উনিশ’শ একাত্তর: এক শিশুর স্মৃতিচারনা

পচিশে মার্চের স্মৃতিচারনা করতে গিয়ে পাঠকের আগ্রহ দেখলাম শিশুর স্মৃতিচারনা শোনার।
এখানে সেরকম দুটো স্মৃতিচারনা সন্নিবেশিত করে দিচ্ছি।
এগুলো একসময় ফেবু-স্ট্যাটাস আকারে দিয়েছিলাম। ব্লগাকারে দিচ্ছি কারন তা অনেক বেশী সার্চ ও পাঠ-বান্ধব।

প্রথমটি – যা ২৩শে মে ২০১৩ তে লিখা (কিছুটা এডিট করে দিচ্ছি):
==============================
আজ সেই ২৩শে মে। একাত্তরের এইদিনে আমাদের গ্রামে একটি গনহত্যা হয়েছিল। আমরা তখন গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম।

বিস্তারিত»

৭১-এ না লেখা চিঠি

কইছিলা, বেলা ডুবনের সময় আমারে দেখা দিবা,

রাঙ্গা নদীর পাড়ে, কলসী নিয়া ছিলাম আমি সেদিন।

তোমার নায়ের আশায়;

তারপরের দিন, তারও পরের দিন।

তুমি আসো নাই।

বিস্তারিত»

পচিশে মার্চের টুকরো স্মৃতি

একাত্তর সালের ২৫শে মার্চ রাতে ডিনার করে অন্য আর দশটা দিনের মতোই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ কি একটা হৈ চৈ-এ জেগে উঠি। দেখলাম সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে। আমরা তখন আগামসিহ লেনে থাকি। আমাদের বাসার সব বাতি নিভিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ি। উত্তর দিক, যে দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেদিক থেকে ঘন ঘন গোলাগুলির শব্দ আসছিল। ঐ অবস্থায় কতক্ষন ছিলাম মনে নেই। হঠাৎ শুনলাম আগুন আগুন। দক্ষিন দিক,

বিস্তারিত»

অজানা অদেখা কোন এক নাজমা বেগম এর সমাধিতে…

২০১৩ এর এপ্রিল থেকে জুন, বেড়াতে গিয়েছিলেম মার্কিণ মুলুকে। সফরের এক পর্যায়ে পাঁচ দিনের জন্য ফ্লোরিডার নেপলসে, এক বন্ধুর (Half JCC half MCC) বাড়ীতে উঠেছিলাম তার বহুদিনের বকেয়া আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে। সেখানে থাকতেই, ২৭ মে ২০১৩ তারিখে তার এক মিসরীয় বন্ধুর অকস্মাৎ মৃত্যুর খবর আসে। দাফন হবে ‘টাম্পা বে’ এর কাছে, ‘স্কাইওয়ে মেমোরিয়াল গার্ডেন্স’ এর এক সমাধিস্থলে, শ্যামলিমায় ঘেরা নীরব প্রান্তরে।

সেটা ছিল বন্ধুর বাড়ী থেকে প্রায় ঘন্টা তিনেকের ড্রাইভ।

বিস্তারিত»

ইন্টারনেট কিউটি- স্লো লরিস

পশু-পাখি, পোকা-মাকড়ের ব্যাপারে আমার সব সময় একটা আগ্রহ ছিল সেই ছোট বেলা থেকেই। কিন্তু ছোটবেলাতে আগ্রহটা ছিল একটু সাইকো টাইপ। বাসায় একটা প্রজাপতি উড়ছে, খপ করে ধরে ফেললাম আর বারান্দায় গিয়ে কেঁচি, ছুড়ি এসব দিয়ে তার উপর অপারেশান চালাতাম। এবং ব্যাপারটা নিয়ে বাসার কেউ কখনো ঝামেলা করেনাই যদিনা কার্পেট কিংবা অন্যকিছু নষ্ট না করি। হয়তোবা আম্মা ভাবতো ছেলে বড় হয়ে বিশাল ডাক্তার হবে। কিন্তু এখন আগ্রহটা সম্পূর্ণ উল্টো,

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ আলো’র বাড়ি যাবো

পশ্চিমে জন্মালে মিলি আপার নিজের টিভি শো থাকতো, একটা দুটো ম্যাগাজিন থাকতো ওপরাহ উইনফ্রির মতো, বাড়ীর পেছনে অর্গানিক ভেজি গার্ডেন থাকতো আর প্রতি বৃহস্পতিবার রেড বেল পেপার আর ব্রাসেলস স্প্রাউটের ঝুড়ি হাতে ফটো শুট করতেন তার ফেইসবুক ফ্যানদের জন্য! কিন্তু আপা পূর্বে জন্মেছেন যেখানে রান্নাবান্না করে ঠিক জাতে ওঠা যায়না, আর মনি কাঞ্চনের কথা নাইবা বললাম এখানে!

আগের দিনে পালকি পাঠিয়ে নাইওরী নিতো গ্রামের বাড়ি আর এখন কেউ ভালবাসলে নিজেই ঘন্টাখানিক ড্রাইভ করে এসে চ্যাংদোলা করে সাথে নিয়ে যান।

বিস্তারিত»

সানসেট বেঞ্চ

কলেজে প্রতি দিনের রুটিন একদম ঠাস বুননের।পিটিতে যাও,ফিরে গোসল কর, নাস্তা খেয়ে ক্লাসে যাও, মিল্ক ব্রেক থেকে ফিরে আবার ক্লাস শেষ করে লাঞ্চ…… দৌড় দৌড় দৌড়… সকালে পাচটা থেকে রাত দশটা অবধি … বছরে ২৬৫ দিন। পুরা দিনের রুটিনের ভেতর একটা দৌড়ের উপর থাকার ব্যাপার ছিল। কখনো নিজস্ব সময় পেলে, হয় খেলে নয় ঘুমিয়ে কাটানোর ইচ্ছাই ছিল ভারী। চিন্তা করার সুযোগ অনেক কম।

এর ভিতর শ্রেষ্ঠ সময় ছিল …

বিস্তারিত»

ছেলে বেলার মা-মাটি

গ্রীস্মের খরদুপুরে মহানন্দায় শীতলতা গ্রহণ,
আগুনরাঙ্গা কৃষ্ণচুড়া ফুল আহরণ,
আমার ছেলে বেলার মা-মাটির বন্ধন।

বর্ষার বর্ষণ মুখর উঠানের সেই আনন্দ ক্ষণ,
শ্রাবনে পরিপূর্ণ জল ধারায় বর্ষা বরন,
আমার ছেলে বেলার মা-মাটির বন্ধন।

শরতে আকাশ জুড়ে মেঘের নীলাবরণ,
মাটিতে ধবল কাশফুলের ছোয়া লাগে নিদারুন,
আমার ছেলে বেলার মা-মাটির বন্ধন।

হেমন্তের শিশির ছড়ানো ধানক্ষেতে পদচারণ,

বিস্তারিত»

অস্থির

মনে করে এলেই যখন, একটু বসো, একটুখানি।
এসেই কেন চাইছো যেতে, একটু বসো, গল্প শুনি।
আসতে কি খুব কষ্ট হলো? নাকে কেন ঘাম জমেছে?
উড়ছে যে চুল কিছু কিছু, আর কিছুটা লেপ্টে গেছে।

একটু বসো, একটু বসো, থামাও তোমার ছটফটানি,
একটু তোমার একটু আমার, কথা শুনি একটুখানি।
মলিন মুখে হাসি মেখে, আসলে যে তাও, খুশী হ’লাম।
এটাই হবে শেষ দেখা যে,

বিস্তারিত»

মিঃ রফিক নওশাদ ভালো আছেন

অফিসে যাবার পথে ভয়ে ভয়ে Syed Rafiqul Hossain স্যারকে ফোন দিলাম। মাত্র কিছুদিন আগে স্যার সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন। স্যার যতদিন হাসপাতালে ছিলেন তার প্রায় প্রতি দিনই Gazi Ghazi Abu Taher ভাই এর আপডেটের সুবাদে স্যারের শরীরের অবস্থা জানতে পারতাম। স্যার ফেরার পর ফেসবুকে যোগাযোগ হয়েছে। কথা বলিনি কারণ স্যার কথা বলতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিলো। আজ যখন ফোনে কথা বললেন ভাবলাম একেবারে দেখা করেই আসি।

বিস্তারিত»

ধাঁধা

(মন্তব্যে ইতিমধ্যে ধাঁধার সঠিক উত্তরগুলো চলে এসেছে। তাই পাঠকদের অনুরোধ করছি ধাঁধার প্রকৃত আনন্দ পেতে মন্তবে উত্তরগুলো না দেখে আপনার নিজের উত্তর দিন। সেই সাথে আপনি নতুন ধাঁধাও দিতে পারেন।)

ছোটবেলায় ছন্দে ছন্দে মজার সব ধাঁধা আমার বেশ প্রিয় ছিল। বহু বছর পরে আজ একটা এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনের কল্যানে বেশ কিছু ধাঁধার মুখোমুখি হলাম। সেখান থেকেই কিছু এখানে দিলাম সবার মাথা একটু খাটাবার জন্য।

বিস্তারিত»

গোলাপের রঙ

কিছু কিছু বিষয়ে আমি বিষ্ময়ে বিহ্বল হয়ে যাই।
অতি ক্ষুদ্র মানুষ আমি। স্ট্রাগলিং লেখক বলা যায়। নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি লেখক হবার। কেউ লেখা পড়লে ভালো লাগে। খারাপ বললেও ভালো লাগে। যাক পড়েছে তো!

বই বেরুলে নামিদামি দু’এক জনকে বই দেই উদ্দেশ্য, তাঁরা যেন আমার বইটা অন্তত পড়ে দ্যাখেন। অভিজ্ঞতা ভালো নয়। বড়রা বাড়াবাড়ি রকমের ব্যস্ত থাকেন। আমার বই পড়ার সময় পান না।

বিস্তারিত»

বাণিজ্য বান্ধব ক্রীড়া নীতি চাই

ছোটবেলায় পাড়ার ক্রিকেটে একটা অবধারিত নিয়ম ছিল – আম্পায়ার থাকবে ব্যাটিং টিম থেকে। ইন্ডিয়া নিয়মটাকে একটু এডিট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ে গেছে – ব্যাটিং/ফিল্ডিং দুই সময়েই আম্পায়ার থাকে ওদের দলের।

খেলায় জিততে ওরা আর কি কি করতে পারে?

১। কাগজে কলমে স্কোরিং হবে! ওদের দলের কেউ স্কোরিং করবে। মাঝে মধ্যে একটা দুইটা দাগ টেনে সিঙ্গেল/ডাবল কিংবা দুই একটা চার লিখে দিবে।

বিস্তারিত»