সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজছে মানুষ, গাছপালা, ব্যালকনি, রাস্তা, সবকিছু। এই অঝোর বৃষ্টিতে, মন খারাপ করা স্যাঁতস্যাতে সকালে বারান্ধায় দাঁড়ালাম। বৃষ্টির একটু স্পর্শ পাওয়ার জন্যে। বৃষ্টি দেখতে দেখতে আনমনা হয়ে গেলাম। দূর পাহাড়ে রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ শুনছিলাম অনেকক্ষন। হঠাৎ চমকে উঠলাম অনেক পরিচিত ভেজা হাওয়ার স্পর্শে। মন চলে গেল সেই সব দিনগুলিতে। অনেক দিনের পরিচিত সেই দিনগুলিতে। বৃষ্টিকে উপভোগ করার দিনে, বৃষ্টিকে ভালোবাসার দিনে।
বিস্তারিত»ছুটি শেষে অভ্যর্থনা
কলেজ গেটে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দারুণ সব উপকরণ হাজির থাকত। কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা নিতেন আর কি। সেগুলো আবার একটার চাইতে আরেকটা কয়েক কাঠি করে বেশি সরেস!
দুলাল ভাই (ও তার দল) এর কাঁচির নিচে ২২/ ২৩ দিনের সযত্ন লালিত মাথাভর্তি চুলের বিসর্জন দিয়ে শুরু হত সেই অভ্যর্থনা পর্ব। করুণ চোখে তাকিয়ে দেখতাম আমার আগের জনের পায়ের কাছে কি নির্দয়ভাবেই না থোকা থোকা চুলগুলো লুটিয়ে পড়ছে।
বিস্তারিত»LOGO
কোথায় পাবো তাদের-৪
১.
বাংলার শাহজাহান আলী স্যার কে আমরা খুব পছন্দ করতাম কারণ স্যার দারুণ পড়াতেন। আমার এখনো মনে আছে রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে ফটিক যখন মারা যাওয়ার আগে বলে ‘এখন আমার ছুটি হয়েছে মা, এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি….’ এইটুকু পড়াতে পড়াতে স্যার আমাদের সামনে হু হু করে কেঁদে ফেললেন। স্যারের কান্না দেখে আমরাও চোখের পানি আটকাতে পারিনি।
এই শাহজাহান স্যারই প্রেপ টাইমে কেমন যেন পাগল হয়ে যেতেন।
বিস্তারিত»৫১ একরে সীমাবদ্ধ জীবন (শেষ পর্ব)
ক্যাডেট কলেজের প্রেক্ষাপটে মসজিদ একটা বড় ভূমিকা রাখে মাগরিবের নামাজের কারণে। বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে সান্ধ্যকালীন রোলকল (যার অন্যতম উদ্দেশ্য সৈনিকের ব্যারাকে উপস্থিতি নিশ্চিত করা) দেখে মনে হয়েছে মাগরিবের নামাজটা হয়তো তারই একটা পরিবর্তিত সংস্করণ। মসজিদে হর হামেশাই নানান ঘটনা ঘটত। পাশাপাশি বসা দুজনের পাঞ্জাবিতে গিঁট মারা এর মধ্যে সবচাইতে চিত্তাকর্ষক বলে মনে হয়েছে। আর যদি সেটা হয় সিনিয়রের পাঞ্জাবিতে তাহলে তো কথাই নেই, অভিযুক্তের উপর প্রিফেক্ট সৃষ্ট নির্ভুল কাড়া নাকাড়ার শব্দ পাওয়া যেত।
বিস্তারিত»৫১ একরে সীমাবদ্ধ জীবন (দ্বিতীয় পর্ব)
নবমে এসে লেখাপড়ায় একটু সিরিয়াস ভাব আসল। যাই লেখাপড়া হোক না কেন সবই হয় এসএসসি কে টার্গেট করে। এক বন্ধুর বড়ভাই রংপুর ক্যাডেট কলেজে ক্লাস টুয়েলভে ছিলেন। তিনিও চিঠিতে এসএসসি’র কথা গুরুত্ব সহকারে লিখেছিলেন। সায়েন্স আর আর্টস ভাগ হবে। সেটা নিয়ে মোল্লা স্যারের হুমকি ধামকিতে আমরা প্রথম কয়েকমাস বেশ তটস্থ ছিলাম। (জন্মলগ্ন থেকেই স্যার আর কলেজ যেন হরিহর আত্মা, আপন সহোদর। স্যারকে ছাড়া বরিশাল ক্যাডেট কলেজকে চিন্তাই করতে পারি না।
বিস্তারিত»৫১ একরে সীমাবদ্ধ জীবন (প্রথম পর্ব)
২১ মে ১৯৯২ সাল।
প্রতি বছর নিজের জন্মদিন যতটা না খেয়াল থাকে তার চাইতে বেশি খেয়াল থাকে এই দিনটির কথা । কেননা ২১ মে ১৯৯২ এ পা রেখেছিলাম বরিশাল ক্যাডেট কলেজের বুকে। দুরু দুরু বুকে এক নব্য কিশোরের চোখ দিয়ে দেখছিলাম আমাকে গ্রহণ করার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা। সেটার শেষ পর্যায়ে দেখেছিলাম আমাকে একা রেখে অশ্রুসজল চোখে বাবা-মা, আত্মীয়দের চলে যাওয়া। একইভাবে আরও ৫৪ জন ছেলে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল সেদিন।
বিস্তারিত»তারে জামিন পার ও দুটি কথা…
গত বছর বলিউড এ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ছবি রিলিজ হয়েছিল-‘তারে জামিন পার’। ছবিটি দেখার সময় কয়েকবার চোখ ভিজে ওঠেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই আছে। তবে আমার মনে হয় ছবিটি বিশেষ করে সকল ক্যাডেটদের হৃদয়কে সবচেয়ে কাছ থেকে ছুঁয়ে গেছে। পিচ্চিটাকে(দার্শিল) যখন বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয় এবং তারপর ওর যে মানসিক অবস্থা দেখানো হয় তাতে যে কোন ক্যাডেটের ক্লাস সেভেন/এইট এর কথা মনে পড়তে বাধ্য।
সত্যি,
অভিনন্দন
অভিনন্দন সব সদস্য দের। সিসিবি এর সদস্য দেখি ১০০ ছাড়িয়ে ১০১ এ দাড়িয়েছে। দারুন ব্যাপার। এই তো সেদিন
মনে হয়, ৩০ জন দেখলাম। :salute: কিন্তু সবাই আরো সক্রিয় হওয়া দরকার
শুভ জন্মদিন, ইনটেক-১৯৯৭ !!!
দেখতে দেখতে ১১ বছর পার হয়ে গেল। ১৯৯৭ সালের এই দিন আমি প্রবল উত্তেজনায় সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি-আগামিকাল আমার জীবনে শুরু হতে যাওয়া নতুন এক অধ্যায়ের জন্যে। আজ রাজশাহী থেকে বন্ধু হাফিজ ফোন করল একটু আগে…… “দোস্ত এবার ঢাকায় আসতে পারছিনা পরীক্ষার কারনে…”। আমি অবাক হয়ে বললাম, কি ব্যাপার?? হাফিজ বলে-“ভুলে গিয়েছিস?? আগামীকাল ৩ জুলাই! ”সাথে সাথে এক ছুটে আমার মন চলে গেল ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে- এগারো বছর আগের সেই দিনে-
মনে পড়ে গেল সে সময়টা যখন লকার পার্টনার ইব্রাহিম ভাই আমার শার্ট এ নবীনদের ব্যাজ পড়িয়ে দিয়ে নিয়ে গেলেন অডিটরিয়ামের দিকে।
বিস্তারিত»বৃষ্টি এবং ফুটবল এর গল্প
কালকে রাত এ অফিস এর কিছু প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কখন যে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে গেছে টের পাই নাই। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি ভোরের আলো এবং বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখেই মনে পড়ে গেলো কলেজ এর সকাল এর কথা । প্রতিদিন পিটি এর সময় চিন্তা করতাম বৃষ্টি নামে না কেনো? ইস , একটু বৃষ্টি নামলেই ত সবাই দোয়া করতাম আরেকটু জোরে নামতো যদি।
বিস্তারিত»আমার বন্ধুয়া বিহনে
ক্লাস নাইনে একবার আমার খুব জ্বর হলো। রাত ২ টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলো। টের পেলাম জ্বরে সারা শরীর পুড়ে যাচ্ছে। আমি উঁহু, আহা করছি।
পাশের বেডে থাকতো মাসুদ। আমার গোঙানি শুনে ও ঘুম থেকে উঠল। বিছানা থেকে নেমে এসে আমার কপালে হাত রাখল।
-তোর তো অনেক জ্বর। চল হাসপাতালে নিয়ে যাই।
-এখন এতদূর হেঁটে যেতে পারবো না। একটু কমুক, সকাল বেলায় যাব।
জাহেল,আনপড়াহ……
আমাদের ইসলামিয়াতের টিচার আনিস স্যার। সদ্যই ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করেছেন। প্রথম ক্লাস নিতে এসেছেন আমাদের ক্লাসে। স্যার পড়াতে পড়াতে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যান। স্যার পড়াচ্ছিলেন জিহাদ নিয়ে । “জিহাদ হলো রিপুর সাথে। জিহাদ হলো নিজের নফসের সাথে। (স্যার অলরেডি জিহাদী জোসে উত্তেজিত ও বলার সাথে সাথে নিজের বুকে দুম দুম করে কিল দিতে থাকলেন) “জিহাদ ইন মাই চেস্ট ( দুম করে বুকে কিল) , জিহাদ ইন মাই মাইন্ড (আবার বুকে কিল) “।
বিস্তারিত»চৌইদ্দ জন ক্যাডেট নিখোঁজ হওয়ার কাহিনী
আবারও সেই সি এইচ এম এর কাহিণী। ক্লাস ইলেভেন এর এক্সকারসন এ আমরা সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা,এক রাতে চৌইদ্দজন ক্যাডেট এর নিখোঁজ হওয়ার আচমকা এক সংবাদ ফর্ম মাস্টার,এডজুট্যান্ট,প্রিন্সিপাল,স্টাফ সবার রাতের ঘুমই শুধু কেড়ে নিলনা, জনৈক ফর্ম মাস্টারের বুড়ো বয়সে হানিমুন পালনকে ঘোর অমাবস্যার অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলো।
তিন মাসের লম্বা ছুটি শেষ করে আসার পর এক একটি মস্তিস্ক তখন শয়তানের শিল্প কারখানা। কক্সবাজারে বার্মিজ মার্কেট এ রাখাইন কন্যা ভিও,
বিস্তারিত»গরু, তোমরা সব গরু
“বেহেশতের দারোয়ানকে একটা রাঙামাটির তরমুজ দিও। তাহলে ওখানে সহজে ঢুকতে পারবে।” ভুগোল পড়াতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন সম্পদের গুণমাণ বোঝাতে এমনটাই বলেছিলেন আমাদের শিক্ষক অধ্যাপক এম এ কাশেম।
গত শনিবার হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অপারেশন টেবিল থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। শুধু ক্যাডেট কলেজেই ৩৪ বছর। ১৯৫৮ থেকে ১৯৯২ সাল। এর মধ্যে অল্প সময়ের জন্য বরিশাল ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলেন।
বিস্তারিত»