লেখাটা শুরু করেছিলাম বন্ধু দিবস কে নিয়ে। কিন্তু লেখার শুরুতেই চিন্তায় পড়ে গেলাম। বন্ধু মানে আসলে কি??? আমাদের ক্লাসের এক জন বলতো, বন্ধুতা এর মানে ২ টা। “one heart on two body” or “nothing but killer of time.” কিন্তু ক্যাডেট দের কাছে মনে হয়, এর চেয়েও বেশি অনেক কিছু। আমরা বন্ধু পেলে মনে হয়, পরিবার ছাড়তে পারবো, আফ্রিকা এর জংগলে থাকতে পারবো, মরুভুমিতে শস্য ফলাতে পারবো ইত্যাদি। এক কথায়, ক্যাডেট দের বন্ধুত্ব আর কেউ বুঝতে পারবে না।
আজকে আমি যেই কথা গুলো বলবো অনেকে হয়তো এক মত হবে না, অনেক মন্তব্য হবে, বি্তর্ক হবে। কিন্তু কথাগুলো অনেকদিন থেকে বলতে চাইতেছিলাম, সময়, সুযোগ হয়ে উঠতেছিলো না। আরেকটা কারন ছিল, বাংলা তে টাইপ। অহেতুক বিতর্ক এড়াতে নাম, কলেজ এর কথা বললাম না। শেয়ার করাটাই মূল কথা।
আর অনেকের মতো আমিও ক্যাডেট কলেজে যাবার পর আস্তে আস্তে সবার সাথে বন্ধুত্ব হল। আমাদের ক্লাস এর ফ্রেন্ডশিপ ছিলো এক কথায় জটিল।(যা এখনো আছে) আমরা ক্লাস ৭ থেকেই একটু ঘাউড়া ধরনের ছিলাম। তাই সব ইন্টেকের সাথেই আমাদের গেঞ্জাম হতো। বরাবর যা হয়, এইসব গেঞ্জাম থেকে ক্লাস এ কিছু বন্ধু নেতৃত্ব দেয়। কাউকে না কাউকে তো দিতে হবে। আর সবাই নেতা হতে পারে না। অনেকে হয়তো এক মত হবেন না। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখেন আমার কথা ঠিক কিনা। আমি ছিলাম একটু চুপ চাপ ধরনের। তাই, সবাই যাতে মত দিতো আমি ওই দিকে। বন্ধুরা তো আর ভুল বলে না। সবার চিন্তা করার কি দরকার।
তো আমাদের ঘাউরামির কারনে অথরিটি এর সাথেও লাগতে লাগলো। এরি মাঝে যা হয়। ২/১ জন স্পাই হয়ে গেলো। সব কলেজেই মনে হই একি দৃশ্য। আমাদেরও এমন ছিলো।
ক্লাস ১১ এ থাকতে আমাদের এরকম একটা বড় ঘটনা হল। যার কারনে তদন্ত কমিটি হলো।আমাদের ক্লাস এর অনেকের ডাক পড়লো। সেটা ছিলো টার্ম এর শেষের দিকে। ছুটিতে অনেকের পিতা, মাতা এর ডাক পড়লো। যথারিতি ওয়ার্নিং, জরিমানাও হলো অনেকের।
পরের টার্ম এ আমরা ক্লাস ১২। ওই ঘটনার জন্য পরিবেশ কিছুটা ঘোলা ছিলো। মনে হলো, সবাই যেনো সবাইকে সন্দেহ করছে। এটাই সাভাবিক। ওই সময় ওতো গুলা টাকা জরিমানা মানে ওনেক কিছু। সবাই কথা বলতেও ভয় পেতাম। কিছুদিন পর টের পেলাম ঘটনা অন্য খানে। একজন বল্লো অনেকে তোকে সন্দেহ করছে স্পাই হিসাবে। প্রথমে ভাবলাম এটা হতেই পারে। সবাই যখন একজন অন্যকে করছে। ঠিক হয়ে যাবে কিছু দিন পর। আর যাই হোক, আমার বন্ধুরা আমাকে আমার বাবা, মার চেয়েও বেশি জানে এতো বছর এক সাথে কাটানোর পর। কিন্তু না, আমার ভুল তা ছিলো ওখানেই। যেহেতু প্রথমেই কিছু বলি নাই, সবার ধরে নিলো আমি মনে হয় আসলেই স্পাই। ঘনিষ্ঠ দের সাথে কথা বললাম, ওরা বল্লো, এডজুটেন্ট নাকি আমার নাম বলছে। আমি ওই দিন গুলাতে আসলে বুজতে পারতেছিলাম না কি করা উচিত। বলার চেষ্টা করলাম, যে আমি স্পাই না। কিন্তু আমার কাছে তো প্রমান নাই। এমন অবস্থা, অন্নদের কে স্পাই প্রমান করতে হয়, আর আমাকে প্রমান করতে হবে আমি স্পাই না। কিন্তু আমি প্রমান কই পাবো, আমি চাইলেই কি তদন্ত কমিটি এর জবানবন্দি আমাকে দিবে? যা আমি বন্ধুদের কে দিয়ে বলবো, দেখ তোরা আমি এখানে লিখছি, “আমি ঘটনার কিছুই জানি না। কারা আমাদের ক্লাস এর নেতা তাও আমার জানা নাই। পরে যদি প্রমান হয় যে আমি জানি তাহলে যে কোনও শাস্তি মানতে আমি বাধ্য থাকবো, এমন কি কলেজ থেকে বের করে দেয়া হলেও। ” তো দিনে দিনে অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগ লো। সবাই আমাকে সন্দেহ করছে কিন্তু আমি কিছু করতে পারছিনা। আমার কাছে কোনো প্রমান নাই। এমনকি আমি আত্মহত্যা কররো চিন্তা করেছিলাম। প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলাম, মরে যাবো। কারন, আমি যেই মান্ সিক অবস্থা দিয়ে যাচ্ছিলাম, তা বহন করা সম্ভব ছিলো না। আমি ডাইরি লিখতাম। এক ইন্সপেকশ ন এ আমার ডাইরি এডজুটেন্ট এর হাতে পরলো। আর যেহেতু আমি সব কিছুই লিখতাম তাই এডজুটেন্ট এর কিছুই অজানা রইলনা। এটাও লেখা ছিলো যে, এডজুটেন্ট আমাকে ফাসিয়ে দিয়েছে। ওই এডজুটেন্ট এমন বাস্টার্ড ছিলো যে, পারে না এমন কোনো কাজ ছিল না। সে আমাকে কিছু বললো না। আমার বাবা কে ডাকল। ব ললো, আমি নাকি কলেজের নিয়ম এ চলি না। এরপর বের করে দিবে। বাবা বললো, বাবা সম্মান রাখিস। আমার তখন কিছু করার নাই, প্রতি রাত এ কান্না ছাড়া।
আমার যারা ঘনিষ্ঠ ছিলো অদেরকে বোজানোর চেষ্ঠা করলাম।অনেকেই আমার কথা বিশ্বাস করলো। কিন্তু ইসু টাই এতো জটিল যে অদেরও কিছু করার নাই। ওরা বলতে গেলে হয়তো ওদেরকেউ স্পাই বানিয়ে দিতো।আমি ওদের জায়গাতে হলেও একি করতাম। জানলাম, অন্য এক স্পাইও আমার নাম বলসে। হিসাব মিলালাম। ১১ এ সে আমার রুম এ ছিলো। স্পাই এর কারনে ওর সাথে ঠিক মতো কথা বলতাম না। এটার প্রতিশোধ নিলো। আমি এমনকি কোরান শরীফ হাত এ নিয়েও বললাম যে আমি স্পাই না। যাতে অন্ন যে কোনো মানুষ হলে
হয়তো ২য় বার ছিন্তা করতো। কিন্তু আমরা তো ক্যাডেট। যা ১ বার বলছি, তাই হবে।
এর মধ্যে পড়ালেখা এর যা হবার তাই হলো। ওই পরিবেশ এ আর যাই হোক পড়া হবার কথা না। ফলে, এইচ এস সি তে কোনো মতে পাশ ১ম বিভাগে। ৭০০ ও পাই নাই। অথচ, এস এস সি তে ৯০০ এর মতো মার্ক। কয়েক নাম্বার এর জন্য স্ট্যান্ড মিস হয়েছিল। ফ্ লে, ভালো কোনো ভারসিটি তে ভর্তি হতে পারলাম না। বুয়েট এ পরীখখা দেয়ার মার্ক ছিলো না।
কলেজ থেকে বের হবার দিন পর্যন্ত চেষ্টা করলাম প্রমান করতে আমি স্পাই না। কিন্তু কিভাবে? আমি তো স্পাই। আর স্পাই এর কথা কে শুনবে। তবে টিকে ছিলাম মনে হয় ‘*’ এর কারনে। আমার ৬ বছরের রুম মেট। সে ১ মুহুর্তের জন্য ও বিশ্ব্বাস করে নাই আমি স্পাই। আরও কিছু বন্ধু করতো না। কিন্তু অদের কথা কয়েক জনের কাছে গিয়ে ধোপে টিকত না। অই কয়েক জন বাকিদের অনেক টা দমিইয়েই রাখলো।
এই ভাবে আমি তিক্ত স্বাদ নিয়ে আমি কলেজ লাইফ শেষ করলাম। বের হবার পর আমি তবু চেষ্টা করলাম সব ভুলে থাকতে। বন্ধু দের সাথে নরমাল থাকতে। দেখলাম কয়েক জন ছাড়া সবাই আমার সাথে নরমাল।
আমি নিজে থেকেই আমাদের কোনো আড্ডায় যাই না। থাক না, আমার বন্ধুরা হয়তো আমি গেলে নরমাল হয়ে কথা বলতে পারবে না। পরিবেশটা অন্ন রকম হয়ে যাবে। আমার ৯০% বন্ধু এর সাথে যোগাযোগ আছে। কিন্তু অই কয়েক জন ছাড়া। আমি চাই না, আমার জন্ন্য তোদের আড্ডা নষ্ট হোক। আমি রিইউনিয়নে যাই না, যদি বন্ধু দের মজা খারাপ হয়।
এইবার আমার বন্ধুদের কে বলি, আমি তোদের কে খুব খুব মিস করি। আমিও চাই, তোদের সাথে আড্ডা দিতে। আমিও চাই, প্রতি বছর এর গেট টুগেদার এ জয়েন করতে। আমিও চাই, আমাদের সবার বিয়েতে আসতে। চাই, গ্রুপ এ জয়েন করতে। চাই, রিইউনিয়নে গিয়ে তোদের সাথে মজা করতে।
তোরা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখ, আমি স্পাই ছিলাম না। আমাদের অন্য কোনো স্পাই প্রতি মুহুর্তে চিতকার করে না যে, আমি স্পাই না। অন্য কোনো স্পাই প্রতি মুহুর্তে সবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না।
আমাদের ইনটেকের যারা আর্মি তে আছিস, তদের কাছে আমার অনুরোধ, যদি কেউ এডজুটেন্ট হস, বা তোদের পরিচিত কেউ হয় আমাদের কলেজ এর, তাহলে প্লিজ আমার ওই স্টেটমেন্ট টা বের করিস যেটা আমি নিজের হাত এ তদন্ত কমিটি এর সামনে লিখেছিলাম। আমার মরার পরে হলেও করিস। অন্তত তখন তো, তোরা বুজবি যে আমি স্পাই ছিলাম না।
দোস্ত, তোদের কে অনেক মিস করি। অনেক বেশি। এতো বছর পরেও। এটা তো সিভিলিয়ান বন্ধুত্ব না।
অনেক টা হাল্কা লাগছে। লেখা টা অনেক বছর থেকে লেখার ইচ্ছা ছিলো। হয়ে উঠতেছিলো না। আজকে হল।
ব্লগ এর সবার কাছে মাফ চাইছি, এই লেখাটা দেবার জন্য ১ টা ছদ্দনাম এর আশ্রয় নিলাম।
BHi, Amar apnar jonno khub khub khub kharap lagtese!!!! Ami bujhte partesi.... apni koto miss koren???? koto koshte asen??? je emon 1ta blog lekhte pare.... she konodin_o spy hoite pare na!!! Ami apnar bondhu_der kase Khub request korchi.... mitay felen!!!!
আসলে ক্যাডেট কলেজের কর্কশ দিকগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম।তথাকথিত প্রিফেক্টশীপের লোভে কত ক্যাডেটকে দেখেছি নির্লজ্জভাবে বন্ধুর নামে রিপোর্ট করে আসতে।সৌভাগ্যক্রমে আমাদের ব্যাচের সাথে অথরিটির গন্ডগোল থাকায় নিজেরা একতাবদ্ধ ছিলাম,স্পাই ছিলনা আমাদের মাঝে।এমনকী সব প্রিফেক্টরা মিলে আমাদের ব্যাচ অথরিটির অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে একযোগে পদত্যাগপত্রও দিয়েছিল।বন্ধুদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা অবশ্যি নিন্দনীয়। কিশোর বয়েসে সেই ভুল হয়তোবা ক্ষমা করা যেতেও পারে।কিন্তু অথরিটির কিছু মানুষ,অ্যাডজুটান্ট বা পুরানো স্যারেরা,তারা যখন একটা ক্যাডেটের আগের খারাপ রেকর্ডের সু্যোগ নিয়ে তাকে বন্ধুদের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করেন,তারা কি একবারো ভেবে দেখেন সেই ছেলেটির কি পরিনতি ভোগ করতে হয়?এই ব্লগের যে ভাইটি এখানে লিখলেন, তিনি যদি সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করতেন(কেউ বলতে পারবেনা যে সেটা ঘটা অসম্ভব) অথবা যদি বোর্ড পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতেন, তাঁর জীবনের অপচয়ের দায় কে নিত?
আমার মনে হয় আমরা যারা পরবর্তীতে ক্যাডেট কলেজের প্রশাসনের সাথে যুক্ত হতে পারি(সেনাবাহিনীর ভাইদের কথা বলছি),তাঁরা চাইলে আমাদের বাইরের মানুষদের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখতে পারেন এখানে।একজন ভাল এডজুট্যান্ট একটা পুরো ব্যাচের জীবন পাল্টে দেবার ক্ষমতা রাখে বলে আমি মনে করি।
একজন ভাল এডজুট্যান্ট একটা পুরো ব্যাচের জীবন পাল্টে দেবার ক্ষমতা রাখে বলে আমি মনে করি।...পুরা একমত :boss:
আর কমল ভাই...মন খারাপ কইরেন না... আমরা তো আসিই.... :shy:
আমিও একমত।
গার্লসের ক্যাডেট হিসেবে এই জিনিসটা আমরা কখনই পাইনাই যে প্রিফেক্টশীপ নিয়ে ক্লাসমেটের মধ্যে গন্ডগোল লাগবে। আমরা বরঞ্চ আগদিন পর্যন্ত শঙ্কিত থাকতাম আয়হায় আমরে আবার প্রিফেক্ট শীপ দিয়া দিল নাকি...আমাদের মধ্যেও গন্ডগোল ছিল তবে অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে। এই একটা ব্যাপার মনে হয় আমরা কখনই বুঝব না, অবশ্য আমরা চাইও না কেউ বুঝুক।
না বুঝাই ভাল...বহুত খ্রাপ ো গন্ধওয়ালা ব্যাপার,,, 😛
কমল ভাই, আপনার কষ্টটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করছি।আশা করি আপনার বন্ধুরা এটা পড়বেন আর আপনাদের সব বিরোধ মিটে যাবে।ভালো থাকবেন ভাইয়া।
i hope so bro. thnx
কমল ভাই,
আমি বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ১১তম ব্যাচের। আপনি "না" করলেও আমি আপনার এই লেখাটির লিঙ্ক BEXCA গ্রুপ মেইলএ ছাড়ব। জানিনা আপনার কতজন বন্ধু ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আসে, কিন্তু অনেকেই অন্তত গ্রুপ মেইলে আসে। আমি চাই তাদের কানে আপনার এই আর্তচীতকার পৌছাক। একজন নিষ্পাপ বন্ধুর এতবছরের বয়ে বেড়ানো কষ্ট, জ্বালা, আত্মত্যাগ তাদের সবাইকে এতটুকু হলেও লজ্জিত করুক। আসিফের সাথে আমিও একমত। একজন স্পাই এর অন্তর থেকে জীবনেও এরকম একটা লেখা বের হবেনা।
মাসরুফের মত আমিও আপনার বন্ধুদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, "কে দায়ভার নিত যদি কমল ভাই আত্মহত্যা করতো কিংবা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতো?"
বকক এর ২য় ব্যাচের ভাইয়াদের উদ্দেশ্যে বলছি...পরম্পরায়, আপনাদের হাত ধরেই শিখেছি-ক্যাডেট কলেজ উদার হতে শেখায়। আপনাদের পদাঙ্ক অনুসরন করে আমরা আজ এতদুর এসেছি...সেই আপনাদের কি এরকম করাটা মানায়? প্লিজ ভাইয়ারা, এখন ও সময় আছে, বুকে টেনে নিন আপনাদের এই নিষ্পাপ বন্ধুটিকে...জড়িয়ে ধরে তার সব দুঃখ, বেদনাকে ভূলিয়ে দিন। ভাইয়া আপনারা না ক্যাডেট? আপনারা না বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন? প্লিজ ভাইয়ারা, এমন কিছু করুন যেটাকে আমরা আপনাদের উত্তরসূরী হিসেবে অনুকরণ করতে পারি...।
কমল ভাই, আশা করব আপনি কলেজের নেক্সট যেকোন প্রগ্রামে হাজির হবেন। আপনার বন্ধুরা আপনাকে স্বাগত না জানালেও আপনার অনেক ছোট ভাই আছে, তারা আপনার আনন্দকে অনেক গুনে বাড়িয়ে দিবে...এ আমার অঙ্গীকার।
ভালো থাকবেন ভাইয়া। যোগাযোগ রাখবেন।
আল্লাহ হাফেয।
খুব সুন্দর কমেন্ট আহসান ভাই.....
বন্য,
ধন্যবাদ ভাইয়া। তোমার সাথে আমার এর আগে পরিচয় হয়নি। যতদূর মনে হয়, আজই তোমাকে প্রথম দেখলাম।কেমন আছো ভাইয়া? আশা করি আরো ঘনঘন আমাদের কথা হবে।
ভালো থেকো ভাইয়া।
দেখবেন ক্যামনে। বন্য মানুষ। সারাদিন বন জংগলে ঘুইরা বেড়ায় :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
বনে জংগলে ঘুইরা ছুডু ছুডু পুলাপাইন আইনা জিহাদরে দেই...আর ও ওইগুলারে কোলেপিঠে মানুষ করে... :grr:
নাহ্....মাসরুফ ভাইর লগে হাত িমলান লাগবো... 😕
এইবার বুঝ,কেন আমি জিহাদরে "বানাইতে" থুক্কু "সাইজ" করতে চাই।
বানায়াল্যান... ;))
bhai ami barishal er na. debate erate onno college er nam disi.
ভাইয়া,
তাইলে তো ব্যাপারটা একটু জটিল হয়ে গেলো...।
আমি তো আমাদের গ্রুপ মেইলে অলরেডি আমাদের ২য় ব্যাচ কে উদ্দেশ্য করে মেইল পোস্ট করে দিছি...।। 🙁
sorry bhai. ami asole mis unerstanding korte chai nai. amar college er nam dile hoito fri ra aro vul bujto j ami CCB te eisob kotha boltesi tai onno college bolsilam.
ভাইয়া আশা রাখি আপনার ক্লাসমেটরা ভুল বুঝতে পারবেন, পারাই উচিৎ, তাঁরা তো ক্যাডেটই।
ya u r right. we are cadet. tai to amra ek bar ja thik kori, duniya ultaleu ta change kori na
কমল ভাই, ২২ বছর ধরে আপনি এই কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন???
আপনার নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার ব্যাপারটা মনে হয় ঠিক হয় নাই...আপনি যদি ফ্রেন্ডদের সাথে সময় বেশী কাটাতেন তাইলে মনে হয় তাদের ভুল আরও আগেই ভাংত...আর যাদের এখনো চোখ খোলে নাই, তাদের ইগ্নোর করুন...১০% এর জন্য বাকী ৯০% আর আপনার নিজেকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করা বোধহয় ঠিক হবে না...
ভালো থাইকেন...
আমরা কিন্তু আপনার সাথেই আছি...
শেষ বিকেলের রৌদ্র মেখে
একলা তুমি রও দাঁড়িয়ে
জানলা খোলা, দৃষ্টি মেলা
চোখের কোণায় মেঘের ভেলা
দুর আকাশের নীলগুলো আজ
বড় কাছের মনে হয়
বলো তাই কি নয়?
বন্ধু, তোমার আমার শেষ এখানেই নয়।
অনেকটা পথ হাঁটার বাকি
আছে অারেকটু গান গাওয়ার
অনেক স্বপ্ন দেখার বাকি
আছে অনেক কিছুই চাওয়ার
কিছুই হয়নি শেষ এখনো
সামনে পড়ে অনেকটা সময়
বলো তাই কি নয়?
বন্ধু, তোমার আমার শেষ এখানেই নয়......
ভাইয়া,
আপনার লেখাটা পড়ে কি লিখবো বুঝতে পারছিলাম না। মাঝে মাঝে আমার গানের মত করে লিরিকস লেখার ভুত চাপে। এরকমই লেখা উপরের লাইন কয়টা হঠাৎ আপনাকে লিখতে ইচ্ছে করলো। ভাল থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জ়িহাদ,
ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে লিখেছো, তাই ব্যাপারটা নিয়ে রসিকতা করে হাল্কা করতে চাইনা...।।
কিন্তু তোমার একই অঙ্গে এত রুপ...।কি করে পারো...।????
ভালো লেগেছে...।
আহসান ভাই,ওর ক্যাডেট জীবন নিয়ে লেখা ছড়ার সিরিজটা পড়ে ঠিক এই কথাটাই মনে হয়েছিল। কি করে পারে??!!
:salute:
thanks zihad. sundor hoise kobita ta
:salute:
শফি ভাই, ব্লগাড্ডাতে আপনি আমাকে আদর করে যেই এক্সট্রা মোগলাই খেতে দিয়েছিলেন সেইটা খাওয়ার সময় ছবি তুলে তার সংখ্যা বাড়িয়ে(৫ টা) আমার নামে অপবাদ দেয়া হয়েছে।আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই!
লাভ নাই...ব্লগাতিহাসে সেইটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে। 😀 😀
ইতিহাস কথা বলেছিল..বরে..বলবে... :grr: :grr:
ইতিহাসের সাথে সাথে আজকে ফুয়াইদ্যাও বেশি কথা কইতাসে :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
যা..আমি আবারও ইতিহাস হয়া গ্যালাম... 😐
কমল ভাই আপনার কথা পরে খুব খারাপ লাগলো । এতো বছর আপনি কষ্ট বয়ে বেরিয়েছেন । আমার মনে হয় অনেক তো হলো এবার এ কথা গুলো আপনার বন্ধুদের বলার সময় হয়ে গেছে । all the best vaia..
bhai, i think ekhon r bolar kichu nai.
r adnan, ami yr ta ektu lukiye disi.
আপনি যেই হোন আপনার লেখা একদম ছুঁয়ে গেছে আমাকে...।
আমি ক্যাডেট কলেজের এই একটা জিনিস একদমই মানতে পারতাম না, পলিটিক্স। আশা করি আপনি যাদের উদ্দেশ্য করে লিখলেন তাদের অন্তত একজন পড়বেন লেখাটা।
আপনি যেই হোন আপনার লেখা একদম ছুঁয়ে গেছে আমাকে…।ভালো থাইকেন…
আমরা আপনার সাথেই আছি ভাইয়া......
আমরা আপনার সাথেই আছি ভাইয়া……
স্পাই গুলোকে সবসময়ই ঘৃণা করে সবাই। আপনার লেখা পড়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আবার। ভাবতে হচ্ছে যে, আমাদের ব্যাচের যাকে আমরা সবাই স্পাই বলে জানি এখনো, সে কি আসলেই স্পাই ছিল কিনা।
আসলে ক্যাডেট কলেজে স্পাই থাকার কোনো কারণ নাই, তুই জিজ্ঞাস করে দেখিস, আমার ধারণা একই কেস হবে
লেজে স্পাই থাকার কোনো কারণ নাই...ঠিক না...আসলে বেশিরভাগই হয় পরিস্থিতির শিকার...গান্ধা অ্যাডজুেটন্ট থাকলে যা হয় আরকি...
ভাগ্য ভাল...আমাগো সময় অ্যাডজুট্যান্টটা ভালা আসিল.. 😡
apu, spy thake. its true. amader batch e proven spy chilo. even tara sikar o korsilo
লেখাটা হৃদয় ছুঁয়ে গেলো...
if this incident is based on the life of an ex-bcc then it's a shame for me as an ex-bcc..cadet colleg theke ber hoye asar por o kivabe cadet ra ae rokom akta relation maintain korte pare ta amar dharonar baire.karo kache kono request nai..jader k niye lekha hoyeche..tara jodi nijeder vul bujhte paren tahole bcc er ex cadte hisabe nijeke ame aro besi proud mone korbo..
sorry bro. its not from BCC. but whtever CC ta jei tai hok na keno
লেখাটা পড়ে খুব কষ্ট লাগলো... এরকমও কি হয়!
আসলেই একজন গান্ধা এডজুটেন্ট যেকোনো কলেজের পরিবেশ নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
লেখকের জন্য সমবেদনা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
Ahsan vhai,
Kamol vhai name j likce seki amader Bcc r Cadet? apni jodi vhai r aasol porichoy pan to plz take 20 tariq BEXCA r ifter party te nea aasen..jodi tar batch mate ra take batchmate hisabe sikar na kore tabe...amader batch korbe.Amra eto din 55 jon celam ekhon theke na hoy 56 jon hobe.........
bhai, apnader valobasa peye amar mone ja dukho chilo onektai dur hoye jache. cadet feelings j civilian na abaro apnara prove korlen. vabsilam etai hobe CCB te amar 1st and last lekha. ekhon mone hoche arekta likhtei hobe. :boss:
কমল ভাই, আমাদের ছেড়ে যাবার কথা ভুলেও ভাইবেন না...
ভাল হইব না কিন্তু...
i will be a silent reader of CCB as i was from joining
ভাইয়া , এখন কি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা যায়না? আমার মনে হয় তাতে লাভ হতেও পারে। আমরা সবাই আপনার ব্যাপারটা ফিল করছি। কাজেই এখনো বোধহয় সমাধাণ সম্ভব। সময় কি একেবারেই শেষ হয়ে গিয়েছে?
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
একমত।
bhaiya, amake ki korte bolo? ami ei week eu amader batch er koyek jon er sathe kotha bolesi eta niye. bollam na, koyek jon chara karo e prob nai. as we are mature enough. but oije how can i prove tht im not a spy? so, r pani ghola korte icha kortese na. thak na, etodin jevabe gese evabei choluk
কমল ভাই,এত কিছুর পরেও যদি কেউ আপনাকে স্পাই ভেবে শান্তি পায়-আমি দুঃখিত, এ কথা বলতে হচ্ছে-তাদের মনটাই কলুষিত।আপনি এদের নিয়ে মন খারাপ করবেন না।নিজের কাছে ঠিক থাকাটাই সবচেয়ে বড় কথা।আল্লাহ তো জানেন যে আপনি দোষী নন।
আপনার আনন্দময় জীবন আশা করছি।
ya, definitely im very much clear 2 myself. thts why yet not lost from this world
আপনার তো প্রমান করার কিছু নাই...
অনেক দিন কোন গ্যাদারিং এ না যাবার কারনে সম্ভবত আপনার ভিতরে এক ধরনের সংকোচ তৈরি হয়েছে...
আপনি আপনাদের নেক্সট গেট টু গ্যাদার এ যান, যদি মনে হয় আপনার যাওয়া ঠিক হয় নাই- তাইলে আর যাবেন না...একটা ট্রাই করে তো দেখেন...আপনার তো হারানোর কিছু নাই...
প্লিজ, পরের গেট-টু-গ্যাদার এ এটেন্ড করুন...ইনশাল্লাহ, সব ঠিক হয়ে যাবে...
i dont think so
কিছুটা হলেও এই মন্তব্যের প্রতিফলন আমি অনুভব করেছি কলেজের শেষ দিনগুলোতে। এ্যাডজুট্যান্ট সত্যিই একটা বড় রোল প্লে করে। আমাদের এ্যাডজুট্যান্টকে নিয়ে লেখার ইচ্ছা রইল।
কমল ভাইয়ের জন্য সমবেদনা।
Life is Mad.
AMI O VAEADER KOTHA K SUPPORT KORE BOLTESI JE CADET COLLEGE E JODI AKTA CADET ER SOTRU WHOLE COLLEGE HOE BUT SUDHU MATRO TAR CLS MATE TAR DOLE THAKLE TAR KACHE KONOPROBLEM PROBLEM THAKENAKOMOL VAE ALLAH JENO KONO CADET AR AE PORISTHITITE NA FELE.........VAE ALLAH KE HAJARO SUKREA JE AMI CADET COLLEGE E CHANCE PAESI AMAR KONO DUKHO NAE JE AMAKE ARMY TE SELECTED KORENAE........AMI CADET ABONG AE NAM TA SARAJIBON MONE RAKHTE CAE SAE SATHE AMAR CLS MATE KEO.....KOMOL VAE APNER LEKHA PORE AMAR KHUB KHARAP LAGCE....
কমল ভাইয়া আপনার লেখা পরে খুব খারাপ লাগল..আসলে একজন ক্যাডেট এ বুঝে ক্যাডেট এর কস্ট..আসলে আমি যেটা মনে করি এই সিস্টেম এর কারনে অনেকে স্পাইগিরি করে..অবশ্য যখন বুঝতে পারে তখন সে হয়ত অনুতাপ করে..তারমানে এই নয় যে ওর কোন দোষ নাই..আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল যে ওসব কথা ক্যাডেট কলেজ এ ফেলে আসা উচিত..এসব কথা শেয়ার করার জন্য অভিনন্দন।
thanks to u also
অনেকদিন পর!
ভাই আপনি সিনিয়র বা জুনিয়র যেই হোন না কেন, ক্যাডেটরা সবাই আছি পাশাপাশি।
সিসিবিতে আশা করি আবার নিয়মিত দেখতে পাবো আপনাকে এবং আপনার লেখাকে ।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাই, আমি দিনে অন্তত ১০ ঘন্টা সিসিবি তে থাকি