বিষন্ন বিরিওজা – ৩

বিষন্ন বিরিওজা – ৩
—————————- ডঃ রমিত আজাদ

(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)

বিকাল বেলাটা সাশা আমার রূমে কাটালো। আমরা চা নাস্তা খেয়ে গল্পগুজব করে কাটালাম। এদেশে সামারে বিকালটা ভীষণ লেংদি হয়। দশটার দিকে সূর্য ডুবি ডুবি করল। আমাদের হিসাবে এটাকেই সন্ধ্যা বলতে হয়। সেসময় সাশা বলল, “চল আমার রূমে গিয়ে ডিনারটা সেরে নেই। তাই করলাম।

নিরুদ্বিগ্নভাবেই ভাবেই কেটে গেল বিকাল আর সন্ধ্যাটা।

বিস্তারিত»

মধ্যবিত্ত আমরা

আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার, তাই আমরা এক ঈদে মার্কেটের মোটামুটি সবচেয়ে সুন্দর জামা পড়ি আর আরেক ঈদে আম্মার হাতে বানানো জামা পড়ি। আমাদের মাসের শুরুতে অনেক টাকা ওড়ানো হয় কিন্তু সেই মাসের শেষেই আমাদের পরিবার প্রধান হিসাবের খাতা খুলে ভ্রু কুঁচকে ভাবতে থাকেন কিভাবে বাকি আট দশটা দিন যাবে। আমাদের ইগো এত বেশি যে আমরা আমাদের উচ্চবিত্ত পরিচিতদের কাছ থেকে নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে সাহায্য নেই না,

বিস্তারিত»

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–

না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও  তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…

বিস্তারিত»

খেলাঘর

খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)

আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।

বিস্তারিত»

অবশেষে ‘বিতংস’

সিসিবিতে ধারাবাহিকভাবে একটি উপন্যাসটি লিখছিলাম। সেটি গত বছর বই আকারে বের হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়েছেও। তবে বইমেলাতে নয়। বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে। আগামী প্রকাশনী থেকে। ২০১৩’র বইমেলাতে সে বইটি আগামী প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এবার নিশ্চিত হয়েই কথাটি বলছি। কারণ বইটি আমার হাতে এসেছে। আর আগামী প্রকাশনীও তাদের তালিকাতে বইটির নাম উল্লেখ করেছে। গতবার বইমেলাতে উপন্যাসটি বের হবার কথা ছিল বলে অনেকেই আমার কাছে তার খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

গণতন্ত্রের তন্ত্র-মন্ত্র – ২

গণতন্ত্রের তন্ত্র-মন্ত্র – ২
—————- ডঃ রমিত আজাদ

যে গণতন্ত্র সক্রেটিসকে হত্যা করেছে


গণতন্ত্র বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক মতাদর্শ বা দর্শন। কি এই গণতন্ত্র, কোথা থেকে এর উদ্ভব, এই দর্শন প্রতিষ্ঠার পিছনে কারা ছিলেন, বিশ্বের অতিত ইতিহাসে গণতন্ত্র কখন কেমন ছিল, কি করে তা রাষ্ট্রযন্ত্রে স্থান পেল, কতটুকু সফল এই রাজনৈতিক মতাদর্শ, এর বিকল্প কিছু আছে কিনা;

বিস্তারিত»

শিশুদের জিয়া

শিশুদের জিয়া
————– ডঃ রমিত আজাদ

দিনটি ছিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারী। শহীদ মিনারের ঠিক উল্টা দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বাগানে, একটি আড়াই বছরের শিশুকে মালি বা পিওন ধমকা ধমকি করছে, ফুল ধরেছে বলে। বাবা-মা মালিকে বোঝাতে পারছে না। তারপর আমি এগিয়ে গেলাম, “কি হয়েছে, আপনি বাচ্চাটাকে ধমকাচ্ছেন কেন?” বলল, “বাচ্চাটা ফুল ছিড়ছে তাই”। আমি বললাম, “ফুল তো ছিড়ে নাই, ধরেছে মাত্র”। ছোট শিশুটির বাবা বলল,

বিস্তারিত»

এক জন সাধারন ক্রিকেট দর্শক

আমার জীবনে ক্রিকেট কিভাবে এল জানি না। এই দেশের আর সব ছেলেদের মতো একদিন আমিও খেলাটা কোনও ভাবে শিখে গেলাম।প্রথম খেলা দেখার কথা যা মনে পরে তা হল ৯৬ এর বিশ্বকাপ ফাইনাল অস্ট্রেলিয়ার সাথে শ্রীলংকার।আর খেলা দেখার শুরু মোটামুটি ৯৭-৯৮ এরদিকে।প্রথম কোনও দল সাপোর্ট করলাম পাকিস্তান।সেবার পাকিস্তান এর সাথে শ্রীলংকার খেলা হয়েছিলো ঢাকাতে।প্রথম ওয়াসিম আকরাম আর শোয়েব আখতার এর খেলা দেখলাম।ওয়াসিম আকরাম সেই সিরিজে বোল্ড করে স্ট্যাম্প ভেঙ্গেছিল যা আমার তখনকার বালক মনে ব্যাপক দাগ কেটেছিল।এরপরে ৯৮ এ হোল উইলস ইন্টারন্যাসনাল কাপ।এবার হয়ে গেলাম সাউথ আফ্রিকার ভক্ত।

বিস্তারিত»

ছড়ে যাওয়া ছড়া

ক্ষিপ্ত নদীর ক্লান্ত দুটি পাড়,
নগর কার্নিশে থিতিয়ে পরা আঁধার।
একলা ডেকে ঘুমিয়ে পরা ডাহুক,
অদৃশ্য রাখাল জোরসে হানে চাবুক।
কাল দেহ;তারচে কাল পেছন,
থকথকে ঘায় নীল মাছি ভনভন।
থেমে যাওয়া টোনাটুনির গল্প,
কষে টানি এগোয় যদি অল্প।
বেঁচে থাকাই নাপাক কহেন কেহ,
নিকোটিনে শুদ্ধ করি দেহ।
আঙুল ফাঁকে ঘুমায় ক্লান্ত আগুন,
হোঁচট খাওয়া অন্ধ সবাই দেখুন।

বিস্তারিত»

স্মৃতিতে নির্মল সেন

স্মৃতিতে নির্মল সেন
————- ডঃ রমিত আজাদ

নির্মল সেন নামটির সাথে পরিচিত প্রায় জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ।  নির্মল সেনকে ব্যাক্তিগতভাবে দেখার ও কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তিনি আমার ফুপা মরহুম মোজাম্মেল হক-এর পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবনের শিষ্য ছিলেন। দেশবিভাগের পর নির্মল সেনের পুরো পরিবার ভারতে চলে গেলে, তিনি যখন দ্বিধায় পড়েছিলেন ভারত চলে যাবেন কি দেশে থাকবেন,

বিস্তারিত»

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং তুরস্কের মামাবাড়ির আবদার

২০০৯ সালে তুরস্ক সরকারের স্কলারশিপ পেয়ে তুরস্কে আসা। এর পর দেখতে দেখতে কখন যে তিনটা বছর কেটে গেলো টেরই পেলাম না।গত তিন বছরে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে,চোখের সামনেই ঘটে গেছে অনেক আজব আজব ঘটনা।সেই ঘটনাগুলো লিখতে বসিনি কারণ এটি কোন দিনপঞ্জিকা নয়।আমার এই লেখার বিষয়বস্তু হলো তুরস্কের রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লাহ গুল এর লেখা একটি চিঠি।এতদিনে হয়তো সবাই জানেন সেই চিঠির কথা।যেই চিঠিতে গুল সাহেব গোলাম আযম কে ফাঁসি না দেয়ার আবদার করেছেন।এই আবদারকে আমার মামাবাড়ির আবদার বলেই মনে হয়।তার চিঠির পর আবার একদল টার্কিশ নাগরিক ‘’অন অ্যারাইভাল’’ ভিসার সুযোগ নিয়ে তাদের লম্বা নাকগুলো গলিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।

বিস্তারিত»

মিউজক ব্লগ-৬: গ্রামি এওয়ার্ড ২০১৩ অনুষ্ঠানের টিকেট বিনামুল্যে জিতে নিন!

আসন্ন ফেব্রুয়ারী ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গানের জগতের সেরা পুরস্কার গ্রামি এওয়ার্ডস ২০১৩।

 

কিন্তু এর আগে হয়ে গেল নোমিনেশন বা মনোনয়ন। ৫৫তম এই অনুষ্ঠানটি সাজাতে অনেক কিছুই করা হচ্ছে।

 

যেমন রেকর্ডিং একাডেমি (এটা গ্র্যামি ফাউন্ডেশন ও মিউজিকেয়ার নামের সংস্থা মিলিয়ে একটা চ্যারিটি আর ডিস্ট্রিবিউসন করার কোম্পানিও বটে) বের করতে যাচ্ছে মনোনীতদের নিয়ে একটি গানের সিডি।

বিস্তারিত»

“Eating Haram Getting Fat”

ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল

{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }

তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি।

বিস্তারিত»

মেরেই যাবে? মরেই যাবে?

মানব সভ্যতায় মানুষের হাতে মানুষ হত্যা; সে হোক ধনে, মানে, প্রানে, সচেতনে বা অবচেতনে, সভ্যতার সমপরিমান প্রাচীনত্বের দাবীদার। তবে কালে কালে এর ধরন, প্রকাশ ও ভংগী বদলেছে। এই যে যেমন আজকাল এক নারী ডেকে নিয়ে যায় আরেক নারীকে শ্বাপদে ভরা অন্ধকূপে। এই যে যেমন বন্ধু ডেকে নিয়ে ছাদে ওঠায় আরেক বন্ধুকে- অনেক উপর থেকে ফেলে দেবে বলে। ছাত্র বই ছেড়ে ধরা অস্ত্রে কেড়ে নেয় আরেক ছাত্রের জ্ঞানের দ্যুতি।

বিস্তারিত»

একটা বড় মাঠ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ

আমি যেই বছরে হই সেই বছরে আমাদের পরিবারের ক্যাডেট কলেজ যাত্রা শুরু বলা যায় বড় আপু ক্যাডেট কলেজে চান্স পেল।এর পর মেজ আপু written এ হল পরে ভাইভা তে বাদ পরে। এক সময় আমার পালা আসলো আমার চার পাশে যে ক্যাডেট দের চিনতাম তারা ছিল FCC এর অনেক গল্প শুনতাম তাই FCC এর দিকে একটা টান ছিল।আর বাড়ি বরিশাল তাই ভাবতাম হয়তো BCC তে পরীক্ষা দেওয়া হবে কিন্তু আব্বা ঠিক করলেন MCC একটু মনঃক্ষুণ্ণ হইসিলাম ।

বিস্তারিত»