আমরা হয় “A”লীগ বা “B”দল এর লোক। কিন্ত কজন আমরা বুকে হাত রেখে বলতে পারি, যে, আমরা আসলে কোন কারো দায়বদ্ধ নই। নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বুঝি এভাবেই বদলে যাবে। আমিও কিন্ত নিরপেক্ষ নই। আমি শুধু আমার কলিজা আর পরানের পরাণ বাংলাদেশের পক্ষে। দেশে জন্য ক্ষতিকর সব কিছুই আমার জন্য বিরক্তিকর। আর দেশের জন্য সুখকর সবটাতেই আমার নিখাদ আনন্দ। আজকাল আনন্দিত হতে পারি না, বিরক্তিতে BP 100-140,
তবুও আশাহীনতাতে তালাক দিয়ে নতুন দিনের প্রনালী খুঁজি। একমাত্র শুরু করাটাই কাজ নয়। এই দেশের উন্নতি হতে কত সময় লাগবে সে প্রশ্নে যাবো না, শুধু এইটুকু জানাতে চাই অরাজনৈতিক জনগন হলো প্রায় ৬০শতাংশ, যাদের কথা বলার কোন উপায় নেই। ভালকে ভাল আর মন্দকে মন্দ বলার জন্য যে কেউ যে কোন a/b গোষ্ঠীর চামচার খেতাব পেয়ে যেতে পারেন। কি যে করি???
ভাবছি একটা সংগঠনের কথা। একটি অরাজনৈতিক দেশপ্রেম সংগঠনের কথা। হয়ত আমাদের জীবদ্দশায় এর ফল দেখে যেতে পারবো না, কিন্তু কাউকে না কাউকে তো শুরু করতে হবে, আসুন সংঘবদ্ধ হই। হাতে হাত রেখে সাজাই….. N.C.P.F.B. “Nonpolitical & Constructive Patriotic Forum of Bangladesh”
Email me ceo@pre2pro.com if u think
১. আমৃত্যু রাজনীতি না করার হলফনামায় সাক্ষর করা
২. দেশের চাইতে পরিবারকে বেশীরভাগই প্রাধান্য দেবেন না
৩. জনগন নয় বরং আল্লাহ-ই সকল ক্ষমতার উৎস… এই শ্লোগান বিশ্বাস করা
মুস্তাফিজ(bcc 1984-1988)
বেড়ালের গলায় কাউকে না কাউকে ঘন্টা তো বাঁধতেই হবে...
ব্যাপক সহমত ... রাজনীতি গালির পর্যায়ের একটা শব্দ এখন, এবং এইটাই প্ল্যানড। শিক্ষিত এবং ইউথ যেনো এই লাইনে না আসে, ভয়েসেস অফ দ্যা পিপল যাতে অকার্যকর থাকে এইটা নকশাতো পুরোটাই সফল।
বেড়ালের গলায় ঘন্টা না বাধলে একদল/শ্রেনী পারিবারিক আর দুষিত শাসনই চাপিয়ে যাবে।
লেখাটা ব্যঙ্গাত্বক সেটা না হয় বুঝলাম 🙂
অরাজনৈতিক মানুষের অনুপাত প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের যা করতে হবে, তাদের মত প্রকাশের প্ল্যাটফরম তৈরী করতে হবে। আমি কাজে হাত দিয়েছি, ভাল কাজে ঠিক তেমনি সময় লাগে যেমনি সদ্য ভূমিষ্ট পাখীর সময় লাগে।
প্রথম প্রেমের প্রথম চিঠি লিখতে যেমনটি সময় লাগে।
হয়ত ১০০ বছর লাগতে পারে এই স্বপ্ন পূরণ হতে।
একদিন এটা হবেই হবে।
শুরুটাতো করি চলো সবাই মিলে।
আমি বাঁধতে চাই সেই ঘন্টা, তুমি কেন নও
১. আমৃত্যু রাজনীতি না করার হলফনামায় সাক্ষর করা
তাহলে আপনি বা আপনারা পরিবর্তন আনবেন কি করে?
আমি বলতে চাচ্ছি মাস লেভেলে।
২. দেশের চাইতে পরিবারকে বেশীরভাগই প্রাধান্য দেবেন না
এইটা কি কোনভাবে সম্ভব ভাইয়া???
৩. জনগন নয় বরং আল্লাহ-ই সকল ক্ষমতার উৎস… এই শ্লোগান বিশ্বাস করা
উপরের দুইটায় যাও কিছুটা রাজি ছিলাম।
কিন্তু আল্লাহর উপর বিশ্বাস কিভাবে রাখবো???
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
১. আমি একাতো পারবো না ভাই।
২. ভাবনাটা জটিল, অসম্ভব নয়।
৩. চলতি শ্লোগানটা কোরান বিরোধী।
আমি বিশ্বাষ করি উন্নতি, পরিবর্তন যা কিছু করতে হবে সেটা শেষ পর্যন্ত রাজনীতির ভিতর দিয়েই করতে হবে। বর্তমানে রাজনীতির বিরোধিতা একটা ফ্যাশন এ পরিণত হয়েছে। উপযুক্ত রাজনৈতিক নেতৃত্ত ছাড়া সত্যিকারের উন্নতি প্রায় অসম্ভব।
সব কিছুর উপরে দেশের স্বার্থ চিন্তা করার শিক্ষাটা এই মুহুর্তে সবচেয়ে জরুরী, যেটার শুরু হওয়া দরকার একদম প্রাথমিক পর্যায় থেকে।
আপনি কি আপনার এই দল শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য করার পরিকল্পনা করেছেন? তাহলে নামেও মুসলিম শব্দটা জুড়ে দেন।
অফটপিকঃ আপনার আগের লেখাগুলোয় অনেক মন্তব্য, প্রশ্ন জমে আছে, লেখক নিজে যদি কোন ইন্টারেকশন না করে তাহলে ব্লগের আসল মজাটাই থাকে না 🙁
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বাপ্পী ভাই, আপনার প্রস্তাবিত সংগঠনের মূল কাজ কি হবে? নিশ্চয়ই দেশের জন্য কাজ করা এবং দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ঠিক? এজন্য আমাদেরকে অরাজনৈতিক কেন হতে হবে?
বাংলাদেশের এখন মূল সমস্যা দেশের প্রধান দু'টো দল দেশের আগে দল বা ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয় বেশি। দলদুটোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ইস্যুতেও যুক্তিহীনভাবে মতের প্রচন্ড অমিল রয়েছে,এবং দূর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের এই দু'টো দল ছাড়া কোন অপশনও নেই। সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমাদের সমস্যা পুরোপুরিই রাজনৈতিক। আর রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে রাজনৈতিকভাবেই! এছাড়া তা কখনোই কার্যকরী হবে না।
ধর্মভিত্তিক সংগঠন না করে সার্বজনীন একটি প্ল্যাটফর্ম হলে তা দেশের জন্য বেশি মঙ্গলজনক নয় কি? তা নাহলে আজ আপনি একটি দল করবেন, কাল অন্য ধর্মাবলম্বীরা আরেকটি দল করবে। শেষে ঘুরে-ফিরে ঐ ধর্ম নিয়েই আবার মনোমালিন্য শুরু হবে। ছাড়া দেশের ক্ষমতার মূল উৎস - এই প্রসঙ্গ নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে শুধু বিতর্ককেই কি উষ্কে দেয়া হবে না?
শেষে বলতে চাই, আপনি সার্বজনীন একটি রাজনৈতিক দল করুন- আমি চোখ বন্ধ করে আপনার দলে যোগ দেব।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
দেশের আগে দলের প্রাধ্যান্য শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, বলতে গেলে সবযায়গাতেই এইটা সত্য। দলের আগে ব্যাক্তিকে প্রাধান্য ভালো জিনিষ, তাহলে অন্ধভাবে দলকে সামর্থন না করে ব্যাক্তিত্ব, লক্ষ্য, ম্যান্ডেট এইসব দেখে ভোট দেয়া হয় - ফাইনালি যেই দলের বেশি উপযুক্ত লোক থাকবে তারা মেজরিটি পাবে। অন্তত অন্ধ ভাবে মার্কায় ভোট দেয়া কমবে, দুইদলীয় শাসনও হয়ত কমবে।
রাজনীতির বাইরে থেকে রাজনীতিকে বকলে তো লাভ হবে না ফাইনালি কোনো। শিক্ষিত, উপযুক্ত মানুষ রাজনীতির বাইরে থাকলে শাসন থাকবে যদুমদুর কাছে আর তাতে দেশ পিছাবেই।
গার্বেজ ক্যান থিওরী বলে একটা ধারনা আছে, যেটা যথার্থ ভাবেই রাজনীতি / প্রশাসন ব্যাখ্যা করে (নামে শুনলেই দেখা যায় - রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে তুলনা করা হয়েছে আবর্জনার সাথে, যদিও তার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত, পরিণতি সবই হয় - সফলগুলোই হয়। এই থিওরির সারাংশ হচ্ছে রাজনীতি আর প্রশাশনে কোনো সমস্যার সমাধান হয় খুব ছোট একটা 'অপার্চুনিটি উইন্ডো' তে। সমস্যা থাকে, চলতে থাকে অনেকদিন ধরেই, সমাধানের অনেক অপশন আসে, যায় - কাজের কাজ কিছু হয় না (জোড়াতালি দিয়ে চলে আর কি)। খুব অল্প একটা সময়ে সমস্যা, সমাধান, সমাধানের যোগ্য নেতৃত্ব আর জনসামর্থন একসাথে হয় (এইটাই ঐ উইন্ডো) - ঐ সময়েই সম্ভব দীর্ঘমেয়াদী সমাধান।
আমার মতে কিছুদিন আগে (গনজাগরন মন্চ, শাহবাগ অন্দোলন) এই উইন্ডোটা ছিলো, আমাদের রাজনৈতিক দল গুলো সফলভাবে তাতে 'নাস্তিক' , 'ব্লগার', 'বাকশাল', এইসব লেবেল লাগিয়ে ব্যার্থ করেছে।
হয়ত সামনে আবার সুযোগ আসবে, লিডার বের না হয়ে আসলে আবার সেইটা ব্যার্থই হবে আর আমরা ফিরে যাবো রাজনীতিকে গালি দেয়ার সার্কেলেই।
প্রথমেই যদি ধর্ম নিয়ে আমাদের মাঝে গিট্টু লাগিয়ে দাও তবে কিন্তু আপামর জনতার সাপোর্ট হারাবে! ধর্মভিত্তিক দল কোন ভাবেই কাম্য নয়।
ধর্ম যার যার দেশ তো সবার!
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ