………..নিজস্ব অপারগতাগুলো তুলে ধরতে খুব আপন কেউ চাই। এমন কেউ যার সাথে কোন কম্পিটিশন নাই। যার সাথে কোন লেনাদেনা নাই। যার সাথে কোন রাখ-ঢাক বা ইজ্জতের ব্যাপার নাই। প্রশ্ন উঠতে পারে…ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরা তাহলে কি? উত্তরে বলব। জ্বী। অবশ্যই ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরাই হতে পারে এরকম কেউ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমি নিজেও কতবার অংকে খারাপ করার পর আমার বন্ধুর কাছে গিয়ে অংক বুঝিয়ে নিয়েছি। বরং বলা যায় ক্যাডেট কলেজই পড়াশুনার জন্য আদর্শ স্থান যেখানে সার্বক্ষনিক সাহায্যের হাত বাড়ানো আছে।
বিস্তারিত»আমার ভিতর-বাহিরে অন্তরে অন্তরে…
কালবেলা ভাইয়ার পোস্টটা পড়ে একটু মন খারাপের মতো হলো। কমেন্ট দিতে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আলাদা পোস্ট লিখতে হলো।
ভাইয়ার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে একমত হতে পারছিনা।
“ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেট রা হল রাস্তার পাশে সারি সারি পাতাবাহারের মত…………………… পাতাবাহার গাছ গুলোকে কি করা হয় কিছুদিন পর পরই? কাঁচি দিয়ে ছেটে দেয়া ………………………এখানে নিজের মত করে বড় হবার সুযোগ নেই।
বিস্তারিত»ভালোবাসার রঙ? – উত্তর না পাওয়া একটি প্রশ্ন !
প্রিয় জিহাদের ‘ভালবাসার রং সবুজ’ লেখাটা পড়তে গিয়ে হুরমুর করে কিছু স্মৃতি এসে আমার মনের দরজায় ঠকঠক শুরু করলো।
:ahem:
বাংলার একরামুল হক স্যার এর ক্লাস ভাল লাগতো আমার।
স্যারের পড়ানোর স্টাইল আর কথাগুলো খুব আপন আপন লাগতো।
আর স্যারের রবীন্দ্রপ্রীতি আর কথায় কথায় ‘বাপু…’ সুরটা এখনো যেন কানে বাজে। :dreamy:
শেষে স্যার যেন কোথায় বদলী হয়ে যান।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজের ভিতর-বাহিরঃ প্রসংগ-১
ক্যাডেট কলেজের অনেক অনেক ভালো দিক যেমন আছে তেমনি আছে কিছু খারাপ দিকও। অনেক অনেক আলোকিত দিকের আড়ালে রয়ে গেছে কিছু ড্র-ব্যাক। এমনই একটি বিষয় নিয়ে আজ কথা বলতে চাইছি।
একদিন বাংলা ক্লাসে স্যার (নাম ভুলে গেছি) কি যেন বোঝাতে যেয়ে পড়ার বাইরে একটু অন্য প্রসংগে চলে গেলেন। প্রসংগটা আস্তে আস্তে ” ক্যাডেট” বিষয়ক আলোচনায় মোড় নিল। এরই এক পর্যায় তিনি বলছিলেনঃ
“ক্যাডেটরা কেমন জান?
একজন সফল প্রিন্সিপালের কথা
আমরা যখন ক্লাস টুয়েলভে পড়ি তখন আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন লেঃ কর্নেল মোকাররম আলী স্যার। আমার জীবনের দেখা কয়েকজন ভাল মানুষের মধ্যে তিনি একজন। স্যার আমাদের অনেক আদর করতেন। ক্যাডেট কলেজে সাধারনত প্রিন্সিপালের সাথে ক্যাডেটদের ইন্টারেকসন কম হয়। কিন্তু মোকাররম স্যার ছিলেন একেবারেই আলাদা। সবসময় ক্যাডেটদের সাথে অনেক মেলামেশা করতেন। তিনি আমাদের সাথে গেমস টাইমে ভলিবল খেলতেন, ক্লাসটাইমে প্রায়ই আসতেন আমাদের সাথে গল্প করার জন্য।
বিস্তারিত»আমার লেখালেখির গল্প……..
**ব্যস্ততার কারণে আলমকে নেয়া সিরিজটা আগাতে পারছি না। এই ফাকে সামহোয়ারের আমার এই লেখাটা দিলাম। এটা পুরোটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে না হলেও বেশিরভাগ অংশই ক্যাডেট কলেজের গল্প।দেয়াল পত্রিকার জন্য রাত জাগা সকল ক্যাডেটকে লেখাটা উৎসর্গকৃত।
লেখালেখি করিবার সাধ ছোটবেলা হইতে আমার ছিল এমন দাবি করাটা বোধ করি অযৌক্তিক।আমার লেখালেখি করিবার অনুপ্রেরণা বলিতে আমার এক ফুফা।তাহার কথা ভাবিলে অবশ্যি ভারী চশমা মোটা গোফের কোন গম্ভীর চেহারা কল্পনার নয়নে আসিয়া উপস্থিত হয় না।
বিস্তারিত»চুম্বনঃ ব্রোকব্যাক মাউন্টেনের আইডিয়া যেভাবে নাজিল হইছিল
ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস কইরা আমি মমুসিং-এর পোলা চইলা আসলাম ঢাকা, “নেকাপড়া” করতে। ঢাকায় আসার পর রাস্তায়, অলিতে-গলিতে বহুসংখ্যক এবং বহুধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখছি (দেশ আগায়া যাইতাছে, আমাদের বাবাদের আমলে ঢাকা ভার্সিটিতে মেয়েদের সাথে কথা বলতে নাকি ডিপার্টমেন্টের পারমিশান লাগতো, সত্য মিথ্যা জানি না, শোনা কথা।) এইসব চুম্বনকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়- ছোবল চুম্বন আর খাইছি তোরে চুম্বন। ছোবল চুম্বন করে ভীতু জুটিরা,
বিস্তারিত»আমার প্রথম ই,ডি,
আমাদের কলেজে ইডি খাওয়ার ঘটনা খুব কম ছিল। খুব গুরুতর অপরাধ করলে ইডি ইসু করা হত। আমাদের ১৯৯৩ ইনটেকের সিলেট ক্যাডেট কলেজের অনেকে নাকি ২৫-৩০ টা ইডি খাইছে। কিন্তু রংপুরে আমাদের ব্যাচের কেউ মনে হয় ৫ টার বেশি ইডি খায়নি ৬ বছরে। অধিকাংশ ক্যাডেট ৬ বছর ইডি না খেয়েই ক্যাডেট কলেজ পার পেয়েছে। যেই সামান্য কয়েকজনের ইডি খাওয়ার সৌভাগ্য হয়, আমি ছিলাম তাদের মধ্যে একজন।
বিস্তারিত»উপলব্ধি
বেশ কিছুদিন যাবত পেশাগত ব্যস্ততার কারণে ব্লগে আসতে পারিনি। নিজে লেখা তো দূরে থাক, অন্যদের লেখা পড়তেও ব্লগে আমার আসা হয়ে ওঠেনি। প্রচন্ড খারাপ লাগছিল এই দিন গুলোতে। কেমন যেন একটা অপূর্ণতা সব সময় ঘিড়ে রাখত আমাকে। সবকিছু ছাপিয়ে, আমার অনুপস্থিতির কারণ ও আমার বাবার স্বাস্হ্যের খবর জানতে চেয়ে ব্লগের অতি পরিচিত মুখ সিরাজের মেইলটি ব্লগে আসার জন্য আমাকে আরো ব্যকুল করে তুলেছিল । কিন্তু তারপরেও কিছু করার ছিলনা।
বিস্তারিত»জীবিতদের গালগল্প
তখন আমরা বসে আছি ঢাকা মেডিকেলের লাশকাটা ঘরের সামনে। ভেতরে লাশ হয়ে পড়ে আছে আমার বন্ধু, আমাদের বন্ধু -আলম। ওর বুক আর করোটি ফুড়ে দিয়ে গেছে যে বুলেট দুটো, ডাক্তাররা তার খোঁজ করছেন ওর শরীরের ভেতর হাতড়ে হাতড়ে। আমি ভেতরে যাই না, বুকে জমে থাকা ভালো লাগা অজস্র স্নৃতির ভীড়েই থাকুক ও, লাশকাটা ঘরে শুয়ে থাকা চিরে ফেলা শরীরটাকে ওই স্নৃতিগুলোর সাথে নাই বা যোগ করলাম।
বিস্তারিত»স্বাগতম পর্যন্ত পইড়া ফেলছি… :-)
পড়া শুরু করছিলাম রাত তিনটায়, এখন বাজে ৬ টা ৪০ (সকাল), একটানে ব্লগের সবগুলান লেখা পইড়া ফেললাম। প্রবাস জীবনের যেদিন শুরু হইছে এর পর থাইকা মনে হয় এত অল্প সময়ে এতবেশি হাসি নাই।
ধন্যবাদ ব্লগের উদ্যোক্তাদের এবং লেখকদের আমাকে এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য। ভবিয্যতে লিখব, এখন ঘুমাতে যাই, খালি হাই উঠছে।
-নন্দঘোষ
বিস্তারিত»টুকিটাকি
আজকে আই ইউ টি তে আমাদের ব্যাচের চারজন এসেছিল। রিসাত UK থেকে দেশে এসেছে একমাসের মত সময়ের জন্য। তাই আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল আবার চলে যাবার আগে। তো বেশ একখান আড্ডা হয়ে গেল। ক্যাডেট কলেজের কয়েকজন একত্রিত হলে যা হয়। খালি কলেজের আলাপ। সেই আড্ডার সুত্র ধরে পুরান কিছু কাহিনী আজ আবার মনে পড়লো।
…….
নুরুল হক স্যার তখন সোহরাওয়ার্দী হাউসের হাউস মাস্টার।
বিস্তারিত»আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ২
(ঠিক করেছিলাম শুধু প্রথম দিন, প্রথম মাস আর প্রথম টার্মের কথা লিখবো। পরে ভাবলাম…ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আজকাল অনেক কম লেখা পড়ছে সবার…আরেকটু সূচনা দিয়ে এটাই আরেকটু টেনে নিয়ে গেলে কেমন হয়… তাই এই লেখা)
আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ১
২. ভর্তির আগের গল্প
আমাকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করার শখটা আমার আব্বার। দুই খালাতো ভাইয়ের একজন ছিল রংপুর ক্যাডেট কলেজের ফার্স্ট ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট…যে কিনা পরে আর্মির মেজর,
সি সি বি আড্ডা (আপডেট)
নির্ধারিত দিনে ক্যাডেট কলেজ ক্লাব ফাঁকা না থাকায় স্থান নির্ধারিত হয়েছে: স্টার রেস্টুরেন্ট , ধানমন্ডি ২।
দিন: ২৮ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার, বিকেল পাঁচটা।
এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত আশা করছি।
যে কোন রকমের যোগাযোগের জন্য নিচে কনট্যাক্ট নম্বর দেয়া হল:
কামরুল হাসান: 01912856797
রবিন (প্রিন্স): 01711506701
রায়হান আবীর: 01670414782
জিহাদ: 01717295204
*গেট টুগেদার সংক্রান্ত খবরাখবর এই ব্লগেই আপডেট করা হবে।
বিস্তারিত»আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম……এবং অতঃপর -১
১. কথাবার্তা
সব ক্যাডেটের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাগুলো অনেকটা একই রকম। কিছুটা ভয় ভয়, অনেকটা অনিশ্চয়তা আর তার সাথে সাথে বাবা মাকে ছেড়ে আসার কষ্টকে মেশানো অদ্ভুত একটা অনুভুতি। আজকে হঠাৎ ভাবতে বসলাম…আমার নিজেরটা কেমন ছিল? অন্যদের চেয়ে কি আলাদা ছিল? ভাবতে গিয়ে দেখি অনেক কিছুই মনে পড়ে না। অনেক কিছুই মনে পড়ে পড়ে ভাব হয়। খারাপ লাগলো খুব। কলেজ থেকে বেড়িয়ে এসেছি আজ ৬বছর হলো প্রায়।