কিছুদিন আগে কলেজে জয়েন করলাম! অন্য ছেলেমেয়েদের চেয়ে একেবারে ভিন্ন আমাদের কলেজ জীবনের প্রথম দিনের অনন্য অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম আমার ডায়েরীতে। সেখান থেকে আমার পোস্ট!
২০-০৭-২০০৮
একটি নতুন জীবনে প্রবেশ করলাম আজ।এস.এস.সি.’র বিশাল এক ভ্যাকেশন শেষে কলেজে জয়েন করলাম!আমাদের নবীনবরণটা চমৎকার হয়েছে। কলেজ গেটে আমরা ৩০ জনের মত দাঁড়িয়ে ছিলাম,বাকিদের আসার অপেক্ষায়!
এমন সময় কবীর স্টাফ কোত্থেকে এল,এসে আমাদের উপর সেকী ঝাড়ি!-কেলাস ইলিভেন,বাইরে দাড়ায়া আড্ডা মারতেস?এইডা আড্ডার জায়গা?”
আমরা সমস্বরে প্রতিবাদ জানালাম,স্টাফ একটু! সবাই আসুক,তারপর সবাই একসাথে ঢোকব।
-কী,বিট্রে করতেস,ক্লাস ইলিভেন,কলেজে আসতে না আসতে পাঙ্খা গজায়া গেসে? দাঁড়াও তোমাদের এই পাঙ্খা আমি ভাঙ্গতেসি! যাও,যাও ভেতরে।
কি আর করার! গেলাম! ব্যাগ চেকিং হল। সেখানেও মুসিবত! এত কষ্টে ঠেলেঠুলে ব্যাগে জিনিসপত্র রেখেছিলাম,সব একেবারে আউলা-ঝাউলা করে ফেললো! তন্নতন্ন করে খোজা শেষে সি এস এম চুল কাটা দেখতে এলো। গত তিন মাসের বাড়ন্ত চুল! ক্লাসমেটদের দেখানোর জন্য কলেজে বড় চুল নিয়ে গিয়েছি। কোন দিন তো আমার এত বড় চুল দেখে নি! স্টাফের দিকে অপরাধী দৃষ্টিতে তাকাতেই স্টাফ বললো ”চুল দেখে তো ক্যাডেট বইল্যা মনে হয় না। চুল এত বড় কেন?”
-স্টাফ গতকাল মনে ছিলনা। সকালে আসার আগে দেখি বারবার নাই!
এ কথাশুনে স্টাফ একেবারে গর্জে উঠলেন,বারবার ছিলনা? তাইলে নিজে কাইট্যা ফেলতা। আমি এইসব শুনব না। যাও,২ডা ED!
-স্টাফ প্লিজ, সত্যি আমার মনে ছিল না। আর হবে না স্টাফ!
-আর হওয়াও লাগবে না। ED খেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
থাক,কিচ্ছু হবেনা। মাত্র ২টা ED. Medical Check up শেষ করে হাউজে গেলাম সবাই! নোটিস বোর্ডে গিয়ে দেখি আমার নতুন রুম নম্বর ৯। রুমমেট সাকিব আর তাহসিন।আমাদের সবাই তখনো আসে নি। আমার রুমমেট দুজনেই আসা বাকি। সাকিব কুমিল্লার ছেলে।শেষ মুহুর্তে আসবে জানি।যাই হোক,গেলাম উন্য রুমে সবার সাথে দেখা করতে। শুরু হয়ে গেল আড্ডা। একেবারে জম্পেশ আড্ডা! গত ভ্যাকেশনে কে কোন সিনেমাটা দেখেছে,কোন নায়িকাকে কোন সিনেমাতে বস লেগেছে,কে কোন মেয়ের সাথে পরিচিত হয়েছে,কার সাথে কার প্রেম হয়েছে………এই আর কি!
আড্ডা চলতে চলতে মাগরিবের আজান পড়ে গেছে। সবাই ঘোষণা দিলাম,কেউ আজ মস্কে যাব না। এখনো গোসলই হয় নি। ব্যাগ থেকে সব বের করতে হবে। এইসব বলে দ্বিতীয় প্রস্থ আড্ডার প্রস্তুতি নিয়েছি। এমন সময় ডিউটি ক্যাডেট এসে উপস্থিত,ভাইয়া,রাখাল স্যার নিচে দাড়িয়ে,সবাইকে টি ব্রেকে যেতে বলছ। তো আর কি করার,অগত্যা সবাইকে পাঞ্জাবী-পাজামা পরে যেতে হলো। টি ব্রেক শেষে হাউজে আসলাম! আমাদের প্রেপ নেই! ধীরেধীরে অলস হাতে সব গুছিয়ে নিলাম!ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা। সাড়ে আটটায় ডিনার শেষে ঘুরে বেড়ালাম সব হাউজে। দশটায় সব ক্যাডেটরা প্রেপ শেষ করে আসলে টিভি রুমে ঢোকলাম। এগারোটা রুমে এসে অবসন্ন দেহে বিছানা গা এলিয়ে দিলাম। তারপর শুরু হল রুমমেটদের সাথে গল্প।বাসায় থেকে রাত জাগার অভ্যাস হয়ে গেছে। জানি ঘুম আসতে অনেক দেরী। আমরা তিন রুমমেট মিলে হানা দিলাম পাশের রুমে। আবারো বসলো আড্ডা। সেই সাথে গীটার নিয়ে গান। এভাবে চলছে! হঠাৎ রাত দেড়টার দিকে দেখি রুমের ভেতর টর্চের আলো। তাকিয়ে দেখি ডিউটিমাস্টার স্যার। কোনোমতে আমরা যারা অন্য রুমের ছিলামসবাই মিলে অন্যপাশের দরোজা দিয়ে হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে এলাম। সোজা বেড কভারের নিচে! কিছুক্ষণ পর পাশের রুমের খবর নিতে গিয়ে শুনি,স্যার সবার নাম নোট করে নিয়ে গেছে।আগামীকাল ভিপি অফিসে যাবে,আমাদের ভিপি রাখাল স্যার। প্রচন্ড কড়া মানুষ! তাড়াতাড়ি সবাই মিলে গেলাম DM রুমে। স্যারকে ডেকে মাফ টাফ চেয়ে নিলাম। রুমে এসে দেখি আর কারও আড্ডা দেবার জোস নাই। অনেকে বিছানায় চলে গেছে !কী আর করার! আমিও ডায়েরী নিয়ে বসলাম। এখন ঘুমুতে যাবো!!!!!
একজন প্রেজেন্ট ক্যাডেট পাওয়া গেল, সাবাস :clap: । এই এক্সদের দলে তোমার মত লোকদেরই দরকার। চালায়া যাও, লেখা ভালো লাগছে।
এই ব্লগে তুমিই মনে হয় একমাত্র প্রেজেন্ট ক্যাডেট!!
ব্লগে স্বাগতম 🙂
কলেজ লাইফ কেমন যাচ্ছে?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ক্লাস ইলেভেনে যেমন যায় আর কি!
কারেন্ট এফেয়ার্স,এক্সারশনজনিত বহুমুখী সমস্যা,সেইসাথে কলেজের সবচেয়ে ইন্ডিসিপ্লিন ক্লাসের যেমন যাওয়ার কথা তেমন ই!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
যাক......রানিং ক্যাডেট থাকাতে আর জম্বে।
আর হ্যা......তোমাদের তালুকদার স্যার ক্লাস নেন নাকি?
উনার ভলিউম কমসে?
আমি ভাই আর্টসে,তালুকদার স্যারের ক্লাস করি না!!!
তবে উনি বোধহয় গ্রাউন্ডেই একটু বেশী ইজি।আমাদের তো এথলেটিক্সে ফার্স্ট বানায়া দিল,ফুটবলে থার্ড।আমাদের লিডিং এ বোধহয় ভলি বাস্কেট আর ওনি ও আই সি
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
চলুক ভাই...
ইলেভেনটা আসলে স্বর্ণযুগ। ঠিক মতো মজা কইরা নিও।
আর নামটা বাংলা করে দেও।
ইস ক্লাশ সেভেনে(১৯৯৭) থাকতে আমি আর পাশের বেডের নাসির প্রতিদিন হিসাব করতাম কবে ২০০১ সাল আসবে, আমরা ক্লাস ইলেভেনে ঊঠব...
সেই ক্লাশ ইলেভেন কত আগে পার করে ফেলেছি।কলেজ থেকে বের হয়েছিও আজ থেকে ৫ বছর আগে।
দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না, সেই যে আমার নানা রংএর দিনগুলি...
ভাই শাহরিয়ার, পারলে একটা কাজ কর তো ভাইয়া, অভ্র সফটওয়্যারটা পেন ড্রাইভে করে কলেজে নিয়ে যেও।কলেজে বসে ফাঁকে ফাঁকে একটা দুইটা ব্লগ লিখে পোস্ট কর এখানে(জানি টাইট শিডিউল, কিন্তু ক্লাস ইলেভেন যেহেতু, ফাঁকিঝুঁকি দিয়ে সময় বের করতে পারবে আশা করি)।
তোমার ব্লগই হবে এ ব্লগের প্রথম "লাইভ" লেখা।তুমি কলেজে থাকতেই কলেজের কথা জীবন্ত ভাবে শুনতে পারবো।এই যেমন, আজ সকালে কোন স্টাফ হিট একটা ডায়ালগ দিলো,গতকাল বিকালে কোন স্যারের নতুন কোন নাম আবিষ্কৃত হল,ইন্সপেকশনে কিভাবে অল্পের জন্য ধরা খেতে খেতে বেঁচে গেলা...
আমরা তো লিখি স্মৃতি থেকে, তুমি লিখে ফেলো সরাসরি জীবন থেকে। দুর্দান্ত হবে নিশ্চই! আমরা সবাই চাতক পাখির মত অপেক্ষা করব কলেজের খবর শুনতে...
সব কলেজে কি নেট দিসে নাকি? ক্যাডেটরা ব্যাবহার করতে পারে? 😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
শাহরিয়ার কোন হাউজের?
ফুয়াদ তোর ছবিটা ডিলিট করে আরেকটা লাগা। আর এক্সটেনশনে .JPG না দিয়া .jpg দে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মেঘনা!!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
😀 :clap:
শাহরিয়ার ই তো মনে হচ্ছে ব্লগের জুনিয়র মোস্ট মেম্বার...।
ব্লগে তোমাকে স্বাগতম। :hug:
মাসরুফ যেটা বলেছে সেটা যদি করা যায়, তবে খুবই ভালো হবে। facilities কতটুকু আছে কলেজে, সেটা একটা ফ্যাক্টর।
ভালো থেকো ভাইয়া।
ধন্যবাদ,ভাইয়া!
কলেজে তো নেট দিসে,সবগুলোতে না অবশ্য!কিন্তু আমাদের প্রব্লেম তো কম্পিউটারের যে ল্যাব এসিস্টেন্ট।যা জ্বালায়!!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আখন্দ িময়া নাকি?? :)) :))
হ্যা,আমরা তো ঠিক করসি দাড়িওয়ালা রে গলাকাটা নেংটা ছবি মেইল করবো!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
:))
ব্লগে স্বাগতম জুনিয়র মেম্বার। অনেক হাসলাম,যতটা না তোমার লেখা লেখা পইড়া তার থেকে বেশি রাখালের নাম দেইখ্যা। দাড়াও রাখাল রে নিয়া পোস্ট দিতেছি।
রাখাল ভিপি হইছে কবে? সে কী তোমাদের অভিশাপ দেয়? 😀
ভাইয়া, কোন হাউস? আমি মেঘনা তে ছিলাম।
আমিও ভাই ব্লু ব্লাডেড মেঘনা!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আবার জিগায়!!!!
আমাদের আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে চলে আসছে,তারে তো একেবারে মাইরে ফেলসে!!!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
🙂
স্যামরে মনে হয় রোজায় ধরসে। সবখানে দেখি খালি স্মাইলি দিয়া কাম সারতেসে 😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হ তোমারে বলসে
আজকে কি দিয়া ইফতারী করালা? পেপেসি? 😀 O:-)
হায় হায় কলেজ এত এগিয়ে গেছে? ইন্টারনেট কলেজএ? ভাবতে পারতেছি না ব্যাপারটা ঠিক মতন। আমাদের সময় বিরাট বিরাট ওয়াকম্যানই ছিল বিরাট ব্যাপার!
ইন্টারনেট আছে,ইউজ করলে কারো কোনো সমস্যা নাই।কিন্তু দাড়িওয়ালা আকন্দ যেমনে চিল্লায় তাতে তো মাথা খারাপ হয়ে যায়!ঊনি আবার কম্পিঊটারকে ডাকে "মিশিন"।তাই অইডার নাম দিসে ক্যাডেটরা "মিশিনম্যান"!!!
'মেশিন' শব্দটার আর কত ব্যবহার দেখতে হবে কে জানে???
ধইরা নিলাম আখন্দ মিয়ার কাছে কম্পুটার গুলো খুব প্রিয়...এতই প্রিয় অগুলো তার নিজের বলে মনে করে...
তাইলে পোলাপাইনডি যখন কম্পুটার বেশি গুতায় বা নাড়াচাড়া করে তহন হেয় কি কয়...???
'অই আমার মিশিন নিয়া নাড়াচাড়া/গুতায় কে??????? 😀 😀 😀
আর কম্পুটারে সিডি ঢুকাইতে দেখেল??? :-/
=)) =))
=)) =))
হুম্ম।
সরাসরি সম্প্রচার...
সাবাশ ! :clap:
আহ!
ক্লাস ইলেভেন--- Ocean Eleven!! 😉
অনেক শুভেচ্ছা।
সৈয়দ সাফী
শাহরিয়ার,
ভাল লিখছ।
মেঘনার ক্যাডেট শুনে আরো ভাল লাগল। লেখা চালায় যাও।
হাসনাইন ভাই,কি খবর?
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
এই ব্লগে তুমিই মনে হয় একমাত্র প্রেজেন্ট ক্যাডেট!!
ব্লগে স্বাগতম
আখন্দ গন্ধ কামন আছে?...এখন কি সারাদিন মুজার গন্ধ পায় নাকি?
কোন আখন্দ? ফখর উদ্দিন আখন্দ? ব্যালাডি চ্যাপ..
ছি ছি ছি, রোজার দিনে কি খারাপ কথা! :grr: আস্তাগফিরুল্লাহ
কলেজের লাইভ লেখা...।জোস......ডেইলি আপডেট লিখ। ভাল লাগছে। 🙂
কেবলতো শুরু। আগের 4 বছরের সাথে 11 লাইফ এর পার্থক্য কি নিজেই বুঝবা ।
11 লাইফ iz worst among 6 years u'll pass.....
আইহাই আমার কাছে তো ১১ লাইফ বেশ ভালাই কাটসে... 🙁
কাটবোই তো,আপনাদের সময়টা কি মদন যূগের????
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
ওই বেটা মদন জুগের হইব কেন?কেলাস ইলেভেনে রাজকীয় ভাব বালা লাগেনা?
"পাংখা ক্যাডেট"
সাবাস ব্রাদার, তোমার এপিসোড সম্প্রচারের অপেক্ষায় থাকলাম।
Life is Mad.
অনেক দেরীতে এই লেখা পড়লাম।
পুরোনো দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে।
:thumbup:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
সিসিবিতে এইটা আমার প্রথম পোস্ট ছিল! 🙂
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
হুট করে গল্প শেষ কইরা দিলা ক্যান ভাই...? আরো দুইটা ED... :gulli2: :chup: :chup:
Anyway লিখে যাও... Best Of Luck..... 🙂