বছরের বিভিন্ন সময় ইংরেজীর খেতাব স্যারের উতপাত বেড়ে যেত। বিশেষ করে আমাদের রংপুর ক্যাডেট কলেজের ইংরেজী বার্ষিক পত্রিকা sprout প্রকাশের আগে আগে। স্যার যাকে কাছে পেতেন তাকেই ইংরেজী কবিতা অথবা কিছু একটা লিখা দেয়ার জন্য অনুরোধ করতেন। বেশিরভাগ সময় অবশ্য অনুরোধ না করে আদেশ করতেন। বিশেষ করে জুনিয়র ক্লাসের ক্যাডেটদের বেশি আদেশ করতেন লিখা দেয়ার জন্য। স্যার একবার মান্নানকে sprout এর জন্য কবিতা লিখতে বলেছিল।
বিস্তারিত»স্কিন টাইট গরু আর অ্যাথলেট মুরগি……
ব্লগ এ একটা লেখা পরে হঠাত কলেজের ঘটনাটি মনে পড়ল । যুক্তি সঙ্গত কারণ এবং শারীরিক অবস্থা দেখে আমরা আমাদের মেসের গরুগুলোকে ডাকতাম স্কিন টাইট গরু আর মুরগি গুলোকে অ্যাথলেট মুরগি । আমাদের কলেজের হাসপাতাল এবং কসাইখানার মধ্যে দুরত্ব হবে বড়জোর এক কিলোমিটার । একদিন গরু এর পরিবর্তে অন্য কারি দেওয়ায় আমরা একটু অবাক ই হই । তারপরই অবশ্য কলেজ ডি কে অনেক কষ্টে তার হাসি থামালে আসল কাহিনি জানতে পারি ।
বিস্তারিত»বন্ধু এবং বিশ্বাস……(পূনশ্চ.)
ভেবেছিলাম আর কোনোদিন লিখব না। কিন্তু আমার লেখায় কামরুল এর মন্তব্য বাধ্য করলো। কামরুল এর কিছু লাইন এর উত্তর দেয়া খুব জরুরী মনে করছি। নাহলে হয়তো কিছু ব্যাপার এর মানে অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। প্রথমেই বলে রাখি, আমার বন্ধু এবং বিশ্বাস লেখাটা আমি কিন্তু কারো প্রতি অভিযোগ বা কাউকে খারাপ দেখানোর জন্য লেখি নাই। শুধু মনের কিছু কথা জানাতে চেয়েছিলাম। এইবার কামরুল এর কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া মনে হয় দরকার।
বিস্তারিত»নাম দিয়ে যায় চেনা…
সাম্প্রতিক সময়ে সি সি বি র সদস্য এবং লেখক সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে সদস্যদের নাম নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে সম্বোধনের ক্ষেত্রে। কারণ আমরা জানি ক্যাডেট কলেজগুলোতে একই নামের একাধিক ক্যাডেট এর খোঁজ পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আর সি সি বি যেহেতু ক্যাডেট এবং এক্স ক্যাডেটদেরই ব্লগ যেখানে দশ ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেট এবং এক্স ক্যাডেটরা রয়েছেন ফলে একই নামের একাধিক ক্যাডেট এর সংখ্যা স্বাভাবিকভাবে এখানেও বেড়ে যাচ্ছে।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজঃ প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
[ক্যাডেট কলেজ কে আমি মসজিদের মত পবিত্র মনে করি। কিন্তু সেখানকার সব মানুষগুলোকে নয়। ক্যাডেট কলেজ এর প্রত্যাশা ও বাস্তবতা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি, তুলে ধরতে চেয়েছি কিছু উদাহরন। তবে সব তথ্য প্রমানিত নয়। অনেক কিছু স্মৃতি থেকে লেখা, তাই ভুল হলে, ক্ষমা প্রাথী। আর ক্যডেট কলেজ বা কোনো ক্যডেট কে হেয় করতে চাইনি, তার পরেও কেউ কষ্ট পেলে, ক্ষমা চাই বার বার । আর লেখাটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত,
বিস্তারিত»তারা আমাদের সিনিয়র ক্লাশ এইট…..
ভাইরা তোমরা কোথায় আছো? কেমন আছো?যে যেখানে থাকো ভালো আছো তো? এখানে আমরা আমাদের জীবনের ছয়টা বছরের নানা সুখ,দু:খ,আনন্দ বেদনার কথা বলি, বিশেষ করে ক্লাশমেটদের সাথে আমাদের যাপিত-দিনলিপি, একজন ক্যাডেট হয়ে বেড়ে ওঠার কাহিনী, ডাইনিং এর কাহিনী,কলেজের প্রতিটি ইমারতের, মুর্হুতের কাহিনী, কত না স্মৃতি আমাদের এই জীবনে………..।
কিন্তু একবারো কি আমি পিছনে ফিরে তাকাই? আমি কিভাবে এই ক্যাডেট লাইফ পেলাম? কি ভাবে আমি কলেজের নিয়ম কানুন শিখলাম?
বিস্তারিত»কলেজের বন্ধুরা
তীব্র ব্যাস্ততার মাঝে মাঝে যখন একটু সময় পাই প্রায়ই পিছনে ফিরে পুরনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়াই । আপনা আপনি একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে আবার মুহুর্তেই বাতাসে মিলিয়ে যায় । সেই দিনগুলোর কথা কি করে ভুলি ?
সালেহীনের নাটকে প্রাপ্তবয়স্কদের পত্রিকা কেনার অভিনয় করে বিশেষ ( !! ) পুরস্কার পাওয়া । আরিফের হঠাৎ হঠাৎ হুজুর হয়ে যাওয়া আবার দুই দিন পরেই রসময় দা’র উপন্যাসের খোঁজে পোলাপাইনের নিকট ধর্না দেওয়া ।
বিস্তারিত»বন্ধু এবং বিশ্বাস……(শেষ পর্ব)
ধন্যবাদ সবাইকে। আমি ভাবি নাই আমার একটা লিখা এতো সাড়া পাবে। তাও আবার একটা স্পাই নিয়ে লিখে। যারা আমার প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছেন তাদের কে ধন্যবাদ। ভেবেছিলাম ওইটাই হবে আমার প্রথম ও শেষ লেখা। কিন্তু এতো সাড়া পাবার পর ফিনিশিং না দিয়ে পারলাম না।
যারা আমাকে মন্তব্য দিয়েছেন তাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। আমি এই ব্লগের নীরব পাঠক ছিলাম, ইনশাল্লাহ থাকবো। আহসান ভাই, মাশরুফ,
বিস্তারিত»ভূমিকম্প
লোকমুখে শুনলাম কাল ইফতারের আগে এবং আজান দেবার পরপরই মোট তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে ঢাকাতে। বাংলাদেশে আমার ভূমিকম্পের তেমন কোন স্মৃতি আমার মনে পরে না। অনেক ছোট থাকতে (১৯৮৮ সালের দিকে) একবার ভূমিকম্পের কথা অস্পস্ট মনে আছে কিছুটা। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ এর সুনামীর ভূমিকম্প বাংলাদেশে অনুভুত হয় সকাল ৮ টার দিকে। আমার সকাল ৮ তার ঘুমের তীব্রতা ছিল সেবারের ভুমিকম্পের চেয়ে বেশি, তাই সেবারের ভুমিকম্পও আমার টের পাওয়া হয়নি।
বিস্তারিত»অতঃপর-২
যাহারা আমার পুর্বের লেখাটি পড়িয়াছেন তাহাদের জন্য বলিতাছি…এই কাহিনীটি পুর্বের ন্যায় বাথরুম সংক্রান্তই……
কত মজার কাহিনীই না আছে এই বাথরুম ঘিরিয়া । যাহারা ক্যাডেট কলেজে পড়িয়াছেন তাহারাই বুঝিবেন । আজকে যে কাহিনীটা বলিব উহা আমার অতীব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর তিক্তময় অভিজ্ঞতার কাহিনী । নামটা নাহয় নাই বললাম । কারন বেচারা বর্তমানে আমার মতই হাটু বাহিনীতে কর্মরত কিনা…
যাই হোক ঘটনাটা হইল এইরুপ …
বিস্তারিত»একটি আজাইরা ইফতার ……
গতকাল আলসেমিতে আর অফিস যাওয়া হয়নি। দুপুর বেলা বস এর ফোন, আজকেও নাকি অফিস ছুটি। টানা দুই দিন ছুটি এই খুশি তে আবার ঘুম দিলাম। আজ একটা ইফতারের দাওয়াত আছে। মুরতাজা ভাইয়ের ক্ষূদ্রনরম কোম্পানি তে। নামে ক্ষূদ্র হলেও এদের অফিস শহরের সবচেয়ে উচচ ভবনে। এই ভবন এক সময় দুনিয়ার সবচেয়ে উচূ ভবন ছিল। ইহার ৩০ তলায় ক্ষূদ্রনরম কোম্পানির অফিস। আয়োজক ২ বার ফোন করে মনে করিয়ে দিল।
বিস্তারিত»ভালো আছি, ভালো নেই….
আজকাল কীবোর্ড, মনিটর টেনে (??) তেমন একটা লিখতে ইচ্ছে করেনা। খালি আলসেমি লাগে। তাই বলে বলবোনা আমি দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি। কারণ সেটা আগে থেকেই ছিলাম। এখন শুধু ধারাবাহিকতাটা বেশ যত্ন করে বজায় রাখছি। এরমধ্যেই দেখতে দেখতে আঠারোটা রোজা কেমন করে চলে গেল। টেরও পেলাম না। শুধু বিকেল হতে হতে পেটের ভেতর কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কি যেন নেই, কীসের যেন অভাব।তাছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।
বিস্তারিত»নক্ষত্রের রাত
মাইমোসিস শহরে মির্জাপুরের প্রায় ৩০ জনের মত ক্যাডেট আছে। ছুটি শেষে গাড়ি ভাড়া করে সবাই একসাথে কলেজে যাই। যাত্রার পুরোটা সময় সেভেন-এইটের পোলাপান বিমর্ষ বদনে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। নাইন-টেন টুকটাক কথা বলে। কিন্তু ইলেভেন-টুয়েলভ রীতিমত গোলমাল বাঁধিয়ে দেয়। ছুটিতে কে কি করল এ নিয়েই তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি। আমি বিমর্ষ বদনে বসে থাকি না, কারণ ইলেভেনে উঠে গেছি। কিন্তু হৈ-হল্লা কখনই ভাল লাগে না। তাই এক কোণায় বসে প্রকৃতির রূপ দেখি।
বিস্তারিত»অতঃপর……
গতকাল্য বগুড়া ভ্রমণে গিয়া পুরোণো অনেক বন্ধুবর্গের সহিত সাক্ষাত হইল…অনেক দিন পর একত্রিত হইলে যাহা হয় আর কি…কলেজ এর বেশ কিছু মজার ঘটনার কথা মনে করিয়া অনেক হাসাহাসি হইল…তখনি ভাবিলাম এই ঘটনাটা আসিয়াই লিখিয়া ফেলিব । যেই ভাবা সেই কাজ……
তখন অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত । একদিন বৈকালে খেলাধুলার পার্ট চুকাইয়া যখন হাউজে ক্লান্ত দেহে প্রবেশ করিতেছি… হঠাৎ মনে হইল আমার পাশ দিয়া গুলির বেগে কি একটা যেন বাহির হইয়া গেল ।
প্রাপ্তবয়ষ্ক – ৩ (well, not entirely!)
CCB তে জয়েন করেছি প্রায় এক সপ্তাহ হোল। জীবনে কোনদিন বাংলায় লিখিনি কম্পিউটার এ, ব্লগ তো দূরের কথা। এমনকি হাতে বাংলা লিখেছি সেও মনে হয় বছর পাঁচেক আগে (প্রেমিকাকে তো আর ইংরেজিতে চিঠি লেখা যায় না)। সেদিন হাতে লিখতে গিয়ে দেখি হাত কাঁপে, দুলাইন লিখেই হাত ব্যাথা। এমনকি হাতে ইংরেজিও লেখা হয় না। গণক মহাশয়ের সামনে সারাদিন বসে থাকি, বোতাম টিপি,অন্য কিছু করার উপায় কই।
বিস্তারিত»