তোদেরকে ভুলি কেমনে…

মোবাইল এ হঠাৎ SMS আসার শব্দ। SMS টা পরতে লাগলাম

” দোস্ত, কেমন আছিস ? অনেকদিন তোদেরকে দেখিনা। খুব দেখতে ইচ্ছা করে। আমার একটু খারাপ সময় যাচ্ছে, তাই তোদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারিনা… ঠিক হয়ে গেলেই আমাকে পাবি… দোয়া করিস আর অনেক ভাল থাকিস…”
চোখে পানি এসে গেল। খারাপ লাগতে লাগল খুব। কেমনে ভুলি তোদের ?

বিমএ থেকে যখন ফোন দিস।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : পঁচাত্তরের নৈরাজ্য এবং বঙ্গবন্ধু

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব

ফৌজদারহাটে গিয়ে আমি সারা দেশ-বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম। বাসা থেকে আসা চিঠি আর মাসে একবার প্যারেন্টস ডে’র সুযোগে বাবা-মা-ভাই-বোন-স্বজনদের কারো কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ ছাড়া বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের আর কোনো পথ নেই। এইসব যোগাযোগ নিয়ে যে ওই সময় খুব আগ্রহী ছিলাম এমনও নয়।

বিস্তারিত»

আবার ফিরে যেতে ইচ্ছা করে

আজকে রওনা দিলাম মিরপুর । আশফাক আর রাসেল এর সাথে দেখা করতে । যাওয়ার পর গল্প জমে উঠল । প্রথমেই খোজ নিলাম পোলাপাইনের। হাসিব কোথাই রে এখন ? অনেকদিন ওর সাথে যোগাযোগ নাই। শুনলাম নুর নাকি আয়ুব এর সাথে দেখা করতে অর বাসাই গেছিল? শালার প্রেম এখনও কমে নাই । হেসে উঠলাম সবাই । অনেকদিন পর একসাথে বসা আমাদের। এ কথা সে কথার পর আসলো ক্যাডেট কলেজ এর কথা।

বিস্তারিত»

সিসিবি : অনুরোধের আসর

আমার সর্বশেষ বন্ধু দিবসের গানের পোস্টে তিনটা গানের অনুরোধ পেয়েছিলাম। দুটো বাংলা আর একটা হিন্দি। গানগুলো খুঁজে বের করতে একটু সময় লাগলো। বিশেষ করে জাফর ইকবালের গানটা।

আদনান চেয়েছিল, জাফর ইকবালের সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী। কামরুল চেয়েছিল, একটাই কথা আছে বাংলাতে, মুখ আর বুক বলে একসাথে, সে হলো বন্ধু, বন্ধু আমার। এটা এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া বন্ধু আমার চলচ্চিত্রের গান। আর দিহান চেয়েছিল জনপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্র শোলে‘র গান ইয়ে দোস্তি।

বিস্তারিত»

যদি বন্ধু হও, যদি বাড়াও হাত

গতকাল থেকেই গুনগুন করে গাইছিলাম শুভমিতার গানটা।

যদি বন্ধু হও
যদি বাড়াও হাত
জেনো থামবে ঝড়
মুছে যাবে এই রাত

হাসি মুখ তুলে
অভিমান ভুলে
রাঙা সূর্য বলবেই
সুপ্রভাত……….

এতোটা মন ছুয়ে যাওয়া গান। বন্ধু দিবসের পোস্টের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই হতো। কিন্তু হাতের কাছে ছিল না। আজ মনে হলো তোমাদের সঙ্গে এই গানটা শোনার আনন্দটা ভাগাভাগি না করলে অপরাধ হবে।

বিস্তারিত»

আমার ১৩ মাসের বন্ধুত্ব-ভালোবাসা

মাত্র ১৩ মাস বয়স আমাদের বন্ধুত্বের। বন্ধু চেনার জন্য বলা যায় যথেষ্ট সময়। সম্পর্কের শুরুতে আমার দিক থেকে কিছুটা জড়তা ছিল। অসম বয়সের বন্ধুত্ব। নতুন বন্ধুর বয়স বেশ কম। ছোট-বড়োয় সম্পর্কটা কি গড়ায়, এগোয়? এমন একটা দ্বিধা নিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সময় যতো গড়িয়েছে ততোই আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়েছে। দিনে দিনে আমাদের মধ্যে পরস্পরের জন্য ভালোবাসাটা এমন পর্যায়ে গেল যে একটা দিন আমি ওকে না দেখে থাকতে পারিনা।

বিস্তারিত»

এ জার্নি টু দা ক্যাপিটাল অফ ম্যাংগো

গত এপ্রিলে আমার বন্ধূ মাহবুবের শশুড় বাড়ী রাজশাহী গিয়েছিলাম। তখনি বললো জ়ুনে ‘আম খেতে চাপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাট যাওয়ার প্ল্যান আছে। ব্যাপারটা মাথায় রাখিস। সময়মতো ডেট জানানো হবে’। ভোলাহাট ওর মামা শশুড়ের বাড়ী।

প্ল্যান মাফিক বৃহস্পতিবার ছূটি ম্যানেজ করলাম। এখন যে ল্যাংড়া আমের সিজন। আগামী সপ্তাহে ফজলী। ১৭ জ়ুন বুধবার অফিস করে বাসায় গিয়ে কল্যাণপূর যাওয়ার জন্য বের হই এবং অবধারিত ভাবে ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর সি এন জ়ি পাই।

বিস্তারিত»

দিন রাত্রির গপ্পো – ১

কয়েকদিন ধরে চারপাশ হাতড়েও মন ভাল করার মত কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা। শুধু অশান্তি আর অশান্তি। এদের মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে মিড এক্সাম। এইতো দুইদিন আগে শুরু হলো। কিন্তু আজকের পরীক্ষাটা দেয়ার পর থেকে পার্থিব যন্ত্রণার সীমা অতিক্রম করে এটাকে এখন হাবিয়া দোযখের প্রেপ টাস্ক বলে মনে হচ্ছে। মানুষের পরীক্ষা এত খারাপ হতে পারে?! 🙁 … আমি বোধহয় মানুষ না! :(( পড়াশুনা নিয়ে সচরাচর মন খারাপ হয়না।

বিস্তারিত»

ফ্ল্যাশব্যাক ০৫

১।আমাদের কলেজ়ে মাঝে মাঝেই সাডেন ইন্সপেকশন হতো। একাডেমি ব্লকে এসে ক্লাশ টাইমে হঠাৎ আমাদের চাবি চেয়ে নিয়ে হাউস ডিউটি মাস্টাররা এবং এডজুট্যান্ট স্যার লকার চেক করতেন। তখন ত সবার আত্নারাম খাঁচাছাড়া। কিছু স্যার আবার ছিলেন বেশ উদার। ইংরেজীর শফিক স্যার আমাদের একজনের লকার থেকে এডুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ‘পুস্তিকা’ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন।
আরেকদিন চাবি নেয়ার পর আমাদের একজন মোকসেদুল ইসলাম রাজা স্যারকে কাঁচুমাচু করে বলল-
“স্যার আমার লকারটা একটু…”
স্যার দ্বায়িত্ব নিয়ে সেভ করলেন এবং পরে ঝারি দিলেন “ এত সস্তা জিনিস পড় কেন,

বিস্তারিত»

ট্যুর ডি টাঙ্গাইল

গত কয়েকদিন যাবৎ আমি বেশ মনোদৈহিক যাতনার মধ্যে আছি। ব্যাপারটা প্রিন্সিপাল স্যার অবগত। ডেস্কজব করলে যা হয় আর কি, ব্যাকপেইন। হওয়াটা খুব ইজি বাট খতরনাক এন্ড লং লাস্টিং ।আমার ঠিক এখনো হয়নি কিন্তু সেরকমই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান হও নীতিতে তৎপর। এখনি এইটার মূলোৎপাটন করাটা বাঞ্ছনিয়। এখানে বলে রাখা ভাল আমার শরীর ছিল বিশ্রি রকমের ভাল। ক্যাডেট কলেজে ফাঁকি মারার জন্য খুব কমই সিক রিপোর্ট করতে পেরেছি।

বিস্তারিত»

প্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ আর মিতালী মুখার্জী

যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়
যে ছিল হৃদয়ের আঙ্গিনায়
সে হারালো কোথায় কোন দূর অজানায়
সেই চেনামুখ কতদিন দেখিনি
তার চোখে চেয়ে স্বপ্ন আঁকিনি।।

যতটুকু ভুল হয়েছিল, তার বেশি ভুল বুঝেছিল
কি যে চায় সে বলেনি আমায়।।

যতখানি সুখ দিয়েছিল, তার বেশি ব্যাথা দিয়ে গেল
স্মৃতি তার আমাকে কাঁদায়।।

খুব সহজ-সরল ভালোবাসার কথা। কিন্তু সুরটা অসাধারণ।

বিস্তারিত»

সিসিবির মন খারাপ? এইবার কার্টুন ব্লগ

মন খারাপ হওনটা আজকাইল ফ্যাশনে পরিণত হইছে। পোলাপাইন একটা আরেকটারে ক্ষুদে বার্তা পাঠাইয়া জানান দেয়, হের আজকে মন খারাপ। ক্যান মন খারাপ, কি হইছে, সমস্যাটা কি জিগাইলে কোনো জবাবও পাওয়া যায় না! হুদাহুদিই বলে মন খারাপ!

এফএম রেডিও অহন পুলাপাইনের ক্রেজ। সারাদিন-রাইত হেরা ক্ষুদে বার্তা পাঠাইয়া মুঠাফোন কোম্পানি আর রেডিওওয়ালাদের পকেট ভরায়! তো ওইসব বার্তার মূল কথা কি? কথাবন্ধু আর আরজেগুলারে কয়, “ভাইয়া,

বিস্তারিত»

বাংলা চলচ্চিত্রের দুটি অসাধারণ সুরেলা গান

আমার খুব পছন্দের গান এ দুটি। সত্তুরের দশকের শেষে অথবা আশির দশকের শুরুতে দুটি বাংলা চলচ্চিত্রের এ গান দুটি চরম জনপ্রিয় হয়েছিল। কামরুল আবার বাংলা চলচ্চিত্রের পুরনো গান খুব পছন্দ করে। আমারও ভীষন পছন্দ। রেডিও’তে কাজ করার কারণে আর বাংলা চলচ্চিত্রের গান নিয়ে এবিসির সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান সিনেমাতাল (অনুষ্ঠানটির নামও কামরুলের দেওয়া) থাকায় আমাদের এই বিষয়ক আর্কাইভটা ভালই আগাচ্ছে।

সম্প্রতি মধুমিতা সিনেমা হলের কর্নধার একজনের সঙ্গে কথা চলছে।

বিস্তারিত»

কবিতারা……..

আধুনিক কবিতা তেমন বুঝি না। উত্তরাধুনিক কবিতা তো নাইই। তারপরেও হঠাৎ হঠাৎ দু’একটা বুঝে ফেলি। যেমন নৃসিংহমুরারি দের এই কবিতা। পশ্চিমবঙ্গে এই নামে যে একজন কামেল কবি আছেন সেটাই তো জানতাম না। কবিতা পাই বুদ্ধিজীবীর নোট বই নামের একটি বইয়ের মূখবন্ধে। আত্মপরিচয়ের সংকট বুঝাতে যেয়ে এই কবিতার এই কটি লাইনের উদাহরণ।

আপনার বাড়িতে ফ্রিজ আছে।
বিদেশী রঙ্গিন টিভি আছে
এবং এন্তার ভিডিও ক্যাসেট আছে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব

‘৭৩ সালের শেষ দিক থেকে পরিস্থিতির আরো অবনতি শুরু হলো। যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ। পূনর্গঠন, পূনর্বাসন দরকার। কিন্তু সরকারের কাছে টাকা নেই। মার্কিন বিরোধীতার কারণে বৈদেশিক সাহায্য আসছে সামান্যই। কিউবায় পাট রপ্তানি করায় মার্কিন সরকার বাংলাদেশে খাদ্য সাহায্যের জাহাজ আটকে দিলো। কৃষি দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু যুদ্ধে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।

বিস্তারিত»