি উদ্বিগ্ন মুখ নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকি, বেশির ভাগ সময়ই আমার আত্মীয় স্বজন কেউ থাকে না পরীক্ষার্থীর মাঝে, থাকে এমজিসিসির কয়েকজন বাচ্চা পুলাপাইন।
এবার এমজিসিসির সবাই জিপিএ ফাইভ, সব্বাই।
চোখে পানি চলে আসলো। একদম ঝরঝর করে পানি চলে আসলো।
টিভিতে দেখা গেলো কয়েকটা মেয়ে ইয়েল দিচ্ছে, চেনা মুখ পেলাম না কোন, কি আশ্চর্য! বেশি দিন তো হয়নি কলেজ ছেড়ে আসছি!

বিস্তারিত»

ক্যাডেট জীবন : বন্দীত্ব না মুক্তি

লেখাটা লিখেছিলাম আমাদের ব্যাচের ব্লগসাইট www.ccr19.com এ আমাদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির 14 তম বার্ষিকী উপলক্ষে । বাইরের সবাই ভাবে ক্যাডেট কলেজ বুঝি একটা জেলখানা । ক্যাডেট কলেজে থাকার সময় আমারও এমনই ধারনা ছিল। কিন্তু যখন কলেজ থেকে বের হলাম দেখলাম আসলে ক্যাডেট কলেজেই বেশি উপভোগ করেছি সময়টা। নিয়মের মধ্যে থেকেও যেন অন্যরকম স্বাধীন ছিলাম। আমার কবিতাটা এ উপলদ্ধি থেকেই লেখা। আপনাদের মতামত জানতে পেলে খুশি হবো।

বিস্তারিত»

এরশাদকে কালো পতাকা দেখিয়েছিল কিছু তরুণ

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যখন খুনি চক্র সপরিবারে হত্যা করে তখন আমার বয়স মাত্র ১৪। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি। একে তো ওই ঘটনার তাৎপর্য বোঝার বয়স তখন ছিল না; দ্বিতীয়ত, ক্যাডেট কলেজের মতো সেমি কারাগারে রাজনীতিটা একরকম নিষিদ্ধ বস্তু। মনে পড়ে, ক্লাস কক্ষে একজন শিক্ষক এসে আমাদের বঙ্গবন্ধু হত্যার তথ্যটি জানিয়েছিলেন। ব্যাস ওইটুকুই।

১৯৮১ সালে যখন চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানতে হত্যা করা হয়, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ি।

বিস্তারিত»

toilets

strange..Cadets like toilets. I still didn’t find any suitable reason,but i know current cadets also love their toilet(academy block). Had there not been any toilet in academy block, lets investigate, what would we miss in the six years golden time(for me, 1994-2000, JCC 31):
****lists exclude the usual urinal business****
1. Surely its a kingdom of Class 8 cadets. We would miss their global(all houses) seniority.

বিস্তারিত»

চাপাতির সঙ্গে আমার ছয় বছরের শত্রুতা

চাপাতি খেয়েছেন কখনো?

আঁতকে উঠবেন না। এটা আঘাত করার অস্ত্র নয়। নিতান্তই সহজপাচ্য একটা খাদ্যপণ্য। এটা গমের আটা দিয়ে তৈরি।

আটার রুটি বললে আমাদের চোখে সহজেই ভাসে একটি খাদ্যের চেহারা। রুমালি রুটি, গরম গরম পেলে মনে হয় মাক্ষন্! কিন্তু গমের আটা দিয়ে তৈরি চাপাতি কি জিনিস?

১৯৭৪ সালের ১৪ আগস্ট লাল্টু-পল্টু ধরণের ৫৬টি বালক (শিশু বললে কি খারাপ শোনায়?

বিস্তারিত»

পাহাড় চূড়াটা আমাকে নির্জনতায় মগ্ন হওয়ার সাহস জোগায়

কলেজ ক্যাম্পাসে আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল ডাইনিং হলের পেছনের পাহাড় চূড়া। কতো রাত ওখানে বসে সাগরের গান শুনেছি! বন্ধু মামুন অথবা শাহীনকে নিয়ে ওই চূড়ায় বসে হতো কিশোর বয়সের কতো গল্প! কখনো কখনো গলা ছেড়ে গান, তাও চলতো। ওখানে বসে শাহীন গান তুলতো উঁচু গলায়, বব মার্লি কিম্বা জোয়ান বায়েজের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমার এই ক্যাম্পাসেই।

অমাবশ্যা অথবা পূর্ণিমা যে কোনো রাতেই ছোট্ট এই পাহাড় চূড়াটা ছিল দারুণ।

বিস্তারিত»

সাত দিনের পথ – বিষাদ পর্ব

একাডেমি ব্লকের সামনে বিশাল গোলচত্বর। তার একেবারে মাথায় লেখা “শিক্ষা ভবন”। এটাকে জিরো পয়েন্ট ধরছি। সাত দিনের পথের দূরত্ব মাপার জন্য। ইলেভেনের এক্সকারশন, যাত্রা শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। ফিরেও এসেছি এখানে। মাঝখানে সাতটা দিন, সরণ শূন্য, কাজ শূন্য, কিন্তু অনুভূতি অসীম। সেই অসীম শূন্যতার কথা লিখতে বসেছি। সেই অনুভূতির কথা যার জন্য ক্লাস সেভেন থেকে ইলেভেন পর্যন্ত পাঁচটা বছর অপেক্ষা করেছি, যেটা শেষ হয়ে যাবার পর মনে হয়েছে কলেজ ছেড়ে অচিরেই চলে যেতে হবে।

বিস্তারিত»

ভালোবাসার রঙ টা সবুজ

– বুঝলা, যতদিন জুনিয়র আছো কখনো মাথা উঁচু করে হাঁটবানা। সবসময় মাথা নিচু। লুকডাউন পজিশন।
লকারের উপরের তাকে কাপড় গুছিয়ে দিতে দিতে ফাহিম ভাই কথাগুলো আমাকে বললেন।
– জ্বী আচ্ছা।
– তোমাকে না একটু আগে বললাম সিনিয়রের সাথে যে কোন কিছু বলার আগে কাইন্ডলি বলতে হবে।
ফাহিম ভাইয়ের কন্ঠে হালকা অসন্তোষের ছাপ। আমি মুখ কাঁচুমাচু করে ফেলি।

বিস্তারিত»

টক-মিষ্টি-ঝাল (ছোটবেলা)

বাসার গলির মুখে রিকসা এসে থামলো। আমি নিশি আপুর পাশে যেয়ে বসলাম। শোন, আজকে স্কুল থেকে ফেরার সময় হেঁটে আসবো… ঠিকাছে? আমি বলি এতো দূর হাটঁতে পারবোনা…আরে পারবি। দুইজন গল্প করতে করতে ঠিক চলে আসবো।

মুখে গাইগুই করলেও আনন্দে আমার বুকটা ভরে উঠলো। আমি আপুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। আপু তখন কথা বলছেন আর মিটিমিটি হাসছেন। ওনার হাসিটা এত্তো সুন্দর। হাসলে চিবুকটা ভেতরের দিকে ডেবে যায়।

বিস্তারিত»

মন কি যে চায় বলো…………

১। কিছু মনোজাগতিক ব্যাপার আছে যার কোন ব্যাখ্যা মনোবিজ্ঞানেও নেই।এরকম কিছু ঘটনা প্রতিটি মানুষের জীবনেই কম বেশী ঘটে থাকে। যারা এই ঘটনাগুলোকে সহজভাবে নেন না, আমার ধারণা তাদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ ঘটে নাই। যে সময়টাতে মায়ের আচলের নিরাপদ ছায়ায়, বাবার কড়া শাসন, বড়ো ভাই বোনদের স্নেহ ভালবাসায় বড়ো হওয়ার কথা, সে সময়টা আমরা পার করেছি ক্যাডেট কলেজ়ের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে। এই সময়টাতে সুন্দরী , অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ম্যাডামদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ক্যাডেটদের মনে প্রেম জাগাবে এইটাই খুব স্বাভাবিক।

বিস্তারিত»

ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ -৫০ বছর

এই লেখাটা সবাই পড়তে পারেন। শাকুর মজিদ ভাই এর , সমকাল পেপারে।
এখানে

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের – ৩

১.

বহুদিন পর আমাদের কলেজে একজন ম্যাডাম আসলেন। তাও আবার রীতিমতো অবিবাহিতা।
শোয়েব আখতারের বলে টেনডুলকার ছক্কা মারলে ভারতের সাপোর্টাররা যেরকম খুশি হয় আমরা সবাই ওরকম খুশি হয়ে উঠলাম। মনের ঘরে চান্দের আলো চুইয়া চুইয়া পড়তে শুরু করল। আমরা যারা মকরা পার্টি ছিলাম, সেভ না করার জন্য ডেইলি জোড়ায় জোড়ায় ই.ডি. খাইতাম তারাও সকাল বিকাল সেভ করতে করতে গাল সবুজ করে ফেললাম কখন ম্যাডামের সাথে দেখা হয়ে যায় এই আশায়।

বিস্তারিত»

অনেক পুরোনো একটা প্রেমে পড়ার গল্প

ভালবাসা নিয়ে ছোট বয়সে একটা ছোটগল্প লিখেছিলাম। কালের অতলে হারাবার আগেই, তোমাদের জন্য –

বেশ কয়েকদিন ধরে ভালবাসা নিয়ে ভাবছি, কিন্তু কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিনা । আমাদের কলেজে বৃষ্টি পড়ে। বৃষ্টি রহমান সুন্দরী এবং কিছুটা রহস্যময়ী।
ওর সাথে এতদিন মিশেও ওর মনের কোন কিনারা পাইনা, কোথায় যেন ওকে বুঝতে পারিনা।যদিও সবার সাথে ওর ব্যবহার খুব সাবলীল। সবার!!
সবার মানে আমি, নাফিস আর বাকিরা গুরুত্বহীন।

বিস্তারিত»

ভুল করে মেজর থেকে সৈনিক মো আলী স্টাফ

মো আলী স্টাফ ছিলেন মেঘনা হাউসের হাউস স্টাফ।তার অদ্ভুত শারীরিক গড়ন আর কালো মোচ যে কাউকে সার্কাস এর জকিদের কথা মনে করিয়ে দিবে।কি এক অজানা কারনে তিনি সব সময় হীনমন্যতায় ভুগতেন।একদিন পিটি টাইম এ আমাকে হাটতে দেখে তিনি দৌড়ে আস্লেন………।।
কি বেপার আপনি হাটছেন কেন

,আমি বললাম, পিটি এক্সকিউজ,ডাক্তার এর চিট আছে।

তিনি বলেন,দেখি কি সমস্যা,আপনার কি ডিজিজ দেখি?

আমার মেজাজ গেল গরম হয়ে।

বিস্তারিত»