ক্যাডেট জীবনের প্রথম স্টেজ কম্পিটিশানে গিয়া বিরাট পঁচাইলাম, এইরকম পঁচানি যে আকাশ বাতাস গন্ধে ত্রাহি ত্রাহি করতে লাগল। সেইটা ছিল ইংরেজি এল্যুকিউশান। আমি নেহেরুর বক্তৃতা মুখস্থ কইরা না গিয়া, দেইখা দেইখা পুরাটা বইলা আসলাম। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হইল। আমি হইলাম লাড্ডুগুড্ডু। আমাদের হাউস কালচারাল প্রিফেক্ট সেইদিন কোন কারণে যায় নাই অডিটরিয়ামে, তাই ভাবছিলাম বাইঁচা যামু এইবার। কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আমাদের তৎকালীন হাউস মাস্টার রফিক নওশাদ স্যারের জিগরে বড়ই চোট লাগল তার হাউসের এক ক্যাডেটের এই রকম ন্যাক্কারজনক পারফর্মেন্সে। স্টেজ কম্পিটিশানগুলা হইত বৃহস্পতিবার, লম্বা কোয়াইট আওয়ারসহ। সেই লম্বা কোয়াইট আওয়ারটা যে আমার জীবনের দীর্ঘতম কোয়াইট আওয়ার হবে আগে জানলে তো নেহেরুর বক্তৃতা ঠোঁটস্থ, কন্ঠস্থ কইরা যাই। যাই হোক, সেইটা যখন আগে জানতাম না, আর চোর পালানোর আগে যেহেতু মানুষের বুদ্ধি বাড়ার কোন চান্স নাই, আমার নিয়তিও পরিবর্তন হয় নাই। বৃহস্পতিবারের বদখত এবং বদস্য বদ স্বাদের লাঞ্চ সাইরা হাউসে ফিরতেই হাউস মাস্টার অফিসে আমার ডাক পড়ল। গিয়া দেখি, রফিক স্যার বিরাট বেত নিয়া দাড়াঁয়া আছেন। আমি যাইতেই গরু পিটনা শুরু করলেন। তখন মোটে ক্লাস এইটে পড়ি। বয়েস ডোন্ট ক্রাই- এই আপ্তবাক্য মাথায় তখন ঢুইকা গেছে, কিন্তু মাইরের চোটে ফোঁপায়া কান্দন শুরু করলাম। স্যার এতে ক্ষান্ত দিলেন না। তখনো জুনিয়ার আসে নাই, তাই বেশরম আমার অপমান চুড়ান্ত করতে ক্লাসমেটদের ডাইকা নিয়া আসলেন হাউস বেয়ারা দিয়া। তাদের সামনে নেহেরুর এল্যুকিউশন করতে বললেন, কান্নার চোটে আমার মুখ দিয়া নেহেরু কাইন্দা কাইন্দা ভিক্ষা চাওয়া ফকিরদের সুরে বক্তৃতা করা শুরু করলেন। স্যার তো গেলেন আরো খেইপা, ক্লাসমেটদের ভাগায়া দিয়া বললেন, অফিসের সামনে দাড়াঁয়া দাড়াঁয়া পুরা বক্তৃতা মুখস্থ করতে, যতোক্ষণ মুখস্থ না হয় অফিসের সামনে দাড়াঁয়া থাকতে হবে। আমি আর কি করুম, স্যারের আদেশ মাথায় নিয়া দাড়াঁয়া থাকলাম হাউস অফিসের সামনে। স্যার চইলা গেলেন বাসায়, আমার শাস্তির ব্যবস্থা কইরা। লোকজন বলে আমার ঘাড়ের রগ নাকি ত্যাড়া। মাইর খাইয়া সেই ত্যাড়া রগ ত্যাড়াতর হয়া গেল। আমি কি আর ওইটা মুখস্থ করি, স্যারের এই রকম আচরণের প্রতিবাদ করতে আমি ঘাড় গোঁজ কইরা দাড়াঁয়া থাকলাম পুরা কোয়াইট আওয়ার। স্যার মাগরিবের নামাযের সময় আসলেন, আমার যথেষ্ট শিক্ষা হইছে ভাইবা আর নেহেরুর বক্তৃতা করতে বললেন না। কইলেন গোসল সাইরা নামাযে যাইতে। স্যারকে ধন্যবাদ এইজন্য যে, তার এই মাইরে নিজের মধ্যে একটা রোখ চাইপা গেল। আমার স্টেজ কম্পিটিশানে ভাল করতেই হবে, নিজের জন্য লক্ষ্য ঠিক কইরা নিলাম। মজাটা হইল যে, স্যার নিজেই আমারে এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছেন, তার কাছ থাইকাই আমি আবৃত্তি বা ড্রামাটিক ডায়লগ থ্রোয়িং-এর প্রথম পাঠ নিলাম। স্যার আমারে খারাপ শিখান নাই, পরের বছর বাংলা কবিতা আবৃত্তি আর ইংলিশ এল্যুকিউশন – দুইটাতেই দ্বিতীয় হয়া গেলাম (আমাদের তারকা আবৃত্তিকার আল-মাহমুদ না থাকলে হয়ত আরো একটু ভাল করতে পারতাম, কিন্তু শালা বাড়াবাড়ি রকমের ভাল)। স্টেজে উইঠা লোক হাসানো একটা ছেলের জন্য এক বছরে উন্নতি হিসাবে খারাপ না, কি বলেন? কবিতা আবৃত্তি এরপর আমার প্যাশন হয়া গেল, এখনো রাত্রে যখন ল্যাব থাইকা বাসায় ফিরি রাস্তায় লোকজন না থাকলে গলা ফাটায়া আবৃত্তি করি। স্যারকে এই ব্লগের মাধ্যমে আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম।
যা নিয়া লেখমু ভাবছিলাম তার থাইকা অনেক দূরে আইসা পড়ছি। আবার প্রসংগে ফেরৎ যাই। আগের পোস্টে গ্র্যাড ফেস্টের কথা বলছিলাম। গ্র্যাড ফেস্টের অনেক ইভেন্টের একটা ছিল ব্রিউয়ারি টুর, যেখানে বিয়ার বানায় আরকি, সেই ফ্যাক্টরি পরিদর্শন। আমরা প্রায় পঞ্চাশজন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট বাসে চইড়া গেলাম সেইখানে। বাস ভর্তি লোকজনের সাথে গেল নানা রকম বাদ্য যন্ত্র, সেইখানে গিয়া গান বাজনা হবে। তো গেলাম সেইখানে, গিয়া একটা জিনিসে অবাক হইলাম, বিয়ারের গন্ধ হইল গিয়া খেজুরের রসের মতো (শীতে আই ইউ টি তে সকাল বেলা রস খাইতে যাওয়া একটা অবশ্য কর্তব্য ছিল আমাদের। আহা! কতদিন খেজুরের রস খাই না।)। কানাডার লোকজন বিয়ার খায় প্রচুর, বিয়ার খাওয়াটা তাদের কালচারের একটা বড় অংশ। সুতরাং তারা ফ্রি বিয়ার পায়া শুরু কইরা দিল বিয়ার পান। দুই একজন তো পারলে বিয়ার রাখার বড় ট্যাংকিতে ঝাঁপ দেয়। এত বড় একটা দলের মাঝখানে আমিই একমাত্র বিয়ার না খায়া আড্ডা দেওয়া শুরু করলাম পোলাপাইনের সাথে। দুই একজন সাধাসাধি করল বটে, যখন বললাম আমি খাই না, আমারে আর ঘাটাইল না। আমারে ভুল বুইঝেন না, নিজেরে সাধু হিসাবে জাহির করতাছি না, ইচ্ছা যে একেবারে করে নাই তা না। আমি জীবনে এলকোহল খাই নাই, এখন হঠাৎ কইরা খায়া টাল হইয়া যাই যদি! টাল হওয়া ছাড়াই আমি যেসব টালামি করি ওইগুলার কথা চিন্তা কইরা আর সাহস পাইলাম না, কে জানে কি করা শুরু করি! যাহোক দলনেতা সেবাস্টিয়ান একটু পর শুরু করল লোকজন ডাইকা ডাইকা গান গাওয়ানো। এইখানের মিউজিক স্কুলের লোকজন ফাটায়া ফেলতে লাগল। ঘন্টা দুয়েক পর মোটামুটি সবাই যখন গান বাজনা বা অন্যকিছু একটা কইরা ফালাইছে, সেবাস্টিয়ান মাইক নিয়া বলল, আমার এখন কিছু একটা করতে হবে। আমি পড়লাম আকাশ থাইকা। গান যদি শুরু করি, আশেপাশের সব কুত্তা চইলা আসব আমারে তাড়াইতে। সুতরাং এই রিস্ক নেয়া যায় না। মোটামুটি বেগুন ধরনের আমার কোন গুনই নাই, কিছুই পারি না। এই সব কিছুই না পারার মধ্যে যেটা একটু কম না পারি ওইটা হইল আবৃত্তি, তাই ঠিক করলাম বিদ্রোহী আবৃত্তি করুম। স্টেজে মাইক নিয়া দাড়াঁইলাম, একটু বলার চেষ্টা করলাম বিদ্রোহীর বেন্তাত্ত। তারপর শুরু করলাম আবৃত্তি। ফিসফাস, গ্লাসের টুংটাং সব থাইমা গেল তামশা দেখতে। সবাই চোখ বড় কইরা কইরা দেখা শুরু করল, চিকনা ঢ্যাঙ্যা এক লোক তারস্বরে চেচাঁয়া যাইতাছে। আমি কেয়ার করলাম না, আমার চোখ মুখ দিয়া আগুন বাইর হইতাছে আমি বুঝতাছি, শুরু যখন করছি শেষ করুম। পুরাটা মনে ছিল না, তাই “পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি ফিং দিয়া দেই তিন দোল” পর্যন্ত আবৃত্তি কইরা থামলাম। লোকজন হাততালি দিল, আমি বাউ কইরা নাইমা আসলাম। ভেতরে থাকতে লজ্জা লাগতাছিল, তাই নিচে গিয়া পার্কিং লটে দাড়াঁইলাম। আমাদের সাথে আসা একজন তখন নিচে আসছে, বিড়ি খাইব বইলা। আমারে দেইখা বিদ্রোহী সম্পর্কে, কাজী নজরুল ইসলাম-এঁর সম্পর্কে জিগাইল। যতোটুকু পারি বললাম। তার ততোক্ষণে বিড়ি শেষ, শেষের লম্বা টানটা দিয়া ফিল্টারটা মাটিতে ফালায়া পা দিয়া পিইষা ফেলল, আমার দিকে তাকাইল, তারপর বলল, “I liked it. That was fucking intense, man!” আমি কি আর করুম, কাজী নজরুল মনে হয় জীবনে বহু কমপ্লিমেন্ট পাইছে, কিন্তু “FUCKING INTENSE!” আমি হতবুদ্ধি হইয়া তার অপসৃয়মান পিঠের দিকে তাকায়া থাকলাম।
Boss .. apni to onek valo ... No ALCO ... amader aikane bear er dam pani (water) er ceye kom !!! :shy:
মেহেদি ভাই, ভাল খারাপের কিছু তো নাই, ব্যাপারটা চয়েসের। যা করতে মন চায় করবেন, আরেক জনরে ডিস্টার্ব না করলেই হইল। আপনি কি অস্ট্রেলিয়ার নাকি? অসি এক মাইয়ার সাথে অইদিন ওই জায়গাতেই আলাপ হইছিল, কয় বিয়ার নাকি এইখানে দামি, দেশে নাকি সস্তা।
এই রোজা রমজানের দিনে আপনার আলাপ সালাপ হইতাছে বিয়ার নিয়া, তাও এক অসি মাইয়ার লগে,ঘটনা তো খুব খারাপ দেখতাছি।নো কান্ট্রি ফর ওল্ড ম্যানে সুইমিং পুলের এক মাইয়া নায়করে কইছিল একলগে বিয়ার খাইতে,বাকিটা সেন্সরড।
আপনার কেইস কি কাছাকাছি নাকি?ভাবির মোবাইল নাম্বারডা দেন দেহি... 😀
নারে ভাই, মাইয়ার মনে হয় না পুলাদের প্রতি কোন আগ্রহ আছে। আক্কেলওয়ালা লোকদের জন্য ইশারাই কাফি, বুইঝা লও বাকিটা।
😀 😀 😀
এহ হে... 😕
তৌফিক ভাইয়ের "তোমাকে পাবার জন্যে হে স্বাধীনতা" কেন জানি এই সাত বছর পরেও আমার মনে পড়ে।আইসিসিএলএমএম ২০০১-পাবনায় মেডেলের তালিকায় হয়ত তাঁর নাম উঠে নাই, কিন্তু সেদিনের সেই তাঁর মতই ঢ্যাঙ্গা,জীবনের প্রথম আইসিসি করতে আসা ক্লাস ইলেভেনের ছেলেটার মনের খাতায় পাকাপোক্তভাবে সেই আবৃত্তি গেঁথে গিয়েছে।
আইসিসিএলেমেম-২০০১ আমার ক্যাডেট জীবনের সবচেয়ে আনন্দের কয়েকটা দিন।তৌফিক ভাই, মনে করায় দিলেন।ইট ওয়াজ *কিং ইনটেন্স! 🙂
ভাই মাসরুফ, চোখে পানি চইলা আসল। বললে হয়ত বিশ্বাস করবা না, সেই ৭ বছর আগের করা আবৃত্তির জন্য আমার পাওয়া প্রথম কমপ্লিমেন্ট এইটা। ধন্যবাদ ভাই।
অফটপিকঃ আগের পোস্টটা তোমার জন্য ওয়েট করতাছে। আমার পোস্টগুলার কমেন্টের সুবর্ণ জয়ন্তী তুমিই করো কিনা।
৫০ করলাম,গিয়া দেখেন।আর চলেন,পাবনা আইসিসিএলএমএম ২০০১ নিয়া একটা কম্বাইন্ড থিসিস কইরা বিশ্বের সেরা বাংলা ব্লগ সিসিবি তে পাবলিশ করি।সিভিতে পাব্লিকেশন হিসাবে দেখামু।কি কন?
ধন্যবাদ, তুমি শুরু কর, আমি আছি তোমার লগে।
miya panir dam to shobshomoy beshi (evan petrol er cheyeo)..drink na korle aktai problem..shobai jokhon halka tal hoya jai nijere kmon dolchut lage...toi voglami dekhar mojai alada..
একমত। 😛
even spelling ta vul hoilo kan?? zihad re pita!!!
তৌফিক,
চুপা রুস্তম...। আসলে তোমাদের অনেকের ই দেখতাছি এক ই অঙ্গে বহুত রুপ...। সাবাস বেটা...।
লেখাটা সুন্দর হইছে। খুবই ভালো। লেখা gradually develop করাটা সবাই পারেনা। তুমি পারো।
রফিক নওশাদ স্যার আমার হাউস মাস্টার ছিলেন...। আমি ছিলাম হাউস কালচারাল। সুতরাং, ওনার সাথে ওঠা বসা টা আমার একটু বেশী ই ছিল। স্যারের কাছ থেকে সাংস্কৃতিক অনেক কিছুই শেখার আছে। কিন্তু স্যারের মাইরের ইতিহাস তো আমার জানা ছিলনা । নতুন তথ্য পাইলাম ।
যাইহোক, পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।
ধন্যবাদ, আহসান ভাই। আপনের কমেন্ট পইড়া মনে হইল, ল্যাপটপের কি বোর্ড ক্ষয়ে না যাওয়া পর্যন্ত লিখতেই থাকি।
আচার সিরিজটা হবে আমার বর্তমান জীবন নিয়া। আমি চিন্তা কইরা দেখলাম, ক্যাডেট কলেজের পাশাপাশি বাইরের লেখাগুলা স্বাদ পরিবর্তনের জন্য থাকা দরকার। তাই আচার সিরিজ। লেখার সাবজেক্ট পাওয়া মাত্র লিখে ফেলব ইনশাল্লাহ।
আচারে মাঝে মইধ্যে একটু ঝাল বেশি দিয়েন 😉
ঝাল? কিরকম ঝাল চাও? পরে আবার মিস্টি চাইবা না তো... 😉
তৌফিক ভাই, আপনে কি আচার ০০২ ও জমা দিছিলেন নাকি?আমি ঢুকতে গিয়া দেখি এরর দেখায়...শিগগিরি দিয়া ফালান...
দিছিলাম 😛
আমার সব সাহস একত্র কইরা দিছিলাম। দুঃখ সেই সাহস টিকে নাই ৫ মিনিটের বেশি 🙁 । তাই নামায়া নিলাম, আরো লেখা আসবে, ওইটা নাহয় নাই পড়লা। 🙂
কি??? x-( জান দিমু কইলাম,আমার মিরিত্তুর জন্য আফনেরে দায়ী কইরা ইস্টেটমেন্ট দিমু-শিগগিরি ওইটা আপলোড করেন কইতাছি-আর না হইলে ফেসবুকে আমারে ইমেইল কইরা দেন। x-( x-(
এই মুহুর্তে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখকের নাম তৌফিক।
এই ছেলেটা আমাকে মুগ্ধ করেই চলেছে।
দোয়া করবেন কামরুল ভাই।
আগেই কইছিলাম,কোন হালায় যে এই ব্লগের ঠিকানা দিল আপনেরে... x-(
কেউ দেয় নাই......... 😀
ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে লিংক পায়া চইলা আসছি। প্রথম যখন আসি, পরীক্ষা চলতাছিল, তাই কিছু পোস্ট করা হয় নাই তখন। এরপর অনেকদিন সাইট ডাউন ছিল বা আমি এক্সেস করতে পারি নাই (একেবারে সর্বশেষ সাইট ডাউন না কিন্তু, তার আগেরটা)। এরপর চালু হইলে খবর দিলো আমিন আর আশিক।
:boss:
''শীতে আই ইউ টি তে সকাল বেলা রস খাইতে যাওয়া একটা অবশ্য কর্তব্য ছিল আমাদের। আহা! কতদিন খেজুরের রস খাই না।''
তিন বছর হয়ে গেলো আমি এখনও খাইনাই। 🙁
লেখা দারুন লাগছে। চালিয়ে যান। আপনার লেখা পড়ে পড়ে আমরাও আপনার অভিজ্ঞতার স্বাদ নেই।
আরে মিয়া, সকাল ৬ টার দিকে গ্রামের দিকে চইলা যাইবা, ওইদিকেই পাওয়া যায়। আমরা তো কোল্ড ড্রিংকের ২ লিটার বোতল ভরে একবার ৬ লিটার নিয়া আসছিলাম। আমরা মানে, ৫০৭, সাউথ হল। দুঃখের কথা কি জান, আইজকা ৫০৭ -এর এই চারজন ঠিক চাইর মহাদেশে আছে, দেশে আছে সবেধন নীলমণি সাইফ আর বাকি সবাই প্রবাসী।
এই শীতে ট্রাই নিয়ে হইবে। :party:
২ লিটার বোতলে কেমনে ৬ লিটার আনলেন? 😕
মাতা তো গ্রম হৈআ গেল। ~x(
দুই তিন গুণে ছয়। 🙂
যেই দিন খাইতে যাবি, আমারে ডাক দিস।
যাই কন ভাই, নজরুল কিন্তু "ফাকিং ইনটেন্স"-ই আছিল। কমেন্ট খারাপ করে নাই।
লেখাটা চরম হইছে।
লিখা নিয়া কোন কথা নাই, ভালো লাগলো যখন চিকনা ঢ্যাঙ্গা ভাইয়াটা চেঁচায় চেঁচায় নজরুল শুরু করল... :dreamy: :salute:
ধন্যবাদ আফামনি, চিকনা ঢ্যাঙ্গা ভাইয়াটার জন্য দোয়া কইরো।
তৌফিক ভাই, আপনের কথা ভাবতে গেলে চোখের সামনে যে মানুষটা ভাইসা ওঠে সে খালি আকাশ বাতাস কাঁপায় তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা আবৃত্তি করে। 😀 আপনের এরম শরীর থেকে এরম ভরাট গলার আবৃত্তি ক্যামনে বাইর হয় এইটা আসলেই একটা চিন্তার বিষয়। :boss:
আপনের নাম শুনলে আরেকটা কথা মনে হয়। ডাইনিং হলে খাওয়া শেষের বেল দিয়া দিসে।পোলাপাইন সব বাইর হয়া গেসে। ডিউটি মাস্টার প্রিফেক্টগোরে নিয়া দরজার দিকে পা বাড়াইসে। কিন্তু আমগো তৌফিক ভাই তখনো খালি খাইতেই আসে, খাইতেই আসে 😛
এই সিরিজ চালায় যান ভাই। যেইটা দিয়াও আবার নিয়া নিসেন সেইটাও সাহস করে দিয়া দেন। আমরাও পড়ার জন্য সাহস অর্জন করতে থাকি । আমিন, ছুম্মা আমিন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তোমাদের জ্বালায় আর পারা গেল না 🙁 , আমার ১৫ কেজি আন্ডারওয়েট শরীরটার দিকে তাকায়া কি তোমার মায়া হইত না 😕 ? না হয় একটু বেশিই খাইতাম 😛 , তাই বইলা ব্লগে এইভাবে, সবার সামনে খোঁটা দিবা x-( ?
কি কস তোরা, তৌফিক ভাইয়ের তো রুচি নাইক্যা। ওই আরেক প্লেট দে।
বেগুন তৌফিকেরই যত গুনের খবর পাচ্ছি, তাতে আমাদের তো মুখ লুকাতে হবে মনে হচ্ছে । আমিও প্রথম বার টেলেন্ট শোতে স্টেজে উঠে নাটকের ডায়লগ ভুলে গিয়েছিলাম । সে কথা এখনো মনে পড়ে।
ট্যালেন্ট শো'তে আমি আমার ট্যালেন্ট চরম দেখাইছিলাম...এক্টুও মাখাই নাই...
আমি আর আমাদের কয়েক জনের দায়িত্ব ছিল হাউসের পোলাপাইনের পারফর্মমেন্স এর পর জোড়ে হাত তালি দেয়া... 😀 😀
=))
ক্লাস সেভেনের সিঙিং কম্পিটিশনে, আমাদের একজন, মাগো ভাবনা কেন.... গান টা গাইতে গিয়ে লিরিক্স গেছে ভুলে...
বেচারা ২য় প্যারায় গিয়া "আমরা হারব না হারব না..." এর পরে ভুলে গেছে। :-/
কি আর করবে চলতে লাগল
"আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু (হার্মোনিয়ামের শব্দ)"
আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু
আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু
আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু
আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু
আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু
আমরা হারব না হারব না...টুটু টুটু টুটু টুটু
৮-১০ বার চলার পরে কোন স্যার যেন গিয়া গান থামায়া ওরে নামিয়ে আনলেন স্টেজ থেকে।
=)) =)) =))
লিরিক্স ভোলার পরও হার মানে না-
:boss: :boss:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তৌফিক ভাই,
আপনার লেখা গুলা সেইরকম হয়। :clap: 🙂
ধন্যবাদ ভাই।
পুলাডা বেশি ভাল লেখে।
পড়লে মন জুড়াইয়া যায়।
০০১,০০২,০০৩ দিয়া হবে না পুরা বোয়াম নিয়া নামো।
অপেক্ষায় আছি।
দোয়া করবেন সাব্বির ভাই।
আল্লায় লেখার মতো আইডিয়া মাথায় দিলেই আমিও লেখা শুরু করুম।
:salute:
এই মিয়া কলেজে থাকতে যেই পাটে চলতো, দেইখাই ডর্লাগতো। আর হেই মিয়ায় যে সেইরাম সেইরাম ল্যাকা দিতাচে...
তৌফিক ভাই আচার হেব্বি লাগছে। চলতে থাকুক।
পাট? 😕
এরশাদ ভাই, আপনাদের ব্যাচের কোন পোলারে কখনো পাংগাইছি বলেও তো মনে পড়ে না। তাইলে আমারে দেইখা ডর লাগত ক্যন?
ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগল। চেষ্টা করব চালাতে, বাকি তাঁর ইচ্ছা।
হালায় চামে দিয়ে কইয়া দিল জীবনে এ্যালকোহল খায় নাই ... আই ইউ টি তে পইড়া ... তারপর কানাডা্র শীতে গিয়া ... মাগার খাও নাই (তাও তুমি) তা কইয়াই তো পাপ বান্ধায় ফালাইলা।
কানাডা তে আসো, ফ্রি ইউ এস এ কানেকশন পাইলে ফোন দিয়ো (সেল ফোনে থাকার কথা) ... ২৮১ ৮২৭ ৪৭২৮
ইফতেখার ভাই, কেমন আছেন? 🙂
ইনশাল্লাহ ফোন দিব আপনারে। ইউ এস-এ কবে গেলেন? নাজমুল ভাই ভালো আছেন?