অতি প্রিয় জানালার গ্রীল আজ জেলখানার অসহ্য গরাদ,
দেয়ালে সাঁটা লাস্যময়ীর ডাইনি দৃষ্টিতে
বারে বারে ভষ্ম আমি
সাধের বালিশ যেন কঠিন পাথর
উষ্ণতম কোমল শষ্যাকে ভুল করি উত্তপ্ত উনুন ভেবে
ছন্দের ঐকতান কে মনে হয় কামানের শেল্
সহজ যাপিত জীবন নির্বাসিত আজ।
বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন
আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।
উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।
বিস্তারিত»“সত্যি বিচিত্র এই দেশ”
হরতালের বিরোধিতা করলেই সে সরকারী দলের চামচা না,
রাজাকারের ফাঁসি চাইলেই সে আওয়ামীলীগ না,
একটা গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের-
-জেলে ভরার প্রতিবাদ করলেই সে বিএনপি না,
শাহাবাগের গণজাগরন সাপোর্ট করলেই সে নাস্তিক না,
জামাত নিষিদ্ধ হোক চাইলেই সে ধর্ম বিরোধী না।
আমাদের দেশের শিক্ষিত, বুদ্ধিমান কিছু মানুষ একই জিনিস চান, তারা সবাই ঘুরে ফিরে দেশের জন্যই ভাবে হয়ত।
বিস্তারিত»মেসার্স চেতনা ব্রাদার্স
খুব বেশি কথা নেই। কথাগুলো সবারই জানা।
শাহবাগ আন্দোলন একটা মাইলফলক। স্বাধীন চিন্তার এবং স্বাধীন অবস্থানের। সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল/আছে। দলমত নির্বিশেষে। শুধুমাত্র জামায়াত কর্মী-সমর্থক এবং যুদ্ধাপরাধী বাদে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো শাহবাগকে সমর্থন দিয়ে এবং বিরোধিতা করে তাদের জাতীয় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুবিধা খুঁজে নিয়েছে। জামায়াত এই আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন বলে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে সংশয়ী করতে অনেকাংশে সফল হয়েছে। তারপর অনেক সহিংসতা,
বিস্তারিত»খাপছাড়া সময়ের গদ্য
এক তারা ভরা রাতে মাঝ দরিয়ার ঝিরিঝিরি বাতাসের মাঝে বসে আমরা হঠাৎ শুনতে পেলাম, থাবা বাবাকে জবাই করা হয়েছে। মেরুদন্ডের ঠিক মাঝ দিয়ে ঠান্ডা কিছু একটা সরসর করে নেমে গেলো। আমার ছাব্বিশ বছর বয়স্ক মস্তিষ্ক খবরটার জন্য প্রস্তুত ছিল না। রুমে ফিরে এসে আবীরকে ধরে আমি ফুপায় ফুপায় কিছুক্ষণ কাঁদলাম, আমি জানতাম সুযোগ পেলে ওরা এই ছেলেকেও ছাড়বে না।
সেই রাতটা ছিল অসহনীয়,
বিস্তারিত»বিষণ্ন বিরিওজা – ৬ , ৭
বিষণ্ন বিরিওজা – ৬
—————- ডঃ রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
তাতিয়ানাঃ কই? আজও পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছো? ভিতরে ঢুকতে দাও।
আমিঃ ও হ্যাঁ হ্যাঁ, আসো ভিতরে আসো। (বিব্রত হয়ে বললাম আমি)
বিন্দুমাত্র জড়তাহীন, সাবলীল ভঙ্গিতে ডিভানে গিয়ে বসলো ও।
তাতিয়ানাঃ কি করো?
আমিঃ কিছুনা।
তাতিয়ানাঃ টিভি দেখছো?
এই সময়
উম্মাতাল এই সময়ে, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, জামাত-শিবির, প্রজন্ম চত্বর, আওয়ামী লীগ, সাধারন জনতা, বিদেশী সরকার বা সংস্থা, পুলিশ, আস্তিক-নাস্তিক, ডান-বাম ইত্যাদি যে যার অবস্থান থেকে যার যার বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করে সঠিক কাজটি করতে সচেষ্ট (অন্য পক্ষের কাছে তার গুরুত্ব বা গ্রহনযোগ্যতা যা-ই হোক)। (বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা অদূর ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় এবং শেষ পর্যন্ত একমাত্র তারাই ঠিক করবে এই পরিস্থিতিতে তাদের অর্জন বা ভুল কতটুকু।) কেননা পৃথিবীর কোন আন্দোলনই কোন কালেই আসন্ন সমগ্র ভবিষ্যতের ভাগ্য নির্ধারন করেনি;
বিস্তারিত»এবার ফেরৎ দে
শোন পাষন্ড! এবার আমায়, তিরিশ লক্ষ জীবন ফেরৎ দে,
মা-বোনেদের দুই লক্ষ সম্ভ্রম ফিরিয়ে দে,
মুক্তিযোদ্ধার হারিয়ে ফেলা হাতটা, পা-টা, চোখটা খুঁজে দে!
শোন অমানুষ! আমার মায়ের একটা ফোঁটা অশ্রু মুছিয়ে দে,
আমার ভায়ের বুক চিরে ঢেলে দেয়া, একটা ফোঁটা রক্ত ভরিয়ে দে।
আমার বোনের একটা করুন আর্তনাদ ভুলিয়ে দে!
শোন বেঈমান! রক্তঢালা মায়ের ভাষা; এবার ফেরৎ দে,
স্বাধীন দেশে লুটতে থাকা সুযোগ ফেরৎ দে,
আমার মমতাময়ী মাটি
আমি কিছু অলৌকিক ব্যাপারে বিশ্বাস করি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল এই দেশের মাটি। আমার কেন যেন মনে হয় এই মাটি ব্যতিক্রম। পৃথিবীর অন্য যেকোনো জায়গার মাটির সাথে এর বড় রকমের পার্থক্য আছে। সেটা গঠনগত নয়, ঐশ্বরিক। এই মাটির মমতা আমাকে অলৌকিক কিছু ভাবতে বাধ্য করে। আমাকে বিশ্বাস করতে বলে যে, আমি বাংলার মাটি, আমি তোমার মা! আমি চোখ বন্ধ করে তার ছলছল দু’চোখের অশ্রু দেখতে পাই।
বিস্তারিত»দর্শক প্রতিক্রিয়াঃ হোর’স গ্লোরী (২০১১)
মেলা দিন হলো, সিসিবিতে এসে কেবল পড়ি, ঘুরি, চলে যাই। লেখালেখির আপ্রাণ চেষ্টাতেও দু’লাইন বের হয়নি। বিশেষত, খুব কাছের মানুষের অনুরোধেও প্রায় পুরো দিন বসে থেকে ৪-৫ লাইন লিখে মুছে দিয়েছি। সেই প্রিয় মানুষটার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আজকের লেখাটা ঝেড়ে দিচ্ছি। ঘটনা হলো, এটাও কিঞ্চিৎ পুরনো লেখা, তবে ফেসবুকে একটা সিনেমা নিয়ে গ্রুপে হালকা দর্শক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দিয়েছিলাম; চলচ্চিত্র-সমালোচনা হিসেবে ভাবলে ভুল করবেন।
________________________________________________________________________
আগার তাহার বিভীষিকাভরা,
বিস্তারিত»আমরা যারা বাসা থেকে দূরে থাকি
বাসা থেকে দূরে থাকি বলেই হয়তো ঘুমের সময় মায়ের গামছা দুই হাতে ধরে বুকে জড়িয়ে রাখি। নিজের নতুন টি-শার্ট না ধুঁয়ে বহুদিন ফেলে রাখি আর বড়ভাইয়ের ফেলে যাওয়া গেঞ্জি বারবার ধুঁয়ে গায়ে চড়াই প্রতিদিন। বড়বোনের দেয়া আমের আচার ফুরিয়ে যাবার পরও মাঝে মাঝেই বয়ামের মুখ খুলে ঘ্রাণ নিই। বুক ভেঙে আসা হতাশায় নুয়ে পড়ার মুহূর্তেও মুঠোফোনের অপরপাশে বাবার গলা শুনে হাসিমুখে দুঃখ চেপে যাই কত সহজে!
বিস্তারিত»পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৫
১
আধুনিক দাম্পত্য চলে কতগুলো সূত্র মেনে। তার একটা হলো স্পেস। এই যেমন বর আর আমার কম্পিউটার দুটি সবসময়ই একে অপরকে পৃষ্ট-প্রদর্শন করে। মনিটরদের সাথে মালিকদের ক্রশ-কানেকশন হয়না। আমার ধারণা কি লিখি জানতে পারলে বর ক্ষেপাতে শুরু করবে। এর আগে আমি কবি না বলে রক্ষা পেয়েছিলাম। বর যেহেতু ব্লগের আগের প্রজন্ম, তাই এ সম্পর্কে তার ধারণা নেই। অন্ততঃ আমি এতোদিন তাই ভেবে এসেছিলাম। খুব দ্রুতই আমার সে ভাবনা ভুল প্র্মাণিত হলো।
বোম্বাস্টিং
শৈশবের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ফেবারিট খেলার নাম বোম্বাস্টিং। এই খেলার উৎপত্তি কোথায় তা জানা যায়না, তবে বুৎপত্তি হয়েছে বোম+বার্স্টিং শব্দ থেকে। এই খেলার সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, শুধুমাত্র একটা টেনিস বল থাকলেই অনেকে মিলে খেলা যায়। কাজ খুব সোজা, হাতে বল আসামাত্রই নিকটতম পাবলিকের শরীর টার্গেট করে সর্বশক্তিতে বল ছুঁড়ে মারা। গায়ে লেগে গেলে পৈশাচিক আনন্দ হয়, যার গায়ে লাগে সেও আনন্দ পায়, লজ্জাও পায়। “হায় হায়,
বিস্তারিত»চলমান চায়ের আড্ডা এবং আমার পর্যবেক্ষণ
(আমি সম্পূর্ণ ভাবে আবেগে তাড়িত হয়ে এই লেখা লিখব কারণ শাহবাগ তরুণ প্রজন্মের আবেগ থেকেই উৎসারিত। তার পর ও আমার শিক্ষা যদি আমাকে যুক্তির দিকে নিয়ে যায় তাহলে কিছু করার নেই।)
শুরুর আগে আমার তিনটি প্রশ্ন আছে।
১। ৭১ এ যে মুক্তিযুদ্ধ (অনেকের মতে গন্ডগোল) সেটার যৌক্তিকতা কি আদৌ আছে?
২। ৭১ এর যুদ্ধে কি আদৌ মানুষ মরেছিল?রাজাকার রা কি আদৌ কোনরকম মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল?
একটি ফোনকল
হ্যালো, আমি মোশাররফ করিম বলছি..
এতোটুকু শুনে হতচকিত হয়ে বললাম, ভাই আমি আপনার বিশাল ভক্ত …
হঠাৎ খেয়াল হলো আমাকে সুযোগ না দিয়েই উনি বলেই যাচ্ছেন, আগামীকাল বুধবার রাত আটটায় আমি আসছি শুধু আপনারই সাথে কথা বলতে এয়ারটেল টক টু মিতে…
মাথাটা উচ্চপর্যায়ের গরম হয়ে গেলো, শালা,ফাজলামোর যায়গা পাস না, আগে এসএমএস দিয়ে ভরায় দিতি আর এখন কল দেয়া স্টার্ট করছিস!!
বিস্তারিত»