– তুমি কি আমার কথাটা শুনেছ?
– শুনবো না কেন?
– কী বলেছি বলো তো?
– ভ্যাপসা গরমে চ্যাপা শুঁটকি খেতে মজা
– এইসব কী নাফিস! আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই তোমার? কেয়ারলেস হও, ক্যাজুয়াল হও, ভালো কথা। কখনও মানা করেছি? কিন্তু তুমি এতো কেয়ারলেস কেন? নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেছ একবার? এতবার বললাম বাসায় ঘন ঘন প্রস্তাব আসছে, তাও তোমার কোনো টেনশন নেই?
সাবান
কলিং বেলের শব্দে কিছুটা বিরক্ত হয় শারমিন। আজ শনিবার। ছুটির দিন। ছুটির দিনে বাসায় অপরিচিত কেউ আসেনা। পারভেজ এই দিন বাসায় থাকে। সারাদিন পারভেজকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘর গোছানো,টুকটাক রান্না বান্না। এছাড়া ইদানিং আরো একটা কাজ বেড়েছে। ছোট কাঁথা সেলাই করা। অসময়ে মাথা ব্যথা আর বমি বমি ভাব জানান দিচ্ছে ভালোবাসাবাসির প্রথম ফুল ফুটতে বেশি দেরি নেই। শারমিন বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুলল।
আরে তুমিহ?
বুক পকেট
সকাল সাড়ে সাতটা। বিছানায় উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে সোহেল। সুমন এসে গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকে, “এই সোহেল ওঠ, ক্লাসে যাবি না?” সোহেল ঘুমের মধ্যে উত্তর দেয়, ‘‘না দোস্ত, প্রক্সিটা দিয়ে দিস’’। ‘‘ঠিক আছে, তুই ঘুমা শালা’’ বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে সুমন।
ক্লাস আটটায়। হল থেকে ক্লাসে যেতে সময় লাগে ৫-৭ মিনিট। মাঝখানে ক্যান্টিনে নাস্তা করতে হবে তাই একটু আগেই বের হয় সে। দুটো পরোটা আর একটা ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তা করতে করতে সারা দিনের একটা কাজ কর্মের একটা পরিকল্পনা করে ফেলে সুমন।
বিস্তারিত»সন্তান
– চাচা, একটু বাইরে আসবেন?
রহমান সাহেব স্ত্রীর মাথার কাছে চেয়ার পেতে বসে ছিলেন। তরুণ ডাক্তারের ডাক শুনে বেরিয়ে এলেন। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল শ্যামলা মতন নার্সটা । ডাক্তারের ইশারায় সে ভেতরে ঢুকল। কেবিনের দরজা চাপিয়ে দিল।
– চাচা, চলেন হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি।
এই ডাক্তার ছেলেটাকে তার খুব পছন্দ। গত তেরোদিন ধরে এই ছেলেটাই তার স্ত্রীর চিকিৎসা করছে। লম্বা, ফর্সা,
বিস্তারিত»নিশিকন্যা
১
কাঁধে রাইফেল, নির্ঘুম লাল চোখ যা অন্ধকার তার হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছে, কোমরে গামছা বাঁধা, খালি পা, পরনে শতচ্ছিন্ন শার্টপ্যান্ট যেটার এখানে ওখানে ফেঁসে গেছে, কাদাপানিতে ভিজে আর রোদে শুকিয়ে খটখটে হয়ে আছে। হাতে পায়ে অসংখ্য কাঁটাছেঁড়ার দাগ, কোথাও কোথাও থেকে রক্তও পরছে। এসব দিকে কারো খেয়াল নেই। উত্তর দিকে একজায়গায় আগুন লেগেছে সবার দৃষ্টি সেদিকেই নিবদ্ধ। সবাই সেখানেই যাচ্ছে।
-আমি সবাইকে ক্যাম্পে জীবিত ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা দিতে পারবো না।
বিস্তারিত»গল্প হলেও হতে পারে
আজ থেকে সাত বছর আগে আমার এই গল্পটা লিখেছিলাম,তারপর কলেজের বার্ষিকীতে ছাপান হয়,আমি যখন সামু তে প্রথম ব্লগ খুলেছিলাম তখন প্রথম এই লেখাটিই দিয়েছিলাম,আবার আমি এই লেখাটি তুলে দিচ্ছি কারন আমার খুবই খুবই ভাল লাগার গল্প এটি………..
এ গল্প “ আমার” আর “তার”। সে ছিল একান্তই আমার।“তাকে” সবসময় রেখেছি অন্তরে সযন্তে । প্রকাশ করি নি কখনো শঙ্কায়। বাইরের বিষাক্ত পরিবেশে “তার” কিছু হলে যে আমি শেষ হযে যাবো।
বিস্তারিত»“মন বাড়িয়ে ছুঁই”
জুঁই কখনোই ভাবেনি ওর স্বামী এতটা কাব্যিক হবে। কবি ও কবিতার প্রতি জুঁইয়ের ক্ষোভ অনেক আগে থেকেই। কলেজে মোয়াজ্জেম স্যার বাংলা পড়াতেন। কবিতার ক্লাস গুলো অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নিলেও জুঁই এর কিছুই মাথায় ঢুকতোনা। এইচ এস সিতে যখন বাংলার জন্য গোল্ডেন মিস হলো সেদিনই জুঁই প্রতীজ্ঞা করেছিল জীবনে কখনো সাহিত্যিক অথবা কবি বিয়ে করবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একটা ছেলে জুঁইকে পাগলের মত ভালোবাসতো। যতটা ভালো একটা মানুষকে বাসা যায় এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু।
বিস্তারিত»গর্ভ
(গল্পটি ২০০৯ লেখা। ব্লগে পোষ্ট করলে লেখাটির একটি অস্তিত্ব থাকে। তাই পোষ্ট করা।)
নদীটি খুব একটা প্রশস্ত নয়। আবার নালার মতো সরুও নয়। তবে নামটি এর কাছাকাছি। একটু অদ্ভুত। নলছিটি। আর বাদবাকী সবকিছু একই রকম। সেই চিরাচরিত গ্রামের দৃশ্য – নগরে বাস করা ট্রেনিংপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুরা যেরকমটা এঁকে থাকে। একটি নদী। তারপাশে দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত। দূরে একটি প্রকাণ্ড বটগাছ। সেই বটগাছ থেকে পাকানো রশির মতো লম্বা লম্বা ঝুল নেমে এসেছে।
বিস্তারিত»মামা এবং দ্যা গিনিপিগ
অন্তুমামা আমাকে এপর্যন্ত যেসমস্ত উপহার দিয়েছেন তারমধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল আপ্রিয়া নামক গিনিপিগটি। ইঁদুরজাতীয় ছোট্ট স্তন্যপায়ী এই গৃহপালিত প্রাণীটির আপ্রিয়া নামটি অন্তুমামার আর আমার প্রিয়া নামের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে রাখা হয়েছিল। সে সময়টায় আমার ভেতরে ভুতের ভয় ছিল অনেক বেশি আর প্রাচীন মানুষের ধারনা ছিল যে, গিনিপিগ অশুভ আত্মাকে দূরে সরিয়ে রাখতে সমর্থ। এই কারণে, মজারু অন্তুমামা আমার বারোতম জন্মদিনে আমার জন্য আপ্রিয়াকে উপহার হিসেবে এনেদেন।
বিস্তারিত»ইতিহাস ফিরে আসে
পুরনো জোক, না হাসলে আমি দায়ী নই
একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল।
লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে ক্ষেতের বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন। “আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি।
লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।”
বিস্তারিত»পবিত্রতা
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বিস্তারিত»ডায়রি
ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,
“Eating Haram Getting Fat”
ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল
{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }
তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি।
বিস্তারিত»স্বপ্ন বদল
একে একে প্রায় সবার নাম, স্কুল আর লক্ষ্য জানা গেল। সমাজে আদৃত কোন পেশাই বাদ পড়ল না এবং সেই সাথে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার অঙ্গীকারও সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হোল । বড় শহরের নামজাদা স্কুল থেকে মফস্বল বা গণ্ডগ্রামের অপরিচিত স্কুলের কিশোরদের স্বপ্নিল চোখের ঝিলিক দেখে ফর্ম মাস্টার আপ্লুত। এমন স্বপ্নময় পরিবেশেও আমি ঘামতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আমার পালা এগিয়ে আসছে, আতংকে আমার গলা শুকিয়ে আসছে।
বিস্তারিত»