পরাটা এবং পুডিং … উল্টা চিত্র!

প্রথমেই বলে নেই এটা আমার প্রথম লেখা, আর এর আগে কথাও এক-দুই লাইন ও লিখে দেখিনি,  লেখাটি পড়ার সময় এ কথা মনে রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
পরাটা ও পুডিং এর অনেক প্রশংসা শুনলাম, আমার নিজের ও খুব ভাল লাগত, এ ছাড়াও আরও অনেক meal ছিল যা ভাল লাগত, কিন্তু এরকম ও কিছু meal ছিল যা মুখেও দেওয়া যেত না। আমার ব্যক্তিগত ভাবে সবচেয়ে অপছন্দ ছিল ব্রেড ( অবশ্যই ব্রেকফাস্ট এর টা,

বিস্তারিত»

আজ আমি বাড়ি যাচ্ছি…!!!

(আমার এই লেখাটা আমি শফি ভাইকে উত্সর্গ করছি…ওনার পোস্ট পড়তে গিয়েই আমার মাথায় এটার আইডিয়া আসে। যদি লোকজনের ভাল লাগে তাইলে কুন কথা নাই…যদি খারাপ লাগে তাইলে সব দোষ শফি ভাইয়ের! আমি লিখতে পারি না, এইডা যতই সত্য হোক মানবো না…!!)

সকাল থেকেই মনটা আমার আজ খুব ফুরফুরে…প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কেন…আচ্ছা, আজ কি বৃহঃস্পতিবার?? ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ রাখতেই দেখলাম জ্বলজ্বল করছে ১০ই মে ২০৪২,

বিস্তারিত»

পরাটা ও পুডিং … ডাইনিং হল সমাচার

তৌফিকের পরাটা আর পুডিং এর পোস্ট পড়ে রোজার অবস্থা টাইট। মন আনচান করছে কলেজের সেই শক্ত, চামড়ার মত অসীম স্থিতিস্হাপক পরাটাগুলার জন্য। ভেবেছিলাম পোস্টের কমেন্টে কিছু স্মৃতি যোগ করব। পরে স্মৃতির ভিড় এতই বেশি যে পুরো পোষ্টই অবতারনা করলাম ।

কলেজে ক্লাস সেভেনে এসে পরাটার পুরো মাহাত্ম বুঝতে পারিনি। কলেজে এসেই জানতে পারলাম এমন কিম্ভুত, ঠান্ডা, স্থিতিস্থাপক জিনিসটা যে পরাটার মত সুস্বাদু জিনিসটার নাম ধারন করে বসে আছে ।

বিস্তারিত»

নভিসেস প্যারেডের স্মৃতিঃ

(এই লেখাটি সামহোয়ারইনের পাঠকদের জন্যে লিখেছিলাম।এখানেও দিয়ে দিচ্ছি এ কারণে যাতে নভিসেস প্যারেড নিয়ে মজার ঘটনাগুলো নিয়ে পাঠকেরা কমেন্ট করেন।ব্লগটি না পড়লেও চলবে কারণ এখানে এমন কিছু লিখিনি যা আপনাদের অজানা।মূলত সাধারণ পাঠকদের ক্যাডেট কলেজ নিয়া ধারণা দেবার জন্যেই এর জন্ম)

নভিসেস প্যারেড ক্যাডেট কলেজের প্রতিটি ক্যাডেটের জীবনে নিঃসন্দেহে অন্যতম স্মরণীয় একটি দিন।সেনাবাহিনীতে যেমন পাসিং আউট প্যারেড,সেই মাত্রায় না হলেও ক্যাডেট জীবনে ক্লাস সেভেনের একজন ক্যাডেটের কাছে নভিসেস প্যারেডের গুরুত্ব কম নয় কোন অংশেই।আমার আজকের ব্লগ সেই নভিসেস প্যারেডের অম্ল-মধুর স্মৃতি নিয়েই।

বিস্তারিত»

ধরা..

আমাদের ব্যাচের ছোট খাট সাইজের ইমরানের নাম ছিল “ধরা”। কারন ও কিছু করলেই ৯০ ভাগ সময় ধরা খেত, এমনকি কোন ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু করলেও বেচারার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হত। আমরা তখন নতুন ইলেভেনে…তখন আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন সদ্য বি.এম.এ ফেরত একজন স্টাফ (কোন কোন কলেজের ওস্তাদজী )। যা হোক সে সেই সাইজের স্টাফ। তার দশাশই সাইজের কারনে আমরা তাকে আদর(!)করে ডাকতাম “পটল” বলে। যারা ডিফেন্সে তারা ভাল বুঝতে পারবেন,

বিস্তারিত»

১৯ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…

মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার!

সে আমার বন্ধু ছিল।

তার নামে উঠতো গেয়ে নাম না জানা পাখি,

তার টানে রঙ্গীন ফুলে বসতো যে প্রজাপতি।

তার পানে চলতো ধেয়ে চঞ্চলা স্রোতস্বিনী,

তার ধ্যানে ঘন অরন্যে চলতো কানাকানি ।

তার ছন্দে ঝংকারিতো পায়ের নুপুর রিনিঝিনি,

তার ইশারায় ব্যক্ত হতো এ জীবনের হাতছানি…।

সেই যে আমার বন্ধু ছিল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট আমি আমার কেন পাখির মত মন ….

আমার লেখা পড়ার হাতে খড়ি আমার মেজ মামার হাতে। মামার হাত ধরেই আমার শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে সেরা অর্জন-ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পারা। গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশুনা করে ক্যাডেট কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারা বোর্ডে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। আমাদের এলাকায় খবরের কাগজ পড়ার অভ্যেস হাতে গোনা কয়েকটা পরিবারের মধ্যে ততদিনে গড়ে উঠেছে। তাও পাচ কিলোমিটার রাস্তা হেটে যেয়ে লঞ্চ ঘাটে সিরিয়াল দিয়ে বসে থেকে একটা খবরের কাগজ পাওয়া যেত।

বিস্তারিত»

টুশকি ২

টুশকি [১] [৩]

১. ক্লাস সেভেনের ফয়সালের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হাতঘড়ি সিজ করার পর জুনিয়র প্রিফেক্ট আরাফাত ভাইয়ের মন্তব্য, “ঘড়ি তো ঘোড়া হয়ে গেছে ফয়সাল”।

২. সাইফুল ইসলাম স্যার (বাংলা) কক্ষনও ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতেন না। অহর্ণিশ আমরা যেসব ইংরেজি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করি উনি তাও করতেন না। যেমন:
“আমাকে একটা লৌহ গোলকযুক্ত কলম (বলপেন) দাও তো”।

বিস্তারিত»

শিরোনাম নাই!

তোমাদের কোলাহল ছেড়ে-
বহুদূরে যেতে চাই
নোংরা ধ্বংসস্তুপে পঁচতে চাই না আর!
থাকতে চাই না আর-
এই ধূলোর নগরে,
স্বার্থপর কলুষিত পতঙ্গের মত মানুষের মাঝে!

দূষিত শহর ছেড়ে দূরে চলে যাব
আকাশের পথ ধরে,
যেখানে নক্ষত্ররা মরে যায়
লাশ হয়ে থাকা নক্ষত্রের শহরে!

নির্জন একাকিত্বে-
যেখানে কেউ নাই আর,
আমি ছাড়া-সব মিথ্যে!

বিস্তারিত»

A-ve Blood Needed

Dear All

Our friend Morshed’s (BCC-450) father had a fatal road accident yesterday and is admitted to Bangladesh Medical College ICU. He needs blood immediately , blood group: A -ve. I plea to stand by his side those who have A-ve blood group. Contact Morshed @ 01716882606.Thanks.

Regards,

Shafi.

বিস্তারিত»

আমার প্রথম ভালোবাসা

(শুরুর কথাঃ ক্যাডেট কলেজের প্রাতঃরাশে মাথাপিছু পরোটা বরাদ্দ থাকত তিনটা। ক্লাস সেভেনে লিকেলিকে শরীরের পেটরোগা আমি সবগুলো খেতে পারতাম না। ২৯ তম ব্যাচের শ্রদ্ধেয় বড়ভাই ও তৎকালীন টেবিল লিডার আবুল হোসেন ভাই ব্যাপারটি খেয়াল করলেন। ফরমান জারি করলেন, এখন থেকে আমার চারটা খেতে হবে, তার একটা সহ। আমার ভালোবাসার শুরু এখানেই।)

সকালবেলা পিটির পর গোসল সেরে যখন খাকি ড্রেসটা পরতাম মনে হত, দুনিয়া খেয়ে ফেলি।

বিস্তারিত»

এই পথ যেন না শেষ হয়…

দুই হাজারেরও কিছু বেশি দিন ক্যাডেট কলেজে কাটাইয়া আসিবার পরও আমার কেবলই মনে হইতে লাগিলো -ইস, আরেকবার ফিরিয়া গিয়া আরো দুই হাজার দিন থাকিয়া আসিতে পারিলে বেশ হইতো। কিন্তু এই জীবনে তাহা আর হইবার নয়। আমার বুক ফাটিয়া কেবলই কান্দন আসিতে লাগিলো। হায় আমি একি হেরিলাম।

তার পর বহু বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। চা বাগান আর পাহাড় ঘেরা সেই ছাপ্পান্ন একর স্থানে থাকিতে আমার দুই কর্ণের উপরে যেইখানে কেশরাজির আভাস মাত্র ছিলোনা,

বিস্তারিত»

১২ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…

মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার

জ্ঞান হবার পর থেকেই
আমার ছোট্ট পৃথিবীতে
রাজ্যের দুষ্টুমি আর
ছেলেমানুষির একান্ত সহচর
আমার প্রিয় বন্ধু তুই একজন।

স্কুলে পাশাপাশি বেঞ্চিতে বসে
অংক স্যারের ক্লাসে আমার খাতায়
তোর আঁকা দুর্দান্ত সব স্কেচ গুলি
আজও এতোটাই জীবন্ত যে
মাঝে মাঝে ভুলতে বসি
ক্যালেন্ডারে সময়ের হিসাব।

হাই স্কুলে পা দিয়েই লুকিয়ে
আমাদের প্রথম সিগারেটে টান,

বিস্তারিত»

এম.জি.সি.সি………………২

সে শুধু আশায় বুক বেধে ক্ষান্ত দেয়নি। অন্য কিছু পথও অবলম্বন করা শুরু করলো…যেমন আগে আগে হাউসে এসে হাউসঅফিসে চিঠি স্যারদের আগে চেক করা। হাউসবেয়ারাকে ম্যানেজ করে হাউসমাষ্টারের টেবিলের ড্রয়ার চেক করা….ইত্যাদি। মোট কথা তার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব সে তার শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ফলাফল শূণ্য…………………

মাঝে মাঝে তাকে আমরা তার সেই বিখ্যাত I.C.C.L.M এর কাপুনি দেয়া গানটি গায়তে বলতাম,

বিস্তারিত»

নতুন করে জুনিয়র হতে হল !!!!!!!!!!!!!!!!!

আমাদের শাহরিয়ার এর দুরদশা দেখে শিক্ষা পেয়ে গেছি। আর এই ক্যাডেট কলেজ ব্লগে তো এখন রীতিমত ভীত সন্তস্ত্র হয়ে আছি। আল্লাহই জানেন কখন আবার সিনিয়র ভাই এর ডাক পড়ে আর ফল্ট এর জন্য পানিশমেন্ট 🙁 খেতে হয়। কারন কলেজ়ে ক্লাস ইলেভেন :grr: অনেক সিনিয়র ক্লাস হলেও এখানে তো পুরা বাচ্চা। এখন তো ব্লগটাও পোস্ট করতে গিয়ে মনে হচ্ছে এর জন্য কত রকমের পানিশমেন্ট যে খেতে হবে!!!

বিস্তারিত»