আমিও একজন ব্লগার

আমিও একজন ব্লগার- এই কথাটি অত্যন্ত গর্বের সাথে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে আজকে ব্লগ লিখছি। শাহবাগ আন্দোলনে দেশের বেশিরভাগ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহন থাকলেও এর মূল উদ্যোক্তা কিন্তু আমাদের তরুন সমাজই। তরুনদের জন্য যুক্তির চেয়ে আবেগ প্রকাশ করা সহজ, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার চেয়ে মুক্ত বা উত্তাল হওয়া সহজ, মহাত্মা গান্ধী হবার চেয়ে মাস্টারদা সূর্যসেন, সুভাস চন্দ্র বা প্রীতিলতা হওয়া অনেক সহজ।

রাজীবকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করার মাধ্যমে জামাত-শিবির এই হত্যাকান্ডকে অন্য খাতে নিতে চাচ্ছে।

বিস্তারিত»

প্রজন্ম শাহবাগ পূর্বাপর

আমরা যারা শৈশব এবং কৈশোরের সন্ধিকালে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান দেখেছি তাদের অনেক আশার সঞ্চার হয়েছিল নব্বই-উত্তর নতুন দিন নিয়ে অগ্রজদের উচ্ছ্বাস দেখে। আমরা একাত্তর দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। শুধু গল্প শুনেছি। বইয়ে পড়েছি। কখনো সিনেমায় দেখেছি। আর বিশেষ দিনে টেলিভিশনে যুদ্ধের ফুটেজ দেখেছি। পরিবার এবং পড়শির কাল নিরবধির স্বপ্নে আচ্ছন্ন থেকেছি। ভীষণভাবে মগ্ন হয়েছিলাম নব্বইয়ের নতুন অজানা দিনের শিহরণে। তখন আর কিছু বুঝি বা না-বুঝি সেটা যে বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসে একটা মাইলফলক সেটা বুঝতাম।

বিস্তারিত»

বইমেলায় মোস্তফা মামুনের নতুন বই………

আমাদের ব্যাচের ব্লগার বন্ধু ফরিদ অবশ্য ইতোমধ্যে ফেসবুকের প্রতিটি পাতায় পাতায় এঁটে দিয়েছে। আমি ওর টাই কপি করলাম। কি আর করা?

ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ক্যাডেট নম্বর ৫৯৫, কলেজ ক্যাপ্টেন, ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার ইত্যাদি সাড়া জাগানো বই এর লেখক মোস্তফা মামুন (সি ক ক) ভাই এর এবারের বই মেলায় এসেছে নিচের বইগুলো-

১। লাল শার্ট – অন্বেষা প্রকাশন
২।

বিস্তারিত»

কম্পিউটার আর আমরা কিছু সেকেলে

“কি বললি? তুই কম্পিউটার দেখছস?”
অবাক নয়নে আমার গুটি কয়েক বন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে বুক ফুলিয়ে বললাম, “হ্যাঁ! বাবা নিয়ে গেছিল স্টেশনে।ওইখানে অফিসে নিয়ে আমাকে কম্পিউটার দেখাইছে। আমি ধরছিও!”
বন্ধুরা অবাক হয়ে মস্ত হা করে আমার হাতখানা টিপে দেখে! আলভী কম্পিউটার ধইরা আসছে! সোজা কথা?
এরপর একেকজনের কৌতূহলী প্রশ্ন,
-কম্পিউটার কি করতেছিল রে?
-মানুষকে টিকিট দিতেছিল।

বিস্তারিত»

আমি একবার দুঃখ ভুলে বসন্তের ফুল পেতে চাই

আমি একবার দুঃখ ভুলে বসন্তের ফুল পেতে চাই
——————- ডঃ রমিত আজাদ

কাল ছিল শীতের শেষ রাত,
আলোহারা রজনীর নিঝুম নিস্তদ্ধতা,
আজ বসন্তের প্রথম দিন,
ফুলের সৌরভের মাতামাতি, কোকিলের গান।
সৌভাগ্যক্রমে এটিই তোমার জন্মদিন।

কেমন আছ তুমি?
খুব জানতে ইচ্ছা করে আমার।
তুমি কি সুখে আছ?
নাকি আমার মতোই কষ্টে কাটে দিন?

বিস্তারিত»

শাহবাগ সংহতি প্রবাসে

ঢাকায় যুদ্ধাপরাধের রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগ প্রজন্ম আন্দোলন শুরু হয় ৫ই ফেব্রয়ারি থেকে। মুহূর্তেই এই উত্তাল গণজাগরণের ঢেউ দেশের সীমানা পেরিয়ে পৃথিবীর যেখানে যত বাংলাদেশি আছে সবাইকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। উত্তেজিত এবং উচ্ছ্বসিত করেছে। আমরা যারা এই মূহূর্তে দেশান্তরি শাহবাগের ডাক তাদেরকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। সময়ের ডাক। সবাই শুরু থেকেই অর্ন্তজালে খবর সংগ্রহ, মতামত গঠন, এবং নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিল। প্রবাসেও সম্মিলিতভাবে কিছু করার তাগিদ অনুভব করছিল।

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গঃ শাহবাগ চত্বর

প্রশ্ন জাগে শুধুমাত্র একটি অসম্ভব খারাপ মানুষের অথবা কিছু খুব খারাপ মানুষের প্রস্থান কি এই জাতির ভাগ্যে পরিবর্তন আনতে পারবে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল এই জাতি, সে দেশ কি আমরা দেখতে পারবো?আমি বলি পারবো যদি আমরা আমাদের এই গণজাগরণকে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে পারি। আজ এই আন্দোলনে দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ আমারা চাইতেই পারি আর এই ধরনের চাওয়ার মধ্য দিয়ে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন আমাদের মধ্যে জাগ্রত হবে।

বিস্তারিত»

ডায়েরি প্রেমী শিক্ষক ও কতিপয় ক্যাডেট

কলেজে নতুন টিচার এসেছেন । তিনি নাকি আবার কোন কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপল স্যারের পুত্র। এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা ছিলোনা। কিন্তুু মাথাব্যথা বেড়ে গেলো যখন জানা গেলো স্যারের অভ্যাস ক্যাডেটদের ডায়েরি পড়া। একে তো ব্যক্তিগত ডায়েরি, তার উপর ক্যাডেটের ডায়েরি, সেটাও আবার সিভিলিয়ান হয়ে! পুরো কলেজের মাথায় আগুন ধরে গেলো। শিক্ষা দিতে হবে উনাকে!

প্রথম পরিকল্পনা, ক্লাসের যে পার্টি ডায়েরি লিখত,তারা ডায়েরি আনা বন্ধ করে দিল প্রেপ টাইমে।

বিস্তারিত»

মৃত ব্যাক্তিদের জন্য……

যারা এখনো এই শাহবাগ : প্রজন্ম চত্ত্বর এ আসার মধ্যে কোন লাভ খুজে পাচ্ছেন না (এবং অফিসে যেতে একটু দেরী হচ্ছে বলে যারা আমাদের এই তারুন্যের জাগরন কে গালাগালি করছেন ) তাদের বলছি, ৭১ এ যখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল তাদেরও কোন ব্যাক্তিগত লাভ ছিল না। তারা যুদ্ধ করার জন্য কোন বেতন পেতনা। নিজের কাজ বাদ দিয়ে, সব ছেড়েছুড়ে শুধু মাত্র একটা স্বাধীন দেশের স্বপ্নের জন্য জীবন বাজী রেখে তারা যুদ্ধ করেছিল।

বিস্তারিত»

রাজাকারের ফাঁসী চেয়ে

জেগেছে আজ লাখো প্রাণ; মুক্তির নয়া নিশান।
শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, চত্ত্বরে চত্ত্বরে-
জেলা, উপজেলা, শহর ছাপিয়ে সারা দেশ জুড়ে;
আমিও আছি তাদের ভীড়ে।
ভাই, আজ আমি দেশ নিয়ে তর্ক করতে পারব না,
ভাই, আজ আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না;কেন রাজাকারদের ঘৃণা করি ।
মুহুর্মুহু শুনতে চাওয়া আমার প্রিয় কথাগুলো আজ শুনতে পারব না,
ঠাট্টা, চাপা, আড্ডা কিছুই আজ মারতে পারব না,

বিস্তারিত»

আমার ভাষা – আমার ভালোবাসা – পর্ব ১

আমার ভাষা – আমার ভালোবাসা – পর্ব ১
——————————— ডঃ রমিত আজাদ

ভূমিকাংশ

শহীদ মিনারের সাদাকালো ছবি তার নীচে লেখা, ‘আমরা সালামের ভাই, আমরা বরকতের ভাই’। খুব ছোটবেলায় (‘৭৫/’৭৬ সালের কথা বলছি) ফেব্রুয়ারী মাস এলেই দৈনিক সংবাদপত্র ‘দৈনিক বাংলা’-য় একটি কলাম দেখতে পেতাম এই শিরোনামে। আগ্রহ জাগলো মনে, প্রতি ফেব্রুয়ারীতে এই কলাম আসে কেন? কি লেখা আছে এই কলামে?

বিস্তারিত»

বাঁচি অন্যের জন্য

এটা প্রায় দেড় বছর আগের কথা। বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলাম ব্লাড ডোনেট করতে। একজন প্রৌঢ়, বয়স ৭০/৮০ হবে, ডায়াবেটিক। ইঁদুর জাতীয় কোন প্রাণীর কামড় থেকে ইনফেকশন, সেখান থেকে গ্যাংগ্রীন, তাই পা কেটে ফেলতে হবে। ভদ্রলোকের পরিবার-পরিজন সবাই সেখানে উপস্থিত। ছেলে-মেয়ে, তাদের স্বামী-স্ত্রী-সন্তান। সবাই বিহারী। ভাঙ্গা ভাঙ্গা উর্দু, আরও ভাঙ্গা ইংরেজী, এবং তার চেয়েও করুণভাবে ভাঙ্গা বাংলা মিলিয়ে কোন এক ভাষায় তারা আমার সাথে কথা বলছিলেন। যার শতকরা ৯০ ভাগই আমার বোঝার ক্ষমতার বাইরে।

বিস্তারিত»

স্বীকারোক্তি… সহজ স্বীকারোক্তি

বাহ, আজ অনেকদিন পর খুব ভালো অনুভব করছি। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে নিজেকে। শিরায় শিরায় আজ আমার খুশির ঢল নেমেছে। মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, ফাসি হয়নি। তাই আমার আজ আনন্দিত উদ্বেলিত না হবার কোন কারন নেই। নিজেকে বেশ হালকা লাগছে। সারাটা দিন একটা মুচকি হাসি গালে লাগিয়ে ঘুরছি। সত্যি বলতে কি, এই খুশীর শুরু হয়েছিল বাচ্চুর পলাতক হবার পর থেকেই। ফাসির আদেশ হয়েছে তো কি?

বিস্তারিত»

ঋণ শোধের প্রহর

একটা সময় ছিল যখন মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ থেকে গল্প শুনতাম তৃষ্ণা ভরা বুক নিয়ে, পাঠ্য বইয়ের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস পড়তাম জানার জন্য, অবজেক্টিভ প্রশ্ন উত্তর করার জন্য নয়।
জেনেছি, বুঝেছি, শুনেছি। মনে মনে কত ভেবেছি যদি আরেকবার এমন একটা অবস্থায় এসে বাংলাদেশ দাঁড়ায় তবে বুক চিতিয়ে লড়াই করবো।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়টা ছিল গৌরবের আর স্বাধীনতার অপেক্ষায় প্রহর গুনবার। সেই গৌরব আর স্বাধীনতা আমাদের মাটিতে এসেছে,

বিস্তারিত»