গল্প হলেও হতে পারে

আজ থেকে সাত বছর আগে আমার এই গল্পটা লিখেছিলাম,তারপর কলেজের বার্ষিকীতে ছাপান হয়,আমি যখন সামু তে প্রথম ব্লগ খুলেছিলাম তখন প্রথম এই লেখাটিই দিয়েছিলাম,আবার আমি এই লেখাটি তুলে দিচ্ছি কারন আমার খুবই  খুবই ভাল লাগার গল্প এটি………..

এ গল্প “ আমার” আর “তার”। সে ছিল একান্তই আমার।“তাকে” সবসময় রেখেছি অন্তরে সযন্তে । প্রকাশ করি নি কখনো শঙ্কায়। বাইরের বিষাক্ত পরিবেশে “তার” কিছু হলে যে আমি শেষ হযে যাবো।

বিস্তারিত»

“মন বাড়িয়ে ছুঁই”

জুঁই কখনোই ভাবেনি ওর স্বামী এতটা কাব্যিক হবে। কবি ও কবিতার প্রতি জুঁইয়ের ক্ষোভ অনেক আগে থেকেই। কলেজে মোয়াজ্জেম স্যার বাংলা পড়াতেন। কবিতার ক্লাস গুলো অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নিলেও জুঁই এর কিছুই মাথায় ঢুকতোনা। এইচ এস সিতে যখন বাংলার জন্য গোল্ডেন মিস হলো সেদিনই জুঁই প্রতীজ্ঞা করেছিল জীবনে কখনো সাহিত্যিক অথবা কবি বিয়ে করবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একটা ছেলে জুঁইকে পাগলের মত ভালোবাসতো। যতটা ভালো একটা মানুষকে বাসা যায় এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু।

বিস্তারিত»

গর্ভ

(গল্পটি ২০০৯ লেখা। ব্লগে পোষ্ট করলে লেখাটির একটি অস্তিত্ব থাকে। তাই পোষ্ট করা।)

নদীটি খুব একটা প্রশস্ত নয়। আবার নালার মতো সরুও নয়। তবে নামটি এর কাছাকাছি। একটু অদ্ভুত। নলছিটি। আর বাদবাকী সবকিছু একই রকম। সেই চিরাচরিত গ্রামের দৃশ্য – নগরে বাস করা ট্রেনিংপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুরা যেরকমটা এঁকে থাকে। একটি নদী। তারপাশে দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত। দূরে একটি প্রকাণ্ড বটগাছ। সেই বটগাছ থেকে পাকানো রশির মতো লম্বা লম্বা ঝুল নেমে এসেছে।

বিস্তারিত»

মামা এবং দ্যা গিনিপিগ

অন্তুমামা আমাকে এপর্যন্ত যেসমস্ত উপহার দিয়েছেন তারমধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল আপ্রিয়া নামক গিনিপিগটি। ইঁদুরজাতীয় ছোট্ট স্তন্যপায়ী এই গৃহপালিত প্রাণীটির আপ্রিয়া নামটি অন্তুমামার আর আমার প্রিয়া নামের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে রাখা হয়েছিল। সে সময়টায় আমার ভেতরে ভুতের ভয় ছিল অনেক বেশি আর প্রাচীন মানুষের ধারনা ছিল যে, গিনিপিগ অশুভ আত্মাকে দূরে সরিয়ে রাখতে সমর্থ। এই কারণে, মজারু অন্তুমামা আমার বারোতম জন্মদিনে আমার জন্য আপ্রিয়াকে উপহার হিসেবে এনেদেন।

বিস্তারিত»

পুরনো জোক, না হাসলে আমি দায়ী নই

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল।

 

লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে ক্ষেতের বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন। “আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি।

 

লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।”

বিস্তারিত»

পবিত্রতা

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে  বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

বিস্তারিত»

ডায়রি

ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,

বিস্তারিত»

“Eating Haram Getting Fat”

ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল

{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }

তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন বদল

একে একে প্রায় সবার নাম, স্কুল আর লক্ষ্য জানা গেল। সমাজে আদৃত কোন পেশাই বাদ পড়ল না এবং সেই সাথে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার  অঙ্গীকারও সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হোল । বড় শহরের নামজাদা স্কুল থেকে মফস্বল বা গণ্ডগ্রামের অপরিচিত স্কুলের কিশোরদের স্বপ্নিল চোখের ঝিলিক দেখে ফর্ম মাস্টার আপ্লুত। এমন স্বপ্নময় পরিবেশেও আমি ঘামতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আমার পালা এগিয়ে আসছে, আতংকে আমার গলা শুকিয়ে আসছে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ

সবাই একটি গল্প লিখে প্রথমে ডিস্ক্লেইমার দিয়ে দেন যে, এই গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমি দিচ্ছি না। কারণ, এটা সম্পূর্ণই বাস্তব।

আমার খুবই কাছের এক বন্ধুর কথাই বলতে এসেছি। তার জন্যে কোনদিন কিছু করতে পারি নি। সে আমাকে করতে দেয় নি। তার নামটা উল্লেখ করছি না। লেখাটা তারই জন্যে।

আমরা একই সাথে স্কুল জীবন পার করেছি। স্কুল বলতে ক্যাডেট কলেজে আসার আগ পর্যন্ত সময়টা বোঝাচ্ছি।

বিস্তারিত»

গিট্টু

জুম্মার নামাজে হুজুরের খুত্‍বা শেষ হবার পর সবাই নামাজ পড়তে উঠে দাঁড়াবার সময় পত পত করে একটা শব্দ হল। দু থেকে তিনজন গড়িয়ে পড়ল। তাত্‍ক্ষানিক বেগ সামলাতে প্রিন্সিপাল স্যার কমান্ড দিলেন,হোয়াট ইজ হ্যাপেনিং? স্যারের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হলোনা। ততক্ষনে সবাই বুঝে গেছে পাঁচ থেকে ছয়জনের পাঞ্জাবীতে সিরিয়াললি গিট্টু মারা হয়েছে। গিট্টুটা এমন ভাবে মারা হয়েছে যে একজনের পাঞ্জাবীর সাথে আর একজনের পাঞ্জাবী সংযোগ হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি…





ওপেনিং শট।
লিংক রোডের মাথায় স্থানীয় বাজারে তখন লোক সমাগম একেবারেই নেই বললেই চলে।
রাস্তার পাশে চা’র স্টলে কোন ক্রেতা নেই। দোকানদার বসে গোছগাছ করছে ঝাপি তুলবার জন্য।
ক্যামেরা ডানে প্যান করে মসজিদের বাইরে এসে স্থির হবে-
গ্রামের মসজিদে তখনো তারাবী নামাজ চলছিল।
কাট করে – শুভ’র গাড়ি।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

তবুও…

ইদানিং কি সব কিছু ভুলে যাচ্ছি? তাই হবে হয়তো। এটা যে আমার নিজের বাসা সেটা বুঝতেই বেশ সময় লেগে গেল। আমাকে অফিসে যেতে হবে, দেরি হয়ে যাচ্ছে। ইশশ… কোন টাইটা পরব বুঝতে পারছিনা। আমার কালার কম্বিনেশন এর ধারনা খুবই খারাপ। শার্ট এর সাথে টাই এর ম্যাচিং করতে পারিনা। ওই তো নিতু ডাকছে “খেতে এসো, দেরি হয়ে যাবে তো!” আমি আর দেরি করলামনা। টেবিলে চলে গেলাম।

বিস্তারিত»