বিষন্ন বিরিওজা – ২

বিষন্ন বিরিওজা – ২

—————————- ডঃ রমিত আজাদ

 

কার চুল এটা? কে এই মেয়েটি? এই রূমেই কি থাকত মেয়েটি? নাকি কারো বান্ধবী ছিল? স্মৃতি হিসাবে চুলটি রেখে দিয়েছে? কি জানি! এরপর একটা ভয়াল ধারনা আমাকে ঘিরে ধরল, মেয়েটি কি বেঁচে আছে?

 

রূমে আমি একাই থাকি। বেশ ভয় ভয় করতে লাগলো।

বিস্তারিত»

অবশেষে আমেরিকান…!!!

আজকের এই ব্লগটি আমি লিখবো ঠিক করেছিলাম খুব অদ্ভূত একটা মুহুর্তে। ১২/১২/১২ দিনটি নিয়ে সারা বিশ্ববাসী অনেক মাতামাতি করলো। এটি আমার জন্যও বিশেষ একটি দিন ছিল। আমার আমেরিকান সিটিজেনশীপের শপথ অনুষ্ঠান ছিল এই দিনে। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি নিউইয়র্কে এসে খুঁটি গেড়েছিলাম। তখন আমি কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের প্রথম বর্ষে পড়ি। ইস, এখনো মনে করলে অবাক লাগে! স্বপ্নের মতো মনে হয় দিনগুলো।

বিস্তারিত»

বিষন্ন বিরিওজা – ১

বিষন্ন বিরিওজা – ১
———————– ডঃ রমিত আজাদ

আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, আমার কি হয়েছে। আমার কি ঘুম ভেঙেছে, নাকি আমি ঘুমিয়েই আছি? আমার মনে হলো আমি আধো ঘুম আধো জাগ্রত একটা অবস্থার মধ্যে আছি। আমার চোখ কি খোলা? ঠিক তা বুঝতে পারলাম না। আমার মনে হলো আমার চোখ আধো বন্ধ, আধো খোলা। একটু পরে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হলো আমার। একটা মেয়ের হাত আমার মুখের উপর।

বিস্তারিত»

আপনার সন্তানের শৈশব কেড়ে নিবেন না।

আমার ছোটবেলার সবচেয়ে আনন্দের সময় ছিল ক্লাস ফোর আর ফাইভের বছর দুইটা। সে সময় আমি শাহজাদপুরের “কিরন-বালা প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামের একটা সরকারী স্কুলে পড়তাম। বই ছিল মোট ৮টা। বোর্ডের ৬টা সাথে ইংরেজী আর বাংলার দুইটা ব্যকরণ বই। আমাকে খুব বেশী পড়তে হত না। স্কুলের হোমওয়ার্ক আমি স্কুলে বসেই সেরে ফেলতাম। বাসায় সন্ধা বেলা বই নিয়ে বসাটা ছিল বাধ্যতা মুলক। কিন্তু পড়ার চাপ ছিল কম। বছরে তিনটা পরীক্ষা।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসঃ কেবলই কি ভ্রম?

বাংলাদেশের স্বাধীনতার একচল্লিশ বছর হয়ে গেল! আনন্দের ব্যাপার, গর্বের ব্যাপার, আমরা স্বাধীন জাতি। কেউ কেউ অবশ্য বলেন “স্বাদহীন” জাতি। কেননা রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হলেও আমরা এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি বিশ্বের বুকে! কেননা আমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করি, নিজেদের ইতিহাস বিকৃত করি এবং তারপর বলি “অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে হবেনা! ভবিষ্যতের কথা ভেবে এগিয়ে যেতে হবে।” আর ভুলে যাই যে অতীত আমাদের শিক্ষা দেয় ভবিষ্যৎ এর জন্য।

বিস্তারিত»

কামরুল প্রদত্ত ছাগলের সংজ্ঞা’র সাথে একমত হইতে মঞ্চায়

[ভাবছিলাম, কয়েকদিন রেখে এইপোষ্টটা মুছে দিবো। কিন্তু আমার পরের পোষ্ট আর এইটার মধ্যে বেশ কিছু ওভারল্যাপ হয়ে গেছে, মূল পোষ্ট, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যেও। তাই এটা রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।]

আমার সর্বশেষ পোষ্টের মন্তব্যে কামরুল আমাকে ‘ছাগু’ বলেছে। এতোদিন অনলাইনের জগতে নিজের আত্মপরিচয় সংকটে ভুগতাম। আজ ক্যাডেট সম্পর্কের সূত্রে ছোটভাই কামরুল আমাকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করলো। ধন্যবাদ কামরুল (আমাকে ছাগু বলার সাথে সাথে তুমি যে-ই ধন্যবাদ দিয়েছে,

বিস্তারিত»

শরীয়তের দৃষ্টিতে “হরতাল”

শরীয়তের দৃষ্টিতে “হরতাল”
=======================================
(অনুরোধ, আগে এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন, পরে মন্তব্য করুন, আর হ্যাঁ এই পোষ্টটি কোন রাজনৈতিক দলের ফায়দার জন্য দেয়া হয়নি, যারাই হরতাল করুক না কেন তাদের উপর বর্তাবে, ধন্যবাদ)

হরতাল শব্দের অর্থ বিশৃঙ্খলা, অত্যাচার, স্বেচ্ছাচার, অবাধ্যতা, অরাজকতা, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিরোধ ইত্যাদি।
হরতালের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিক্ষোভ প্রকাশের জন্য যানবাহন, হাটবাজার, দোকানপাট, আফিস-আদালত ইত্যাদি বন্ধ করা।
হরতাল গুজরাটি শব্দ।

বিস্তারিত»

লিস্টনিং টু দ্য উইন্ড অফ চেইঞ্জ ১২

 

লিস্টনিং টু দ্য উইন্ড অফ চেইঞ্জ ১২

রমিত আজাদ

Listening to the Wind of Change

 

ভূমিকাংশ

 

(সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও পতন রবর্তী সময়ের উপর ভিত্তি করে একটি ধারাবাহিক উপন্যাস)

 

যুগে যুগে মানুষ স্বপ্ন দেখেছে আদর্শ সমাজের। সেই আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নানা যুগে মানুষ আঁকড়ে ধরেছে নানা দর্শনকে।

বিস্তারিত»

ইউ’ভ মেসড ইট আপ, ব্র…

[গত কয়েকদিন ধরেই মেজাজ খারাপ ছিল। গতকাল এ’ই নিয়ে বন্ধু রাজীবের সাথে আলাপও করেছি। আজ সকালে পত্রিকার শিরোনাম দেখে মনে হলো ব্যক্তিগত অনুভূতি আর লুকিয়ে রাখার দরকার নেই।]

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটা জাতীয় দাবী। আর এই দাবীর পক্ষে জনমত গঠনের অন্যতম শক্তি অনলাইনভিত্তিক কিছু সক্রিয় দল যারা বিনাস্বার্থে নিজেদের শক্তি-সময়-অর্থ ব্যয় করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। এদের অন্যতম হচ্ছে আইসিএসএফ, যেখানে রায়হান রশীদ ভাই একজন পুরোধা।

বিস্তারিত»

আমার বাবার গল্প

আমি যখন গ্রামের বাড়ি পৌঁছলাম তখন হাইস্কুলের মাঠে জানাযার নামাজ শুরু হচ্ছে। আমার দাদীর জানাযা।  তাড়াতাড়ি অজু করে সবার পেছনের কাতারে দাঁড়ালাম।  মাইকের সামনে বড় চাচা কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছেন। বাকি চাচারা প্রথম কাতারে পাশাপাশি দাঁড়ানো। শুধু আমার বাবা পরের কাতারের এক প্রান্তে একা দাঁড়িয়ে। আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে গেল। ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। আমার বাবা থরথর করে কাঁপছিলেন। টকটকে লাল চোখ। তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদলেন কিছুটা।

বিস্তারিত»

গল্পের নাম নেই……

সেদিন ক্যাফেতে আমিন ভাই(pcc 24) এর সাথে দেখা; বললেন, “ABCX( Association of BUETian Ex- Cadets) এর ম্যাগাজিন বেরোচ্ছে, কিছু লিখলে আমার কাছে দিও; ছাপা হওয়ার ১০০% গ্যা্রান্টি সহকারে জমা নিচ্ছি”। বললাম, “ইনশা আল্লাহ, দেখি কী করি”।

রাতে বসেছি class test এর জন্য পড়তে। হঠাৎ মনে হল কিছু লেখা দরকার।

বেশ কিছু দিন আগের একটি দৃশ্য মনে পড়লো। টিউশনিতে যাচ্ছিলাম বাসে করে।

বিস্তারিত»

আমার অ্যাথলেট জীবন


আমি কখনই নিবেদিতপ্রাণ অ্যাথলেট ছিলাম না, ছিলাম না কোন দুর্দান্ত দৌড়বিদ, লম্ফবিদ, নিক্ষেপকারীও। তাই লেখাটার নাম “আমার অ্যাথলেট জীবন” না হয়ে “আমার দর্শক জীবন” হলেই বোধহয় নামকরণের সার্থকতা প্রকাশ পেত।

অতীতের কোন এক ক্লান্ত বিকেলে প্রিফেক্ট/জে.পি.-র চাপে পড়ে একদল ক্লাস সেভেনের দিক-বিদিগ্‌জ্ঞানশুণ্য দৌড়ে (যেটাকে ইংরেজীতে HITS বলে) প্রথম সারিতে না থাকতে পারার দরুন আমি কোনদিন স্প্রিন্টার হতে পারলাম না!

বিস্তারিত»

অন্তরালে ১

১) পরদিন সকালে অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা শুরু হবে। সকালের প্যারেড শেষে কলেজের প্রত্যেকটি ক্যাডেট খুব ব্যস্ত। যারা অ্যাথলেট তারা নিজের ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। ক্লাস টুয়েলভ হাউস চ্যাম্পিয়নশিপের জটিল সমীকরণের সহজতম সমাধান ও তার বিকল্প খোঁজা নিয়ে ব্যস্ত। ইলেভেন আসন্ন জুনিয়র প্রিফেক্টশিপ আর নিজের সম্ভাবনা নিয়ে নানান বাস্তব-অবাস্তব কল্পনায় ব্যস্ত। হাউস টেন্টের আড়ালে কিংবা পোল-ভল্টের প্রকাণ্ড ফোমে শুয়ে বসে টেস্ট পেপার হাতে ‘অবজেক্টিভ সলভ’ করায় ব্যস্ত এস এস সি ক্যান্ডিডেটরা।

বিস্তারিত»

বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ দিন

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ দিন
————– ডঃ রমিত আজাদ

দিনটিকে মেঘাচ্ছন্ন বা রৌদ্রজ্জ্বল কোনটাই বলা যাবেনা,
একটু উষ্ণ অথচ মৃদু বাতাস বইছে
আর আমরা একদল তরুণ-তরুণী
অনেকটাই বিমর্ষ চোখে দাঁড়িয়ে আছি
প্রাচীন চিত্রকরদের আঁকা ছবির মত
বিশ্ববিদ্যালয়ের দালানের সামনে,
সবুজ চত্বরের অপূর্ব দৃশ্যপটে।

এই জ্ঞানের তীর্থস্থানে আমাদের সময় শেষ,

বিস্তারিত»

দশ পয়সার আইসক্রীম

দশ পয়সার আইসক্রীম
————ডঃ রমিত আজাদ

(উৎসর্গঃ যার কায়া হয়েছে মৃত্তিকা ও মহাকালের অংশ, যার আত্মা ফিরে গিয়েছে তাঁর স্রষ্ঠার কাছে, সেই আমার শ্রদ্ধেয় দাদীমা-কে)

গভীর রাতের স্বপ্ন ভেঙে ডুকরে কেদে উঠি
চঞ্চলা হাওয়ার মায়াবী মেঘ স্বপ্ন হয়ে
গুন্জন তোলে এক শৈশব ফাগুনের কাব্য
স্মৃতির জলপ্রপাতের তুমুল জলরাশির ভেতর হারিয়ে যাই
ফেলে আসা জীবনের অথৈ স্রোতে

আমি তখন স্কুলে যেতে শুরু করেছি
স্কুলের গুরুত্ব বুঝিনা
শুধু বুঝি,

বিস্তারিত»