আমরা অপারেশনে গিয়েছিলাম ২৪ ফেব্রুয়ারী কিংবা মার্চ তারিখে (মাস টা আমার ঠিক খেয়াল নেই)। ২৪ তারিখ বিকেলে কঙ্গো কমান্ডোরা আমাদের সাহায্য চাইলো। বিকেল বেলা আমরা আমাদের পুরো ট্রুপস নিয়ে আরো সামনে এগোলাম এবং একটা পর্যায়ে আমরাই ফ্রন্টলাইন হলাম। বিকেলের কিছু আগে পাক আর্মির একটা কোম্পানী এসে আমাদের সাথে জয়েন করলো। এর আগে শুরু থেকেই আমাদের সাথে মরক্কো আর্মির একটি মর্টার ডিটাচমেন্ট ও ছিলো। এই তিন দেশের সব এলিমেন্টগূলো আমাদের বাংলাদেশের কমান্ডে কাজ করছিলো।
বিস্তারিত»আমরা তিনজন – ১ম পর্ব
“সিসিবিতে ভিজিটর কমে গিয়েছে কিংবা নীরব পাঠকের সংখ্যা বেড়েছে। লেখা ও তেমন আসছেনা। হয়তোবা সবাই ই ব্যস্ত।”…এগুলো নিয়েই কথা বলছিলাম আমাদের সিসিবির পরিচিত মুখ কামরুলের সাথে ইয়াহু মেসেঞ্জারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে। তারাবীহ শেষ করে রুমে ঢুকে ড্রেস চেঞ্জ না করেই কম্পিউটার অন করলাম। মেসেঞ্জারে কামরুলকে অন লাইন দেখে কথা বলার লোভ সামলাতে না পেরে নক করলাম। একবারো ভাবিনি যে কামরুল ফ্রি আছে কি নেই।
বিস্তারিত»আমাদের বাপ ও বেটারা
আমাদের ব্যাচে তিনজন স্যারের পোলা ছিল। তাদের মধ্যে ২জন স্যার আবার আমাদের ২ফর্মের ফর্ম মাস্টার ছিল। এই সুযোগটা কলেজ লাইফে আমরা বহু কাজে লাগিয়েছি। যে কোন আবদার (অন্য কথায় অন্যায় আবদার যাকে বলে ) করলে আমাদের স্যাররা তা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ব্যাচকে যদি কোন সিনিয়র বেশী পাংগাইছে তো তার খবর হইয়া গেছে…ইত্যাদি,ইত্যাদি,
যা হোক দুই ফর্মমাস্টার আবার বিপরীতধর্মী, একজনকে কিছু বললে,
বিস্তারিত»ইমরুলের জন্যে
সেটা ২০০০ সালের কথা। আমার মেডিকেলের ১ম দিন। তো হোস্টেলে উঠলাম বিকাল বেলা। ঘুরাঘুরি করছি, দেখি কেউ পরিচিত পাই কিনা। সিনিয়র বা ক্লাসমেট পাচ্ছি অনেক কিনতু কাউকেই তো আর চিনি না তাই কথা বলতে পারছি না। এভাবে সন্ধা হয়ে এলো, দম বন্ধ লাগছে। এভাবে কথা না বলে কতক্ষণ আর থাকা যায়? এসময় এক সিনিয়র রুম এ এলো পরিচিত হতে। আমি ক্যাডেট কলেজ থেকে শুনে বলল তিনি অন্য আরেক রুম এ আরেকজন পেয়েছেন ক্যাডেট কলেজের।
বিস্তারিত»ঠেলা
বুজতাসি ঠেলা কারে কয়। সকালে নয়টায় অফিসে আইসি, হারাদিন রোজা, সন্ধায় ইফতারির সময় খাইসি এক কাপ কফি। এহনো গনক মহাশয়ের সামনে বতাম টিপি। রাইত সাড়ে দশটা বাজে। কহন যে বাড়ী যামু? লগে আইজকা আবার বিড়ির পাকিট খান আনি নাই। ভাবছিলাম বাসাইয় গিয়া ত টানমুই। অহন খিদার চে লাগছে বিড়ির নিশা।
বিস্তারিত»আচার০০২: অণুকাব্য
বুকের ভেতর জমাট জল,
অকস্নাৎ নিহারকণা…
পাঁজরা ভাঙে, পাঁজরা ভাঙি।
টুপটাপ, তারপর নৈঃশব্দ।
ভীষণ ধ্বংসস্তূপের উদর হতে
বেরিয়ে আসেন কালপুরুষ।
গায়ে মেখে নয়া রোদ,
আবার গড়েন, হার না মানা,
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে অবোধ।।
(আমার সিরিজটার নাম তারেক ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করা। যখন শুরু করেছিলাম তখন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়নি, এখন করছি, ধন্যবাদ সহ।)
বিস্তারিত»টুশকি ৩
১. মোল্লা স্যার আমাদের কলেজের স্পোটর্স সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ক্যাডেটদের নিয়ে অংশ গ্রহন করতেন। নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে খেলোয়াড় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি ছিলেন অন্যতম ব্যক্তি। সেই মোল্লা স্যার আইসিসি কম্পিটিশনের জন্য প্রস্তুতিরত কলেজ ফুটবল টিমে সদ্য ক্লাস সেভেন থেকে এইটে উঠেছে এমন একজনকে নিয়ে নিলেন। ব্যাপারটা অভূতপূর্ব। এর কারণ আর কিছুই না,
বিস্তারিত»“কফি হাউসের সেই আড্ডাটা”
রংপুর ক্যাডেট কলেজের ২৭তম (২০০১-২০০৭) ইনটেকের বানানো “কফি হাউসের সেই আড্ডাটা” ভিডিওটার কপিরাইট অনুমতি নিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে দিলাম। কারন, অনেকের হয়ত .mp4 ফাইল থেকে ভিডিওটা দেখতে সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া, ইউটিউবে ভিডিওটা থাকলে সবার দেখতে সুবিধা হবে। নিচে ভিডিওটা দিলাম।
বিস্তারিত»ভিডিও পোস্টঃ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা…
প্রায় একবছর আগে সিসিবি’র যাত্রা হয়েছিল শুরু। পুরাটাই নিজস্ব স্বার্থে। আমাদের লেখার কোন জায়গা ছিল না। থাকলেও আমাদের বিষয়বস্তু একটু অন্যরকম হবার কারণে কমিউনিটি ব্লগে দেবার আগে দুই একবার ভাবতে হতো। পাহাড় সমান জমিয়ে রাখা স্মৃতিকথাগুলো আমরা তাই নিজেদের জায়গায় লেখা শুরু করলাম…
হতে পারে স্মৃতিকথা বেশীদিন লাগাতার হজম করা যায়না। লেখক, পাঠক সবারই একঘেয়ে লাগে। তাই আজ-অবদি আমরা অনেককেই পেয়েছি যারা হঠাৎ করে এসেছেন,
বিস্তারিত»ডাবল ক্যাডেট নম্বর এবং joining এর আগেই out
আমরা যারা ৯৬ এ কলেজে জয়েন করেছি তারাই মনে হয় ২ টা করে ক্যাডেট নং এর মালিক( সবাই না)। আমাদের ব্যাচ থেকেই নিয়ম হয় যে কেও দুই বার ভর্তি পরিখখা ( কিভাবে লেখে? ) দিতে পারবে না। তাই যারা finnaly chance পেয়েছিল তাদের মধ্যে যারা 2nd timer ছিল তাদের কে out করে দেয়া হয় ( কলেজে আসার আগেই 😀 ) বরিশাল এ আমরা select হয়েছিলাম ৫২ জন।ভর্তিও হয়েছিল ৫২ জন।
বিস্তারিত»দিল্লী ও ইসলামাবাদে বোমা হামলা
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে বৈচিত্র্য আনার জন্য আমি একটা নতুন উদ্যোগ নিচ্ছি। সবাই এ ব্যাপারে মতামত দিতে পারেন।
দেশ ও বিশ্বের সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকা সবার জন্যই জরুরি। আমরা ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মাধ্যমে সে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখতে পারি। তাই সাম্প্রতিক খবর নিয়ে ব্লগে কিছু লেখা আসলে মন্দ হয় না। আমিই শুরু করছি।
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ।
আমার ঘুমবেলা -১
এই ব্লগ এ লিখার কথা ভাবলেই কলেজের কত কথা মনে হয় লিখি…। কিন্তু আটকে যাই শুধু সেন্সরশিপ এর কথা ভেবে…কি করব , বয়সটাই এমন ছিল। ভবিষ্যতে কেউ অগ্রগামী হবে এই আশায় বসে আছি।
কলেজের যে আবেগটা এখনো ধরে রাখতে পেরেছি তা হল ঘুমের প্রতি সীমাহীন ভালবাসা । আহাঃ ক্লাস সেভেন এ তাকে কতই যে মিস করতাম, ভাবলে এখনো বুক থেকে একদলা ধোয়া বের হয় ।
বিস্তারিত»ক্যাডেট নম্বর!
যে কোন ক্যাডেটের প্রথম পরিচয় তাঁর ক্যাডেট নাম এবং নম্বর। ক্লাস সেভেনে কলেজে পা দিয়েই কলেজ থেকে পাওয়া এই দুটি জিনিসই যে কোন ক্যাডেটের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে ভাবে মিশে যায়। ক্যাডেট নম্বর টা অনেকটা ব্রান্ড এর মত-ওয়েস্টার্ন আমলে গরু বা ঘোড়ার পিছনে লোহা গরম করে যেমন দেয়া হত! কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাডেটদেরকে নম্বর দিয়ে কত সমস্যার সমাধান করেছে তার ইয়ত্তা নেই। অমুক সিনিয়র ক্লাস সেভেনের পাঁচজনকে ডেকেছেন-
কে কে যাবে?
প্রসংগ ক্যাডেট কলেজঃপ্রত্যাশা ও বাস্তবতা
(লেখাটি মেহেদী ভাইয়ের পোস্টের মন্তব্য হিসেবে দিতে গিয়ে দেখলাম বড় হয়ে যাচ্ছে,তাই আলাদা করে দিলাম।এখানে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিমত তুলে ধরছি।একে শ্রদ্ধেয় মেহেদী ভাইয়ের লেখার পাল্টা জবাব বা এ জাতীয় কিছু হিসেবে না নেবার অনুরোধ করছি সবাইকে,বরং উনার সুপাঠ্য লেখাটি পড়ে আমার ব্যক্তিগত মতামতের প্রকাশ ঘটেছে এখানে।যে কোন ধরণের সমালোচনা সাদরে আমন্ত্রিত।)
ক্যাডেট কলেজ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কিছু মেধাবী সন্তানকে সঠিক পরিচর্যা প্রদান করতে আমাদের দরিদ্র মাতৃভূমি তার কষ্টার্জিত অর্থ অকাতরে ব্যয করে ।মনে পড়ে,
বিস্তারিত»২ = ৪
আমাদের ব্যাচের একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ক্লাস এইটে পড়া অবস্থায় একবার অঙ্কের হাই স্যারকে প্রমান করেছিল যে ২ = ৪। নিম্নে তার প্রমাণ দেয়া হল।( ^ দিয়ে পাওয়ার এবং * দিয়ে গুনন বুঝান হয়ছে।)
মনে করি a=2;
a^2-a^2=(a+a)*(a-a) [ যেহেতু a^2-b^2= (a+b)*(a-b)]
a*(a-a)=(a+a)*(a-a) [উভয় পক্ষে (a-a) কমন]
a=a+a
2=2+2
২ = ৪ (প্রমাণিত)
ক্লাস এইটে এই প্রমান আমাদের মুগ্ধ করেছিল।
বিস্তারিত»