বৃষ্টি শেষের গান

লেখার শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের তৃতীয় ব্যাচের ক্যাডেট, মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্নেল(অবঃ) খায়রুল আলম বেলাল ভাইকে। ভাইয়া অশেষ ধন্যবাদ,এই সময়ের একজনকে সেই সময়ে নিয়ে যাবার জন্য।

আমার মা’র কথা

মা’র জন্য আমাকে প্রায়ই বিব্রত হতে হয়। বিশ্বাস করুন প্রায়ই হতে হয়। বিশেষ করে ছুটি শেষে কলেজে ফেরার সময়। মা আমাকে বিদায় দিতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত চলে আসেন । আমি সব সময়ই চাইতাম- বিদায় পর্বটা অন্তত বাড়িতেই শেষ হোক।

বিস্তারিত»

অধরা ফাইনাল

আমার মা বলেন ছেলেদের সৌন্দর্য আচরনে আর কাজে। আমি অবশ্যই এই কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেই সব সময়।

দুপুরে খেলা দেখতে যাবো,এই উত্তেজনায় সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। মিষ্টি আর পরোটা দিয়ে জম্পেশ একটা খাওয়া দিলাম। পলাশি মোড়ের দোকানগুলো একটু ময়লা হলেও খাবার বানায় বেশ। পেট ডলতে ডলতে সবাইকে ফোন দিলাম। সবাই রেডি।

আমি সাবান ডলে গোসল করে,গায়ে ২-৩ টা স্প্রে ছিটায় নেমে পড়লাম রাস্তায়।

বিস্তারিত»

ইচ্ছের বর্ষায়

শেষ রাতের দিকে বৃষ্টি নামল। ঝুম বৃষ্টি। করিডোরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়ার চেষ্টা করলাম। বৃষ্টির কয়েকটা ফোঁটা এসে মুখের ওপর পড়ল। একটু পরেই শুরু হল বাতাস। প্রকৃতির পাগলামি আজ একটু বেড়েছে। বৃষ্টি এলেই পুণ্যিকে খুব মনে পড়ে। মেয়েটা ভীষণ বৃষ্টি পাগল ছিল। ক্লাশ শেষে প্রায়ই টি.এস.সিতে আড্ডা দিতাম। পুণ্যি বলতো ” ইস যদি বৃষ্টি হত। কেন যে বছরের ছয়টি ঋতুই বর্ষা হলোনা। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজতাম। ”

বিস্তারিত»

চাকা

মহাদেবপুর মহাকূমা থেকে অজগরের মত এঁকেবেঁকে বিশাল রাস্তাটা চলে এসেছে সূত্রাপুর। ইট বসানো পাকা রাস্তা। দু’ধারে কড়ই,নিম আর শাল গাছগুলো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।প্রায় দুশো বছর আগে মহাদেবপুরের জমিদার বিনোদ রায় সিং যশোর থেকে মহাদেবপুর পর্যন্ত ২০০ ক্রোশ লম্বা এই রাস্তা নির্মাণ করেছিল। সূত্রাপুরে তখন কয়েক ঘর লোকের বসতি ছিল। গ্রামের দক্ষিণদিকটায়, খালের পাড়ে। কুমোরপাড়া।

আজ সূত্রাপুরে কয়েক হাজার লোকের বাস।  কুমোরপাড়া,জেলেপাড়া,

বিস্তারিত»

যা হবার…

 

বশির কাকার সাথে গুটিগুটি পায় একটা পুরনো দোতলা বাড়ির গেটে এসে দাঁড়ায় লাচি।ওর হাতের স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে একটা ফ্রক আর একটা প্যান্টের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।কাকা কলবেল বাজায়।কারও সাড়াশব্দ মেলে না।৪-৫ বার অনবরত বাজিয়ে যাওয়ার পর লাচির বয়সী একটা মেয়ে গেট খুলে দেয়।লাচির দিকে তাকিয়ে তার মুখে হাসি ফোটে।

‘বশির আংকেল,কাজের মেয়ে পেয়ে গেছেন ! বাঁচলাম ! গেট খুলতে খুলতে আমার অবস্থা শেষ !’

এক ভদ্রমহিলা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন

ইদানিং অনেক সকাল বেলা মিশু ভার্সিটিতে চলে আসে। ক্লাস থাকে না। তাও আসে। একটা লাভ অবশ্য আছে- ফাকা রাস্তায় সকাল বেলা একটানে চলে আসা যায়। আর হাত খরচের টাকা বাচানো তো আছেই!! এসেই প্রথম কাজ চা-সিগারেটের টঙ্গে ঢোকা কিংবা একটা সিগারেট ধরিয়ে আনমনে অজানার উদ্দেশ্যে হেটে চলা। আজকেও সে চলে এসেছে অনেক আগে। আজকে একটু বেশিই আগে হয়ে গেছে। টং গুলাও এখনো খুলেনি। কি আর করার।

বিস্তারিত»

ভালবাসার মানুষ

এখন কত দিবস হয়েছে।ভালবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস। এসব আমাদের দিনগুলিতে ছিলনা। খুবই সাদা মাটা ছিল আমাদের দিনগুলি। প্রকৃতি হয়তো কিছু ‘সোনার মানুষ’ সৃষ্ট করে আমাদের সেই অভাব ঘুচিয়েছিল ।

ভদ্রলোকের সাথে প্রথম পরিচয় হয় ‘ চৈত্র সংক্রান্তির ‘ দিনে।আমার স্পষ্ট মনে আছে ।মনে থাকার কারনও আছে,বলছি।

১৯৮৮~৮৯ সালের দিকের কথা। অফিসে মন খারাপ করে বসে আছি। এই আধুনিক কালে চৈত্র মাস নিয়ে ব্যবসা জগতের এই ব্যাপারগুলি আর সহ্য হয়?

বিস্তারিত»

ছোটগল্প : স্বপ্ন, ভালোবাসা অথবা যাপিত জীবনের গল্প

একটি রোমান্টিক গল্প লিখবার জন্য গল্পটি শুরু হয়। গল্পের শুরু বাছাইয়ে সমস্যা হয়। যাপিত জীবন থেকে কেটে নেওয়া কোন সময়ের থেকে তার শুরু। রোমান্টিক হবার প্রয়োজনেই গল্পের শুরুতে তাই স্বপ্নের পিছে ছুটে চলা কোন মানবকে দেখা যায়। তারপরে আপন শিরোনামেই গল্পের পরিসর বাড়ে খণ্ড খণ্ড দৃশ্য কল্প দিয়ে।

স্বপ্নের হাতছানিতে ছুটে চলা

নগরীর বুকে যখন রাত গভীর হয়, সময়কে যখন ক্ষণিকের জন্য স্থবির মনে হয়,

বিস্তারিত»

নিখুঁত ছবিটি আমার

ক্লাস শেষে নায়লাকে ঘিরে একটা ছোটখাট জটলা হল । আমাদের ক্লাসেরই একটি ছেলে ওকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে ।নায়লা রসিয়ে রসিয়ে সে গল্প শোনাচ্ছে।এরকম জটলা প্রায়ই হয়।ক্লাসের বেশির ভাগ মেয়েই বেশ সুন্দর।একেকজন ইতোমধ্যে গড়ে ৬-৭ টা প্রস্তাব পেয়ে গেছে! আমি এধরণের জটলার নিয়মিত শ্রোতা।মন দিয়ে গল্পগুলো শুনি।ওদের মধ্যে আমিই বোধহয় একমাত্র ব্যাতিক্রম।কখনো প্রস্তাব পাইনি।ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখিনা।আমি দেখতে ভাল নই।গায়ের রংটি কাল।চোখে-মুখে সুশ্রীতা আছে কি না জানি না,তবে লোকে আমাকে সুন্দর বলে না।একবার একটা ছেলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ‘কালী’ বলে মন্তব্য করেছিল।আমি স্রষ্টার দানকে মেনে নিয়েছি।তবে ইদানীং একটা দানা বাঁধতে যাওয়া অশোভন অনুভূতিকে কিছুতেই তাড়াতে পারছিনা।আমাদের দু’বছরের সিনিয়র এক ভাইকে মনে গেঁথে ফেলেছি।অনুভূতিটা অশোভন এ জন্য যে তাকে চাওয়াটা আমার মোটেই সাজে না।অসাধারণ সুদর্শন একটা মানুষ ফয়সাল ভাই।এমন সুদর্শন পুরুষ বাংলাদেশে খুব কমই দেখা যায়।নিজেই নিজেকে বকাঝাকা করি,তাকে তুমি সেভাবে চেনো না।মানুষ কেমন তা জানো না।শুধুমাত্র রূপ দেখে পাগল হলে হবে?

বিস্তারিত»

একটি নতুন গল্পের জন্ম


সুন্দরী তরুণীর কোলে শুয়ে এক ঘন্টাকেও এক মিনিট মনে হয়, আর গরম পানিতে আঙ্গুল ডোবালে এক মিনিটকে মনে হয় এক ঘন্টা। পুরান কথা। তবে সত্য। আমার হলো দ্বিতীয়টা।
২০ জানুয়ারি। সকাল নটা থেকে পৌনে দশ। মনে হচ্ছিল ঘড়ির কাটা বুঝি স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে। সময়ের দেশে বুঝি ১৪৪ ধারা। অনন্ত সময়…ফুরাবে কবে? করবী ওটি’তে। সিজার।
এই প্রথম নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম। ধারণা ছিলো গন্ন্ডারের চামড়ার মোড়কে মোড়া আমার হৃদয়।

বিস্তারিত»

ঐ উড়াল বলাকায়- ((প্রভাতী পর্ব))

দুই ঘাড়ের উপর বসে মোনকার-নাকীর এমন জোরে ঝাঁকাঝাঁকি শুরু করল যে রিজভীর ঘুম ভেঙে গেল। রাত তিনটার সময় ঘুম ঘুম চোখ মেলে- মশারির ফুটো দিয়ে ঘরের অন্ধকার দেখল সে কিছুক্ষণ। বারান্দায় আলো জ্বলছিল। আর এদিকে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে বাইরের ফ্লাড-লাইটের আলোকে কিছুটা হলেও ঢেকে দিয়েছে আড়াই তলার সমান উঁচু যুবতী জামরুল গাছ।

প্রসাব করতে বাইরে যাওয়াটা কি ঠিক হবে এখন! সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগছে।

বিস্তারিত»

একটি ক্যাডেটীয় ভালোবাসার গল্প…

১.

 

ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং………

 

ঘন্টা টা অনবরত বেজেই চলেছে। যার অর্থ প্যারেড টাইম। বেল বাজার ১৫ মিনিটের ভিতর প্যারেড শুরু হবে। ঘুমের ভিতরেই প্রায় মাথা খারাপ হয়ে গেল। আমি আজ ডিউটি ক্যাডেট। যার অর্থ কমপক্ষে ২০ জন সিনিয়র ভাইয়ের মেটাল ব্যাজ পলিশ, সু পলিশের ব্যবস্থা আমাকে করা লাগবে। সেগুলো তো দূরে থাক, আমার নিজের সু পলিশই ক…রা হয়নি।

বিস্তারিত»

উল্টোমুখী

শীতের নরম রোদ্দুর । উঠোনে পাটি পেতে লাল রঙা লেপটা শুকোতে দিয়েছেন মা । সোনালী রোদ ছলকে যাওয়া মোটাসোটা লাল লেপটা দেখে খুশির ঝিলিক খেলে গেল নিশির মনে। গুটিসুটি মেরে বসে পড়ল লেপের ওপর।হাতে সুনীলের ‘প্রথম আলো।’ মা ওকে এ অবস্থায় দেখলে চিলচিৎকার জুড়ে দেবেন,এত বড় ধিঙ্গি মেয়ে কাজকর্ম বাদ দিয়ে রোদ পোহাচ্ছে বলে। কিছুক্ষণ আগে মা-মেয়ের এক দফা যুদ্ধ হয়ে গেছে।সকাল থেকে মা নিশিকে ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলছেন।কিন্তু নিশি মার কথা গায়ে মাখছেই না।সে বরাবরই অলস স্বভাবের।তার ওপর এখন কলেজে শীতের ছুটি চলছে।

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড-৫)

আবার কলেজের কয়েকটা ঘটনা।

১) শাফিন ভাই, রাতের বেলা। স্লিপিং স্যূট পড়ে ডাব পাড়তে গাছে উঠছে। কিছু দূর গাছে ওঠার পর নাইট ড্রেসের পাজামার ফিতা ছিড়া গেছে। ভাইয়ার দুই হাতে গাছ জড়াইয়া ধরে আছে। ফলাফল শাফিন ভাই গাছের মাথায় আর পায়জামাটা গাছের তলায়।

২) আমরা তখন ক্লাস এইটে। হঠাৎ লিডিং ব্যাচ কলেজ অথরিটির বিরুদ্ধে আন্দলোন শুরু করল। তার একটা ওয়ে হিসেবে কলেজের এরিয়ায় কয়েকটা কুকুর ধরে তাদের গলায় বিভিন্ন জনের নাম লিখে ঝুলিয়ে দেয়া হল।

বিস্তারিত»