[ক্যাডেট কলেজ কে আমি মসজিদের মত পবিত্র মনে করি। কিন্তু সেখানকার সব মানুষগুলোকে নয়। ক্যাডেট কলেজ এর প্রত্যাশা ও বাস্তবতা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি, তুলে ধরতে চেয়েছি কিছু উদাহরন। তবে সব তথ্য প্রমানিত নয়। অনেক কিছু স্মৃতি থেকে লেখা, তাই ভুল হলে, ক্ষমা প্রাথী। আর ক্যডেট কলেজ বা কোনো ক্যডেট কে হেয় করতে চাইনি, তার পরেও কেউ কষ্ট পেলে, ক্ষমা চাই বার বার । আর লেখাটি আমার ব্যাক্তিগত মতামত,
বিস্তারিত»তারা আমাদের সিনিয়র ক্লাশ এইট…..
ভাইরা তোমরা কোথায় আছো? কেমন আছো?যে যেখানে থাকো ভালো আছো তো? এখানে আমরা আমাদের জীবনের ছয়টা বছরের নানা সুখ,দু:খ,আনন্দ বেদনার কথা বলি, বিশেষ করে ক্লাশমেটদের সাথে আমাদের যাপিত-দিনলিপি, একজন ক্যাডেট হয়ে বেড়ে ওঠার কাহিনী, ডাইনিং এর কাহিনী,কলেজের প্রতিটি ইমারতের, মুর্হুতের কাহিনী, কত না স্মৃতি আমাদের এই জীবনে………..।
কিন্তু একবারো কি আমি পিছনে ফিরে তাকাই? আমি কিভাবে এই ক্যাডেট লাইফ পেলাম? কি ভাবে আমি কলেজের নিয়ম কানুন শিখলাম?
বিস্তারিত»কলেজের বন্ধুরা
তীব্র ব্যাস্ততার মাঝে মাঝে যখন একটু সময় পাই প্রায়ই পিছনে ফিরে পুরনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়াই । আপনা আপনি একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে আবার মুহুর্তেই বাতাসে মিলিয়ে যায় । সেই দিনগুলোর কথা কি করে ভুলি ?
সালেহীনের নাটকে প্রাপ্তবয়স্কদের পত্রিকা কেনার অভিনয় করে বিশেষ ( !! ) পুরস্কার পাওয়া । আরিফের হঠাৎ হঠাৎ হুজুর হয়ে যাওয়া আবার দুই দিন পরেই রসময় দা’র উপন্যাসের খোঁজে পোলাপাইনের নিকট ধর্না দেওয়া ।
বিস্তারিত»বন্ধু এবং বিশ্বাস……(শেষ পর্ব)
ধন্যবাদ সবাইকে। আমি ভাবি নাই আমার একটা লিখা এতো সাড়া পাবে। তাও আবার একটা স্পাই নিয়ে লিখে। যারা আমার প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছেন তাদের কে ধন্যবাদ। ভেবেছিলাম ওইটাই হবে আমার প্রথম ও শেষ লেখা। কিন্তু এতো সাড়া পাবার পর ফিনিশিং না দিয়ে পারলাম না।
যারা আমাকে মন্তব্য দিয়েছেন তাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। আমি এই ব্লগের নীরব পাঠক ছিলাম, ইনশাল্লাহ থাকবো। আহসান ভাই, মাশরুফ,
বিস্তারিত»ভূমিকম্প
লোকমুখে শুনলাম কাল ইফতারের আগে এবং আজান দেবার পরপরই মোট তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে ঢাকাতে। বাংলাদেশে আমার ভূমিকম্পের তেমন কোন স্মৃতি আমার মনে পরে না। অনেক ছোট থাকতে (১৯৮৮ সালের দিকে) একবার ভূমিকম্পের কথা অস্পস্ট মনে আছে কিছুটা। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ এর সুনামীর ভূমিকম্প বাংলাদেশে অনুভুত হয় সকাল ৮ টার দিকে। আমার সকাল ৮ তার ঘুমের তীব্রতা ছিল সেবারের ভুমিকম্পের চেয়ে বেশি, তাই সেবারের ভুমিকম্পও আমার টের পাওয়া হয়নি।
বিস্তারিত»অতঃপর-২
যাহারা আমার পুর্বের লেখাটি পড়িয়াছেন তাহাদের জন্য বলিতাছি…এই কাহিনীটি পুর্বের ন্যায় বাথরুম সংক্রান্তই……
কত মজার কাহিনীই না আছে এই বাথরুম ঘিরিয়া । যাহারা ক্যাডেট কলেজে পড়িয়াছেন তাহারাই বুঝিবেন । আজকে যে কাহিনীটা বলিব উহা আমার অতীব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর তিক্তময় অভিজ্ঞতার কাহিনী । নামটা নাহয় নাই বললাম । কারন বেচারা বর্তমানে আমার মতই হাটু বাহিনীতে কর্মরত কিনা…
যাই হোক ঘটনাটা হইল এইরুপ …
বিস্তারিত»একটি আজাইরা ইফতার ……
গতকাল আলসেমিতে আর অফিস যাওয়া হয়নি। দুপুর বেলা বস এর ফোন, আজকেও নাকি অফিস ছুটি। টানা দুই দিন ছুটি এই খুশি তে আবার ঘুম দিলাম। আজ একটা ইফতারের দাওয়াত আছে। মুরতাজা ভাইয়ের ক্ষূদ্রনরম কোম্পানি তে। নামে ক্ষূদ্র হলেও এদের অফিস শহরের সবচেয়ে উচচ ভবনে। এই ভবন এক সময় দুনিয়ার সবচেয়ে উচূ ভবন ছিল। ইহার ৩০ তলায় ক্ষূদ্রনরম কোম্পানির অফিস। আয়োজক ২ বার ফোন করে মনে করিয়ে দিল।
বিস্তারিত»ভালো আছি, ভালো নেই….
আজকাল কীবোর্ড, মনিটর টেনে (??) তেমন একটা লিখতে ইচ্ছে করেনা। খালি আলসেমি লাগে। তাই বলে বলবোনা আমি দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি। কারণ সেটা আগে থেকেই ছিলাম। এখন শুধু ধারাবাহিকতাটা বেশ যত্ন করে বজায় রাখছি। এরমধ্যেই দেখতে দেখতে আঠারোটা রোজা কেমন করে চলে গেল। টেরও পেলাম না। শুধু বিকেল হতে হতে পেটের ভেতর কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কি যেন নেই, কীসের যেন অভাব।তাছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।
বিস্তারিত»নক্ষত্রের রাত
মাইমোসিস শহরে মির্জাপুরের প্রায় ৩০ জনের মত ক্যাডেট আছে। ছুটি শেষে গাড়ি ভাড়া করে সবাই একসাথে কলেজে যাই। যাত্রার পুরোটা সময় সেভেন-এইটের পোলাপান বিমর্ষ বদনে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। নাইন-টেন টুকটাক কথা বলে। কিন্তু ইলেভেন-টুয়েলভ রীতিমত গোলমাল বাঁধিয়ে দেয়। ছুটিতে কে কি করল এ নিয়েই তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি। আমি বিমর্ষ বদনে বসে থাকি না, কারণ ইলেভেনে উঠে গেছি। কিন্তু হৈ-হল্লা কখনই ভাল লাগে না। তাই এক কোণায় বসে প্রকৃতির রূপ দেখি।
বিস্তারিত»অতঃপর……
গতকাল্য বগুড়া ভ্রমণে গিয়া পুরোণো অনেক বন্ধুবর্গের সহিত সাক্ষাত হইল…অনেক দিন পর একত্রিত হইলে যাহা হয় আর কি…কলেজ এর বেশ কিছু মজার ঘটনার কথা মনে করিয়া অনেক হাসাহাসি হইল…তখনি ভাবিলাম এই ঘটনাটা আসিয়াই লিখিয়া ফেলিব । যেই ভাবা সেই কাজ……
তখন অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত । একদিন বৈকালে খেলাধুলার পার্ট চুকাইয়া যখন হাউজে ক্লান্ত দেহে প্রবেশ করিতেছি… হঠাৎ মনে হইল আমার পাশ দিয়া গুলির বেগে কি একটা যেন বাহির হইয়া গেল ।
প্রাপ্তবয়ষ্ক – ৩ (well, not entirely!)
CCB তে জয়েন করেছি প্রায় এক সপ্তাহ হোল। জীবনে কোনদিন বাংলায় লিখিনি কম্পিউটার এ, ব্লগ তো দূরের কথা। এমনকি হাতে বাংলা লিখেছি সেও মনে হয় বছর পাঁচেক আগে (প্রেমিকাকে তো আর ইংরেজিতে চিঠি লেখা যায় না)। সেদিন হাতে লিখতে গিয়ে দেখি হাত কাঁপে, দুলাইন লিখেই হাত ব্যাথা। এমনকি হাতে ইংরেজিও লেখা হয় না। গণক মহাশয়ের সামনে সারাদিন বসে থাকি, বোতাম টিপি,অন্য কিছু করার উপায় কই।
বিস্তারিত»পরাটা এবং পুডিং … উল্টা চিত্র!
প্রথমেই বলে নেই এটা আমার প্রথম লেখা, আর এর আগে কথাও এক-দুই লাইন ও লিখে দেখিনি, লেখাটি পড়ার সময় এ কথা মনে রাখার জন্য অনুরোধ করছি।
পরাটা ও পুডিং এর অনেক প্রশংসা শুনলাম, আমার নিজের ও খুব ভাল লাগত, এ ছাড়াও আরও অনেক meal ছিল যা ভাল লাগত, কিন্তু এরকম ও কিছু meal ছিল যা মুখেও দেওয়া যেত না। আমার ব্যক্তিগত ভাবে সবচেয়ে অপছন্দ ছিল ব্রেড ( অবশ্যই ব্রেকফাস্ট এর টা,
আজ আমি বাড়ি যাচ্ছি…!!!
(আমার এই লেখাটা আমি শফি ভাইকে উত্সর্গ করছি…ওনার পোস্ট পড়তে গিয়েই আমার মাথায় এটার আইডিয়া আসে। যদি লোকজনের ভাল লাগে তাইলে কুন কথা নাই…যদি খারাপ লাগে তাইলে সব দোষ শফি ভাইয়ের! আমি লিখতে পারি না, এইডা যতই সত্য হোক মানবো না…!!)
সকাল থেকেই মনটা আমার আজ খুব ফুরফুরে…প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কেন…আচ্ছা, আজ কি বৃহঃস্পতিবার?? ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ রাখতেই দেখলাম জ্বলজ্বল করছে ১০ই মে ২০৪২,
বিস্তারিত»পরাটা ও পুডিং … ডাইনিং হল সমাচার
তৌফিকের পরাটা আর পুডিং এর পোস্ট পড়ে রোজার অবস্থা টাইট। মন আনচান করছে কলেজের সেই শক্ত, চামড়ার মত অসীম স্থিতিস্হাপক পরাটাগুলার জন্য। ভেবেছিলাম পোস্টের কমেন্টে কিছু স্মৃতি যোগ করব। পরে স্মৃতির ভিড় এতই বেশি যে পুরো পোষ্টই অবতারনা করলাম ।
কলেজে ক্লাস সেভেনে এসে পরাটার পুরো মাহাত্ম বুঝতে পারিনি। কলেজে এসেই জানতে পারলাম এমন কিম্ভুত, ঠান্ডা, স্থিতিস্থাপক জিনিসটা যে পরাটার মত সুস্বাদু জিনিসটার নাম ধারন করে বসে আছে ।
বিস্তারিত»নভিসেস প্যারেডের স্মৃতিঃ
(এই লেখাটি সামহোয়ারইনের পাঠকদের জন্যে লিখেছিলাম।এখানেও দিয়ে দিচ্ছি এ কারণে যাতে নভিসেস প্যারেড নিয়ে মজার ঘটনাগুলো নিয়ে পাঠকেরা কমেন্ট করেন।ব্লগটি না পড়লেও চলবে কারণ এখানে এমন কিছু লিখিনি যা আপনাদের অজানা।মূলত সাধারণ পাঠকদের ক্যাডেট কলেজ নিয়া ধারণা দেবার জন্যেই এর জন্ম)
নভিসেস প্যারেড ক্যাডেট কলেজের প্রতিটি ক্যাডেটের জীবনে নিঃসন্দেহে অন্যতম স্মরণীয় একটি দিন।সেনাবাহিনীতে যেমন পাসিং আউট প্যারেড,সেই মাত্রায় না হলেও ক্যাডেট জীবনে ক্লাস সেভেনের একজন ক্যাডেটের কাছে নভিসেস প্যারেডের গুরুত্ব কম নয় কোন অংশেই।আমার আজকের ব্লগ সেই নভিসেস প্যারেডের অম্ল-মধুর স্মৃতি নিয়েই।
বিস্তারিত»